তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৪১
ডিইউজে দ্বিবার্ষিক সভায় তথ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সরকার চায় জীবন্ত-সক্রিয় গণমাধ্যম
ঢাকা, ১৫ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার পোষা কিংবা হলুদ সাংবাদিকতা চায় না, সমালোচনাকে ভয় পায় না। সরকার চায় জীবন্ত, সক্রিয় ও গতিশীল গণমাধ্যম।’
আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও ওমর ফারুক বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় যোগ দেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য চারটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে আইন অনুযায়ী স্বাধীন সাংবাদিকতা, চাকুরীর নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অপরিহার্য।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘এ চারটি বিষয় নিশ্চিত করার জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার আমলে সে আইন বাতিল করে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে মজুর হিসেবে গণ্য করা হয়। শেখ হাসিনার সরকার ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে আইনটিকে হালনাগাদ করার কাজে হাত দিয়েছে।’
‘অটিস্টিক শিশুরা কেমন হয়’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
এর আগে সকালে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট সেমিনার হলে কিশোর লেখিকা নানজিবা খান রচিত ‘অটিস্টিক শিশুরা কেমন হয়’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
কিশোর লেখিকা নানজিবা খানের দু’বছরের গবেষণাপ্রসূত ৯৬ পৃষ্ঠার এ বইটি প্রকাশ করেছে অন্বেষা প্রকাশন।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৪০
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ-দুর্নীতি-বৈষম্য নির্মূল করবে ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী
ঢাকা, ১৫ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদের বিপদ আর দুর্নীতি ও বৈষম্যের আপদ থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে ছাত্র-শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের একসাথে কাজ কাজ করতে হবে।’
আজ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে সবুজ চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) এর দু’দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
‘ছাত্রলীগ ইতিহাস গড়েছিল, আবার ইতিহাস গড়বে, সমাজতন্ত্রের লাল পথ গড়বে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজতন্ত্রের পতাকা হাতে বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করে বৈষম্য ও দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করবে ছাত্রলীগ।’
শিক্ষাঙ্গনকে দেশের আলোকবর্তিকা বলে বর্ণনা করে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, ‘রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতিসহ যে কোনো ক্ষেত্রে দেশ যখন হোঁচট খায়, শিক্ষাঙ্গনের আলো তখন পথ দেখায়। তাই শিক্ষাঙ্গনকে দলবাজি-ক্ষমতাবাজি-দালালি থেকে মুক্ত রাখতে হবে।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে যে সামরিক-সাম্প্রদায়িক-স্বৈর অপশক্তি বাংলাদেশকে দখল করে নিয়েছিল, তারাই এখন দেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের পথে ঠেলে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত। এদের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, জঙ্গি দমনের যুদ্ধে সামনে থাকতে হবে।’
ছাত্রলীগ সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমনের সভাপতিত্বে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, দলের কার্যনির্বাহী পরিষদ সভাপতি এডভোকেট রবিউল আলম ও সহ-সভাপতি ড. আনোয়ার হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় যোগ দেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৩৯
শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক সমাজের বড় ভূমিকা রয়েছে
-- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, আমাদের সময়ে শিক্ষকগণ দরিদ্র ছিলেন বটে; কিন্তু তাঁরা সন্তানের মতো ভালোবাসা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিলিয়ে দিয়েছেন যেটা বর্তমান যুগের শিক্ষকদের মাঝে অনেকটাই অনুপস্থিত। শিক্ষার্থীরা যতটা সময় পরিবারের সাথে কাটায়, তার চেয়ে বেশি সময় কাটায় শিক্ষকদের সাথে। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক সমাজের বড় ভূমিকা রয়েছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন স্ফূরণ আয়োজিত “১৪তম শিশু-কিশোর চিত্রাংঙ্কন প্রতিযোগিতা ২০১৮’’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্ফূরণ এর সভাপতি রুহুল লোহানী আকাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক বরেণ্য শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার এবং কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্ফূরণ এর প্রধান উপদেষ্টা মোবাশ্বের হোসেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এখন শিশুদের যন্ত্র তথা রোবটের মতো করে বড় করা হচ্ছে যা মোটেও কাম্য নয়। আমরা চাই, শিশুরা সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করুক। সুন্দর মনের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। তাঁদের বাইরে বেড়ানোর সুযোগ করে দিতে হবে; বাইরের পৃথিবীর সাথে পরিচিত করে দিতে হবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন একটি সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে শুধু সরকার একা নয়, দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ঢাকা শহরের ৪০টি স্কুলের প্রায় ৭০০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
#
ফয়সল/মাহমুদ/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৩৮
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ মেট্রিক টন
ঢাকা, ১৫ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক জাতীয় মাছ ইলিশ অনাদিকাল থেকেই আমাদের জাতীয় অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও আমিষ জাতীয় খাদ্য সরবরাহে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৪ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। জিডিপিতে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১ শতাংশ।
