Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ জুন ২০২০

তথ্যবিবরণী ৬ জুন ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ২০৫৭

কবি আহমদ খালেদ কায়সারের মৃত্যুতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :

            প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের বড় ভাই বিশিষ্ট কবি আহমদ খালেদ কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

            আজ পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

            উল্লেখ্য, কায়কোবাদ আহমদের পুত্র ও আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ এর দৌহিত্র আহমদ খালেদ কায়সার (৬৬) আজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

#

তুহিন/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর :  ২০৫৬

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে

আলোচনা সভা এবং অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) : 

            আগামীকাল ৭ই জুন ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে একটি অনলাইন আলোচনা সভা এবং তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন বিষয়ে আজ অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

            অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

            সংবাদ সম্মেলনে প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিকদের জানান, ৬ দফা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।  অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

            অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অ্যাসোসিয়েশন অভ্‌ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)’র সহযোগিতায় ধারণকৃত আলোচনা অনুষ্ঠানটি ৭ই জুন সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে সুবিধাজনক সময়ে প্রচারিত হবে।

            প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন ও এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন বিষয়ে সকলকে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আগামীকাল ৭ই জুন রাত ৯টা হতে রাত ১০টা এই এক ঘণ্টাব্যাপী ‘শতবর্ষে শত পুরস্কার’ শিরোনামে একটি অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ঘরে বসে সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ ধরণের কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন বাংলাদেশে এই প্রথম, যা মুজিববর্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশের সক্ষমতার একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

            কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদেরকে quiz.mujib100.gov.bd ওয়েব লিংকের মাধ্যমে ৭ই জুন বিকেল ৩টার ভেতর অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে নিবন্ধনকারী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ছয় মিনিটের ভেতর যত বেশি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন, তার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার বিজয়ী নির্ধারণ করবে। যত দ্রুত সম্ভব ফলাফল ঘোষণা করে কুইজ প্রতিযোগিতায় ১০০ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। ১ম পুরস্কার ৩ লাখ টাকা, ২য় পুরস্কার ২ লাখ টাকা, ৩য় পুরস্কার ১ লাখ টাকা, ৪র্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, ৫ম পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা এবং বিশেষ পুরস্কার ৯৫টি প্রতিটি ৫ হাজার টাকা। একই সাথে প্রতিযোগীদের ই-মেইলে সনদপত্র পাঠানো হবে।

            অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠান দেখার জন্য এবং অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ হতে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

            সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, অ্যাটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু এবং অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রিয় ডট কম-এর সিইও প্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।   

#

 

নাসরীন/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/২০০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ২০৫৫

সিলেট আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জু মিয়ার মৃত্যুতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :

          সিলেট আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা মঞ্জু মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

          মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, মঞ্জু মিয়া সিলেট আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ ও নিঃস্বার্থ কর্মী ছিলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, তিনি আজীবন গণমানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। তার মৃত্যু সিলেটবাসী ও আওয়ামী লীগের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

          মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

রাশেদুজ্জামান/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর :  ২০৫৪

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :  

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১ হাজার ৪ শত ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১১৬ কোটি ৬৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে । ‌

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ২ হাজার ৬৩৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জন-সহ এ পর্যন্ত ৮৪৬ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

          এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৫ লাখ ৯ হাজার ১৪২টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ২২ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৫টি এবং মজুত আছে ২ লাখ ৯২ হাজার ৬৬৭টি।

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

#

তাসমীন/ফারহানা/সঞ্জীব/ জয়নুল/২০২০/১৮৪০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২০৫৩

 রোগী ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী, চিকিৎসাদানকারীদের অভিনন্দন

                                                                       -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :

          করোনার এ সময়ে সুযোগসুবিধা থাকা সত্তে¦ও হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী আচরণ উল্লেখ করে একইসাথে এ সময়ে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

          আজ রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ইউনিট উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।

          ড. হাছান মাহ্মুদ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ৫০ বেডের কোভিড ইউনিট স্থাপনের জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজ মা ও শিশু হাসপাতাল যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা অন্যদের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছে। কারণ আজকের পত্রিকায়ও আমরা দেখছি, হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে স্ত্রীর সামনে অসহায়ভাবে স্বামীর মৃত্যু ঘটেছে। এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত অনাকাক্সিক্ষত।

          কোনো হাসপাতাল থেকে রোগীকে এভাবে ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী কাজ এবং যে সমস্ত হাসপাতাল এটি করছে, তারা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কাছ থেকে শিক্ষা নেবে আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী। সেইসাথে তিনি জানান, সরকার এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়মতো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

          ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে তাদের এ সময় কাজে আসতে না চাওয়াটা কোনোভাবে সমীচীন নয়, বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা মানুষকে চিকিৎসা ও সেবাদানের জন্যই লেখাপড়া করেছেন, তাদের হাত গুটিয়ে নেয়া যুদ্ধের ময়দান থেকে সৈন্য পলায়নের মতো। এ সময় পুলিশবাহিনীর উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিবার যেখানে এগিয়ে আসেনি, পুলিশ ও প্রশাসন সেখানে সৎকারের ব্যবস্থা করেছে।

