Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ অক্টোবর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 29/10/2017

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ২৮৭৮
 
বাংলাদেশে প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোক ইউনিট উদ্বোধন করলেন তথ্য সচিব
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ইমপাল্স হসপিটালে স্ট্রোক ঝুকি কমানো, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয় এবং উদ্বোধন করা হয় বাংলাদেশে প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোক ইউনিট। 
 
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ইমপাল্স হসপিটালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রফেসর (ডাঃ) জাহীর আল-আমীন, স্ট্রোক নিওরোলজিস্ট ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ (সবুজ) , ডাঃ মনিরুজ্জামান এবং ডাঃ সুবাস কান্তি দে।
 
‘স্ট্রোক এর লক্ষণ দেখা মাত্রই আর দেরি নয়, দ্রুত চিকিৎসায় স্ট্রোক নিরাময় সম্ভব হয়’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশে এই প্রথম স্ট্রোক রোগীদের ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা এবং স্ট্রোকের পর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোক ইউনিট উদ্বোধন করল ইমপাল্স হসপিটাল। টিস্যু প্লাসমিনজেন অ্যাক্টিভেটর (আরটি-পিএ), ইন্ট্রা আরটেরিয়াল (আইএ) থ্রম্বোলাইসিস, মেকানিক্যাল থ্রোমবেকেটামি, কয়েলিং, স্টেন্টসহ সব ধরনের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই স্ট্রোক ইউনিটে। নতুন এবং পুরোনো রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এই ইউনিটে। এই প্রসঙ্গে ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, স্ট্রোক এর লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব স্ট্রোক সেন্টারে নিয়ে আসলে শারীরিক অক্ষমতার ঝুকি কমে যায়।
 
অনুষ্ঠানে ইমপাল্স হসপিটালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রফেসর (ডাঃ) জাহীর আল-আমীন বলেন, প্রযুক্তির আধুনিকায়নের যুগে সর্বোচ্চ সেবার নিশ্চয়তা দেয়ার প্রত্যয়ে নতুন নতুন ইউনিটের সংযোজনের অংশ হিসেবে দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞ নিয়ে এই পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোক ইউনিটটি সাজানো হয়েছে।
 
মস্তিষ্ক একটি অত্যন্ত জটিল অঙ্গ যা বিভিন্ন শরীরের ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে। স্ট্রোক মস্তিষ্কে নেতৃস্থানীয় ধমনীতে প্রভাবিত করে। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫ম মৃত্যুর কারণ এবং অক্ষমতার একটি প্রধান কারণ। যখন কারো স্ট্রোক বা টিএআইএ (ট্র্যানজিয়েন্ট ইস্কেমিক আক্রমণ) এর লক্ষণ দেখায়, তখন তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন।
 
#
আকরাম/আলী/রেজাউল/২০১৭/২১৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৭৭
 
মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য স্যানিটেশন 
ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপন কাজ চলছে 
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) : 
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে সরকারি উদ্যোগে নেয়া স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপন কাজ জোর গতিতে এগিয়ে চলছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নলকূপ বসানো ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নলকূপ ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে। 
এ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২ হাজার ১ শত ৯২টি নলকূপ এবং ৪ হাজার ৯ শত ৬৮টি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। 
উল্লেখ্য, এসব কেন্দ্রগুলোতে ৩ হাজার নলকূপ ও ৫ হাজার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করা হবে।
চৌদ্দটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তিন হাজার লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৭টি ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ক্যারিয়ার এর মাধ্যমে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পানি বিতরণ ব্যবস্থা সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে রাস্তার পাশে ১ হাজার লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ১১টি ওয়াটার রিজার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। ওয়াটার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে রিজার্ভারসমূহে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব রিজার্ভার থেকে মিয়ানমার নাগরিকরা টেপের মাধ্যমে খাবার পানি সংগ্রহ করছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারে ১০ লাখ “ডধঃবৎ চঁৎরভুরহম ঞধনষবঃ” বিতরণ করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ভা-ারে আরো ১২ লাখ “ডধঃবৎ চঁৎরভুরহম ঞধনষবঃ” মজুত রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোধে ইতোমধ্যে ৫১ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লিচিং পাউডার ছিটানো অব্যাহত আছে। 
এগারোটি আশ্রয়কেন্দ্রে মহিলাদের জন্য ৪ ইউনিটবিশিষ্ট প্রতিকেন্দ্রে ১০টি করে ১১০টি বা ৪৪০ ইউনিট গোসলখানা নির্মাণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৩৯৬ ইউনিট গোসলখানা নির্মাণ করা হয়েছে।
#
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/২০২২ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৭৬
 
