তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২১৭
আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
১৪৩৯ হিজরি সনের পবিত্র শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণ ও শাবান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে আগামীকাল (১৭ এপ্রিল) মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৪৫ টায় (বাদ মাগরিব) বায়তুল মুকাররমস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা অন্য কোনো উপায়ে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
টেলিফোন নম্বর: ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭।
ফ্যাক্স নম্বর: ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১।
#
নিজাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২১৬
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের নতুন সচিব এস এম গোলাম ফারুক
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে এস এম গোলাম ফারুক আজ সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন।
এস এম গোলাম ফারুক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৩ ব্যাচের কর্মকর্তা। ইতিপূর্বে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, শিক্ষা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, শিল্প ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন।
#
আহসান/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২১৫
বিডা’র নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আজ বিডা’র মিলনায়তনে নির্বাহী পরিষদের ৩৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিডার ওয়েবসাইট উন্নয়ন, উন্নয়ন মেলা আয়োজন, মাস্টার ট্রেইনার নিয়োগ, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি এবং আউটসোর্সিং নীতিমালা দ্রুততার সাথে প্রণয়নের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া নির্বাহী চেয়ারম্যান ইজ অভ্ ডুইং বিজনেস এর অগ্রগতির প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা (আই এফ সি) কে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বিডার নির্বাহী সদস্য, পরিচালক, উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
বিবেকানন্দ/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২১৪
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম বৈঠক কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন (রিমি) এর সভাপতিত্বে আজ সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কাজী কেরামত আলী, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, পংকজ নাথ, পিনু খান এবং জেবুন্নেছা আফরোজ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে সরকারিভাবে প্রাপ্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তালিকা আগামী বৈঠকের পূর্বে চূড়ান্ত করা এবং কোনো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বর্তমান তালিকা থেকে বাদ পড়লে পরবর্তীতে সম্পৃক্ত করার সুযোগ রাখার সুপারিশ করা হয়।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কর্তৃক ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর’ সংক্রান্ত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ রুখতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদ্রাসায় সাংস্কৃতিক কর্মকা- বিস্তৃত করার বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শিশুকিশোরদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা, গোলটেবিল বৈঠক ইত্যাদির আয়োজন করা হয় বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কর্তৃক ‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন’ সংক্রান্ত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি মে, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সপ্তাহে দিনাজপুর কান্তজিউ মন্দির সংলগ্ন জাদুঘর উদ্বোধন করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকগণসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
সামিয়া/অনসূয়া/জসীম/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২১৩
আন্তর্জাতিকমান অনুসরণের লক্ষ্যে মানকর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে
- শিল্পসচিব
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
দেশের সকল ল্যাবরেটরি, পরীক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন আন্তর্জাতিকমান অনুসরণের লক্ষ্যে একটি মানকর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে এ কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম শুরু করবে। ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুসংহত হবে।
শিল্পসচিব আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড আয়োজিত “আন্তর্জাতিকমান বা আইএসও ১৭০২৫:২০০৫ অনুধাবনবিষয়ক অষ্টাদশ প্রশিক্ষণ কোর্সের (১৮ঃয টহফবৎংঃধহফরহম ঞৎধরহরহম ঈড়ঁৎংব ড়হ ওঝঙ/ওঊঈ ১৭০২৫:২০০৫) উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক মোঃ মনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ এনামুল হক এবং দুই জন প্রশিক্ষণার্থী বক্তব্য রাখেন।
শিল্পসচিব বলেন, বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি ক্রমেই তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশি পণ্যের গুণগতমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। বিএবি’র কার্যক্রম গতিশীল করার ফলে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির সক্ষমতা বেড়েছে। চলতি বছর সরকার ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। বিএবি’র সক্ষমতা বাড়িয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির মানসনদ ছাড়া পণ্য রপ্তানি সম্ভব নয় উল্লেখ করে শিল্পসচিব বলেন, ইতিমধ্যে দেশব্যাপী অ্যাক্রেডিটেশন ও মানবিষয়ক প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে। ফলে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিএবি’র পরিচিতি বেড়েছে এবং অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক ধারণার প্রসার ঘটেছে। বিএবি’র জনবলের দক্ষতা বাড়ায় এখন বিদেশি প্রশিক্ষক ছাড়াই ন্যূনতম খরচে বাংলাদেশে অ্যাক্রেডিটেশন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে। বিএবি’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের হিমায়িত চিংড়িসহ অন্যান্য শিল্পপণ্য কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৫টি টেস্টিং, ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, ও মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিদর্শন সংস্থায় কর্মরত ৩০ জন অ্যাসেসর ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ এ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।
#
জলিল/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৮/১২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২১২
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন করা হয়। সেদিন থেকে এ স্থানটি ‘মুজিবনগর’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
ঐতিহাসিক এ দিনে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ চার জাতীয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে, জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী মুক্তিকামী বাঙালি জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।
স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলসমূহ, সশস্ত্রবাহিনী, পুলিশ ও তদানীন্তন ইপিআরসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকার দীর্ঘ ৯ মাস দক্ষতার সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মিত্রশক্তির সহায়তায় চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে সমূলে ধ্বংস করার লক্ষ্যে আড়াই মাসের ব্যবধানে ৩ নভেম্বর জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
জাতির পিতাকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। আইনের শাসন ও জনগণের অধিকার সামরিক স্বৈরাচারের বুটের তলায় পিষ্ট হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়। স্বাধীনতাবিরোধীদের রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করা হয়। জনগণের ভোটে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরে আসে। মানুষ ফিরে পায় তাদের অধিকার। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনকাল ছিল বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের প্রচলিত আদালতে বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি দায়মুক্ত হয়েছে। জেলখানায় নিহত চার জাতীয় নেতা হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। ’৭১-এর মানবতাবিরোধী যুদ্ধপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। আমরা পাকিস্তানি বাহিনী এবং তার দোসরদের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ শুরুর দিন ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছি।
আমাদের সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গত ৯ বছরে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যমোচন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বৈদেশিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নতদেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ স্বীকৃতি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের আগেই আমরা মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি দেশবাসীকে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১১২০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :১২১১
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩ বৈশাখ (১৬ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। আমি এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে যাঁদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার পরিচালনার মাধ্যমে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ত্রিশ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থনকারী সকল স্তরের আপামর জনগণকে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামের যে পথ চলা শুরু হয়, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলে মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭০ এর নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকার আত্মপ্রকাশ করে। এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা ও যুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণে মুজিবনগর সরকার যে ভূমিকা পালন করেছে তা বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবগাথাঁর স্বাক্ষর হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, পেয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তিক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। অচিরেই মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। সরকার উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ। আমি মুজিবনগর দিবসে দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা” গঠনে অবদান রাখবে- এই প্রত্যাশা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১১২০ ঘণ্টা