Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী ১৩ অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪১২৭

 

 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল

                                           -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

 

 

লালমনিরহাট, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) : 

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

 

মন্ত্রী আজ লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা মিলনায়তনে দুর্যোগ প্রশমন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

 

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করে। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে লালন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের সুউচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন।

 

শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন দেখে সারা বিশ্বের মানুষ আজ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দিনেও শেখ হাসিনার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

 

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মোল্লা প্রমুখ।

 

এর আগে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত র‍্যালিতে অংশ নেন মন্ত্রী। এরপর আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের প্রদর্শন করা বিভিন্ন দুর্যোগের মহড়া দেখেন তিনি।

 

 

জাকির/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২২৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :৪১২৬

 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কিরগিজস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

 

 

ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) : 

 

আজ কাজাখস্তানের আস্তানায় ষষ্ঠ সিআইসিএ (CICA) শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ব রেখায় কিরগিজস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলুবায়েভ ঝিনবেক মলদোকানোভিচের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন । বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

 

বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বিনিময়ের ব্যাপারে উভয় পক্ষ আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া দুই দেশের সরকারী বাণিজ্য দপ্তরসমূহ ছাড়াও দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপনে পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারে তারা একমত হন। এ সময় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বয়ন ও পোশাক শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান কিরগিজ মন্ত্রী।

 

এ সময় ড. মোমেন ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং কিরগিজস্তানের ঔষধ খাতে বাংলাদেশ অবদান রাখতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে বিদ্যমান দক্ষ জনশক্তির সেবা গ্রহণের জন্য তিনি কিরগিজস্তানের প্রতি আহ্বান জানান।  

 

#

মুহম্মদ/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২২/ ১৬৪১ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৪১২৫

পদ্মা সেতুর ৪২ পিলার, আর বাংলাদেশের একটি পিলার শেখ হাসিনা

                                                                -- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর):

          পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলার আর বাংলাদেশের একটি পিলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান।

          আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

          দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য- ‘আর্লি ওয়ার্নিং এন্ড আর্লি অ্যাকশন ফর অল’ যার ভাবানুবাদ করা হয়েছে ‘দুর্যোগে আগাম সতর্কবার্তা, সবার জন্য কার্যব্যবস্থা’।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যত ভালো কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো অনেক মেগা স্ট্রাকচার হচ্ছে। পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলার ৪১টি স্প্যান বহন করছে। আর বাংলাদেশের একটি পিলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি বাংলাদেশের ভার বহন করে জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

          দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে অনেক সফলতা রয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, ‘আমরা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, মুজিব কেল্লা করেছি। গত কয়েক বছরে আমরা নতুন করে ২২০টি সাইক্লোন শেল্টার, ৪২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ৫৫০টি মুজিব কেল্লা করেছি। ৬৪ জেলায় ৬৬টি ত্রাণ গুদাম করেছি।’

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী মন্ত্রিসভা বৈঠকে আমাকে নৌযান কেনার নির্দেশ দেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন আমাদের নৌযানের স্বল্পতা আছে। তিনি উল্লেখ করে দেন জাপানের তৈরি জেমিনি বোট কিনতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে ৫০টি জেমিনি বোট কেনার জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করেছি। প্রক্রিয়া চলমান আছে। খুব শিগগিরই এ বোটগুলো আসলে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়বে।’

          ‘আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি ভলান্টিয়ারদের সক্ষমতা বাড়াতে যন্ত্রপাতি কিনতে প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমরা ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি, এ টাকা দিয়ে ১১টি লেডার কেনার কার্যাদেশ আমরা দিয়েছি। সিপিপি’র জন্য ৩০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনার কার্যাদেশ আমরা দিয়েছি।’

          অনুষ্ঠানে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮৩ জন শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবককে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কার প্রাপ্ত প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি মেডেল ও সনদ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দু’জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