মিয়ানমার নাগরিকদের সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) : 
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তাদানের অংশ হিসেবে সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কক্সবাজার সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ৩৬টি মেডিকেল টিম ক্যাম্পগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩ শত ৩৪ জনকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে।
মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার অস্থায়ী ঘর নির্মাণের বিপরীতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২ শত ২৪ টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫ লাখ মিয়ানমার নাগরিককে নতুন এলাকায় আশ্রয় প্রদান করা হয়েছে। 
নতুন ক্যাম্প এলাকায় অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে উখিয়ার রাবার বাগান এলাকায় ১টি এবং টেকনাফের উনচিপ্রাং এলাকায় ১টি অস্থায়ী ফায়ার সার্ভিস ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 
মিয়ানমার নাগরিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে উখিয়া, টেকনাফ ও রামুর ১১টি স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার থেকে উদ্ধারকৃত ৩০ হাজার ২ শত ১৩ জন ও অন্যান্য জেলা থেকে উদ্ধারকৃত ৭ শত ৯ জনকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নৌকাডুবিসহ নৌদুর্ঘটনায় ১ শত ৮৬ জন মিয়ানমার নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
  বান্দরবানে থাকা ১৭ হাজার মিয়ানমার নাগরিকের মধ্যে ৭ হাজার জনকে উখিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকী ১০ হাজার জনের স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক বাস্তবায়িত নতুন ক্যাম্প এলাকায় ১৭ কিমি নতুন বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের বিপরীতে ৯ কিমি লাইন সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাম্প এলাকায় ৪০টি নিরাপত্তা বাতি বসানো হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ৯৯ টি বাতি সংবলিত ৩৩ টি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। আরো ১৭টি প্যানেল স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 
নতুন ক্যাম্প এলাকায় এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত ২৯ কিমি সড়কের মধ্যে ১০টি সড়কের শতকরা ৬৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। 
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৪ শত ৮৭ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। 
#
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৯৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৭৫
 
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) : 
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। 
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ২৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৪৬ ট্রাকের মাধ্যমে ১০৮ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার ৮ শত ৭৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬ হাজার ৫ শত ৯৪ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ১ হাজার ২ শত ৫০ প্যাকেট রান্না করা খাবার, ১ হাজার ৩ শত ৫০ পিস পোশাক, ৫ শত পিস গৃহস্থালিসামগ্রী,  ২ শত পিস অন্য সামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।  
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ পর্যন্ত কক্সবাজার ৪টি খাদ্য গুদামে প্রাপ্তি ও প্রদানের পর ৯৭৭ মেট্রেক টন চাল, ৮৩ মেট্রেক টন ডাল, ৯৯ হাজার ২৯ লিটার তেল, ৬৭ মেট্রেক টন লবণ, ৮৮ মেট্রিক টন চিনি, ৯ হাজার ৪ শত ৮ কেজি আটা, ৮১ হাজার ৮ শত ৭০ কেজি গুঁড়ো দুধ, ২৫ কেজি মুড়ি, ১৪ হাজার ৯ শত পিস ও ৪৮৯ বান্ডিল কম্বল, ৫১১টি তাঁবু ও ত্রিপল মজুত রয়েছে।   
#
 
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৯৪০ ঘণ্টা
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৭৪
 
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) : 
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
 
আজ কুতুপালং -১ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ শত ৯৫ জন পুরুষ, ১ হাজার ১ শত ৩৪ জন নারী মিলে ২ হাজার ৫ শত ২৯ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ১ হাজার ৯৫ জন পুরুষ, ১ হাজার ১ শত ২৬ জন নারী মিলে ২ হাজার ২ শত ২১ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৪ শত ৭৩ জন পুরুষ, ৫ শত ৬৬ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩৯ জন, থাইংখালী -১ ক্যাম্পে ৯ শত ৭২ জন পুরুষ, ১ হাজার ৭ শত ২৩ জন নারী মিলে ২ হাজার ৬ শত ৯৫ জন, থাইংখালী -২ ক্যাম্পে ১ হাজার ৮১ জন পুরুষ, ৯ শত ১৭ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯ শত ৯৮ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৫ শত ৫ জন পুরুষ, ১ হাজার ৩ জন নারী মিলে ২ হাজার ৫ শত ৮ জন, লেদা ক্যাম্পে ৩ শত ৯৬ জন পুরুষ, ৩ শত ৬৮ জন নারী মিলে ৭ শত ৬৪ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ১৩ হাজার ৭ শত ৫৪ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
 
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ শত ১৪ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট অনুযায়ী ২৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৯ হাজার। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।
#   
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৯৩৮ ঘণ্টা
 
