তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৪৪
আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ২৭ মার্চ
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
আজকের শিশুরাই আগামীদিনের দেশগড়ার কাজে নেতৃত্ব দিবে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হয়। পুর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নেই। শিশুকাল থেকেই খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার অভ্যাস করে তুলতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাই শৈশব থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি আকৃষ্ট করতে তৃণমূল পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলছে। আগামী ২৭ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে সকাল ৯টায় জাতীয় পর্যায়ে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা - ২০১৭ এর উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়েছে।
২৮ মার্চ বিকাল ৩টায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করবেন।
#
রবী/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/২০১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৪৩
মুক্তিযুদ্ধে মা বোনের ইজ্জত বিনিময় করে এদেশ স্বাধীন করিনি
-- ভূমিমন্ত্রী
পাবনা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা মা বোনের ইজ্জত বিনিময় করিনি। ইজ্জত বিনিময়ের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়নি। আমরা জনযুদ্ধ পরিচালনায় অংশ নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছি। এ জনযুদ্ধ পরিচালনার নির্দেশক ছিলেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মন্ত্রী আজ পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আমজাদ হোসেন এবং অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর এডভোকেট আমজাদ হোসেন নিষ্ঠার সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শের ব্রত নিয়ে পাবনায় সুষ্ঠু রাজনীতি পরিচালনা করেছিলেন। তিনি বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের মধ্যে আবদুর রব বগা মিয়া, জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, মরহুম আবু তালেব, মরহুম আমজাদ হোসেন ও মরহুম জান্নাতুল ফেরদৌস এর স্মৃতিকথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট গোলাম হাসনাইন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আবুল কালাম আজাদ বাবু, শহীদুল হক, মরহুম আমজাদ হোসেন ও মরহুম জান্নাতুল ফেরদৌস এর বড় কন্যা ডা. শাহীন ফেরদৌস, মেঝ কন্যা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কমকর্তা শিরীন ফেরদৌস রাখী এবং পুত্র বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট নৌ প্রকৌশলী সাজিদ হোসেন রুশো প্রমুখ স্মৃতিচারণ বক্তব্য রাখেন।
#
রেজুয়ান/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৪২
পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার স্বপ্ন নিশ্চিহ্ন করতে হামলা চালিয়েছিল
-- মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম
মতলব উত্তর (চাঁদপুর), ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, একাত্তরের পঁচিশ মার্চের রাতে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার স্বপ্ন নিশ্চিহ্ন করতে পৈশাচিক হামলা চালিয়েছিল। বর্বরের মতো এ হামলায় এ দেশের নিরীহ নিরস্ত্র ৫০-৭০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে বিনাকারণে একদিনে এতো মানুষের হত্যাকা-, এতো রক্তপাত নজিরবিহীন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, এদেরও বিচার হবে। বিচারের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি আজ মতলব উত্তর উপজেলায় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক কর্মী সমাবেশে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। কিন্তু জানাজানি হয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ায় সেদিন পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের যে কোন দেশের গণহত্যার নিন্দা করে। প্রতিটি দেশের নির্যাতিত মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে আসছে। দেশে দেশে বিভিন্ন সময়ে যেসব গণহত্যা সংঘঠিত হয়েছে তার নিন্দা জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এসব গণহত্যার বিচার হতে হবে। বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের ভরসার জায়গা হিসেবে বাংলাদেশ একাত্তরের গণহত্যাকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি চেয়েছে। বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ এতে সমর্থন জানাবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ঘোষণার পর জাতির বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, স্বাধীনতা সংগ্রাম অপরিহার্য। সেভাবেই জাতি প্রস্তুত হয়েছে । তিনি বলেন স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজাকার, আলবদর, শান্তিবাহিনী ও যুদ্ধাপরাধীরা সহযোগিতা না করলে এতো হত্যাকা- হতো না। বাংলাদেশের মাটিতে এদের ঠাঁই হবে না।
