Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st ফেব্রুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৭০১

জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে

                                   --  কৃষিমন্ত্রী

 

দুবাই (২১ ফেব্রুয়ারি) :  

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে জলবায়ু ন্যায়বিচার (climate justice)  প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে উন্নত দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

আজ সোমবার বিকালে দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে জলবায়ুর জন্য কৃষি উদ্ভাবন মিশনের (এগ্রিকালচার ইনোভেশন মিশন ফর ক্লাইমেট/AIM for Climate) প্রথম মন্ত্রিপর্যায়ের মিটিংয়ে কৃষিমন্ত্রী  এ আহ্বান জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ মিটিংয়ের আয়োজন করে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আজ ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার ও ন্যায়বিচার  প্রতিষ্ঠায় প্রাণ দিয়েছে। এই দিনে আমি উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান জানাই। উন্নত উৎপাদন, উন্নত পুষ্টি, উন্নত পরিবেশ, উন্নত জীবন গঠনে অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু স্মার্ট কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে  প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে হবে ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভূমিকা খুবই কম, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে- বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি জলবায়ু ইস্যুকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে চায়। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ও ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এ প্রচেষ্টার অংশ।

বাংলাদেশ ইউএই ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সাথে জলবায়ু মোকাবেলায় কাজ করবে বলে জানান মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, এআইএম ফর ক্লাইমেট সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি যৌথ উদ্যোগ। গতবছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু। ২০২১-২৫ মেয়াদে ৫ বছরব্যাপী এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় জলবায়ু স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি ও ফুড সিস্টেম উদ্ভাবনে/ইনোভেশনে বর্ধিত বিনিয়োগ, গবেষণা ও সহযোগিতা সম্প্রসারণ। প্রাথমিকভাবে এখাতে ৪ বিলিয়ন ডলার বর্ধিত বিনিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ বর্তমানে ৩৬টি দেশের সরকার ও ৭৫ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এআইএম’র অংশীদার।

মিটিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রী মারিয়ম আলমেইরি, যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব এগ্রিকালচার থমাস জে ভিলস্যাকের সভাপতিত্বে  প্রায় ৩০টি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও অন্যান্য বেসরকারি প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। 

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

#

কামরুল/নাইচ/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৯.৩০ ঘণ্টা 

 

Handout                                                                                                              Number : 700

 

Shahriar Alam urges more engagements with India

 

Dhaka, 21 February:

 

State Minister for foreign affairs Md. Shahriar Alam has met Meenakashi Lekhi, Minister of State for External Affairs and Culture of India in New Delhi today.

 

During the meeting, both the state ministers expressed satisfaction on the ever growing bilateral relations between the two neighbouring countries and agreed to exert all efforts to bring it up to a new height. They have also emphasised the need to elevate the level of engagement among the peoples from both countries to make the relations much effective.

 

Before the bilateral meeting of the state ministers, Indian Foreign Secretary Harsh Vardhan Shringla paid a visit to Bangladesh delegation at the Pride Plaza Hotel and engaged in a warm discussion with them.

 

#

 

Mohsin/Nice/Mosharaf/Salim/2200/2300 Hrs. 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর:   ৬৯৯

 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সিউলে

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

 

সিউল (দক্ষিণ কোরিয়া), ২১ ফেব্রুয়ারি :

 

বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।

 

 এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস ইউনেস্কো সম্পর্কিত কোরিয়ান জাতীয় কমিশনের সাথে যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউনেস্কো সম্পর্কিত কোরিয়ান জাতীয় কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মেক্সিকো, ভারত, রুয়ান্ডা, সুইজারল্যান্ড, বুলগেরিয়া ও ডোমিনিকান রিপাবলিক-এর রাষ্ট্রদূতগণ ও বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনৈতিকবৃন্দ, কোরিয়ার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন প্রারম্ভিক বক্তব্য এবং ইউনেস্কো সম্পর্কিত কোরিয়ান জাতীয় কমিশনের সহকারী মহাসচিব স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন তাঁর প্রারম্ভিক বক্তব্যে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন যিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন এবং  বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়ে যান। রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন তাঁর বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি ও তাৎপর্য এবং মাতৃভাষা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত উদ্যোগসমূহ তুলে ধরেন।

 

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ব্যুরোর উপমহাপরিচালক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো)-এর মহাপরিচালকের বাণী পাঠ করা হয়। এরপর, মেক্সিকো, ভারত, রুয়ান্ডা ও সুইজারল্যান্ড-এর রাষ্ট্রদূতগণ  মাতৃভাষা উন্নয়ন ও সুরক্ষায় স্ব স্ব দেশের সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন  উদ্যোগসমূহের উপর বিস্তারিত বক্তব্য প্রদান করেন।     

