Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ মে ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২৫ মে ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১৯৩১

 

ষড়যন্ত্রকারীরা উন্নয়নকে ব্যহত করতে পারবে না

                                  -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে):             

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।  ষড়যন্ত্রকারীরা উন্নয়ন ব্যহত করতে পারবে না।

 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে রংপুর বিভাগ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৩ ও  মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে মোঃ আনোয়ারুল গণি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। জনগণ আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চায়। সরকারের জনপ্রিয়তা দেখে বিরোধীরা উন্মাদ হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, রংপুর বিভাগের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক। এই বিভাগে অবকাঠামো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান। মন্ত্রী বৃহত্তর রংপুর বিভাগের ঐক্য বজায় রাখার জন্য সকলকে আহ্বান জানান।

 

রংপুর বিভাগ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা প্রস্তুতির উপকমিটির আহ্বায়ক মোঃ আজিজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

 

পরে মন্ত্রী রংপুর বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা বৃত্তির অর্থ তুলে দেন।

 

#
 

জাকির/আরমান/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২২০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৯২৯

 

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য

                                          -- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কনটেন্টসহ ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ অপরিহার্য। শিক্ষার অবকাঠামোগত যে পরিবর্তন হয়েছে সে পরিবর্তন শিক্ষা পদ্ধতিতেও করার বিকল্প নেই। স্মার্ট মানুষ তৈরির জন্য প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে ডিজিটাল কনটেন্টসহ ডিজিটাল ডিভাইস প্রয়োজন। কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষা গ্রহণের দিন শেষ। তিনি বলেন, সরকার মিশ্র শিক্ষা পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার রূপান্তরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী আজ তাঁর দপ্তর থেকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গণসাক্ষরতা অভিযান, সেভ দ্য চিলড্রেন ও ফ্রেন্ডশিপের যৌথ আয়োজনে শিখন অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

গণসাক্ষরতা অভিযান কাউন্সিলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ্যারোমা দত্ত, এর সভাপতিত্বে এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযান এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ ফরহাদুল ইসলাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভান ম্যানেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অ্যামিরেটাস ও এডুকেশন ওয়াচ এর মুখ্য গবেষক ড. মনজুর আহমেদ, ফ্রেন্ডশিপের সিনিয়র ডিরেক্টর ও শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইলিয়াস ইফতেখার রসুল, বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারসহ ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ও কনটেন্ট দিয়ে তাদেরকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিলে, তারা শিক্ষায় বৈশ্বিক মানদণ্ড অতিক্রম করতে পারবে। তিনি বলেন, কাগজের যুগের পর শিক্ষায় ডিজিটাল যুগে যাওয়ার সময় হয়েছে। কাগজের বইয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল কনটেন্ট এবং ডিজিটাল ডিভাইস চালু করতে পারলে জাতি অনেক বেশি সুফল পাবে। তিনি বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য চট্রগ্রামের ২৮টি পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল যন্ত্রে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠদান কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনেকে টিসি নিয়ে এই সকল স্কুলে চলে আসছে। যেসব স্কুলে কম্পিউটার আছে সেসব প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার দাবি উঠেছে।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে প্রকল্প মূল্যায়নে দেখানো হয়, এই কর্মসূচির আওতায় কুড়িগ্রাম এবং জামালপুরের ১২০ টি বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ১২ হাজার ৫৩৬ জন মেয়ে শিক্ষার্থীকে শ্রেণি সময়ের আগে ও পরে ভার্চুয়াল শিখন প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে ডিজিটাল-কন্টেন্ট ব্যবহার করে বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত শিক্ষায় সহায়তা প্রদান করা হয়। ফলস্বরুপ, কর্মসূচির উপর জরিপের মাধ্যমে অন্যান্য এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে তুলনা করে দেখা গেছে ইজিই কর্মসূচির আওতাধীন শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর সংখ্যা, প্রাথমিক শেষ করে মাধ্যমিকে ভর্তির হওয়ার সংখ্যা এবং এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে সফলভাবে কৃতকার্য হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় শতভাগে পৌঁছে গেছে। সেইসাথে ১৮ বছরের নিচে বাল্যবিবাহের সংখ্যা শূন্যতে নেমে এসেছে।

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষক সংগঠন, প্রকল্পের কর্ম এলাকার স্কুল শিক্ষক, অভিভাবক, গণসাক্ষরতা অভিযান এর কাউন্সিল (বোর্ড) মেম্বার, সহযোগী সংস্থা (ফ্রেন্ডশিপ), সেভ দ্য চিলড্রেনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দেশি বিদেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