 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৭৩
 
বঙ্গোপসাগর এবং ব্লু ইকোনমি আনবে উন্নতির নতুন ধাপ 
                                                -- তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
 
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বঙ্গোপসাগর এবং ব্লু ইকোনমি দেশকে উন্নতির নতুন ধাপে নিয়ে যাবে। 
 
আজ রাজধানীর মিরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে তাদের আয়োজিত নৌ-স্থাপত্য ও সমুদ্রতীর প্রকৌশলে স্নাতক পর্যায়ের পাঠ্যক্রম নির্ধারণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, মেরিটাইম বা সাগর সংক্রান্ত বিদ্যা আয়ত্ত করার মধ্যদিয়ে বঙ্গোপসাগরে নতুন অর্থনৈতিক দুয়ার উন্মোচন করা সম্ভব। ডিজিটাল প্রযুক্তির পাশাপাশি মেরিটাইম অর্থনীতি বা ব্লুু ইকোনমিও দেশকে অতিদ্রুত উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। আর এজন্য মেরিটাইম নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা, সাগরে পর্যটন, সাগরের ঢেউ ও বায়ু থেকে শক্তি উৎপাদন, তীরবর্তী অঞ্চল থেকে খনিজ আহরণ, অগভীর সাগরে নতুন ভূমি সৃষ্টি, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, মৎস্যসম্পদ আহরণ, নির্বিঘœ নৌ চলাচল, নৌদূষণ দূরীকরণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং এসকল ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল সৃষ্টিসহ সাগরকেন্দ্রিক অর্থনীতি ও পরিবহণ সংক্রান্ত সকল বিষয় গবেষণা ও উন্নত শিক্ষা একান্ত আবশ্যক, বলেন হাসানুল হক ইনু।
 
তথ্যমন্ত্রী এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, এখনও এদেশের এক মুঠো মাটি  চেপে ধরলে একফোঁটা রক্ত বেরুবে, মাটিতে কান পাতলে শোনা যাবে লাখো 
মা-বোনের বুকফাটা আর্তনাদ। দেশপ্রেম, মা-বাবা ও শিক্ষকদের সম্মান সবার আগে, বলেন তিনি। দেশপ্রেম বুকে নিয়ে শান্তি-সুশাসন, দুর্নীতি-দলবাজিমুক্ত ও বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রিয়াল এডমিরাল এ এস এম আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন।
 
#
 
আকরাম/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৭২
 
সমন্বিত উদ্যোগে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে
                                    ---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সমন্বিত উদ্যোগে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এলএনজি, এলপিজি বা কয়লার বহুমুখী ব্যবহার করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সহজ প্রাপ্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। 
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় এনইসি-২ সম্মেলনকক্ষে ‘ইনস্টলেশন অভ্ সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন’ শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অবকাঠামোগত মহাপরিকল্পনা বা অর্থনৈতিক উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডিপিডিসি বা পিজিসিবি’র প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ডিপিডিসির প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ঢাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। 
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এই মুহুর্তে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ সৃজন হয়েছে- যা শুধু সরকার-টু-সরকার খাতেই নয় অন্যান্য খাত থেকেও অর্থায়ন করা যেতে পারে। ‘ডিজাসটার ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেসকিউ টিম’ গঠনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে এ খাতে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। 
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য বৃদ্ধি পাবে এবং অপরিশোধিত তেল আমদানিতে সিস্টেম লস অনেকাংশে কমে যাবে। সার্বিকভাবে বার্ষিক প্রায় এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।  
ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টে চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত মা সিংকিয়াং (গধ গরহময়রধহম) এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম স্বাক্ষর করেন। অন্যান্যের মাঝে বিপিসি’র চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমতুল মুনীম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
আসলাম/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯২০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৭১
 
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিমান যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দিগন্ত প্রসারিত হতে যাচ্ছে। এয়ার কানাডা ঢাকার সাথে দিল্লী পর্যন্ত ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে। এ ফ্লাইটের যাত্রীরা দিল্লী থেকে সরাসরি কানাডার টেরেন্টো অবতরণ করবেন। টরেন্টো ধেকে প্রতিদিন অনেকগুলো ফ্লাইট নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের যাত্রীর রুটে নিউইয়র্ক পর্যন্ত যেতে পারবেন। এর জন্য কানাডার সাথে প্রয়োজনীয় অরৎ ঝবৎারপব অমৎববসবহঃ ইতঃপূর্বে সম্পাদিত হয়েছে।  
আজ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সাথে ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার ইবহড়রঃ চৎবদভড়হঃধরহব এর সাথে বৈঠককালে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 
এসময় মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরো জোরালো ভূমিকা প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে হাইকমিশনার জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ যে মানবিক আচরণ করেছে তা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কানাডা দৃঢ়ভাবে বলেছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে। এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে কানাডা একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী এ ব্যপারে কঠোর বিবৃতি দিয়ে মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে।
#
 
