Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ এপ্রিল ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৮ এপ্রিল ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর :  ১৮৯৭

 

রৌমারীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণ করেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

 

রৌমারী (কুড়িগ্রাম), ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

 

          কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় কৃষি অফিসের উদ্যোগে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন।

 

          রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১২৫০ জন দরিদ্র ও অসহায় কৃষকের মাঝে এ কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি করে আউশধানের বীজ ও ৩০ কেজি করে রাসায়নিক সার দেয়া হয়েছে।

 

          অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে এই করোনাকালীন কৃষি প্রণোদনা বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ কৃষকদের মধ্যে এসব কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হলো।

 

          রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন ও রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

রবীন্দ্রনাথ/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৮৯৬

 

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ২৯ হাজার ৮৯০ জনের ভ্যাকসিন গ্রহণ

 

ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ২ লাখ ২৯ হাজার ৮৯০ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজে ১৫ হাজার ৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজে ২ লাখ ১৪ হাজার ৮৪২ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। প্রথম ডোজে ৯ হাজার ৭৮০ জন পুরুষ এবং ৫ হাজার ২৬৮ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮৩ জন পুরুষ এবং ৭৬ হাজার ২৫৯ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

 

          এ নিয়ে সারা দেশে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ৭০ লাখ ৮০ হাজার ৬৯৯ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজে ৩৫ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৫ জন পুরুষ এবং ২১ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজে ৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৪২ জন পুরুষ এবং  ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৬৭ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। 

 

          উল্লেখ্য, ১৮ এপ্রিল ২০২১ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত সুরক্ষা অ্যাপে মোট ৭১ লাখ ১৯ হাজার ১ জন  ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

 

#

 

মিজানুর/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৮৯৫

 

কোভিড-১৯ উদ্যোক্তা বান্ধব তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবে

                                                                                           -- বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

          বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে এখন মেডিকেল পণ্যের খুবই প্রয়োজন। কোভিড-১৯ বিশ্বের অর্থনীতিকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশ্বব্যাংক মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে। অনুদানের ফলে মেডিকেল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহিত হবে। কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এ কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা পাবেন।

          বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোভিড-১৯ উদ্যোক্তা বান্ধব তহবিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমবন (Mercy MiyangTembon)।

          প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রপ্তানির বৈচিত্র্য বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান তৈরি করা। এ ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ উদ্যোক্তা বান্ধব তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্ড ফান্ডের (সিইআরএফ) মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় ও বিশ্ববাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে উপকৃত হবে।

          উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় মেডিকেল এন্ড পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্টানগুলোর জন্য ‘কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্স ফান্ড’ এর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ম্যাচিং গ্রান্ট প্রোগ্রামের দি এক্সপোর্ট রেডিয়েন্স ফান্ড (ইআরএফ) হিসেবে ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করা হবে। এমপিপিই পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো এ অনুদান পাবার যোগ্য হবেন। এ অনুদানের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। অনুদান আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ অনুদান পাবেন আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হবে ৫০ শতাংশ। যেসব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে এ অনুদান প্রযোজ্য হবে তা হলো পারসোনাল  প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনোস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট। এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকান্ড যেমন, গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন এবং নতুন উদ্ভাবনের জন্য অনুদান প্রদান করা হবে।

          অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইআরএফ ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের টিম লিডার Dave Runganaikaloo, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থা প্রধান ও উইং প্রধানগণ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ  হোসনা ফেরদৌস সুমি উপস্থিত ছিলেন।

#

বকসী/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                        ­            নম্বর : ১৮৯৪ 

 

অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ উৎপাদনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের

এগিয়ে আসার আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

            বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে অটোমোবাইল শিল্পখাতের যন্ত্রাংশ উৎপাদনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শিল্প-কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে সরকার শিল্পখাতের বিকাশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। দেশে শিল্পায়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার শিল্পনীতি সহায়তাসহ সকল প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