                                              #

শেফায়েত/আরমান/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ১৯২৮

নজরুলের গান ও কবিতা ছিল মুক্তিকামী বাঙালির অফুরন্ত প্রেরণার উৎস

                                                              --- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে) :

            সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, নজরুলের গান ও কবিতা ছিল মুক্তিকামী বাঙালির অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর বাঙালিকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, উদ্বুদ্ধ করেছে। নজরুলের কালজয়ী গান ও কবিতা আমাদের জাতীয় সত্তার সঙ্গে মিশে আছে বলেই তিনি বাঙালির জাতীয় কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কবি নজরুলের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড়। বঙ্গবন্ধু হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক আর নজরুল বাংলা সাহিত্যের।

            প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে জাতীয় কবির স্মৃতিধন্য ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দরিরামপুর শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে তিন দিনব্যাপী (২৫-২৭ মে) জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

            অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী।

            প্রধান অতিথি বলেন, নজরুল কাব্যপ্রেমীদের নিকট চির অম্লান, চির ভাস্বর হয়ে আছেন। তিনি ক্ষুদ্রতাকে অতিক্রম করে গেছেন। তাই তাঁকে সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ করা যাবে না, খণ্ডিত রূপে উপস্থাপন করা যাবে না। মতিয়া চৌধুরী বলেন, নজরুল সমস্ত সত্তা দিয়ে দ্রোহকে লিপিবদ্ধ করেছেন যা সমসাময়িক অনেক বিখ্যাত কবিই পারেননি। তাই তিনি বিদ্রোহী কবি।

             বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, নজরুল সবকিছুকে ছাপিয়ে স্বমহিমায় আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি কালোত্তীর্ণ কবি। তাঁর সৃজনশীলতা তাঁকে মহিমান্বিত করেনি বরং এর মধ্য দিয়ে আমরা মহিমান্বিত হয়েছি। রাখালের বাঁশির সুর থেকে উচ্চাঙ্গসংগীত- এমন বৈচিত্র্যময় সৃজনশীলতা শুধুমাত্র তাঁর কাব্যে প্রস্ফুটিত হয়েছে।

            অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ।

            বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, নজরুল বাঙালির গর্ব ও অহংকার। তিনি ছিলেন সাম্যের কবি, বিদ্রোহের কবি। শোষিত, নির্যাতিত মানুষের কাণ্ডারি। নতুন চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে তিনি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ করেছেন। সর্বোপরি, তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার কবি।

            অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্মারক বক্তা হিসাবে বক্তৃতা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে। সম্মানীয় বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও নজরুল গবেষক খিলখিল কাজী।

            বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তৃতা করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জ এর ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ এহতেশামুল আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রিশাল উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম মোঃ শামছুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন।

            পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

            উল্লেখ্য, এবছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘অগ্নিবীণার শতবর্ষ: বঙ্গবন্ধুর চেতনায় শাণিতরূপ’।

#

ফয়সল/আরমান/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৯২৭

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

 

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে) :

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময় এক হাজার ২৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।               

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ১৫৭ জন।

 

#

 

অমিত/আরমান/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/২০৩৪ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৯২৬

মার্কিন ভিসানীতি বিধিনিষেধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে বিবৃতি

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট-এর আওতায় তথাকথিত 3C বিধান অনুসারে মার্কিন সরকারের ভিসা নীতি সংক্রান্ত ঘোষণাটির প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাটিকে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সকল পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করছে। তবে, বাংলাদেশ আশা করে যে এই ভিসা নীতি যথেচ্ছভাবে প্রয়োগের পরিবর্তে বস্তুনিষ্ঠতার সাথে অনুসরণ করা হবে। 

ধারাবাহিকভাবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এটি সুস্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের জনগণ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সুযোগ পেয়েছে। এর ফলে দেশের মাথাপিছু দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের  ৪১ দশমিক  ৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশের নেমে এসেছে এবং একই সময়ের মধ্যে চরম দারিদ্র্য ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫দশমিক ৭ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে উন্নয়নের একটি আন্তর্জাতিক রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। গত চৌদ্দ বছরে টানা তিন মেয়াদে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। 

বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন। জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী কোনো সরকার টিকে থাকার নজির বাংলাদেশে নেই। জনগণের ভোটাধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার পবিত্র রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে এবং এ অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দলটির কঠোর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান সরকার শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আওতায় সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে। 