তুহিন/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯১৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৭০
 
বাংলাদেশ জাইকা এলামনাই এসোসিয়েশনসমূহ ফোরামের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
 
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
বাংলাদেশ সার্কভুক্ত দেশসমূহের জাইকা এলামনাই এসোসিয়েশনসমূহ ফোরামের নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। ২৮ অক্টোবর ২০১৭ ঢাকায় ফোরামের এক সভায় আগামী দুই বছরের জন্য নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
 সভায় কমিটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জাইকা এলামনাই এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের মোঃ ইজার উদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতের ড. ও পি দেওল (উৎ. ঙ চ উবধিষ) ও পাকিস্তানের প্রফেসর সাইয়েদ আহমাদ আলী শাহ (ঝুবফ অযসধফ অষর ঝযধয), মহাসচিব নেপালের ড. রাম চন্দ্র ভুশাল (উৎ. জধস ঈযধহফৎধ ইযঁংধষ), সেক্রেটারি শ্রীলংকার চিত্রাল জয়াবর্ধনে ( ঈযরঃৎধষ ঔধুধবিৎফধহব), কোষাধক্ষ মালদ্বীপের জিয়াদ হুসাইন (তরুধফ ঐঁংংধরহ) নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশের প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিয়া, ভূটানের দাওয়া পেঞ্জর (উৎ. উধহি চবহলড়ৎ), পেমা গিয়েলপো (চৎসং এুৎষঢ়ড়) ও নামগে (ঘধসমধু), ভারতের ড. প্রদীপ গুপ্তা (উৎ. চৎধফববঢ় এঁঢ়ঃধ) ও এম এ খান এবং মালদ্বীপের আহমেদ আতিফ (অযসবফ অঃযরভ) ও আলী মিশাল (অষর গরংযধষ), নেপালের শান্তি লাক্সমি শাক্য (ঝযধহঃর খধীসর ঝযধশুধ) ও কেদার পউডেল (কবফধৎ চধঁফবষ), পাকিস্তানের নুর মুহাম্মদ সাজিদ (ঘড়ড়ৎ গঁযধসসধফ ঝধলরফ) ও সাইয়েদ মুহাম্মদ সুলেমান (ঝুবফ গঁযধসসধফ ঝঁষবসধহ) এবং শ্রীলংকার পি আই পাথিরাতেœ (চও চধঃযরৎধঃযহব) ও শ্যাম চন্দ্রসেনা (ঝধস ঈযধহফৎধংবহধ)। সভায় নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ফোরামের সচিবালয় স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  
#
 
মাসুম/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯০০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৬৯
 
সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তায় নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের দাবি খুবই যৌক্তিক
                                                        --- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তায় নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের দাবি খুবই যৌক্তিক এবং শিগ্গিরই তা গঠন করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে। আজ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম বিজেআরএফ উদ্যোগে সিডনী প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলের সহায়তায় ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জেলার সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮জন সাংবাদিককে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিকরা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের কল্যাণে আইন করেছিলেন। বতর্মান প্রধানমন্ত্রীও সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্টসহ অনেক কিছু করেছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের আর্থিক নিরপাত্তা নিশ্চিত করতে ওয়েজবোর্ড গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । মন্ত্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য সিডনী প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আতাউর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বর্তমানের উপদেষ্টা সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক, প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সিডনী প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মেদ আবদুল মতিন, সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ খান, নিরাপদ নিউজের উপদেষ্টা সম্পাদক লায়ন গণি মিয়া বাবুল, সাংবাদিক গ্যালমান সফি, হেমায়েত হোসেন প্রমুখ।
দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, নীলফামারী,পুটয়াখালী, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলার ১৮ জন সাংবাদিক সিডনী প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিল আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
#
 
মারুফ/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৫৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৬৮
 
ঢাকা মহানগরীর উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয় সংক্রান্ত ১ম সভা
 
