তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৬০
ইসলামাবাদে বাংলাদেশের মহান স্বধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন
ইসলামাবাদ, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):
ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণ বর্ণাঢ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়।
সকালে দূতালয় প্রাঙ্গণে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী। এসময় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর হাইকমিশনার সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য, গুরুত্ব ও বাঙ্গালী জাতির স্বাধীকার আন্দোলনে জাতির পিতার অবদান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ এবং সম্ভ্রমহারা ২ লক্ষ মা-বোনসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। হাইকশিনার বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ধানমন্ডির বাস ভবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই বাঙ্গালিরা পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, শুরু করেছিল সশস্ত্র সংগ্রাম। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার এ সংগ্রামে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তার অপরিসীম সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে বাঙালিদের সংগ্রামী হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছিলেন।
সবশেষে হাইকমিশনার সকল ভেদাভেদ ভুলে জাতির পিতার অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানের লক্ষ্যে যার যার অবস্থানে থেকে একযোাগে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস¦াস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
#
খাদীজা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৫৯
স্বাধীনতা বিরোধীদের কথায় এ দেশ আর চলবে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হবে
---নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিরল (দিনাজপুর), ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বর্তমান সরকার তৈরি করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি মসৃণ পথ তৈরি করব। এদেশ চলবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তিতে। স্বাধীনতাবিরোধীদের কথায় এ দেশ আর চলবে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ হবে, রাজাকারদের নয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অমরত্ব বরণ করেছেন। আপনাদের প্রস্থান হতে পারে; শারীরিক মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু আপনাদের কর্মের মৃত্যু হবে না। আপনারা যে ইতিহাস তৈরি করেছেন-সে ইতিহাস তৈরি করার ক্ষমতা আর কারো নাই।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কারণে মির্জা ফখরুলদের মতো পরিবারেরা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে মির্জা ফখরুলদের জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কারণে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদর আলশামসরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিত। জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিসিয়ারি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে বলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজকে বেনিফিসিয়ারি। তাদের সম্মান ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের বাড়ি হচ্ছে, ভাতা হচ্ছে, চিকিৎসা হচ্ছে, সম্মান পাচ্ছে-মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্র্তমন আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ দিবসের প্রথম প্রহরে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
পরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (সেতাবগঞ্জ বড় মাঠ) মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির শুরুতেই আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন।
#
জাহাঙ্গীর/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৫৮
সরকার আগামীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা আরো বৃদ্ধি করবে
--শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, সরকার দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছে, উন্নতমানের বাড়ি-ঘর তৈরি করে দিচ্ছে, চিকিৎসাসহ তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নে সকল সুবিধা প্রদান করেছে। বর্তমান সরকার আগামীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা আরো বৃদ্ধি করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। জাতির পিতার ডাকে এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে পাক হানাদারদের পরাজিত করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্মের কেউ যাতে বিপথে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্মসহ আমাদের সকলকে একসাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইডি মোঃ ইকবাল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সাবেক মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আলমগীর কবীর ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার মাহাবুবার রহমান বক্তৃতা করেন।
#
আকতারুল/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৫৭
বিজিবি’র সকল ইউনিটে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত
ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদ্যাপন করেছে।
দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবি’র সকল ইউনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, বিজিবি সদর দপ্তরে কর্মরত সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের উপস্থিতিতে পিলখানাস্থ ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিজিবি’র একটি সুসজ্জিত চৌকস দল ‘গার্ড অভ্ অনার’ প্রদান করে। উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক অংশগ্রহণ করেন।
পিলখানাস্থ কেন্দ্রীয় মসজিদে বিজিবি মহাপরিচালকসহ বিজিবি’র সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৭৫’র ১৫ই আগস্ট শাহাদতবরণকারী তাঁর পরিবারের সকল সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর শহিদ এবং বিজিবি'র ২ জন বীরশ্রেষ্ঠসহ আত্মোৎসর্গকারী ৮১৭ জন বীর শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আজ বাঙালি জাতির জন্য একটা গর্বের দিন। আজকের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিজিবি'র মতো ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনীর জন্যও দিনটি অত্যন্ত গর্বের। সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা তৎকালীন ইপিআরের ওয়ারলেসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এই মহান বাণী আপামর জনসাধারণকে জাগ্রত করেছিল। যার ফলে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা।
বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী চলমান সংকট সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য অগ্রযাত্রায় সামনের দিকে এগিয়ে চলছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, 'সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী' বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সবসময়ই অগ্রভাগে থেকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিজিবি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে-এটাই হোক আজকের দিনের শপথ।
#
শরীফুল/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৫৬
কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন
কায়রো, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):
কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস দুই দিনব্যাপী কয়েক পর্বে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করেছে। ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে দিবসের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা। রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসীদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। অতঃপর দিবসটির তাৎপর্যের ওপর আলোচনা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে পবিত্র রমজান মাস আগমনের প্রাক্কালে ২০ মার্চ ২০২৩ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় স্থানীয় ৫-তারকা হলিডে ইন হোটেল-এ । বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশিগণ ছাড়াও মিসরের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিকবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বগণ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগহণ করেন। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রী ছিলেন প্রধান অতিধি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ এসাম শরাফ এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমর মুসা ছিলেন গেস্ট অভ্ অনার। মিসর সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য প্রদান করেন ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। দু'দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রদূত তার স্বাগত বক্তব্যে ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় জাতির পিতার আদর্শের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান ।
