Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ অক্টোবর ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৪ অক্টোবর ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৫১০৮

 বিশিষ্ট অভিনেতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বড় ভাই

মাহমুদ সাজ্জাদের মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণের শোক

 

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :


          বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এর বড় ভাই মাহমুদ সাজ্জাদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলাম।


          মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ আজ এক শোকবার্তায় বলেন, দেশের বিশিষ্ট এক সাংস্কৃতিক পরিবারের জ্যেষ্ঠ  সদস্য মাহমুদ সাজ্জাদ মঞ্চ ও টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয় ও সার্বিক অবদানের জন্য দেশবাসীর হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গন বিশেষ করে নাট্যজগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।


          মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

#

 

আকরাম/পাশা/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২১১৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৫১০৭

ডিসেম্বরে ড্যাপ গেজেট, যৌক্তিক কারণে হতে পারে সংশোধন

                                                -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :

          স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ড্যাপ রিভিউ মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। তবে যৌক্তিক কারণে কোথাও সংশোধনের প্রয়োজন পড়লে সেটি করার সুযোগ থাকবে।

          তিনি আজ মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ড্যাপ চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ড্যাপ রিভিউয়ের জন্য গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির মাধ্যমে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হবে। গেজেট প্রকাশের পর বাস্তবায়নের সময় যদি কোথাও ভুল-ভ্রান্তি বা অসামঞ্জস্য থাকে কিংবা কোনো যৌক্তিক কারণে পরিবর্তনের অথবা সংশোধনের দরকার হয় তাহলে সেটি অবশ্যই করা হবে।

          এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, দেশের আইন যদি পরিবর্তন হয়, সংবিধান যদি পরিবর্তন করা যায় তাহলে ড্যাপ পরিবর্তন অথবা সংশোধন করা যাবে।

          তাজুল ইসলাম বলেন, ড্যাপ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদী, রিহ্যাব, বিএলডিএসহ সকল পক্ষের মতামত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া খসড়া ড্যাপ নীতিমালা ওয়েব সাইটে আপলোড করায় সেখানেও অনেকে মতামত দিচ্ছেন। সেগুলোও আমলে নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সকলের যৌক্তিক পরামর্শ ও মতামত অন্তর্ভুক্ত করেই এটি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

          ড্যাপকে একটি ন্যায়সঙ্গত বা অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজধানীকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সকল উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

          এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ভূমির সঠিক ব্যবহার করে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ কৃষি অঞ্চল, জলাশয়, ওয়াটার রিটেনশন, বনাঞ্চল, উন্মুক্ত স্থান, বন্যা প্রবাহ এলাকাসহ সব কিছুই পরিকল্পনায় নিয়ে এটি প্রণয়ন করা হচ্ছে।

          মন্ত্রী জানান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজউক এর মাধ্যমে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান প্রণয়ন করা হলেও ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

          ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

          সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী এবং  প্রকল্প পরিচালক মোঃ আশরাফুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

#

হায়দার/পাশা/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২১১৮ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৫১০৬

 

অতীতের সরকারগুলো নদীভাঙ্গন রোধে কাজ করে নি

                                    ----পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :

          বাংলাদেশের যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই ভাঙন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ভাঙ্গনকে একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। অতীতের সরকারগুলো নদী ভাঙন রোধে তেমন কোন কাজ করেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমি বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে, একপ্রাপ্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াই।

 

          আজ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়ায় তেতুলিয়া নদীর ভাঙন হতে ধুলিয়া লঞ্চঘাট হতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা রক্ষা প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।

 

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ধুলিয়া-দুর্গাপাশায় ৭১২ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে। এটি হলে পরে তীর রক্ষার পাশাপাশি নদী শাসন হবে। স্থানীয় কিছু মানুষ অসাধু ব্যবসায়ীদের যোগসাজোশে নদীর তীর থেকে বালু উঠায়। এর ফলে যতো শক্তিশালী তীর রক্ষা বাঁধ সরকার করুক না কেন তা টেকসই হয় না।

 

          পায়রা সেতু নিয়ে জাহিদ ফারুক আরো বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত 'পায়রা সেতু'র উদ্বোধন করেছেন। এরফলে বরিশাল থেকে পায়রা বন্দর ও সাগরকন্যা কুয়াকাটায় যেতে কোন ফেরির প্রয়োজন হবে না।

