Handout Number : 2085
Bangladesh-Slovenia inked MoU on Foreign Office Consultations
Ljubljana, Slovenia, June 25 :
Slovenia keen to deepen ties with Bangladesh, especially in the fields of bilateral trade, energy, science and technology, agriculture, light industries etc.
State Minister for Foreign Affairs of Bangladesh Md. Shahriar Alam and State Secretary of the Ministry of Foreign Affairs of the Republic of Slovenia Darja Bavdaz Kuret signed MoU on Foreign Office Consultations on behalf of their respective governments in the Slovenian capital of Ljubljana today. Prior to the signing ceremony, Shahriar Alam called on the Deputy Prime Minister and Minister of Foreign Affairs of Slovenia Karl Erjavee at his office. Alam also met the President of the Slovenian National Assembly (Speaker of the Slovenian Parliament) Milan Brglez and the Head of the Slovenian Chamber of Commerce and Industry yesterday upon arrival. He also exchanged views with a group of Slovenian businessman and investors who already in the process of exploring business opportunities in Bangladesh. The State Minister is on a three-day official trip to Slovenia, which is the first-ever ministerial-level visit between the two countries since the establishment of diplomatic relationship in 1996.
The Slovenian Foreign Minister during his meeting termed the visit by the State Minister and the signing of the MoU important milestones to consolidate further the relationship between the two friendly countries in the political, economic and other fields. During the meetings, the both sides stressed on regular exchanges at the political, official and business level to further deepening and strengthening the existing bonds of friendship between the two countries. The Slovenian Foreign Minister observed that there was room for enhancing bilateral relations between the two countries in various fields.
During the meetings, the State Minister briefed the Slovenian leaders of Bangladesh's robust socio-econoic progress under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina and invited them to see for themselves the development spree in Bangladesh. Both the Slovenian Foreign Minister and the State Secretary assured their full cooperation as a member of the EU and bilaterally towards Bangladesh's progress and prosperity.
Praising Bangladesh's spectacular growth in agriculture, textiles, pharmaceuticals and energy, the Slovenian leaders underlined that the two countries could collaborate in renewable energy and power generation, small scale high-tech industries and other sectors. Requesting Bangladesh to explore using Slovenian port which is gateway to the Central Europe, the Slovenian Minister also stressed on cooperation in the field of shipping. The 'Copper Port' of Slovenia is currently being used by Asian countries like South Korea, China and Japan for shipment of their exportables to various Central European Countries.
At the meeting with the head of Slovenian chamber, the State Minister underscored the importance of institutional cooperation arrangements between the apex chambers of the two countries and regular exchange between the private sectors of the two countries to identify ways and means to enhance bilateral trade.
The State Secretary of the Slovenian Foreign Ministry informed Mr. Alam that they were planning to send a high-level Slovenian business delegation to Bangladesh end of this year to explore business opportunities and enhance cooperation with Bangladeshi businessman. Bangladesh Ambassador to Vienna Mohammed Abu Zafar was present during the meetings.
#
Khaleda/Afraz/Salim/Rezaul/2016/1934 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৮৪
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পরবর্তী সময়সূচি
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে প্রথম অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির সময়সীমা আগামী ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন, দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির তারিখ ২৮ থেকে ৩০ জুন এবং বিলম্ব ফিসহ ভর্তির তারিখ ১০ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত। বিলম্ব ফিসহ আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি করা হবে।
যেসকল শিক্ষার্থী অনলাইনে বা এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করে নাই বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভর্তি হবে না তাদের উন্মুক্তভাবে ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।
#
আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৯৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৮৩
দেশের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী লঞ্চের উদ্বোধন