#
ওমর/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৪১
আইপিইউ’র ১৩৬তম এসেম্বলি ১-৫ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১-৫ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ঢাকায় আইপিইউ-এর ১৩৬তম এসেম্বলি অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক দেশের স্পিকার হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ-এর ১৩৬তম এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট হবেন। এ এসেম্বলির জেনারেল ডিবেট থীম বা মূল প্রতিপাদ্য বিষয় “জবফৎবংংরহম রহবয়ঁধষরঃরবং: উবষরাবৎরহম ড়হ ফরমহরঃু ধহফ বিষষ-নবরহম ভড়ৎ ধষষ”। এতে আইপিইউ সদস্য ১৩১ টি দেশের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং সংসদ-সদস্যসহ প্রায় ১৫ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ এপ্রিল জাতীয় সংসদের দড়্গিণ পস্নাজায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি'ত থেকে এসেম্বলি’র উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের অব্যবহিতপূর্বে আইপিইউ এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাড়্গাৎ এবং ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করবেন। ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলির উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকেট উন্মোচন এবং আইপিইউ ওয়েব টিভি উদ্বোধন করবেন।
আইপিইউ এসেম্বলির অন্যান্য ইভেন্ট বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি)তে অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশি প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে অবস'ানের জন্য ঢাকায় বিভিন্ন হোটেল নির্ধারণ করা হয়েছে। আইপিইউ-এর ১৩৬তম এসেম্বলির এক্সিকিউটিভ কমিটির সভা ও অন্যান্য সভা ও সাইড ইভেন্ট আগামী ২৯ মার্চ ২০১৭ তারিখ হতে শুরম্ন হবে। এসেম্বলির কাজে সহযোগিতা প্রদানের জন্য আইপিইউ সদর দপ্তর হতে ১১০ জন স্টাফ ঢাকায় আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা আইপিইউ এসেম্বলি সফলভাবে আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। স্পিকারের নেতৃত্বে ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে আইপিইউ এসেম্বলি আয়োজন সংক্রানত্ম কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যবৃন্দের সক্রিয় সহযোগিতা, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস'ার সহযোগিতা এবং সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের নিরলস প্রচেষ্ঠায় আইপিইউ-এর ১৩৬তম এসেম্বলি যথাযথভাবে আয়োজিত হবে মর্মে আশা করা যায়।
এসেম্বলি উপলড়্গে বিআইসিসি সংলগ্ন বাণিজ্য মেলার মাঠে দেশীয় পণ্য প্রদর্শন ও বিপননের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আইপিইউ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে পর্যটন বিষয়ক এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়সমূহও তুলে ধরা হবে।
গত ১৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর ১৩১তম এসেম্বলিতে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী আইপিইউ-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ থেকে তিনিই প্রথম আইপিইউ-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাঁর এ অর্জন আনর্ত্মজাতিক ড়্গেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তিনি ২০১১ সালে ওচট এর ঝঃধহফরহম ঈড়সসরঃঃবব ড়হ চবধপব ধহফ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝবপঁৎরঃু এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালের মার্চে তিনি ঝঃধহফরহম ঈড়সসরঃঃবব ড়হ টহরঃবফ ঘধঃরড়হং অভভধরৎং এর সদস্য নির্বাচিত হন।
এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বর্তমানে আইপিইউ-এর হিউম্যান রাইটস্ কমিটি অভ্ পার্লামেন্টারিয়ান্স এর সদস্য। ২০১৫ সালে হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত আইপিইউ-এর ১৩২তম এসেম্বলিতে আবুল কালাম আজাদ এমপি ঝঃধহফরহম ঈড়সসরঃঃবব ড়হ টহরঃবফ ঘধঃরড়হং অভভধরৎং -এর সদস্য এবং সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান আইপিইউ-এর ঈড়ড়ৎফরহধঃরহম ঈড়সসরঃঃবব ড়ভ ডড়সবহ চধৎষরধসবহঃধৎরধহং এর সদস্য নির্বাচিত হন।
আইপিইউ-এর ১৩৬তম এসেম্বলি উপলড়্গে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পড়্গ হতে একটি ওয়েবসাইট (িি.িরঢ়ঁ১৩৬নধহমষধফবংয.ড়ৎম <যঃঃঢ়://িি.িরঢ়ঁ১৩৬নধহমষধফবংয.ড়ৎম>) খোলা হয়েছে। আইপিইউ-এর নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট রয়েছে (িি.িরঢ়ঁ.ড়ৎম)। এ ২টি ওয়েবসাইটে আইপিইউ এবং আইপিইউ-এর ১৩৬তম এসেম্বলি সংশিস্নষ্ট বিসত্মারিত তথ্য রয়েছে।
এ উপলড়্গে আগামী ৩১ মার্চ সকাল ৯.০০ ঘটিকায় বিআইসিসি এ স'াপিত মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী এবং আইপিইউ সেক্রেটারি মার্টিন চুনগুং (গধৎঃরহ ঈযঁহমড়হম) বক্তব্য রাখবেন।
#
মোতাহের/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৪০
র্যাব এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ মার্চ র্যাব এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