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
ঢাকা মহানগরীতে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ও উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয় সংক্রান্ত প্রথম সভা আজ  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। 
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা মহানগরীর সেবা সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয়ের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত আগস্ট মাসে এই কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় ঢাকা মহানগরীর নাগরিক ভোগান্তির কারণ এবং তা নিরসনের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নাগরিক ভোগান্তির কারণ হিসেবে আর্বিভূত হয়। এছাড়া যথাযথ পরিকল্পনার অভাব, মানুষের অসচেতনতা এবং দখলদারিত্বের কারণে ভোগান্তি বৃদ্ধি পায়।
সভায় বিভিন্ন সংস্থাকে পরস্পরের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়া গাফিলতির জন্য জরিমানা প্রথা চালুর সুপারিশ করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
 
#
 
নজরুল/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৮৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৬৭
 
রোহিঙ্গা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা 
 
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, এমন ৩ লাখ ৬৫ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে অবশিষ্টদের নিবন্ধন শেষ হবে বলে পাসপোর্ট অধিদপ্তর আশা করছে। ইতোমধ্যে ২৩ হাজার ৫৯০ জন এতিম সনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। এর মধ্যে ৪ হাজার শিশু রয়েছে যাদের বাবা-মা কেউ নেই।
আজ সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিবের সভাপতিত্বে রোহিঙ্গা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব, পরিসংখ্যান সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার পরিবারের শেড নির্মাণ করা হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ১ লাখ ৫০ হাজার পরিবারের শেড নির্মাণ সম্পন্ন হবে। সভায় আরো জানানো হয়, ২০টি ব্লকে বিভক্ত ক্যাম্পের প্রত্যেক ব্লকে ১টি করে কমিউনিটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানানো হয়, ক্যাম্পে প্রতি চার ব্লকের জন্য একটি পুলিশক্যাম্প স্থাপন করা হবে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বর্তমানে পুরো ক্যাম্প এলাকা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছে। সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা কর্তৃক এক বাংলাদেশি হত্যা প্রসঙ্গে বলা হয়, ইতোমধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য ক্যাম্পে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যুতের প্রত্যেক খুঁটিতে একটি করে লাইট স্থাপন ও একটি পর একটি খুঁটিতে সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য সভায় সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের খোলা আকাশের নিচ থেকে শেডে জায়গা দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য মানবিক সকল ধরনের সহযোগিতা দিয়েছে বাংলাদেশ। অতি দ্রুত এসব নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মন্ত্রী মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান।
#
 
ওমর ফারুক/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮১০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৬৬
 
রোহিঙ্গা শিশুদের সুরক্ষায় বিশ্বসম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে
                                         -- বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
 
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন,  রোহিঙ্গা শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের  চাহিদাপূরণের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশর নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়কেও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। এসব শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য তাদেরকে নিজ বাসভূমি রাখাইনে ফেরত নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে। এ জন্য জাতিসংঘকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ডিআরইউ আয়োজিত ‘শিশুর অধিকার ও বিশ্ব মানবতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
 
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ উত্তম কুমার বড়ুয়া,  ইউনিসেফের ফারিয়া আলম এবং সাংবাদিক সলিম সামাদ। 
 
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা শরাণার্থীদের মধ্যে প্রায় ষাট হাজার নারী সন্তানসম্ভবা। শরণার্থী শিবিরে এসব নারীদের পরিচর্যা সম্ভব নয় তাই দ্রুত এসব মহিলাসহ সকল রোহিঙ্গাকে দ্রুত ফিরিয়ে না নিলে মানবিক বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। 
 
#
 
মাহবুবুর/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/১৮০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৬৫
 
শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে দেয়া হবে 
ঈড়সঢ়ষরধহপব ঊীপবষষবধহপব অধিৎফ
 
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
সরকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের স্বীকৃতি এবং কলকারখানার মালিকদের মধ্যে এ বিষয়ে উৎসাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে “ঈড়সঢ়ষরধহপব ঊীপবষষবধহপব অধিৎফ” প্রবর্তন করছে।
আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিলের তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক (চুন্নু) সভাপতিত্ব করেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালন করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কলকারখানার শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্বের ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির ৭টিই বাংলাদেশে। এ অর্জন আমাদের গর্বের। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরে গত ৪ বছরে বাংলাদেশের কলকারখানা বিশেষ করে তৈরিপোশাক শিল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে কারখানাগুলোতে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন কমপ্লায়েন্স কারখানা গড়ে উঠছে। 
শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং অন্যান্য মালিকদের মধ্যে কলকারখানায় শোভন কর্মপরিবেশের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে “জাতীয় শিল্প স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল” সর্বসম্মতভাবে ঈড়সঢ়ষরধহপব ঊীপবষষবধহপব অধিৎফ প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল ২০১৮ জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদ্যাপনের দিন প্রথমবার
Todays handout (9).docx