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আজ ঢাকার সদরঘাটে জনতা ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আধুনিক যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি সুন্দরবন-১০ এর উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, এর ফলে যাত্রীরা স্বল্প খরচে এবং মাত্র পাঁচ ঘন্টায় ঢাকা থেকে বরিশাল নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। এতে রাজধানী ঢাকার সাথে দড়্গিণাঞ্চলের যোগাযোগ সহজ হবে এবং ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহণের দ্বার উন্মোচন হবে বলে আশা করা যায়।
বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুস ও বেগম জবুন্নেছা আফরোজা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও লঞ্চটির মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু উপসি'ত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, লঞ্চটি আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা বরিশালে স'ানীয়ভাবে নির্মিত হয়েছে। লঞ্চটি ৩০০ ফুট লম্বা এবং ৫০ ফুট প্রশসত্ম। এর যাত্রীধারণ ড়্গমতা ১ হাজার ৪০০ জন। লঞ্চটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুবিধাসহ কেবিন ও সুপরিসর ডেপ। লঞ্চটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও সিসি ক্যামেরাযুক্ত। এতে রয়েছে শিশুদের জন্য বিনোদন স্পেস, ফুডকোর্ট, ফার্মেসি, আধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস'া, পর্যাপ্ত লাইফবয়া ও জ্যাকেট এবং ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস'া। ফলে যাত্রীরা স্বচ্ছন্দ্যে লঞ্চটিতে যাতায়াত করতে পারবেন।
উলেস্নখ্য, সাড়ে তিনতলা বিশিষ্ট কোনো যাত্রীবাহী লঞ্চে বাংলাদেশে প্রথম ক্যাপসুল লিফ্ট সংযোজন করা হয়েছে। লঞ্চটিতে রয়েছে আধুনিক জিপিএস সিস্টেম। লঞ্চটি হাইড্রলিক পদ্ধতিতে চলবে এবং এর রাডার ব্যবস'া কুয়াশার মধ্যেও লঞ্চটিকে নিরাপদে চলতে সাহায্য করবে।
#
আরেফীন/আফরাজ/নবী/মোশারফ/সেলিম/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা
Handout Number : 2082
US-Bangladesh Partnership Dialogue held in Washington
Washington, DC, June 25 :
Bangladesh and the USA concluded the fifth annual Partnership Dialogue on Friday in Washington, DC reiterating their commitment to enhance Dhaka-Washington bilateral cooperation and work together on issues of regional and global interests.
Foreign Secretary Md. Shahidul Haque led the inter-ministerial Bangladesh delegation at the two-day dialogue while the US delegation was led by US Under Secretary of State for Political Affairs Ambassador Tom Shannon.
The U.S.-Bangladesh Partnership Dialogue, established in 2012, is a regularly planned policy consultation designed to advance the common agenda and opportunities for cooperation across the full range of bilateral and regional issues.
During the deliberations that started on June 23 the two sides emphasized on enhancing bilateral relations and reiterated their commitments to work together on issues of national, regional and global interests.
The three working groups focused on cooperation in the areas of development & governance, trade & investment and security affairs.
They discussed a range of bilateral issues including migration, climate change, disaster management, health, higher education, agricultural cooperation, diaspora, regional cooperation, blue economy, peacekeeping and peacebuilding, counterterrorism & countering violent extremism and higher education.
In the plenary session on Friday, the progress of the working group discussions was reviewed by the co-chairs. The Foreign Secretary underscored Bangladesh government’s vision and strategy to become a middle income country by 2021 having the intrinsic values of democracy, secularism and pluralism. On bilateral relationship between the two friendly countries, the Foreign Secretary noted that over the years the bilateral ties have become matured from aid-dependency to a strategic one.
Noting Bangladesh’s remarkable achievements in socio-economic front, Ambassador Shannon highlighted that the USA was proud of its partnership with Bangladesh and looking forward to deeper engagements in the days to come.
The co-chairs also discussed the issues related to various regional and sub-regional arrangements including SAARC, BCIM, BIMSTEC, ASEM and IPEC etc. They also revisited Bangladesh’s leadership role in harnessing regional cooperation and integration and discussed about the endless possibilities that are lying ahead.
On the sidelines of the partnership dialogue, Foreign Secretary Haque met with senior US Government officials including Assistant Secretary of State for South and Central Asian Affairs Nisha Desai Biswal, Assistant Secretary of State for Population, Refugees and Migration Anne C. Richard and Assistant Secretary of State for international Organizations, Bathsheba Crocker, Assistant Secretary of State for Democracy, Human Rights and Labor Tom Malinowski, with Special Assistant to President Obama Dr. Peter Lavoy and Chief of Staff of the Secretary of State Jonathan Finer.
The sideline meetings held in a friendly and congenial atmosphere also discussed issues of mutual interests in bilateral and regional setup and beyond.