 

আলোচনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারত, কলম্বিয়া ও  শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা বর্ণিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে স্ব স্ব দেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন।   

 

এদিন সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতঃপর দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-এর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর দিবসের পটভূমি ও তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

 

এর পূর্বে, একুশের প্রথম প্রহরে, রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন আনসান শহরের মাল্টিকালচারাল পার্কে অবস্থিত স্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

#

 

নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর: ৬৯৮

 

বাংলা এবং বাঙালির জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদানকে জাতি হিসেবে সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব

                                                                                       -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের পটভূমি সৃষ্টি, ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া, বিকশিত করা এবং  বাংলা ভাষাভিত্তিক জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা  বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের ফসল। তিনি বলেন স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠাসহ বাংলা টাইপ রাইটার যন্ত্রটিও বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই এসেছে। বাংলা এবং বাঙালির জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদানকে জাতি হিসেবে সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব। বিচারালয়সহ সর্বত্র বাংলা ভাষাকে যথাযথ মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।  

মন্ত্রী আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবন মিলনায়তনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ  আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে  বাংলাদেশ  ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিন, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন এবং টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মশিউর রহমান  বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থাসমূহে বিশেষ করে ডাক অধিদপ্তরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যমান পুরাতন ফরমগুলোকে বাংলায় চালু করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার শক্তি অনেক সুদৃঢ়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, বাংলা ভাষা বাঙালির রক্তের সঙ্গে, মেধা মননের সঙ্গে এবং মায়ের মুখের সঙ্গে মিশে আছে। মন্ত্রী বলেন, পিতার পথ ধরে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলায় ভাষণ দেন। তিনি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করতে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘বিদেশি শক্তি যখন যারাই এদেশ শাসন করেছে, তারা তাদের ভাষা এদেশে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা বাঙালির মায়ের মুখের বাংলা ভাষাকে কেড়ে নিতে পারেনি।’ বাংলায় এসএমএস বা নোটিফিকেশন রূপান্তরের পেছনের  কাজগুলো চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও সেটি করা হয়েছে।  এই ঘটনাটি মাতৃভাষা, মা-মাটি ও মাতৃভূমির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে মন্ত্রী  উল্লেখ করে বলেন, ২০১৮ সালে আমরা গ্রাহকদের কাছে বাংলায় এসএমএস পাঠাতে মোবাইল অপারেটরদেসমূহকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালে আমরা বাংলাকে প্রযুক্তিতে প্রয়োগে উৎসাহিত করতে বাংলা এসএমএস এর মূল্য শতকরা ৫০ ভাগ হ্রাস করা হয়।  এরই ধারাবাহিকতায় আমরা গতকাল এসএমএস এবং নোটিফেকশন বাংলায় পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করেছি। ‘আশা করি অপারেটরসমূহ আগামী জুনের মধ্যে তারা শতভাগ নোটিফিকেশন এবং এসএমএস গ্রাহকদের নিকট বাংলায় পাঠাতে পারবে।’

সভাপতির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ ভাষা উল্লেখ করেন।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক পেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় আমাদের বড় অর্জন এবং বঙ্গবন্ধু ছিলেন এই অর্জনের মহানায়ক। 

এর আগে সকালে মন্ত্রী ও সচিবের নেতৃত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থার পক্ষ থেকে মগবাজার টিএন্ডটি হাইস্কুলে স্থাপিত  শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

#

 

শেফায়েত/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২.৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর: ৬৯৭

 

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে পালিত হলো মহান

‘ভাষা শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’

 

কলকাতা (ভারত), ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :   

 

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ পালিত হলো মহান ‘ভাষা শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২’।

 

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কলকাতায় বাঙালি সংস্কৃতির কবি, সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতি কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রভাতফেরি হয়ে উঠেছিল উৎসবের মহাক্ষেত্র। বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল সদস্যের উপস্থিতিতে এ আলোর মিছিল পার্ক সার্কাসের ‘বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র’ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণিতে বাংলাদেশ মিশনের শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শহিদ মিনারে পুষ্প অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদের ওপর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

 

          মহান ‘ভাষা শহিদ দিবস‘ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

 

এর আগে উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা অর্ধনমিত করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এরপর ভাষা শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

 

২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ‘ভাষা শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর গুরুত্ব তুলে ধরতে আজ বিকেলে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে (৯, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণি, কলকাতা-৭০০০১৭) এক বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের স্বাগত বক্তব্যের পর কলকাতায় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট প্রতিনিধিগণ তাদের নিজ নিজ ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা চমৎকার সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে।