            ঢাকা চেম্বার অভ্‌ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়ন: বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন। ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট রেজওয়ান রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইফাদ গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি (ITO Naoki), যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক ইউনিটের প্রধান জন ডি. ডানহাম (John D. Dunham), প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুজ্জামান, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান, বারভিডা’র (BARVIDA) প্রেসিডেন্ট আব্দুল হক ও জাইকা প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো (Hayakawa Yuho) বক্তব্য রাখেন।

            শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামামির ধাক্কা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে লাগলেও গত বছরে জিডিপি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, দেশে লকডাউনের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় শিল্প কলকারখানা চালু রাখা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে সর্বাক্ষণিক শিল্প কারখানা চালু রাখার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি আধুনিক সুবিধা সংবলিত যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। অটোমোবাইল নির্মাতাদের স্থানীয় উৎপাদনের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আগ্রহ বেড়েছে। এসব কিছু বিবেচনায় রেখে খুব শীঘ্রই অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। মন্ত্রী বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবন অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি অন্যান্য সহায়তা শিল্পগুলোকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। অটোমোবাইল খাতের সার্বিক উন্নয়নে শিল্প ও শিক্ষাখাতের সমন্বয় খুবই জরুরি বলে শিল্পমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

            জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, জাপানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অটোমোবাইল শিল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে এবং বাংলাদেশের সেই উদাহরণ অনুসরণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অটোমোবইল খাতের বিকাশকে ত্বরান্তিত করতে হালকা প্রকৌশল শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে।

            ওয়েবিনারে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, অটোমোবাইল খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ১০ বছর মেয়াদি ‘বাংলাদেশ অটোমোবাইল সেক্টর রোডম্যাপ ২০২১-২২’ এবং ‘অটোমোবাইল-ম্যানুফেকচারিং ডেভেলপমেন্ট পলিসি’-এর খসড়া প্রস্তুত করেছে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্তকরণ করা একান্ত অপরিহার্য।

#

জাহাঙ্গীর/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭৩০ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৮৯৩ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক  কূটনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন

                                                                                                  -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

            পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক ধীশক্তি ও দূরদর্শিতার যোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক  কূটনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

            ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ এ কথা বলেন।

            ড. মোমেন বলেন. শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মীমাংসা, আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের নেতৃত্ব প্রদান, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় প্রদান- এ বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথিবীর অনেক প্রখ্যাত নেতা এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

            পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বাংলাদেশের অনন্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান ও সংশ্লিষ্টতার কারণে ১৯৭১ সালের মতো দক্ষিণ এশিয়া আবারও সারা বিশ্বে কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

            ড. মোমেন উল্লেখ করেন, এম হোসেন আলীর নেতৃত্বে কলকাতায় তৎকালীন পাকিস্তান মিশনের ৬৫ জন বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এর আগে সে বছর ৬ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তানের দিল্লি দূতাবাস থেকে দুজন কর্মকর্তা কে এম শিহাবুদ্দীন ও আমজাদুল হক বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে পদত্যাগ করেন।  তাঁদের সাহস ও দেশপ্রেম অনুসরণ করে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সরব হন। বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসব সাহসী সন্তানদের অনুপ্রেরণার গর্বিত উত্তরাধিকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’ বঙ্গবন্ধুর এ মূলমন্ত্রকে বাংলাদেশ অনুসরণ করে চলেছে এবং তা গত ৫০ বছর এদেশের কূটনীতিতে সময়োচিত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

            পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদান এবং ফরেন সার্ভিসের নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তাদের কঠোর পরিশ্রমের সুফল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে। গত ৫০ বছর বৈদেশিক মিশনে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করার জন্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ‘আমরাও পারি’ মানসিকতা ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে ফরেন সার্ভিসের নবীন কর্মকর্তারা সারা পৃথিবীতে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।  করোনা মহামারির মধ্যেও সাহসিকতার সাথে কাজ করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনি ধন্যবাদ জনান।

            মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ১৪৭টি শুভেচ্ছা বার্তা ও ৩০টি ভিডিও বার্তা প্রদান করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এক্ষেত্রে ভূমিকা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

            এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতি গঠনে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলদেশকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির অবদান সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রতি আস্থাশীল এবং সবসময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল বন্ধুরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।

            এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের অংশ হিসেবে ফরেন সার্ভিস ডে পালিত হচ্ছে।

#

তৌহিদুল/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর :  ১৮৯২

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

 

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯ হাজার ৪০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৬৯৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন।

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২ জন-সহ এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৮৫ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন।

 

#

 

দলিল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭০০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর :  ১৮৯১

 

দেশের সবচেয়ে বড় কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল উদ্বোধন

 

ঢাকা, ০৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :


            আজ রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মার্কেটে দেশের সবচেয়ে বড় এক হাজার শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল উদ্বোধন হলো। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

            অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্বের ন্যায় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেই আমাদের দেশেও হানা দিয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুসংখ্যা দিন দিন ভীতিকর হচ্ছে। প্রতিদিনই আইসিইউ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরকম একটি কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জরুরিভিত্তিতে ডিএনসিসির এই মার্কেটটিকে একটি পুর্ণাঙ্গ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হলো। এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য মোট বেড সংখ্যা রয়েছে এক হাজার। এর মধ্যে পুর্ণাঙ্গ আইসিইউ বেড আছে ২১২টি, এইচডিইউ বেড আছে ২৫০টি, কোভিড আইসোলেটেড রুম আছে ৪৩৮টি। এখানে ইমার্জেন্সি বেড আছে ৫০টি, যার ৩০টি পুরুষ ও ২০টি মহিলা রোগীর জন্য। এর পাশাপাশি এখানে আরটি পিসিআর ল্যাব, প্যাথলজি ল্যাব, রেডিও থেরাপি সেন্টার, এক্সরে সুবিধাসহ অন্যান্য নানাবিধ সুবিধাদি রয়েছে।

            মাত্র ২০ দিনের মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে অতি দ্রুততার সাথে এই হাসপাতালটি প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটির ২৬০টি বেড সচল হচ্ছে। যেখানে আইসিইউ বেড রয়েছে ৬০টি, ইমার্জেন্সি ৫০টি, জেনারেল ওয়ার্ড ১৫০টি। আগামী সাত দিনের মধ্যে আরো আড়াইশ বেড সচল হবে এবং এ মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে হাসপাতালটি পরিপূর্ণভাবে সচল হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

            দেশের প্রতিটি হাসপাতালে কোভিড ডেডিকেটেড বেড সংখ্য বৃদ্ধি ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাদি বৃদ্ধি করার বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ১০০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আরো ৩৪ টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালুর কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এসব সুবিধা নিশ্চয়ই দেশের কোভিড রোগীদের জীবন রক্ষায় বড় ভুমিকা রেখে চলেছে।

            অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, এফসিপিএস ডিরেক্টরেট জেনারেল মেডিকেল সার্ভিসেস মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান এবং ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম নাসির উদ্দিন।

#

মাইদুল/পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/বিপু/২০২১/১৫১৫ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর :  ১৮৯০

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন মিলনের ইন্তেকালে 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ০৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

 

          সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলনের  ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

 

          রোববার সকালে সিরাজগঞ্জের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭২ বছর বয়সে এই জনদরদী রাজনীতিকের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে তথ্যমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার শান্তিকামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 

 

          ড. হাছান মাহমুদ একাত্তরের রণাঙ্গনে আমজাদ হোসেন মিলনের বীরত্বের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে শোকবার্তায় বলেন, দেশ ও মানুষের জন্য আমজাদ হোসেনের ভালোবাসা তাঁকে স্মরণীয় করে রেখেছে।

 

#

মীর আকরাম/পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/বিপু/২০২১/১৫১৫ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                             নম্বর :  ১৮৮৯

 

চিত্রনায়ক ওয়াসিমের ইন্তেকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ০৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :

 

            রূপালি পর্দার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওয়াসিমের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

            শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৪ বছর বয়সে এই প্রতিভাবান অভিনেতার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে তথ্যমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 

            ড. হাছান মাহমুদ তাঁর শোকবার্তায় বলেন, দেড়শতেরও বেশি সিনেমার তারকা ওয়াসিম তার অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