 

          পায়রা বন্দরের কারণে বরিশালের বিভিন্ন জায়গায় শিল্পায়ন হবে। যুবসমাজের কর্মসংস্থান হবে।

 

          সভার সভাপতিত্ব করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃনূরুল ইসলাম সরকার। 

 

          এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ স ম ফিরোজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিকসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।

 

#

 

আসিফ/পাশ/নাইচ/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২০:২৭ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৫১০৫

করোনা মহামারি সত্ত্বেও দেশে খাদ্য সংকট হয়নি

                                           --কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে করোনা মহামারির মাঝেও দেশে খাদ্য সংকট হয়নি এবং মানুষ না খেয়ে নেই। বাংলাদেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের খাদ্য ও কৃষিতে অভাবনীয় সফলতা অর্জিত হয়েছে। দেশের উর্বর জমি ও পানি জনগণের জন্য বড় আশীর্বাদ। এ উর্বর ভূমি ও পানি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের কৃষি আরো অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।

 

 আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর: কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম ও বণিক বার্তা এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

 

মন্ত্রী বলেন, এখন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের যোগান দেয়া এবং কৃষির আধুনিকায়ন করা। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭৫ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ জনপ্রতি প্রায় ২০০ গ্রামের মতো চাল খেয়ে থাকে। কিন্তু দেশে চাল খাওয়ার পরিমাণ জনপ্রতি প্রায় ৪০০ গ্রাম। পুষ্টিকর খাবার দুধ, মাছ, মাংস , ডিম, ফলমূল প্রভৃতি খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে পারলে চালের এ ব্যবহার কমবে। আর চালের ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারলে দেশে যে চালের উৎপাদন সেটাকে টেকসই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। অন্যদিকে, ধান চাষে জমি কম ব্যবহার করে অন্যান্য ফসলের উৎপাদনে কাজে লাগানো যাবে।

 

 ড. রাজ্জাক আরো বলেন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করে অনেক আয় করে। কিন্তু বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। দেশের কৃষিপণ্যের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার বিস্তৃত করতে হবে। এ জন্যে কৃষির প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে।

 

ফলের উৎপাদন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন অনেক বিদেশি ও অপ্রচলিত ফল চাষ হচ্ছে। একসময়ে স্ট্রবেরিও হতো না দেশে। এখন অনেক ভালো মানের স্ট্রবেরি উৎপাদন হচ্ছে। আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে এদেশে সারাবছর আম পাওয়া যাবে এমন পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে।

 

অনুষ্ঠানে দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স এবং এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি. সিম্পসন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. এফ এইচ আনসারী, আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

 

#

কামরুল/পাশা/নাইচ/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২০২৮ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৫১০৪

বিউটি সার্ভিস বিষয়ে কোর্স খোলার চিন্তাভাবনা আছে

                                         -- শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :

 

          শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বিউটি সার্ভিস ও প্রসাধনী পণ্য বিশ্বব্যাপী বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। আমাদের দেশেও এ ব্যবসার চাহিদা আছে। এ খাতে হাজার হাজর উদ্যোক্তা ও কর্মী কাজ করছে। এসব বিষয় বিবেচনায় সরকার বিউটি সার্ভিসকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। সরকার বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিউটি সার্ভিস বিষয়ে কোর্স খোলার চিন্তাভাবনা করছে। 

 

          আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বিউটি সার্ভিস ওনার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (BSOAB) এর প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

 

          বেসরকারিভাবে বিউটি সার্ভিস বা বিউটিফিকেশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা এ ব্যবসার মূলধন। তাছাড়া এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের সরকারিভাবে সার্টিফিকেট দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জামানত ছাড়া ব্যাংকগুলো থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া যায় কিনা ভেবে দেখা দরকার।

 

          বিউটি সার্ভিস ওনার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ এর সভাপতি কানিজ আসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাসুদুর রহমান। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যনির্বাহী কমিটির  সদস্য আলী রুদাবা এবং BSOAB-এর সাধারণ সম্পাদক সুমনা হাসান।  

 

#

মাহমুদুল/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২০১২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৫১০২