বাংলাদেশ ও মিসরের ঐতিহাসিক এবং বর্তমান সুসম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে তিনি জানান, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতিতে উন্নীত করতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করেন। এ বৎসর মিসর-বাংলাদেশ কূটনৈতিক-সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করেন। সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং মিসর-বাংলাদেশ সম্পর্ককে নূতন পর্যায়ে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অতঃপর রাষ্ট্রদূত সম্মানিত অতিথিবর্গ, মন্ত্রীবর্গ এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে নিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-এর কেক কাটেন ।
অনুষ্ঠান শেষে সকল অতিথিদের সান্ধ্য খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।
#
মনিরুল/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৫৫
ইস্তাম্বুলে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
ইস্তাম্বুল, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):
ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আজ যথাযথ মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩’ উদযাপন করেছে। কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ নূরে-আলম কর্তৃক কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর, কনসাল জেনারেলের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। কনস্যুলেটের ‘কনফারেন্স হল’-এ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয় এবং মহান স্বাধীনতা দিবসের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মোৎসর্গ ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি আমাদের মহান স্বাধীনতা। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বাধীনতার এই ৫২ বছরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রায় সকল সূচকে বাংলাদেশ আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করেছে, কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন। তিনি বলেন বাংলাদেশের সফলতার গল্প আজ বিশ্বব্যাপী প্রচারিত ও প্রশংসিত। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে, যা অনেক দেশের কাছে উন্নয়নের রোল-মডেল ও প্রেরণার উৎস। সরকারের সময়োপযোগী নীতি-পরিকল্পনা ও জনবান্ধব উদ্যোগ এবং জনগণের প্রচেষ্টা, দক্ষতা, সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী শক্তির কারণে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে, তিনি মন্তব্য করেন। কনসাল জেনারেল ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য উপস্থিত সকলকে আহ্বান জানান।
জাতির পিতা ও সকল শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা এবং শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
#
মাসুদ/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৫৪
বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে চেনে বঙ্গবন্ধুর নামে
-- পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে চেনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন সত্তা। তাই বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য এদেশের কান্ট্রি ব্র্যান্ড নেইম নির্বাচন করা হয়েছে “মুজিব’স বাংলাদেশ”।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আজ এক স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছেন। তিনি শুধু নেতৃত্বই দেননি, একই সাথে যুদ্ধের ময়দানে নেতৃত্ব দেয়ার জন্যও জাতিকে প্রস্তুত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছেন স্বাধীন দেশ আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বনির্ভর বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নির্ধারিত সময়ের আগেই উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবো।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, কোনো কোনো মানুষ একটা জাতির প্রতীক হয়ে ওঠেন এবং তার পরিচয়েই দেশ পরিচিতি পায়। বঙ্গবন্ধু এমনই একজন। দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতির প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিমানের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, কথাসাহিত্যিক ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম গোলাম কিবরিয়া, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সন্তোষ কুমার দেব প্রমুখ।
#
তানভীর/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৬২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৫৩
বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে
-- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় থাকলেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।
আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বন অধিদপ্তরে আয়োজিত 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার কথা বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর কথা আসবেই। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। অনেক চড়াই-উৎরাই, অনেক রক্ত, অনেক বার কারাবরণ করে তিনি দেশকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহসে যুদ্ধ করার কারণে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয়েছে। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন।
বনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে দেশ গঠনে দৃঢ়তার সাথে কাজ করতে হবে। বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার শপথ নিয়ে কাজ করতে হবে। ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের সকলের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারলেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়িত হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ প্রফেশনালস এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
আলোচনা সভার পূর্বে পরিবেশমন্ত্রীসহ অতিথিবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর বীর শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
#
দীপংকর/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৫২
যারা পাকিস্তানের প্রেমে মগ্ন, তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, যারা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে না, এখনও যারা পাকিস্তানের প্রেমে মগ্ন, তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। এদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এবং লাখ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, কোনো অজ্ঞাতনামা মেজরের ডাকে এদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়নি। এ কথাটা নতুন প্রজন্মকে সবসময় মনে রাখতে হবে। যারা ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করে না, তারাই বলে স্বাধীনতার বাইচ্যান্স এসেছে। এরাই বাংলাদেশের সংবিধানকে অস্বীকার করে।
অভিভাবক ও শিশুদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, আপনারা সন্তানদের বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস জানাবেন। এটা আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই শিশুরাই দেশপ্রেম, স্বাধীনতার মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন শিশুরা যদি শিক্ষা, সংস্কৃতি চর্চা এবং খেলাধুলায় যথাযথ সুযোগ পায়, তাহলে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ ও মানুষকে ভালোবেসে নিজেদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে জানিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরাই স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, জয়িতা ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