 

#

 

রঞ্জন/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২.২০ ঘণ্টা 

 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৬৯৬

 

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে মহান শহিদ দিবস ও

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২’ উদ্‌যাপন

 

ইস্তাম্বুল, তুরস্ক (২১ ফেব্রুয়ারি):  

 

ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২’ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করেছে। প্রভাতফেরির মাধ্যমে ভাষা শহিদদের স্মরণে কনস্যুলেটে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর তুরস্কে বসবাসরত উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এবং মিশনের কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মাসুদ পারভেজ জাতীয় পতাকা অর্ধনির্মিতকরণ করেন। কনস্যুলেটের ‘ফ্রেন্ডশিপ হল’-এ ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মাসুদ পারভেজের সভাপতিত্বে তুরস্কে বসবাসরত উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এরপর দিবসটির উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 

ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল পারভেজ বক্তব্যের শুরুতে ভাষা সৈনিকসহ সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জাপন করেন, যারা বাংলা ভাষার অধিকার ও মর্যাদা আদায়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি  ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ ভূমিকা ও অসামান্য অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।  তিনি অমর একুশের প্রেক্ষাপট, পটভূমি ও জাতীয় জীবনে এর গুরূত্ব বর্ণনা করে তিনি এর চেতনা ও প্রেরণাকে ধারণ ও লালন করে দেশের উন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান করেন। তিনি মহান ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণাসহ বিশ্বের বিভিন্নদেশে শহিদ মিনার স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি তুরস্কের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকরণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আরো অর্থবহ রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

 

জনাব পারভেজ বলেন যে, কনস্যুলেটের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষাশিক্ষা কোর্স চালুর জন্য ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সহযোগিতা প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে ভাষাশিক্ষা কোর্স চালুর জন্য সিলেবাস প্রণয়ন চলমান রয়েছে, খুব শীঘ্রই কোর্স শুরু হবে বলে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। তিনি বাংলা ভাষা, ইতিহাস, সাহিত্য ও সৃষ্টিশীল কর্ম তুর্কি ভাষায় অনুবাদ করার ক্ষেত্রে তুরস্কে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতা কামনা করেন। উন্মুক্ত আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং তুরস্কে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশে তাদের অভিজ্ঞতা ও মূল্যবান পরামর্শ ব্যক্ত করেন। কনস্যুলেটের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রশংসা করে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী বাংলাদেশিবৃন্দ কনস্যুলেটকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। 


#

 

নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২.১০ ঘণ্টা 

Handout                                                                                                         Number: 695

 

22nd Anniversary of International Mother Language Day

and Martyrs’ Day observed in Tashkent

 

Tashkent (Uzbekistan), February 21:

           

Bangladesh Embassy observed in Tashkent Martyrs’ Day and International Mother Language Day with due solemnity and respect to the sacrificed souls for mother tongue. Floral wreath was placed in Shaheed Minar set up at the Chancery of Bangladesh Embassy. National flag was hoisted along with national anthem at half-mast to mark the occasion. 

 

Following the occasion one minute`s silence was observed in memory of language martyrs. A Documentary film and theme song was screened on this occasion. Bangladesh Ambassador Md Zahanagir Alam read out the message of President and Minister & DCM Nripendra Chandra Debnath read out the message of Prime Minister. 

 

In the discussion part of the event Director for Indian Cultural Centre Lal Bahadur Shastri Dr. Chander Shekhar, Former Ambassador of Uzbekistan to India Surat Mirkasimov, winner of International Mother Language International Award 2021 Dr. Gulom Ismailov, Freedom fighter and Engineer Gulom Nabi from Bangladesh Community delivered speeches. Students of the University of World Languages under the guidance of Professor and awardee of “Do’stlik” (Friendship) medal Prof. Mrs. Begoyim Kholbekova recited poems in English, Russian and Uzbek languages.

 

Bangladesh Ambassador delivered the closing speech and appreciated all the guests present. Special gifts marking the occasion were distributed to all the participants. In the end of the event all guests participated in a special program of procession with banner holding placards inscribed with letters of different languages commemorating 21st February 1952.

 

Meanwhile, the Committee on Interethnic Relations and Friendship Cooperation with Foreign Countries under the Cabinet of Ministers of the Republic of Uzbekistan also observed program in conformity with Embassy of Bangladesh to commemorate the day.

 

#

 

Nripendra/Nice/Rahat/Mosharaf/Salim/2022/20.50 Hrs.