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :

 

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৪৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯২ জন। 

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন-সহ এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৮২৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৩২৭ জন।

 

#

 

ফেরদৌস/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৮:৫৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৫১০১

ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হবে

                                             ---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :

          ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশে সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

 

          আজ মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট ও মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অপতৎপরতা বন্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাগণের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।

 

          মন্ত্রী বলেন, যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ধর্মের মধ্যে বিভেদ ও উগ্রবাদ তৈরি করে দেশে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তাদেরকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারসহ তৃণমূল নেতাকর্মী, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সকল ধর্মের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে হবে। সমাজের মধ্যে কারা বিভিন্ন অপকর্ম, অপপ্রচার চালায় তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এই কমিটি কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

 

          ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিতে হবে উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম আরো বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং জনগণের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির জন্য একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক অবস্থানে থেকে এসকল দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে হবে।

 

          মন্ত্রী বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। হিন্দু-মুসলিমকে মুখোমুখি করে কেউ যাতে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। মসজিদ-মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নজর রাখতে হবে যাতে কেউ সুযোগ না নিতে পারে সেদিকে সকল জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।

 

          ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা প্রশাসক, ডিডিএলজি, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

 

          দেশের বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধ করে সকল সমস্যা মোকাবিলায় অনুপ্রেরণা ও সচেষ্ট করার জন্য সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।

 

#

হায়দার/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৮:৫৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ৫০৯৯

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ইলিশের স্বাদ পৌঁছে দিতে চাই

                                                     ---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :

            ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ইলিশের স্বাদ পৌঁছে দিতে চান বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

            আজ রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২১ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

 

            শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশের সবচেয়ে সুস্বাদু ও ভালো মাছ হচ্ছে ইলিশ। ইলিশ মাছ সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, এর নিরাপদ আশ্রয় ও নিরাপদ প্রজননের জন্য সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। মা ইলিশ রক্ষা, ইলিশের অভয়াশ্রম সৃষ্টি করা, ইলিশ গবেষণা, জাটকা সংরক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সরকার কাজ করছে। ইলিশের পরিসর বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সকল প্রকার আগ্রহ রয়েছে, পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে। 

 

            মন্ত্রী আরো যোগ করেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশের উৎপাদন এমন একটা জায়গায় নিয়ে আসতে হবে যাতে গ্রাম-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষ সুস্বাদু ইলিশের স্বাদ নিতে পারেন। পরিপূর্ণতার সাথে পরিবার-পরিজন নিয়ে ইলিশ খেতে পারেন।

 

            মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে সবচেয়ে সুস্বাদু ও সর্বোচ্চ ইলিশ মাছ আহরণে বাংলাদেশের স্বত্বাধিকার রয়েছে। সে জন্য ইলিশ রক্ষার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যাপকহারে যাতে ইলিশ রপ্তানি না হয় সে পদক্ষেপও সরকার নিয়েছে।

 

            মন্ত্রী আরো বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শতভাগ সফল করতে নতুন নতুন সৃজনশীল কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা আরো বেশি কিভাবে রাখা যায়, সেজন্য নীতি নির্ধারণ করতে হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণে এবারের অভিযানের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আরো ভালোভাবে ভবিষ্যতে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

 

            মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে এ বছর যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সময় ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

 

            মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি, মোঃ তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলমসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

           

#

ইফতেখার/পাশা/নাইচ/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২০:২২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৫০৯৮

কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে

৭শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নমনীয় ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত

 

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :

          আজ শেরে বাংলা নগরস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে কোরিয়া এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০২১-২০২৫ মেয়াদে ৭ শত মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নমনীয় ঋণ সহায়তা সংবলিত একটি ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট (Framework Arrangement) স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং কোরিয়া সরকারের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।  চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কোরিয়া দূতাবাস,  কোরিয়া এক্সিম ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

          কোরিয়া সরকার তাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে নমনীয় ঋণসহায়তা প্রদান করে আসছে। ইতোমধ্যে কোরিয়া সরকারের সহায়তায় ৪৬৯ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে মোট ১৫টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া ৬৬৬ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৮টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। কোরিয়া সরকার এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ১ হাজার ৩৩০ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নমনীয় ঋণ মঞ্জুর করেছে, যা তার উন্নয়ন অংশীদার দেশসমূহের মধ্যে ২য় সর্বোচ্চ।