বাংলাদেশের নির্বাচনি সংস্কার প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সাথে পর্যালোচনার মাধ্যমে একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার  তালিকাভুক্তির মতো অসঙ্গতি দূর করার লক্ষ্যে ছবি সংবলিত ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। ভোটারদের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও এজেন্টদের মধ্যে আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহার প্রচলন করা হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাধীন, বিশ্বাসযোগ্য ও দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সক্ষমতার ব্যবস্থা  করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুমোদিত হয়েছে।  এ আইন অনুসারে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পরিচালনার সুবিধার্থে সামগ্রিক নির্বাহী যন্ত্র তার নির্দেশনার আওতাধীন থাকবে। 

 

 

 

সে অনুযায়ী, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর যে কোনো অবৈধ প্রচেষ্টা বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবেলা করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সামগ্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির আওতায় রাখা হবে এবং এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও অংশগ্রহণ থাকবে। সরকার আশা করে যে জাতীয় পর্যায়ে যেসব অগণতান্ত্রিক শক্তি সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের আশ্রয় নেয় তারা সতর্ক থাকবে এবং সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে । কঠিন ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অর্জনকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের উপরেই বর্তায়। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত অঙ্গীকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় সমর্থনকে বাংলাদেশ সরকার সর্বদাই ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করে।

#

 

মোহসিন/আরমান/মোশারফ/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২০২০ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৯২৫

 

শত নারী শ্রম পরিদর্শক নিয়ে সম্মেলন: কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার সমতার প্রতিজ্ঞা

 

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে) :

 

কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার সমতার প্রসার শিরোনামে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে কর্মরত দেশের সকল নারী শ্রম পরিদর্শকের অংশগ্রহণে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

 

আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইএলও’র সহযোগিতায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী।

 

নারী শ্রম পরিদর্শকদের কর্মক্ষেত্রে পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে সম্মেলনে কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধ ও এ বিষয়ক প্রয়োজনীয় ভবিষ্যৎ উদ্যোগ গ্রহণ এবং কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার সমতার প্রতিজ্ঞা করা হয়। 

 

এ সময় শ্রম সচিব বলেন, বিগত কয়েক বছরে কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। যথাযথভাবে আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা পরিপূর্ণভাবে রোধ করা সম্ভব। তিনি বলেন, সরকার শ্রম আইন প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করার মাধ্যমে নারী শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।

 

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুটি আইনেন, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বক্তৃতা করেন। 

 

সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি দূর করা, মাতৃত্ব সুরক্ষা নিশ্চিত করে নারীবান্ধব কাজের পরিবেশ গড়ে তোলা, নেতৃত্বদানকারী পদে আরো বেশি নারী থাকা এবং নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

 

সম্মেলনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ৮২ জন উপমহাপরিদর্শক, সহকারী মহাপরিদর্শক, শ্রম পরিদর্শকসহ শ্রম মন্ত্রণালয় এবং শ্রম অধিদপ্তরের মোট ১০০ জন নারী কর্মকর্তা এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। 

 

#

 

আকতারুল/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২৩/২০০৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                নম্বর: ১৯২৪

সৌদি আরবে হজ পালনকারীর সেবা নিশ্চিত করছে সরকার

মক্কা, বৃহস্পতিবার, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে):   

আজ পর্যন্ত ৯ হাজার ৭ শত ৮৯ জন হাজী সরকারিভাবে মক্কায় এসে পৌঁছেছেন। অন্যান্য সকল সেবার সাথে কোনো হাজী হারিয়ে গেলে বা হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করলে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা নিশ্চিত করছে বাংলাদেশ হজ অফিস।       

বাংলাদেশ থেকে আসা হজ সেবায় সকল দলের প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ অনুবিভাগ) মোঃ মতিউল ইসলাম জানান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান হজ সেবা নির্বিঘ্ন করতে সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। যেকোনো সমস্যায় এখানে প্রশাসনিক, কারিগরিসহ সবাই দলগতভাবে কাজ করছেন। আলোচনা সভা ও অনলাইন গ্রুপের মাধ্যমে সর্বক্ষণিক যোগাযোগ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

হজ কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম জানান, হাজী সাহেবদের আবাসিক ব্যবস্থায় কোথাও কোনো অভিযোগ পেলে তা হোটেল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে দ্রুত সমাধানে নির্দেশনা দেয়া আছে। নির্বিঘ্নভাবে হজ সম্পাদনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

উল্লেখ্য গত সোমবার হজ পালনে বেসরকারিভাবে নওগা থেকে আগত মোছা. হোসনে আরা বেগম (আইডি নং-০৫৬৮১৭৩) ক্বাবা শরীফ থেকে ফেরার পথে হারিয়ে গেলে হজ অফিসের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে তাকে উদ্ধার করা হয়।

#
 

আসিফ/আরমান/রফিকুল/লিখন/২০২৩/২০১৭ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ১৯২৩