বিগত কয়েক দশকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট পরিবেশের যেমন নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস, পরিবেশ বিপর্যয়, নির্বিচারে জাটকা নিধন ও অধিকমাত্রায় ডিমওয়ালা ইলিশ আহরণ ইত্যাদির কারণে ইলিশের উৎপাদন দ্রুত হ্রাস পাচ্ছিল। কিন্তু সরকারের জাটকা এবং প্রজননক্ষম ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা এবং নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন প্রচেষ্টার ফলে ২০১৬-১৭ সালে যেমন ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে, তেমনই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে মৎস্য উৎপাদনেও বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
দেশে ইলিশের প্রধান চারটি প্রজননক্ষেত্র যেমন ঢলচর, মনপুরা, মৌলভীরচর ও কালিরচর দ্বীপে সমন্বিতভাবে প্রায় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রতি বৎসর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে আশ্বিন মাসের বড়পূর্ণিমার সময়, বড়পূর্ণিমার ৪দিন আগে ও এর ১৭দিন পরে মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। প্রতি বৎসর নভেম্বর হতে জুনমাস পর্যন্ত জাটকা ধরার মৌসুম হলেও মার্চ ও এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণে অর্থাৎ শতকরা ৬০-৭০ ভাগ জাটকা ধরা পড়ে। তাই নভেম্বর হতে জুন মাস পর্যন্ত অভয়াশ্রম ঘোষণার প্রয়োজন হলেও জেলেদের আর্থসামাজিক অবস্থা, বিকল্প কর্মসংস্থান ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে ঘোষিত ৫টি অভয়াশ্রমে উল্লিখিত সময়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রজনন মৌসুমে ২০১৭ সালে ২২দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকায় প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ ইলিশ আহরণ হতে রক্ষা পেয়েছে। আহরণমুক্ত ইলিশ হতে প্রায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ কেজি ডিম প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদিত ডিমের পরিস্ফুটনের হার শতকরা ৫০ ভাগ হিসেবে প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৭ কেজি রেণু উৎপাদিত হয়েছে। উক্ত রেণুর বাঁচার হার ১০ শতাংশ হিসেবে প্রায় ৪২ হাজার ২৭৪ কোটি পোনা বা জাটকা চলতি বৎসর ইলিশ জনতায় নতুনভাবে সংযুক্ত হবে বলে ধারণা করা যায়।
#
শাহআলম/মাহমুদ/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৩৭
অভিবাসন ব্যয় কমানো ও অভিবাসন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার অধীনে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিদেশে কর্মী প্রেরণে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অটোমেশন করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের ডেটাবেইজ তৈরি, বর্হিগমন ছাড়পত্র প্রদান, স্মার্ট কার্ড প্রদানসহ ফিঙ্গারপ্রিন্ট কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। এছাড়া সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদানসহ স্মার্ট কার্ড প্রদান কার্যক্রমকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি আজ ঢাকার একটি হোটেলে ঙাবৎংবধং ঊসঢ়ষড়ুসবহঃ ঝবৎারপব চৎড়ারফবৎং-অষষরধহপব ড়ভ অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হং (ঙঊঝচঅঅঅ) এর দুই দিনব্যাপী পঞ্চম আঞ্চলিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অভিবাসন খাতের নেতৃত্বকারী হিসেবে ঙঊঝচঅঅঅ কে বিদেশে কর্মী প্রেরণে নৈতিক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরো জোরালোভাবে দেখাতে হবে।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইওএম বাংলাদেশ এর ডেপুটি চিফ অভ্ মিশন আব্দুসাত্তার ইসোভ (অনফঁংধঃঃড়ৎ ঊংড়বা)। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঙঊঝচঅঅঅ এর চেয়ার ও বায়রা সভাপতি বেনজির আহমেদ এবং উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষে মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট সাউথ এন্ড সাউথইস্ট, এম্বাসি অভ্ সুউজারল্যান্ড টু বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অফিসার অহরহফুধ উঁঃঃধ।
সম্মেলনে এশিয়ার বিদেশে কর্মী প্রেরণকারী ১২টি দেশের সংগঠন ঙঊঝচঅঅঅ এর ২৪ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেন। আইওএম বাংলাদেশ এ সম্মেলনের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে। সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন আফগানিস্থান, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। উল্লেখ্য, ঙঊঝচঅঅঅ এর বর্তমান চেয়ার বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অভ্ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)। ২০০৮ সাল থেকে ঙঊঝচঅঅঅ এর কার্যক্রম চালু হয়।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৩৬
জাতীয় সংসদের নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৫১তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তমের সভাপতিত্বে সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, মোঃ আব্দুল হাই, এম আব্দুল লতিফ, মোঃ আনোয়ারুল আজীম এবং মমতাজ বেগম এড্ভোকেট বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে জেটির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এবং চট্টগ্রাম বন্দরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কারের জন্য কমিটি সুপারিশ করে। বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেনাপোল স্থলবন্দরকে অটোমেশনের আওতায় আনার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অটোমেশন কার্যক্রমের পাইলটিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন চালু হবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় সিলেট জেলার নবঘোষিত শেওলা স্থলবন্দর এবং খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়নের জন্য বিশ^ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ের উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে যা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া, কমিটি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনকে যে কোনো পরিস্থিতিতে সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় অয়েল ট্যাংকার সংরক্ষণের সুপারিশ করে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।