#
Afraz/Mosharaf/Rezaul/2016/1756 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৮১
সব গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করবে সরকার
-- ভূমিমন্ত্রী
বাংলাহিলি (দিনাজপুর), ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের সকল গৃহহীনকে পুনর্বাসন করবেন। কোনো মানুষ গৃহ ছাড়া থাকবে না। গৃহহীনদের শুধু ঘর নয়, আর্থসামাজিক অবস'ারও উন্নয়ন ঘটাবে সরকার।
মন্ত্রী আজ দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার সীমানত্মবর্তী বাংলা হিলির পালি বটতলী এলাকায় গুচ্ছগ্রাম-১-এ ৩০টি গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সারাদেশের গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে গৃহহীনদের পুনর্বাসন করছে। তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাস জমি রয়েছে। মন্ত্রী সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের বলেন, নিষ্কন্টক খাসজমি যেটুকু আছে আগে দ্রম্নত সেগুলো বের করম্নন। খাসজমির সঠিক তথ্য দিতে কেউ গড়িমসি করলে তাদের বিরম্নদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস'া নেয়া হবে বলে সংশিস্নষ্টদের হুশিয়ারি দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৬ সালে অনত্মত ৮০০ গৃহহীন পরিবারকে ঘর তৈরি করে জমি দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে। প্রতিটি গুচ্ছগ্রামে বিদ্যুতের আলো দেয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সবার জন্য বাসস'ান কর্মসূচি বাসত্মবায়নের লড়্গ্যে আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশের ৫০ হাজার গৃহহীন পরিবারের আড়াই লাখ দরিদ্র মানুষকে পুনর্বাসন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজ থেকে ৩০টি গৃহহীন পরিবারের ১৫০ জনকে পুনর্বাসন করার মাধ্যমে এ কার্যক্রমের যাত্রা শুরম্ন হলো। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প-২য় পর্যায়ের আওতায় প্রতি গৃহহীন পরিবারের জন্য থাকছে বিনামূল্যে ৩০০ বর্গফুটের ফ্লোর স্পেস বিশিষ্ট আরসিসি পিলারসহ দুই কড়্গের ঘর, নিরাপদ সুপেয় পানির জন্য নলকূপ স'াপন, ৫ রিং বিশিষ্ট স্যানিটারি ল্যাট্রিন ও মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হল।
উলেস্নখ্য, এ সরকার বিগত ৫ বছরে ৬১ জেলার ২৫৪টি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে ১০ হাজার ৭০৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছে।
গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব উল আলমের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে দিনাজপুর ৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক নূরম্নল আমিন সরকার, আরপিডি এএসএম আবু হোরায়রা, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুকরিয়া পারভীন, হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলনত্ম এবং হাকিমপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সবুর উপসি'ত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/আফরাজ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৮০
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং ইউএনও বা ডিসির যৌথ স্বাক্ষরে বেতনভাতা উত্তোলন করা যাবে
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ/প্রধানশিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলন করা হয়ে থাকে।
সংসদ সদস্যগণ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতি পদে থাকা সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ মর্মে নির্দেশনা প্রদান করছে যে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৬(খ) এবং ৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনভাতাদি উত্তোলনে সমস্যার সৃষ্টি হলে সে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অধ্যক্ষ/ প্রধানশিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলন করা যাবে।
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৭৯
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী
আনত্মর্জাতিক দিবস উপলড়্গে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামীকাল ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আনত্মর্জাতিক দিবস পালন উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আনত্মর্জাতিক দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মাদকাশক্তি একটি বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা। সমাজের অবিবেচক মানুষের দ্বারা সৃষ্ট এই সমস্যা পরিবার এবং সমাজের শানিত্ম ও শৃঙ্খলাকে চরমভাবে বিঘ্নিত করে। তরম্নণদের একটি অংশের মধ্যে মাদকাশক্তির প্রবণতা লড়্গ্যণীয়। তরম্নণরাই একটি জাতির প্রাণশক্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাদের সুরড়্গার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে মাদকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। মাদকের সরবরাহ হ্রাসের পাশাপাশি মাদক সেবনের কুফল সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। ছেলেমেয়েদের মাদকের ছোবল থেকে মুক্ত রাখতে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিড়্গা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কঠোর পদড়্গেপ নিতে হবে। অবৈধ মাদকদ্রব্য পাচারকারীদের বিরম্নদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মাদকাশক্তি এখন আর কোন ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি এখন জাতীয় ও আনত্মর্জাতিক সমস্যা। তাই মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় আনত্মঃদেশীয় সহযোগিতা আবশ্যক। মাদকের অবৈধ উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ করা গেলেই মাদকাশক্তি কমানো সম্ভব। এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস’ উদ্যাপন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আনত্মর্জাতিক দিবস উদ্যাপন উপলড়্গে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/আফরাজ/মোশারফ/সেলিম/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৭৮
