তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৯০
গ্রাম আদালত ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে কাজ করছে
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ পাইলট প্রকল্প ২০০৯-২০১৫ সাল মেয়াদে ১৪টি জেলার ৫৭টি উপজেলার ৩৫১টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হয়। এটি ২য় পর্যায়ে ইউএনডিপি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ও বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে জানুয়ারি ২০১৬ হতে দেশের ৮টি বিভাগের ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে কাজ করছে। গত সাত বছরে ৭০ লাখের বেশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিচারিক সহায়তা পেয়েছে, যা দেশে-বিদেশের স্টেকহোল্ডারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ প্রকল্পটির ২য় পর্যায়ের কর্মকা-ের ওপর আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক ও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইইউ প্রতিনিধি মারিও রনকোনি, ইউএনডিপির দেশীয় পরিচালক সুদীপ্ত মূখার্জি ও প্রকল্প সমন্বয়ক সরদার এম আসাদুজ্জামান।
স্থানীয় সরকার সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তৃণমূলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সুফল পৌঁছে দিতে সুপ্রাচীন প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করেছে, যা অতীতের চারদলীয় জোট সরকার সাহস করেনি। সরকার বিভিন্ন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে। গ্রাম আদালত এমন একটি সেবা যা জনগণের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করতে পারে। এটি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতি বাড়াতে কাজ করছে।
সভায় জানানো হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ প্রকল্পের প্রথম ও ২য় পর্যায় বাস্তবায়নের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ৪০ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি অর্থ সহায়তা দিয়েছে। এর সঙ্গে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের কাছে বিচারিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আরো ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার সহায়তা করেছে। ২য় পর্যায়ে এটি ২ কোটি ১০ লাখ গ্রামীণ ও দরিদ্র জনগণকে উন্নত আইনি সহায়তা দেবে।
কর্মশালায় আরো জানানো হয়, গ্রাম আদালতকে সাহায্য করতে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৯শ’ ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ৩ হাজার ৫শ’ ২৯ গ্রাম পুলিশ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এ প্রকল্পের প্রথম ছয় বছরে ৮৭ হাজার ২শ’ মামলার মধ্যে ৬৯ হাজার ২শ’টি মামলা সাফল্যের সঙ্গে সমাধান করা হয়েছে, জেলা আদালত হতে বিচারযোগ্য ৬ হাজার মামলা গ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এসব মামলা ২৮ দিনে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। গ্রাম আদালতে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৯.৩ কোটি টাকা বা ৩.৭৯ ইউএস ডলার আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
#
আহসান/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/২০১৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮৯
মাউশি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের জন্য গাড়ি হস্তান্তর
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আজ ঢাকায় অধিদপ্তরে ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের জন্য গাড়ি বিতরণ করে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আঞ্চলিক পরিচালকদের হাতে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, মাউশি’র মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং মাউশি’র পরিচালক (ক্রয়) ড. মোঃ মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মাউশি’র ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকদের ব্যবহারের জন্য গাড়িগুলো হস্তান্তর করা হয়।
সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ)-এর আওতায় মাউশির ক্রয় ও অর্থ অনুবিভাগ ই-জিপি প্রক্রিয়ায় গাড়িগুলো ক্রয় করে। এর ফলে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম গতিশীল ও জোরদার করা সম্ভব হবে।
#
আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮৮
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
দশম জাতীয় সংসদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠক কমিটির সভাপতি মীর শওকত আলী বাদশার সভাপতিত্বে আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এডভোকেট মুহম্মাদ আলতাফ আলী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কমিটি কক্সবাজার থেকে খুলনা বিভাগে এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে স্বল্প সময়ে ও নিরাপদে চিংড়ি রেনু পোনা পরিবহণ নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরিবহণ ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে দ্রুত সমন্বয় সাধন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সকল শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। কমিটি হাওর অঞ্চলে প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রেখে মাছ সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি, ২০০৯ সংশোধনপূর্বক যুগপোযোগী করার জন্য এবং প্রাণিরোগ নির্ণয়ের জন্য দেশের সকল উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আধুনিক প্যাথলজিক্যাল ল্যাব স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকের শুরুতে গত ১-৫ এপ্রিল, ২০১৭ ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
নীলুফার/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮৭
স্পিকারকে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দের অভিনন্দন