‘‘বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এই বাহিনীর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাস দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানসহ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেফতার, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার চরমপন্থি, জলদস্যু, বনদস্যু গ্রেফতার, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও ভেজাল বিরোধী অভিযানে র্যাবের ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখতে র্যাব কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এর ফলে র্যাব-এর প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে র্যাবকে আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
মানবাধিকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’- এই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে র্যাব আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। দেশের উন্নয়ন ও স¦ার্থবিরোধী সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করবে- এ আমার প্রত্যাশা।
আমি আশা করি, এলিট ফোর্স র্যাব-এর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সততা, নিষ্ঠা ও পোশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলার সাথে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদেরকে আরও নিবেদিত করবেন।
আমি র্যাব-এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরুল কায়েস/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৩৯
র্যাব এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ র্যাব এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে র্যাবের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি র্যাবের সেইসব দেশপ্রেমিক অসীম সাহসী সদস্যগণকে, যাঁরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পবিত্র দায়িত¦ পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
দেশের এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব সদস্যগণের পেশাদারিত্ব ও দৃঢ় মনোভাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ একটি স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় চিহ্নিত-সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও চরমপন্থী দমন, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদকের অপব্যবহার ও বিস্তার রোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। র্যাবের সদস্যগণ ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উঁচু পেশাদারী মনোভাব ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে জনমনে আস্থা স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন। এ জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে র্যাবের প্রতিটি সদস্যকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চরমপন্থীসহ জনজীবনে নিরাপত্তা বিঘœকারী সকল অশুভ শক্তিকে আইনের আওতায় আনতে আগামী দিনগুলোতেও র্যাবের সদস্যগণ উঁচুমানের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেজ-জাতি তা প্রত্যাশা করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ, বঞ্চনা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স¦প্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার সেই স¦প্ন পূরণে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে অবদান রাখবেন-এ প্রত্যাশা করি।
আমি র্যাব এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮১০ ঘণ্টা
Handout Number : 838
Prime Minister’s Message of the great Independence and National Day
Dhaka, 25 March :
Prime Minister Sheikh Hasina has given the following message on the occasion of the great Independence and National Day :
“I convey my heartiest greetings and congratulations to my countrymen as well as all expatriate Bangalees on the occasion of the great Independence and National Day of Bangladesh.
The 26th March is the day of earning self-identity of our nation. It's the day of breaking the shackles of subjugation. On the eve of the Independence Day, I recall with deep gratitude the greatest Bangalee of all time, Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, under whose undisputed leadership we earned our beloved independence. I pay my deep homage to the 3 million martyrs and 200 thousand women who lost their innocence in the War of Liberation. I also pay my tributes to four national leaders who led the War of Liberation. My homage goes to the valiant freedom fighters, including the wounded ones. I extend my sympathies to those who had lost their near and dear ones and were subjected to brutal torture during the war. I recall with gratitude our foreign friends who had extended their whole-hearted support and cooperation for the cause of our liberation.