          তথ্যমন্ত্রী এ মহামারি পরিস্থিতিতে গুজব ও আতঙ্ক ছড়ানো প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত ভূমিকার প্রশংসা করেন ও সবাইকে অহেতুক সমালোচনা পরিহার করে মানুষের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান। চট্টগ্রামে অন্যান্য হাসপাতালও মা ও শিশু হাসপাতালের মতো দ্রুত এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

          ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যে সকল ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী এ সময় কাজে আসতে অপারগতা জানিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করতে বলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এই করোনা ইউনিট চালুর ফলে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা একধাপ এগিয়ে গেলো।

                                   

         চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি সমন্বয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মোর্শেদ হোসেনের সভাপতিত্বে পরিষদ সদস্য ও করোনা ইউনিট উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী ও ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

 

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

          প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের বড় ভাই আহমদ খালেদ কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

          আজ চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। কায়কোবাদ আহমদের পুত্র ও আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের দৌহিত্র প্রয়াত খালেদ কায়সার ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক।

          তথ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় দেশের সাহিত্য ও কাব্যচর্চায় প্রয়াত খালেদ কায়সারের ভূমিকার কথা স্মরণ করে মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

আকরাম/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :  ২০৫২

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :     ­­­

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ই জুন ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ই জুন এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ই জুন নতুন মাত্রা পায়।

          বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে এ দিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন। আজকের এই দিনে আমি ঐতিহাসিক ৭ই জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

          পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খান-এর নেতৃত্বে লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা বিরোধী দলীয় এক জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করলে জাতির পিতা ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি সেখানে ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে তিনি ৬-দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন। বাংলার জনমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৬-দফার প্রতি সমর্থন জানায়। ৬-দফা হয়ে উঠে দেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।

          ৬-দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার
৬-দফার রূপকার বঙ্গবন্ধুকে ৮ই মে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু ৬-দফা বাঙালির প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬-দফার প্রতি বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। জাতির পিতার ২৩ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

          ঐতিহাসিক ৭ই জুনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছি। গত
১১ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি।

          আমরা এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে বছরব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী-মুজিববর্ষ উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে আমরা মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনসমাগম না করে টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচার করেছি। সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, গণজমায়েত না করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঐতিহাসিক ৭ই জুনের সকল কর্মসূচি পালন করবেন।   

          আমাদের দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ্, ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ। ৭ই জুনের শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বিনির্মাণ করব জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

                                                                                      বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

আশরাফ/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ২০৫১

 

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

 

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :

 

                       

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৭ই জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

 

“বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ৬-দফা একটি অন্যতম মাইলফলক। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। ৬-দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

 

                        বাঙালির স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। ১৯৪৮ সালে বাংলাভাষার দাবীতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্বশাসনের  লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন। শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাহিনী গঠন এই ৬-দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্বশাসনের রূপরেখা। 

 

          ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে বারবার গ্রেফতার করে এবং তাঁর উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। তা সত্ত্বেও তিনি ৬-দফার দাবী থেকে পিছপা হননি। তাঁর নেতৃত্বে দাবী আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। শাসকগোষ্ঠী ৬-দফার আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেফতার, নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬-দফা দাবীর সমর্থনে আওয়ামী লীগের আহ্বানে প্রদেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর মদদে পুলিশের গুলিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১১ ব্যক্তি নিহত হন। আহত ও গ্রেফতার হন অনেকে।

 

          ঐতিহাসিক ৬-দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণারও উৎস। তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ৬-দফার দাবী থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।

 

            জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

 

আজাদ/ফারহানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২০/১৭০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২০৫০

আগামীকাল ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :

          আগামীকাল ৭ই জুন। ১৯৬৬ সালের এই দিনে তখনকার পূর্ববাংলার জনগণ বঙ্গবন্ধুর উত্থাপিত ৬ দফার স্বীকৃতির জন্য রাজপথে নেমেছিল প্রবল প্রতিরোধে। বাঙালির অধিকার বিমূর্ত হয়েছিল ৬ দফার দাবিতে। বঙ্গবন্ধু এই রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞকে ‘আমাদের বাঁচার দাবি ৬ দফা কর্মসূচি’ শিরোনামে পাকিস্তানে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।

          এ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠান ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারণকৃত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন। প্রধান আলোচক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত আছেন কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বাংলাদেশ টেলিভিশন আগামীকাল ৭ জুন সন্ধ্যা ৭ টায় এ বিশেষ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে। বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন ৭ জুন অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে।

          এছাড়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন ও এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন বিষয়ে সকলকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আগামীকাল ৭ জুন রাত ৯ টায় অনলাইনে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। এ বিষয়ে বিস্তারিত quiz.mujib100.gov.bd ওয়েব লিংকের মাধ্যমে জানা যাবে।