্ল্ল্ল
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী
আনত্মর্জাতিক দিবস উপলড়্গে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আনত্মর্জাতিক দিবস উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ২৬ জুন ২০১৬ মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আনত্মর্জাতিক দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলড়্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ক্রোড়পত্র ও স্যুভেনির প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা। মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস'্য, আইন-শৃঙ্খলা ও দেশের অর্থনীতি বিপর্যসত্ম হয়। মাদকের করাল গ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে রড়্গা করা বিশেষ করে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে আমাদের সরকারের অবস'ান অত্যনত্ম কঠোর। আমরা এ সংক্রানত্ম আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করেছি। মাদক অপরাধ দমনে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠান ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সামর্থ্য বহুগুণে বৃদ্ধি করেছি। মাদক অপরাধ দমনের পাশাপাশি মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও মাদকের চাহিদা হ্রাসে মাদকবিরোধী গণসচেতনতা সৃষ্টির ড়্গেত্রেও আমাদের সরকার ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মাদকাসক্তির প্রধান শিকার তরম্নণ ও যুব সমাজ। নেশার কবলে পড়ে লড়্গ লড়্গ তরম্নণ কর্মশক্তি, মেধা ও সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলে, যা যেকোন দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ড়্গতি। সুস' ও সুন্দর পারিবারিক পরিবেশ, মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনের দায়িত্বশীল আচরণ, যত্ন, সহানুভূতি এবং ধর্মীয় অনুশাসন মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুবসমাজকে রড়্গা করতে পারে। মাদকাসক্তিমুক্ত পরিবেশে তরম্নণদের মেধা ও সৃষ্টিশীলতাকে লালন করতে আমরা দেশের শিড়্গা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন এবং মাদকবিরোধী সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি পালনের নির্দশনা দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করেছি।
আমি মাদক সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন, শিড়্গক, মসজিদের ইমাম, পিতা-মাতা, অভিবাবকসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি এ দিবস উপলড়্গে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
নুরএলাহি/আফরাজ/সেলিম/আব্বাস/২০১৬/১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৭৭
আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ জুন জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে আমি বিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কোনো নির্যাতনের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত। এর স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সকল সময়ে নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে। মানবাধিকার ও শান্তি প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও আগ্রাসনবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে দেশে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আমি ২০১১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র বিকাশে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন মডেল’ উপস্থাপন করেছি। যা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়। আমরা নারী, শিশু, বৃদ্ধ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তাসহ সমাজের অসহায় মানুষের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামাত জোট দেশব্যাপী মানুষের উপর বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর যে ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়ন করেছিল তা দেশের জনগণ ভোলেনি। তখন তারা ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলা এবং দেশব্যাপী ৫শ’ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা তারই উদাহরণ। এ সময় জোট সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসীরা দেশজুড়ে ভীতির সঞ্চার করেছিল। বিএনপি-জামাতের ৫ বছরের শাসনামলে ১৮ জন সাংবাদিক সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারান। অসংখ্য সাংবাদিক পঙ্গুত্ববরণ করে। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে তারা অগণিত মানুষকে নির্যাতন করেছে। জোটের ৫ বছর এবং পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২ বছরের শাসনামলে অসংখ্য রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী তাদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বিএনপি-জামাত জোট একই কায়দায় ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে দেশব্যাপী নৈরাজ্য চালায়। দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর তারা অমানুষিক নির্যাতন করে। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে টানা ৯৩ দিন বিএনপি হরতাল অবরোধের নামে দেশের নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষকে আবার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। অসংখ্য যানবাহন আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে। পুনরায় একই অপশক্তি সাম্প্রতিককালে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ নিরীহ মানুষদের টার্গেট করে হত্যা করছে।
নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা সমূলে বিনাশ করতে আমাদের সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসের প্রাক্কালে সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধে বিশ্ববাসীকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরুল/আফরাজ/সেলিম/রেজাউল/২০১৬/১৬৫৬ ঘণ্টা