The Bangalee nation had fought against Pakistani rulers oppression and deprivation for long 23 years under the leadership of Bangabandhu. They were compelled to hold general elections in 1970. Bangladesh Awami League led by Bangabandhu won overwhelming majority in the elections. But the Pakistani rulers instead of handing over the power to the majority party in a democratic way; they launched repressive measures against them. Bangabandhu in his 7th March historic address at the then Racecourse Maidan declared, ''The struggle of this time is for our freedom, the struggle of this time is for independence." He instructed the Bangalee nation to resist the enemies.
The occupation forces unleashed a sudden attack and started killing innocent and unarmed Bangalees on the black night of 25th March 1971. They killed thousands of people in cities and towns including Dhaka. The Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman officially proclaimed the independence of Bangladesh at the first hour of the 26th March 1971. Bangabandhu's proclamation was spread all over the country through telegrams, tele-printers and EPR wireless. The international media also had circulated Bangabandhu's proclamation of independence. Under the brave and dauntless leadership of Bangabandhu, we earned the ultimate victory on the 16th December, 1971 after a 9-month bloody war.
The independence earned through supreme sacrifices of millions of people is the greatest achievement of Bangalee nation. To ensure that this achievement remains meaningful, all have to know the history of our great liberation war and retain the spirit of independence. The history has to be passed on to generation to generations.
Being imbued with the spirit of the freedom struggle, the Awami League government has been working relentlessly to develop the country. During the last 8 years, we have implemented expected development programmes in all sectors. As a result, Bangladesh has emerged as a 'Role Model' of socio-economic development, We will turn Bangladesh into a middle-income country by 2021 and a developed one by 2041, Insha Allah.
We have executed the verdict of the killing case of Bangabandhu and most of his family members. The verdicts of cases against those who committed crimes against humanity are also being executed. Our government is maintaining 'zero tolerance' policy to tackle militancy and terrorism. We have stopped to take over power in an undemocratic way through the 15th amendment of constitution. On this auspicious day, I urge the countrymen to foil any plot of the anti-liberation, communal forces and anti-development and anti-democracy forces together.
Being imbued with the spirit of our great liberation war, let us take a fresh vow to advance our country's development and democracy. Let us join our hands to build a non-communal, hunger-poverty free and happy-prosperous 'Sonar Bangla' as dreamt by the Father of the Nation. On the historic day, this is our commitment.
Joi Bangla, Joi Bangabandhu
May Bangladesh Live Forever.”
#
Nazrul/Selim/Sanjib/Salim/2017/1750 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৩৭
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
২৬ শে মার্চ আমাদের জাতির আত্মপরিচয় অর্জনের দিন। পরাধীনতার শিকল ভাঙার দিন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় স্বাধীনতা। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদ এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে, যাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে কাক্সিক্ষত বিজয়। শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতাকে, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সম্মান জানাই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে। যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তাঁদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সকল বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন ও ব্যক্তির প্রতি, যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অকৃপণ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি শাসকদের নিপীড়ন এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে। তারা বাধ্য হয় ১৯৭০ সালে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে উল্টো নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তিনি বাঙালি জাতিকে শত্রুর মোকাবিলা করার নির্দেশ দেন।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে অতর্কিতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ঢাকাসহ দেশের শহরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা টেলিগ্রাম, টেলিপ্রিন্টার ও তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই ঘোষণা প্রচারিত হয়। জাতির পিতার নির্দেশে পরিচালিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে, স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার মহান ম্ুিক্তযুদ্ধের চেনতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ৮ বছরে আমরা দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করেছি। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’। ২০২১ সালের আগেই আমরা বাংলাদেশকে মধ্যমআয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।
আমরা সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করেছি। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধীদের যে-কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আজকের এদিনে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে মহান ম্ুিক্তযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাই। সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। প্রতিষ্ঠা করি জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’। আজকের এ ঐতিহাসিক দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশে চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭৪০ ঘণ্টা
Handout Number : 836
President's message on the great Independence and National Day
Dhaka, 25 March :
President Md. Abdul Hamid has given the following message on the occasion of the great Independence and National Day :
“On the occasion of our great Independence and National Day, I extend my heartfelt greetings and warm felicitations to my fellow countrymen living at home and abroad.