          একই সাথে গুরুত্ব সহকারে দিবসটি প্রচারের জন্য সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

#

সুরথ/পরীক্ষিৎ/গিয়াস/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১২৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ২০৪৯

কোভিড-১৯ মহামারি প্রাক্কালে অভিবাসীদের প্রতি আরও মানবিক

ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানালো বাংলাদেশ 

নিউইয়র্ক, ৬ জুন :

কোভিড-১৯ মহামারি প্রাক্কালে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অভিবাসীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৈশ্বিক সংহতি ও সহযোগিতা ও সুদৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শনের প্রতি আহ্বান জানালেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ এর প্রাক্কালে অভিবাসন : অভিবাসীদের স্বাস্থ্য ও রেমিটেন্স" শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে এই আহ্বানের কথা জানান তিনি।

  কোভিড-১৯ এর প্রভাবজনিত ভয়াবহতার শিকার হওয়ার পাশাপাশি অভিবাসীগণ বিশ্বের অনেক জায়গাতেই তাদের অধিকার, জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা এমনকি চাকরির সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন মর্মে উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, অভিবাসীগণ হচ্ছেন তাদের গ্রহণকারী দেশগুলোর উন্নয়নে অবদান রাখা প্রথম সারির কর্মী, এমনকি এই করোনাকালেও একথা সত্য; অতএব ঐসকলদেশগুলো কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও উত্তরণে যে পরিকল্পনা ও প্যাকেজসমূহ গ্রহণ করেছে তাতে অবশ্যই অভিবাসীদেরকেও অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। অনেক দেশ থেকে অভিবাসীদেরকে জোরপূর্বক নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, প্রত্যাবর্তনকারীদের ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ; এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রচেষ্টাসমূহে অবশ্যই জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদার ও অংশীজনদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। অভিবাসন সংক্রান্ত সমমনা দেশসমূহ (Group of Friends of Migration) এই ইভেন্টটির আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং নারীর ক্ষমতায়নে অভিবাসন ও রেমিটেন্সের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করে এর উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে মর্মে মতামত দেন। নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২০% এরও বেশি হ্রাস পাওয়া বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণের কথা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, এর পরিণতি হতে পারে খুবই ভয়াবহ যা উন্নয়নশীল বিশ্বের রেমিট্যান্স-নির্ভরশীল পরিবারসমূহকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা জাতিসংঘ মহাসচিবের “পিপল অন দ্যা মুভ”শীর্ষক নীতি-বিবৃতিকে স্বাগত জানান যাতে অভিবাসীদের উপর কোভিড-১৯ এর সূদুর-প্রসারী প্রভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বৈশ্বিক এই মহামারী চলাকালীন অভিবাসীগণকে শ্রমবাজারে প্রবেশ, সামাজিক সুরক্ষা এবং প্রাথমিক পরিষেবা গুলোর সুযোগ প্রদান এবং এসংক্রান্ত বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু দেশ যেসকল পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রশংসা করেন তিনি। অর্থনীতি ও সমাজে অভিবাসী শ্রমিকদের অবদানের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পুনরায় অভিবাসী শ্রমিকদের উপযোগী পরিস্থিতি তৈরিতে কাজ করতে হবে, অন্যথা তা কেবল অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচারকেই উৎসাহিত করবে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।    

  আয়ারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও প্রবাসী মন্ত্রী সিয়ারান ক্যানন টিডি (Ciaran Cannon T.D.) সহ অভিবাসী প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী দেশসমূহের উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক রাষ্ট্রদূত উচ্চ পর্যায়ের এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া এসডিজি অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ড. মাহমুদ মোহাইয়েলদিন, আইএফএডি, ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ সভাটিতে অংশ নেন।

#

গিয়াস/শামীম/২০২০/১০.৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ২০৪৮

করোনা মোকাবিলা

   ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সরকার

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :

          করোনা ভাইরাসের দুর্যোগে দেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সরকার। ৫ জুন পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় দেড় কোটি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সরকার।

          ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে  ২ লাখ ১ হাজার ৪১৭ মেট্রিক টন। বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯৮ মেট্রিক টন। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখ ৭ হাজার ৯৮৫ টি। উপকারভোগী লোকসংখ্যা ৬ কোটি
৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩৩ জন।

          নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১১৬ কোটিরও বেশি টাকা, সাধারণ ত্রাণবাবদ নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে
৯১ কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা। বিতরণ করা হয়েছে ৭৬ কোটি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৮৬ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৯ জন। মোট উপকারভোগী লোকসংখ্যা ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৪ জন।

          শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং এ পযর্ন্ত বিতরণ করা হয়েছে ২০ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৬৭ টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫০৯ টি এবং উপকারভোগী লোক সংখ্যা ১৩ লাখ ৬১  হাজার ৮৭৯ জন ।  

#

সেলিম/গিয়াস/শামীম/২০২০/১০১২ ঘণ্টা

 

2020-06-06-20-38-372fc15f7e78bbf3fbd4cdb6bb93cd62.docx