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৬৯৪

 

মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে অমর একুশে ২০২২ উদ্‌যাপন

 

মুম্বাই (ভারত), ২১ ফেব্রুয়ারি :

 

মুম্বাইতে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে মুম্বাইয়ের প্রেসিডেন্ট হোটেলে অমর একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের নিমিত্তে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান এডমিরাল (অবঃ) ভিষ্ণু ভগওয়াৎ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওয়ার ভ্যাটেরান কমান্ডার বিজয় ভাদেরা।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুম্বাইস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার। এরপর জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ভাষা সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি ?’ গানে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে আবেগ জাগরিত হয়ে উঠে। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। স্থানীয় মাতৃভাষাপ্রেমী জনৈক কিশোর বাংলায় কবিতা আবৃতি করেন। আলোচনা সভায় আলোচকগণ প্রত্যেকেই নিজ নিজ মাতৃভাষার সংরক্ষণ এবং প্রচারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী বাংলাদেশি সুজন সাহা এবং সোয়েব ইমরান।

 

মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান শহীদ দিবসের তাৎপর্য এবং স্বাধীনতা অর্জনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে আমাদের মহান ভাষা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। যে সকল শহীদ সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করেছেন তাঁদের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে তিনি স্মরণ করেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন ভাষা আন্দেলনে আমাদের যে আত্মত্যাগ তা বিশ্বের ইতিহাসে শুধু এক অনন্য নজিরই স্থাপন করেনি বরং তা ছিল বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা সমুন্নত রাখার এক অসাধারণ প্রয়াস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপটও তিনি তাঁর বক্তব্যে অবহিত করেন।

 

আলোচনাপর্ব শেষে দিবসটির উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 

#

 

নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর:  ৬৯৩

 

একুশের চেতনাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি বাঙালিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে

                                                                                                     -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :  

 

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, একুশের চেতনাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি বাঙালিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলা ভাষার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশ্বপরিচয়ে বাঙালি হয়ে উঠবে অনন্য এক শক্তিশালী ও সম্মানিত জাতি।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা  দিবস-২০২২  উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পবিত্র কোরআনখানি,  আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাষা আল্লাহ পাকের এক মহা নেয়ামত। প্রত্যেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা ভাষার নেয়ামত দান করেছেন। মাতৃভাষা বা মায়ের ভাষায় নিজের ভাব প্রকাশ করা মানুষের জন্মগত অধিকার। এই অধিকার রক্ষার আন্দোলন করেই বাংলার দামাল ছেলেরা পৃথিবীতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাতৃভাষা প্রত্যেকটি জাতির জাতিসত্তা বিকাশের অনবদ্য মাধ্যম। মাতৃভাষা আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদা সমৃদ্ধ মর্যাদা দিয়ে থাকে। মাতৃভাষার মর্যাদার ওপর ভিত্তি করেই একটা জাতিকে এগিয়ে যেতে হয়। এই পথচলায় বিপত্তি ঘটে পরাধীন জাতির। তাই বাংলাদেশের জনগণকে জ্ঞানের সব স্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োগ বৃদ্ধিতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভাষার অধিকারের পথ ধরেই গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অধিকারের দাবি উচ্চারিত হয়েছিল। শুরু হয়েছিল স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের সংগ্রাম। এরপর ’৭০-এর নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

 

তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের রক্ত বৃথা যায়নি। ভাষা  শহিদদের  কল্যাণেই এখন ‘আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস’-এর স্বীকৃতি পেয়ে বাংলা গৌরবের আরেক ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছে।

 

ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পবিত্র কোরআনখানি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মোঃ মতিউল ইসলাম, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ ফারুক আহাম্মেদ, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার।

 

অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদগণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী বীর শহিদগণের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসুল্লি দোয়া-মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।

 

#

 

আনোয়ার/নাইচ/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১.০০ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ৬৯২

 

ভাষা আন্দোলনের অজানা ইতিহাস নিয়ে আরো গবেষণার আহ্বান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :  

 

ভাষা আন্দোলনের অজানা ইতিহাস নিয়ে আরো তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

 

প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথি নিয়ে প্রকাশিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অভ্‌ ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অভ্‌ দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক সিরিজ গ্রন্থসমূহের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা প্রকাশিত হয়েছে। এখনো ভাষা আন্দোলনের অনেক অজানা ইতিহাস রয়েছে। এ নিয়ে আরো তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও গবেষণা জরুরি। আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে আরো গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পূর্বেই ১৯৪৭ সালের ৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার টিকে থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বলে জানা যায়।  ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’- মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়। কে এম খালিদ বলেন, ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ও ইতিহাস রয়েছে। এসব বিষয়সহ ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে বিশদ গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্

2022-02-21-17-01-0dda98ac6e77fa7936f10be064d4a001.doc