The great Independence Day is a glorious one in our national life. On this historic day, I recall with profound respect Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, who proclaimed country’s independence on March 26, 1971 after inspiring the whole nation with Bangalee nationalism and preparing them for independence. Under his charismatic leadership, we achieved our much awaited independence through a nine-month long armed struggle. Today, I pay my deep tributes to the martyrs and valiant sons of the soil, who made the supreme sacrifices in the war of liberation. I also recall with deep reverence our four National Leaders, valiant freedom-fighters, organizers, supporters and people from all walks of life for their unmatched valour, immense contributions and courageous role that accelerated the achievement of our victory. I remember with deep respect our foreign friends who extended their whole-hearted support directly and indirectly in our war of liberation in 1971. The contributions of all would be written in golden letters in the history of our independence forever.
One of the prime objectives of our hard-earned independence was to build a happy and prosperous Bangladesh. Keeping that in mind, the present Government has been rendering untiring efforts in materializing the objectives of independence. The growth rate of GDP and per capita income is increasing constantly and the rate of poverty is decreasing. In the meantime, we have achieved some significant progress in the fields of agriculture, education, health, rural infrastructure, communication, energy and power, trade and commerce, ICT, SME etc. It is notable that our country has attained food-sufficiency owing to the huge development in agriculture. We have also been able to export food grains in a small scale. The pace of advancement in the sector of empowerment of women, youth and sports, women and children, social safety net etc. is continuing. The mega project of the Padma Bridge is underway by our own resources. At the same time we have also attained remarkable development in private sector including the area of readymade garments, pharmaceuticals, ceramic and ship-building industry. Country’s financial sector along with Banks and Insurances has been expanded. Bangladesh is now being branded as a role model of development in the outside world. Our achievement in international arena is also commendable. Our expatriate Bangladeshis have also been making significant contributions to our national economy through sending their hard-earned remittances. Nevertheless, we have to go a long way for achieving the desired goals of independence. I believe that sincere and concerted efforts from all strata irrespective of party affiliation are imperative to reach the goals.
The people of our country have a great love for democracy, development and peace. They do not support any sorts of violence including militancy and terrorism. We should keep in mind that the thriving of democracy and its institutionalization is very important for attaining overall development. Therefore, we have to maintain patience, self-restraint and forbearance in our national life along with showing respect to others’ opinion in a democratic pluralism. I hope that people from all strata would play their due role from their respective positions to attain the objectives of independence and fulfill the hopes and aspirations of our people. Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman dreamt of transforming Bangladesh into 'Sonar Bangla'. The present Government has set ‘Vision 2021’ and 'Vision 2041' to materialize Bangabandhu’s dream into reality. It is my expectation that people from all walks of life would contribute towards building an IT-based happy and prosperous Bangladesh through implementing the Vision by the golden jubilee celebration of our independence.
On this auspicious day of independence, I urge all, living at home and abroad, to work unitedly imbued with the spirit of war of liberation and democratic norms to expedite further progress and democratic advancement of the country.
Khoda Hafez, May Bangladesh Live Forever.”
#
Azad/Selim/Sanjib/Abbas/2017/1725 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৩৫
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক অনন্য গৌরবময় দিন। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। এ দিনে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ সকল স্তরের জনগণকে, যাঁদের অসামান্য অবদান ও সাহসী ভূমিকা আমাদের বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে। আমি পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করি বিদেশি বন্ধুদের যাঁরা ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা প্রদান করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে তাঁদের অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়া। সে লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধির হার ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। জাতীয় জীবনে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাণিজ্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। কৃষির উন্নতিতে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্বল্প পরিসরে হলেও খাদ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন, যুব ও ক্রীড়া, মহিলা ও শিশু, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিক, জাহাজ তৈরি শিল্পসহ বেসরকারি খাতের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক খাতের বিকাশ হয়েছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল-মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিম-লেও আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও তাঁদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে বিপুল অবদান রেখে চলেছেন। এতদ্সত্ত্বেও স্বাধীনতার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। এজন্য প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সকলের আন্তরিক ও ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস।
বাংলাদেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নকামী। তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদসহ কোনো ধরনের সহিংসতা সমর্থন কর