          এছাড়া অনুষ্ঠানে ৫০টি মুজিব কেল্লা, ৮০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২৩টি জেলা ত্রাণ গুদাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

#

সেলিম/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/শামীম/২০২২/২০২৫ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪১২৪ 

 

দেশে আটকে পড়া বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশি

শ্রমিকদের ফেরত নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

 

 

ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :  

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ কাজাখস্তানের আস্তানায় ষষ্ঠ সিআইসিএ (CICA) শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ব রেখায় বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ বিন রাশিদ আল-যায়ানির সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তারা দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে আলোচনা করেন। 

 

বৈঠকে ড. মোমেন কোভিড-১৯ অতিমারির পূর্বে ছুটিতে এসে আটকে পড়া বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেরত নেয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং ফেরত যেতে আগ্রহী অবশিষ্ট প্রবাসীরাও যাতে একইভাবে ফিরে যেতে পারে সে বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। এছাড়া আটকে পড়া প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের ফিরে যাবার ব্যাপারেও তিনি বাহরাইনের মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন এবং বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজীকরণের জন্যও তিনি অনুরোধ জানান। বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং কোভিড-১৯ এর কারণে ভিসা সংক্রান্ত যে বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে তা পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা চলছে মর্মে অবহিত করেন।

 

বৈঠক শেষে বাহরাইনে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন ১৮তম মানামা সংলাপে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ড. মোমেন বাহরাইনের মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং বৈঠকে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

 

 

মোহসিন/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ৪১২৩

 

কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নতুন কার্যালয়ের

 উদ্বোধন করলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) : 

 

        ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চিঠিপত্রের যুগ শেষ হয়ে গেলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে ডাক সেবা বিকাশের অফুরন্ত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রচলিত বিপণন ব্যবস্থায় বিক্রেতাদের জায়গায় ডিজিটাল কমার্সের প্রসার লাভ করায় গ্রাহক মোবাইলের বাটন টিপে তার নিত্য ব্যবহারের পণ্য ঘরে বসে পেতে চায়। এর ফলে ডাক ব্যবস্থার বিকাশের সুযোগ আরো বেড়েছে। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব‌্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথনকশা আমরা তৈরি করছি। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এরই মাঝে কিছু সেবা আমরা ডিজিটালাইজও করেছি।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও’তে মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জিপিও’র প্রশাসনিক কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নতুন এই কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ফয়জুল আজিম বক্তৃতা করেন। মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মহিউদ্দিন মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।

 

 মন্ত্রী কুরিয়ার সার্ভিসসমূহের প্রশাসনিক সিস্টেমসহ মনিটরিং কার্যক্রম পুরোপুরি ডিজিটাইজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এর ফলে নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে জবাবদিহিতার পাশাপাশি মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিসসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে, দেশ-জাতি উপকৃত হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব‌্যবস্থা ইতোমধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। চালু করেছি পস মেশিন। একই সাথে রেলে চিলিং বগি ও ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান চালু করার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাণিজ্যের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ‌্যে সেটা পেরেছি। মন্ত্রী মেইলিং ও কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালীকরণে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

 

#

 

শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২২/২১১২ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪১২২

 

ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলায় ডিজিটাল যন্ত্র

ব্যবহারকারীদেরও প্রস্তুতি থাকতে হবে

---টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :  

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশ যত বেশি ডিজিটাল হবে, ডিজিটাল অপরাধ তত বেশি বাড়বে। ডিজিটাল অপরাধ ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে মোকাবিলা করার পাশাপাশি ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারকারীদেরও ডিজিটাল অপরাধ মোকবিলার প্রস্তুতি থাকতে হবে। মন্ত্রী ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলায় প্যারেন্টাল গাইডেন্স অনুসরণ ও প্রয়োগের পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলা এবং প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়টি পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি ও সাইবার ক্রাইম ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাইবার সুরক্ষা কী, কেন এবং কীভাবে’ শীর্ষক দিনব্যাপী যুব কর্মশালা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ। আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, ডিজিটাল সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের (ডিএসএ) পরিচালক তারেক বরকতুল্লাহ, পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