 

          স্বাক্ষরিত ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট-এর আওতায় আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কোরিয়া সরকারের এ নমনীয় ঋণ সহায়তা ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে বর্তমান অর্থবছরে অর্থ বিভাগের অধীনে “Sustainable Economic Recovery Program (Subprogram1)”-এ ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাজেট সাপোর্ট), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে বিআরটিসি কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য “Procurement of CNG Single Decker AC Buses for BRTC” শীর্ষক প্রকল্পে ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য “Establishment of a Modern International Training Institute for Dhaka WASA” শীর্ষক প্রকল্পে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হতে পারে।  এছাড়া “Construction of Railway-cum-Road Bridges across the River Karnaphuli at Kalurghat, Chittagong” এবং “Establishment of a Multi-disciplinary and Super Specialized Hospital at BSMMU (2nd Phase)” শীর্ষক প্রকল্পের মতো জন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে এ Framework Arrangement-এর আওতায় ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

 

          এ ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট-এর আওতায় যে সকল ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে তার প্রতিটির বাৎসরিক সুদের হার হবে মাত্র দশমিক শূন্য ১ শতাংশ থেকে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময় হিসাবে পাওয়া যাবে ৪০ বছর এবং গ্রেস পিরিয়ড হিসাবে পাওয়া যাবে ১৫ বছর।

 

 

#

কাদের/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৮:৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৫০৯৭

লীগের নেতাকর্মীরাই হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দায় এড়াতে পারে না সামাজিক মাধ্যম

                                                                            ---তথ্য  ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ৮ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) :

          আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে, অন্যকোনো দল দাঁড়ায়নি। একইসাথে ঘটনাটি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার দায় এড়াতে পারে না।

          আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্পাদক ফোরামের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, মহাসচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার ও সদস্যদের মধ্যে দুলাল আহমেদ চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, শরীফ সাহাবুদ্দিন, মফিজুর রহমান, উপদেষ্টা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া সভায় যোগ দেন।

          ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, কুমিল্লার ঘটনার পরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা প্রত্যেকটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠিয়েছিলাম যাতে দুর্গাপূজা চলাকালীন পূজামণ্ডপে আমাদের দলের লোকজন থাকে এবং কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে। আমাদের নেতাকর্মীরা সেইভাবে ছিল। যারা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে তাদের আরো বড় পরিকল্পনা ছিল, আমাদের দল হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিধায় ষড়যন্ত্রকারীরা তা করতে পারেনি। কয়েক ঘন্টার নোটিশে আমাদের দল সারাদেশে শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আমরা এখনো সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।

          ‘আমরাই শুধু পাশে দাঁড়িয়েছি, বাকিরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা এমনকি গয়েশ্বর বাবুসহ অন্যরা শুধু টেলিভিশনের সামনেই গলা ফাটান, মানুষের পাশে দাঁড়াননি, বরং তারা এই ঘটনা ইন্ধন দিয়েছে এবং সমুদ্রের ওপার থেকে এই ঘটনার পরিকল্পনা হয়েছিল’ বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

          মন্ত্রী বলেন, সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০২টি মামলা হয়েছে, ৬শ’ মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে। রংপুরের পীরগঞ্জে কয়েক দিনের মধ্যে সবার ঘরবাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবার এক লাখ টাকার বেশি নগদ সহায়তা পেয়েছে। অন্যান্য জায়গায় যে কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়েছে, সেগুলো মেরামতের জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে বা যারা ঘর হারিয়েছে সবার ঘর করে দেয়া হবে।

          সম্পাদক ফোরাম সদস্যদের বক্তব্য ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের প্রচারণার ফলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হয়’ এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড না হতো তাহলে এই ঘটনা বিস্তৃত হয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। রংপুরের পীরগঞ্জের ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টের কারণে। ফেইসবুকের পোস্টের কারণেই এটি হয়েছে এমন নয়। তবে অবশ্যই ফেইসবুক

2021-10-24-15-59-d5fdd363edbddd318eb4201cdb2ca350.doc