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’কে সদ্য সমাপ্ত ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি সুষ্ঠু ও সফলভাবে আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আজ অপরাহ্নে জাতীয় সংসদ ভবনে ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলির জন্য গঠিত বিভিন্ন সাব কমিটির আহ্বায়কবৃন্দ ও উইং প্রধানগণ স্পিকারকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এ সময় স্পিকার বলেন, এসেম্বলির আয়োজন ছিল একটি সফল টিমওয়ার্ক এবং আমাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন তত্ত্বাবধান কমিটির সদস্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা, প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, অনলাইন মিডিয়া, রেডিও, সিটি কর্পোরেশন, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও অর্পিত দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের কারণে আইপিইউ এসেম্বলি সামগ্রিকভাবে সফল হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এবং ধন্যবাদ জানান।
স্পিকার বলেন, আইপিইউ এসেম্বলির আয়োজন বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দায়িত্ব পালনে সকলে ছিল অঙ্গীকারবদ্ধ। ফলে বিশ্ব পরিম-লে বাংলাদেশ তার সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে। বাংলাদেশের আতিথেয়তায় বিদেশি ডেলিগেটগণ মুগ্ধ হয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, এদেশে অবস্থানকালে বিদেশি ডেলিগেটগণ ছিলেন উৎসবের আমেজে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী ও দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী সব সময় প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এবারের এসেম্বলিতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় সিনিয়র সচিব ড. আবদুর রব হাওলাদার স্পিকারকে তাঁর সার্বক্ষণিক তদারকি ও দক্ষ নেতৃত্বের জন্য আয়োজন সফল হয়েছে বলে ধন্যবাদ জানান এবং স্পিকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরে র্যাডিসন ব্লু’র পক্ষ থেকে স্পিকারকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো কেক কাটা হয়।
#
কামাল/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮৬
ভূমি প্রতিমন্ত্রী ই-নামজারি দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ম্যানুয়েল সিস্টেমের কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি ও মামলা মোকদ্দমার হার বেড়ে চলছে। তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় পুরোপুরি অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন বাস্তবায়ন করা গেলে ভূমি সেবার মান বাড়বে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তিনি ই-নামজারি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
আজ রাজধানীর মতিঝিল বিআইডব্লিউটিএ ভবনে ভূমি সংস্কার বোর্ডের অডিটোরিয়ামে ই-নামজারি সিস্টেমের বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)দের দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমি সমস্যা আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে তবে তা পুরোপুরিভাবে এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছুটা পরিবর্তনের জন্যই আমরা ভূমি অফিস মাঝে মধ্যে পরিদর্শন করি। মাঠ পর্যায়ের এসিল্যান্ড, তহসিল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে গুণগত পরিবর্তন আসছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন জনগণের সেবক হয়ে কাজ করার জন্য।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ২৫ জন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য অতিরিক্ত সচিব সালমা আখতার জাহান, এ-টু-আই প্রকল্পের পরিচালক আ. মান্নান বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮৫
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে আইটিএফসি’র নির্বাহী প্রধানের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইটিএফসি)-এর নির্বাহী প্রধান ইঞ্জিনিয়ার হানি সালম সানবুল (ঊহম. ঐধহর ঝধষড়স ঝড়হনড়ষ) আজ সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আইটিএফসি‘র নির্বাহী প্রধান বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নতির জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ১৯৭৯ সাল থেকে আইটিএফসি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে কাজ করে আসছে। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গ্রুপের সদস্য হিসেবে আইওসিভুক্ত দেশসমূহে আইটিএফসি অর্থায়ন করে থাকে। আইটিএফসি বাংলাদেশে এলএনজি শিল্পে অর্থায়ন করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কয়েকটি প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী, আইটিএফসি‘র নির্বাহী প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দিন দিন বড় হচ্ছে; বাজারও বড় হচ্ছে। কয়লা খনি, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, অন্যান্য জ্বালানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রিফাইনারি, এফএসআরইউ, এলএনজি টার্মিনাল, এলপিজি ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দিন দিন বাড়ছে। উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিদ্যুৎ আসছে; আরো আসবে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, উৎপাদনের সাথে সাথে বিতরণ, সঞ্চালন ব্যবস্থায়ও বিনিয়োগ করার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। নির্বাহী প্রধান সাক্ষাৎকালে বিনিয়োগের জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
#
আসলাম/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮৪
হাওড় এলাকায় বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় রাষ্ট্রপতির উৎকণ্ঠা
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওড় এলাকায় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল তলিয়ে যাওয়ায় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গভীর উৎকণ্ঠা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, হাওড় এলাকার জনগণ একটি মাত্র ফসলের ওপর নির্ভর করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তিনি বলেন, হাওড় এলাকার জনগণকে প্রকৃতির সাথে লড়াই করেই বাঁচতে হয়। প্রায়ই তাদেরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হতে হয়। কিন্তু এ বছরের আকস্মিক প্ল¬াবনের ক্ষয়ক্ষতি নজিরবিহীন। ফসল কাটার আগ মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে প্রতিদিনই হাওড় এলাকার জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকার জনগণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে।
রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যে হাওড় এলাকার জনগণের দুর্দশাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হাওড় এলাকার জনগণের দুর্দশা লাঘবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান।
রাষ্ট্রপতি অকাল বন্যার হাত থেকে হাওড় এলাকার জনগণকে বাঁচাতে টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি বিত্তবান ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের হাওড় এলাকার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
#
আজাদ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮৩
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পণ্যাগারে আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে কমিটি
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
রাজধানীর মহাখালীতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় পণ্যাগারে আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কলাণ বিভাগের যুগ্মসচিব মোঃ আব্দুল মালেককে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) প্রণব কুমার নিয়োগী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সমির কান্তি সরকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (স্বাস্থ্য উইং) খায়রুল ইসলাম, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ হান্নান, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সমরেন্দ্রনাথ বিশ^াস এবং সদস্য সচিব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোঃ ফয়সাল শাহ।
কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
#
পরীক্ষিৎ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮১৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮২
বাংলাদেশ এখন স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন এক দেশের নাম
---মেহের আফরোজ চুমকি
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বাংলাদেশ আজ আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে নতুন উচ্চতায় আসীন হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশ বাংলাদেশকে সমীহ করতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ এখন স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন এক দেশের নাম। তিনি বলেন, অচিরেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
তিনি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের নবীন বরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল বাসারের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ। জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদূল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আব্দুল ফাত্তাহ প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু মুখস্থ করে ১ম শ্রেণি পাওয়ার মধ্যে কোন কৃতিত্ব নেই। তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদেরকে দেশ সম্পর্কে জানতে হবে। ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দেয়ার কারণে আমরা আজ মন্ত্রী, সচিব হওয়ার পাশাপাশি বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছি। তাই আমাদেরকে দেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে।
#
খায়ের/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮১
অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে
লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না মিল্কভিটা
---প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সমবায়ীদের লাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘মিল্ক ভিটা’ দেশে দুগ্ধ বিপ্লবের শুভ সূচনা ঘটে। কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সমবায়ীর কারণে এটি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না। তিনি মিল্কভিটার সার্বিক টেন্ডারিং প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা আজ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ও এর অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার প্রকল্পসমূহের পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় বিভাগের সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষায়িত প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ প্রকল্প কাজে কারো কোন গাফিলতি বা শৈথিল্যতা বরদাশ্ত করা হবে না। তিনি পল্লী জনপদ প্রকল্পের অধীন সকল প্রকল্প কাজ আগামী এক মাসের মধ্যে দৃশ্যমান করার নির্দেশ দেন। তিনি প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা ও অপচয় রোধে ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা বজায় রাখা, শূন্য পদ পূরণ ও সমধর্মী এক বা একাধিক প্রকল্প গ্রহণ না করারও নির্দেশ দেন।
#
আহসান/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৮০
শিক্ষার্থীরা জঙ্গি কার্যক্রমে যাতে জড়িত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী এবং দৃঢ়। ২০২১ সালের মধ্যে অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চাই। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান পেতে চাই। দারিদ্র্য দূরীকরণ এখনও আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র দূরীকরণে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ ইউনিভাসির্টির ২০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনি এক দল স্বাধীনতাবিরোধী এ উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করার জন্য ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এ দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে তাদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের কুমন্ত্রণায় প্ররোচিত হয়ে বেশকিছু তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে বিপথগামী হয়েছে। তিনি এসব মেধাবী ও সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা যাতে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাদানকারী জঙ্গিদের কবলে পড়ে জীবন ধ্বংস না করে সেদিকে সবাই সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থাকতে হবে। বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও তথ্য বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করে তাঁদেরকে যুগোপযোগী মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। তিনি দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সকল প্রকার ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংসদে এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন পাস হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমনিথি উইনথার (গরশধবষ ঐবসহরঃর ডরহঃযবৎ)। সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন।