 

মন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধানে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কৌশল ও কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, আমরা ২৬ হাজার পর্নো সাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিনই এমন সাইট বন্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশ এক সময় পর্নো ব্যবহারকারীর তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে ছিলো। সে অবস্থা এখন পাল্টেছে, শত দেশের তালিকাতেও এখন বাংলাদেশের নাম নেই। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষতিকর লিংক অপসারণে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সংযোজনের প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাত্ত প্রত্যাহারে আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হচ্ছে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রত্যেক থানায় ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট থাকা উচিত। ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে যে সব অপরাধ নিয়ে চিন্তা করতে হয় ২০ বছর আগে সেগুলোর অস্তিত্ব ছিল না। এখন এই অপরাধের পরিধি যুদ্ধ-বিগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এক দেশ অস্ত্র দিয়ে যেমন হামলা করে তেমনি করে ডিজিটাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করে। অনুষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।

 

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৯৪৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৪১২১

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্ভাবনী শিক্ষা ব্যবস্থায়

কোডিং ও আইসিটির গুরুত্ব বিষয়ক মতবিনিময় সভা

ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর):

          ‘তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর, জ্ঞানভিত্তিক, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্ভাবনী শিক্ষা ব্যবস্থায় কোডিং ও আইসিটির গুরুত্ব’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা আজ আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

          সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, আইসিটি বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ, উদ্যোক্তাবৃন্দ, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এর প্রতিনিধি ।

          সভায় তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর, জ্ঞানভিত্তিক, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্ভাবনী শিক্ষা ব্যবস্থায় কোডিং ও আইসিটির গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এসময় তাদের মতামত তুলে ধরেন।

          সভায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্ভাবনী শিক্ষা ব্যবস্থায় কোডিং ও আইসিটির গুরুত্ব তুলে ধরে একটি পাইলট প্রকল্প তৈরির লক্ষ্যে কনসেপ্ট পেপার প্রস্তুত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

 

শহিদুল/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :৪১২০

 

২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ধানের উৎপাদন ৩২ লাখ টন

ও তৈল ফসলের উৎপাদন ২৪ লাখ টন বাড়ানো সম্ভব

 

ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) : 

 

       বোরো মৌসুমের ব্রি-২৮, ব্রি-২৯সহ আমন ও আউশ চাষের প্রচলিত জাতগুলোর প্রতিস্থাপন করে উচ্চফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের চাষ বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ধানের উৎপাদন প্রায় ৩২ লাখ টন বাড়ানো সম্ভব। এছাড়া, প্রচলিত শস্যবিন্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে পতিত জমিতে তৈল ফসলের চাষ করে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে তৈল ফসলের উৎপাদন ২৪ লাখ টন বাড়ানো সম্ভব, যা বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি।

 

আজ রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি অডিটোরিয়ামে ‘বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি উৎপাদনে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, কিন্তু এখনো ডাল আমদানি করতে হয়, তেলজাতীয় ফসল আমদানি করতে হয়। আমরা ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় করছি, এটি সাধারণ মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে। আমাদের চাহিদার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হচ্ছে। মাত্র ১০ শতাংশ দেশে আবাদ হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা দেশেই ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোজ্যতেল উৎপাদন করতে চাই। আমাদের বিজ্ঞানীরা যে নতুন প্রযুক্তি এনেছেন, এসব ব্যবহার করতে পারলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন  করতে পারব। 

ড. আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, অল্প জমিতে সব আবাদ করতে গিয়ে ধানের জমি কমে যাচ্ছে। সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশে অল্প জমিতে সবকিছু আবাদ সরকারের জন্য, আমাদের জন্য জাতি হিসেবে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর কোনো দেশে এই চ্যালেঞ্জ নেই। আমাদের দেশে প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারে এক হাজার ২০০ মানুষ, যেখানে রাশিয়ায় কিলোমিটারে দুইজন, অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ও কানাডায় তিনজন।

মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে চালের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বেড়েছে। গমের দাম বাড়লে চালের ওপর চাপ বাড়ে। প্রতি বছর নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে ২০ লাখ। ১৫ লাখ রোহিঙ্গাকেও আমাদের খাওয়াতে হচ্ছে। সবমিলে অর্থনীতিতে একটা বিরাট চাপ। আমাদের নিম্নআয়ের মানুষ তাদের খাবার নিয়ে অনেক কষ্টে আছে । তবে এই মুহূর্তে খাদ্য নিয়ে কোনো সংকট নেই, হাহাকার নেই। একসময় দেশে এই সময়ে মঙ্গা হতো, আমরা গত ১৩ বছরে একটি মানুষ না খেয়ে আছে এমন খবর শুনিনি। মঙ্গাকে আমরা চিরতরে দূর করেছি।

কর্মশালায় কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রি’র মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর।

#

কামরুল/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২২/ ১৬৪১ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪১১৯

জনগণই বলছে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ

                              ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী 

ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর):

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, গাইবান্ধার উপনির্বাচনে মাঠে কর্মরত নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা লিখিত দিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, কোনো গণ্ডগোল হয়নি, আর পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নির্বাচন কমিশন পুরো উপনির্বাচন বাতিল করেছে, যে কারণে জনগণই বলছে কমিশনের এ সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ। 

          আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। একইসাথে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটিও প্রমাণিত হয়েছে যে, নির্বাচন সবসময় নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হয়, তাদের সিদ্ধান্তই সবার ওপরে, সরকারের সেখানে ভূমিকা নেই। ফলে বিএনপিসহ কেউ কেউ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার নানা ধরনের সরকারের ফর্মুলা দেয় সেটিরও কোনো যৌক্তিকতা নেই। 

          ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বা মন্ত্রী হিসেবে নয়, সেখানকার ভোটার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন টক শোতে আমি যেটা দেখেছি-শুনেছি, তা থেকে আমাদের মনে হচ্ছে, সাধারণ জনগণ তাদের এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে, কারণ নির্বাচনি এলাকার কোথাও কোনো ধরনের গণ্ডগোল হয়নি। এছাড়া কোনো পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ ছিল না। আর নির্বাচন কমিশন পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।’

          ড. হাছান মাহ্‌মুদ এ সময় প্রিজাইডিং অফিসারদের লিখিত রিপোর্টের কপি উপস্থাপন করে বলেন, ‘যেখানে নির্বাচন কমিশন এই কথাগুলো বলছে, সেখানে আমার কাছে ৯৮টা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের লিখিত রিপোর্ট আছে যে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, কোনো ধরনের কোনো গণ্ডগোল হয়নি এবং রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ভোট বন্ধ করেছে।’

          যুক্তি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘হু ইজ অন দ্যা গ্রাউন্ড, প্রিজাইডিং অফিসার ইজ অন দ্যা গ্রাউন্ড এবং তারা লিখিত দিয়েছেন, ভোট সুষ্ঠু, অবাধ, স্বচ্ছ হচ্ছে। আর এখানে ৫শ’ কিলোমিটার দূরে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ভোট যখন বন্ধ করা হলো, মানুষ এতে শুধু হতবাক হয়নি, মানুষ বলছে, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত প্রচণ্ড প্রশ্নবোধক একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা আমি বলছি না, আমার দলও বলছে না। সেখানে আমাদের প্রার্থী এবং প্রার্থীর সমর্থকরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।’