আরো ৪০ লাখ মানুষকে ঘর দেবে সরকার

                            --- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

ঢাকা, ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে) :

          বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ৩৫ লাখ গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে জমিসহ বাসস্থান দিয়েছে, আরো ৪০ লাখ মানুষকে ঘর দেওয়া হবে। প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

          আজ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার টানমুশুরী এলাকায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের জমি ও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

            গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। আমাদের অর্থনীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হবে স্মার্ট। তৃণমূল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের উন্নত জীবন হবে। প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ শহরের নাগরিক সুবিধা পাবে। আওয়ামী লীগ সরকার যাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, রাস্তার পাশে পড়ে থাকে তাদের ঘর বানিয়ে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় আর একটি মানুষও ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না। সরকার ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর করে দিয়েছে, আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে আরো ৪০ লাখ মানুষকে ঘর করে দেবে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছেন, দেশ স্বাধীন করলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হয়েছেন, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।’

          মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু একটা বিষয় চিন্তা করেন। দেশের মানুষের ভাগ্য গড়ে তাদের দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে। গৃহহীন মানুষকে ঘর দিতে হবে, তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেকের ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।’

          রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সাল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

#

 সৈকত/আরমান/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২০৩০ঘণ্টা
 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১৯২২

 

আম রপ্তানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন কৃষিসচিব

 

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে): 

চলতি বছর আম রপ্তানি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

আজ ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রপ্তানির উদ্বোধন করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আম রপ্তানি প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এন্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প এবং বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এন্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আজ ৪টি দেশে প্রায় ১০ লাখ টন আম রপ্তানি হচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে ২ লাখ হেক্টর জমিতে ২৩ দশমিক ৫০ লাখ মে. টন আম উৎপাদিত হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ হতে বিশ্বের ২৮ টি দেশে ১ হাজার ৭৫৭ মে. টন আম রপ্তানি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব বলেন, সারা বিশ্বেই বাংলাদেশের আমের সুনাম রয়েছে। দেশে ২৪ লাখ টনের ওপরে আম উৎপাদন হয়। গত বছর মাত্র ১ হাজার ৭৫৭ টন রপ্তানি করা হয়েছে। বিশ্বে আম উৎপাদনে আমরা সপ্তম স্থানে থাকলেও রপ্তানি খুবই কম। রপ্তানি আরো বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য যত ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে। প্রয়োজনে উৎপাদন স্থানের কাছাকাছি প্যাকিং হাউজ করা হবে।

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০২২ হতে ২০২৭ খ্রি. মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭ কোটি টাকা। রপ্তানিযোগ্য মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশের ১৫ টি জেলার ৪৬ টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রকল্প সহায়তায় উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদন প্রদর্শনী ৩৫০ টি, রপ্তানিযোগ্য জাতের আম বাগান সৃজন ৬০৪টি, বিদ্যমান আম বাগানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা-২৪০ টি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার (প্রুনিং ব্যাগিং ও বালাই ব্যবস্থাপনা) মানসম্মত ২০০ টি আম উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ টি উপজেলাতে ৩৭১ জন আম চাষীকে ক্লাস্টার প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়েছে। মানসম্মত আম উৎপাদন ও পোস্ট-হার্ভেস্ট ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে কৃষক গ্রুপে ম্যাংগো প্লাকার, হাইড্রোলিক ম্যাংগো হারভেস্টার, গার্ডেন টিলার, ফুট পাম্প, এলএলপি ও ফিতাপাইপ সেট সরবরাহ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা (গ্যাপ) সনদ প্রদানে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বিদ্যমান না থাকায় ইউরোপ ও আমেরিকার মূলধারার সুপার মার্কেটসমূহে আম রফতানি করা সম্ভব হয় না। আমের গ্যাপ সার্টিফিকেট প্রদানের প্রয়োজনীয় জনবল ও সক্ষমতা অর্জন করা গেলে বাংলাদেশ থেকে উন্নত দেশসমূহে আম রফতানির পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ হতে আম রফতানি তরান্বিত করার লক্ষ্যে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে আমের পেস্টরিস্ক এনালাইসিস (পিআরএ) ও উত্তম কৃষি চর্চা তৈরি এবং জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রদর্শনী এবং কৃষি প্রযুক্তির তথ্য আদান-প্রদান ও সংরক্ষণের কার্যক্রম চলমান আছে। রফতানিযোগ্য ৫টি আমের জাতের প্রোডাক্ট প্রোফাইল তৈরি করা হচ্ছে।

#

কামরুল/আরমান/মোশারফ/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৮৫৫ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১৯২১

জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন

  &n

2023-05-26-10-53-7f2f2497460b8943e9a693cc81714b6d.docx