সমাবর্তনে ২৬৪২ জন শিক্ষার্থীকে ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রী প্রদান করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পদক ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।
#
আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭৯
বাংলাদেশের ওয়ার্ল্ড স্কিল ইন্টারন্যাশনাল এর সদস্যপদ লাভের সম্ভাবনা
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
বাংলাদেশের ওয়ার্ল্ড স্কিল ইন্টারন্যাশনাল এর সদস্য পদ লাভের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আবেদন পাওয়া সাপেক্ষে ওর্য়াল্ড স্কিল ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে সদস্য পদ প্রদান করবে। শীঘ্রই বাংলাদেশ এ সংস্থার সদস্যপদ লাভের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করবে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব দক্ষতা প্রতিযোগিতা ২০১৯ এ অংশগ্রহণে বাংলাদেশের প্রস্তুতি শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ড স্কিল ইন্টারন্যাশনাল এর প্রেসিডেন্ট মিঃ সাইমন বার্টলি। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ-এনএসডিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খোরশেদ আলম।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট মিঃ সাইমন বার্টলি বলেন, বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করলে বাংলাদেশ হবে সংস্থাটির ৭৮তম সদস্য দেশ। আগামী অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে সংস্থার ৪৪তম প্রতিযোগিতার আগেই বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভ করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম সচিব বলেন, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড স্কিল ইন্টারন্যাশনাল এর সদস্য লাভের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবে।
সংস্থাটি দু’বছর অন্তর সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। রাশিয়ার কাজানে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য ৪৫ তম বিশ্ব দক্ষতা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়। বাংলাদেশে ১৫-১৯ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। এ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনসম্পদে পরিণত করে জাতীয় ও আন্তর্যাতিক চাহিদা পূরণ করার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরা সম্ভব। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ। এ ধরনের কর্মশালা বিশ্ব দক্ষতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতিকে এগিয়ে নেবে।
গতকাল রাতে ওয়ার্ল্ড স্কিল ইন্টারন্যাশনাল এর প্রেসিডেন্ট মিঃ সাইমন বার্টলি একদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন।
#
আকতারুল/সেলিম/সঞ্জিব/জয়নুল/২০১৭/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭৮
১৭টি পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিত করতে অভিযান
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) :
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বলেছেন, ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সহ ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহণে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সারাদেশে ১৫ মে থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হবে। কারাদ-, অর্থদ-, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নে এবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য এবার বিশেষ অভিযানে কারাদ-, অর্থদ- এ দুটি দ-ের ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হবে।
সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আজ আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ১০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে। স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, পাট চাষীরা পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং সর্বোপরি পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটশিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয় যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী ছয়টি পণ্য মোড়কীকরণে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয় যার ফলে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক
৪১ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবারো বিভিন্ন দ্রব্য সংরক্ষণ ও পরিবহণে প্লাষ্টিকের বস্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ সব পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং এর জন্য আবারো ঢাকাসহ সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। এজন্য সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণকে এ আইন সুষ্ঠু বাস্তবায়নে পূর্বের ন্যায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ মনিটরিং এর জন্য আবারো নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
#
সৈকত/নুসরাত/সাহেলা/গিয়াস/আসমা/২০১৭/১৬২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭৭
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগে মালয়েশিয়ার আগ্রহ প্রকাশ
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশের কৃষি ও পল্লি অর্থনীতির আধুনিকায়ন বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ণই গধষপড়ষস গঁংংবহ খধসড়য এর নেতৃত্বে ৪১ সদস্যবিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সাথে তার সম্মেলন কক্ষে বৈঠক করেন।
তারা বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে অর্থ বিনিয়োগের সম্ভাব্য খাতসমূহ সম্পর্কে অবহিত হন। মালয়েশিয়ার চেম্বার অভ্ কমার্সের আওতাভুক্ত এসব ব্যবসায়ী কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসহ নানারকম খাতে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। তারা বাংলাদেশের মাছ বিশেষত গলদা ও বাগদাচিংড়ি, গোস্ত রপ্তানি, দ