          ঢাকা থেকে পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরের ক্যামেরার রেজুলেশন কেমন ছিল, ইন্টারনেট সংযোগ কেমন ছিল, সেটি একটা বড় প্রশ্নের ব্যাপার উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি একটি দুর্গম এলাকা। সেখান থেকে সিসি ক্যামেরা কতটুকু স্বচ্ছ বা কারেক্ট ফুটেজ দিচ্ছিল সেটা একটা বড় প্রশ্ন। বোদ্ধাজনেরা বলছেন, সেখানে একজন বৃদ্ধ লোককে আরেকজন হাঁটতে সাহায্য করছে, পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য কেউ চা এনেছে, পানি এনেছে, কেউ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেছে, আবার ঢুকেছে। নির্বাচন কমিশন যে বলছে সেখানে কোনো কোনো কেন্দ্রে তারা ভোটারের বাইরে লোক দেখতে পেয়েছেন, ইন্টারনেট রেজুলেশন যেখানে আপডাউন করে, সেখানে ৫শ’ কিলোমিটার দূরে বসে ঠিকভাবে মানুষ চিহ্নিত করা সম্ভব কি না, প্রশ্ন রেখেছেন বোদ্ধাজনেরা।’ 

 

 

-২-

 

          ৫৩ কেন্দ্রের বিষয়ে অভিযোগে পুরো নির্বাচন বাতিল হওয়া যৌক্তিক কী না এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলেছে ৫৩টি কেন্দ্রে তারা এ ধরনের ঘটনা দেখেছে। ৫৩টি কেন্দ্র মানে ১৪৫টি কেন্দ্রের এক তৃতীয়াংশ । আমাদের প্রার্থীও প্রশ্ন রেখেছেন, সেই ৫৩টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত বা বাতিল হতে পারতো, বাকি কেন্দ্রের ভোট কেন বাতিল হলো। কমিশনের মতে অন্য কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, নির্বাচন কমিশনেরও কোনো আপত্তি নেই। তাহলে অন্য কেন্দ্রের ভোট কেন স্থগিত হলো, মানুষের কাছে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।’ 

          বুধবার চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘এই সমাবেশ করার আগে বিএনপি হাঁকডাক দিয়েছিল যে, লাখ লাখ মানুষ হবে এবং চট্টগ্রাম শহরে জনজোয়ার তৈরি হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডের এক তৃতীয়াংশও পূর্ণ হয়নি। আমাদের ছেলেবেলায় পলোগ্রাউন্ডে মাঝে মধ্যে ভ্যারাইটি শো হতো। ভ্যারাইটির শো’র সময় যতো লোক হতো, গতকাল তাদের সমাবেশে তার চেয়ে একটু বেশি হয়েছে।’ 

          মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ যে তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি সেটির প্রমাণ হচ্ছে সেখানে এমনকি তাদের কর্মীরাও আসেনি। গতকাল তাদের সমাবেশে কেউ বাধা সৃষ্টি করেনি। নির্বিঘ্নে তারা নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রামগড়, কক্সবাজার একশ’-দেড়শ’ কিলোমিটার দূর থেকে সবাই এসেছে। এরপরও পলোগ্রাউন্ড মাঠের এক তৃতীয়াংশও পূর্ণ হয়নি।’

#

আকরাম/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৮০০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪১১৮

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য

বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর):

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ কাজাখস্তানের আস্তানায় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সিকা শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি পূরণের নীতির আলোকে জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের ওপর গুরত্ব আরোপ করেছেন। আগামী মাসে মিশরের শার্ম-আল-শেখ-এ অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের পূর্বে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে তিনি এই আহ্বান জানান। 

          রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটছে, জ্বালানি ঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে বলে ড. মোমেন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি এসময় সব পক্ষকে সংযত থাকার এবং বিরোধের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান। শান্তির সংস্কৃতি সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি নিরস্ত্রীকরণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পুনরায় তুলে ধরেন।

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ ও উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার ‘whole-of-government’ এবং ‘whole-of-society’ ধারনার ভিত্তিতে অংশগ্রহনমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে মর্মে ড. মোমেন সিকা নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। 

          রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে সিকা নেতাদের সমর্থন কামনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আরো বলেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের দ্রুততম সময়ে ম

2022-10-13-16-38-a4f3d4bcb2ad4cec864337a9b3b45224.docx