#

মীর আকরাম/পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/বিপু/২০২১/১৪২০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                           নম্বর :  ১৮৮৮

 

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হলো কলকাতায়


কলকাতা, ১৮ এপ্রিল :

            বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলিত হয়েছিল ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল দুপুর ১২ টা ৪১ মিনিটে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথ তলায় - বর্তমান মুজিবনগর- বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়ার পরদিনই কলকাতায় পাকিস্তানের মিশন ‘বাংলাদেশ মিশন’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

            সেই দিনটিকে স্মরণ করে আজ সকালে কলকাতায় উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে কলকাতা উপ-হাইকমিশন ভবনের চারদিকে প্রদক্ষিণ করেন। পতাকার চার প্রান্তে চার উইং প্রধান কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) মোঃ বশির উদ্দিন, প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোঃ শামছুল আরিফ ও মাঝে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান এবং মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান বি এম জামাল হোসেন পতাকা ধরে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণ ঘুরেন। পরে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম যথাযথভাবে মেনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

            পতাকা উত্তোলনের ব্যাপারে তৌফিক হাসান বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ডে হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনায় দেশের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের স্থান করে নিয়েছে এবং এক্ষেত্রে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

            ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় পাকিস্তানের উপ-দূতাবাসে কর্মরত ৭০ জন বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারি বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এ পতাকা উত্তোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন মিশন প্রধান এম হোসেন আলী। পতাকা উত্তোলনের পর তাৎক্ষণিকভাবে দূতাবাসে কর্মরত পাঁচজন পাকিস্তানী কর্মকর্তাসহ তাদের অনুগত ১৫ জন কর্মচারি ব্যতীত ৭০ জন বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়ে এম হোসেন আলী মুজিবনগর সরকারের নির্দেশনায় মিশন পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিলের পতাকা উত্তোলনের এ ঘটনার পর বিশ্ববাসীর দৃষ্টি পড়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর। কলকাতা মিশনের পতাকা উত্তোলন বহির্বিশ্বে আরও কয়েকটি মিশন অনুসরন করেন। এ সংবাদটি ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল কলকাতার সকল পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয় যা সারাবিশ্বে আলোড়ন তোলে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বনেতৃবৃন্দের সমীহ আদায় করতে সহায়তা করেছিল।

#

ইকবাল/পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/বিপু/২০২১/১৩৪০ ঘণ্টা


 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর :  ১৮৮৭

 

RvwZms‡N evsjv‡`k ¯’vqx wgk‡b HwZnvwmK ÔgywRebMi w`emÕ D`hvcb

 

wbDBqK©, 18 GwcÖj 2021 :

          MZKvj RvwZms‡N evsjv‡`k ¯’vqx wgk‡b HwZnvwmK ÔgywRebMi w`emÕ D`hvcb Kiv nq| †KvwfW cwiw¯’wZi Kvi‡Y fvPz©qvwj AbyôvbwUi Av‡qvRb Kiv nq| Abyôv‡bi ïiæ‡ZB gywRebMi miKv‡ii ivóªcwZ, me©Kv‡ji me©‡kÖô evOvwj, RvwZi wcZv e½eÜz †kL gywReyi ingvb, Dc-ivóªcwZ ˆmq` bRiæj Bmjvg I cÖavbgš¿x ZvRDwÏb Avn‡g`mn G miKv‡ii cÖqvZ mKj m`m¨, RvZxq Pvi †bZv Ges gnvb gyw³hy‡×i wÎk jvL knx` Gi AvZ¥vi gvMwdivZ Kvgbv K‡i we‡kl †gvbvRvZ Kiv nq| w`emwU Dcj‡ÿ¨ cÖ`Ë ivóªcwZ I cÖavbgš¿xi evYx cvV K‡i ïbv‡bv nq| gywRebMi miKv‡ii Dci GKwU cÖvgvY¨ wfwWI cÖ`k©b Kiv nq|

 

Abyôv‡b ¯^vMZ e³e¨ †`b RvwZms‡N wbhy³ evsjv‡`‡ki ¯’vqx cÖwZwbwa ivóª`~Z iveve dvwZgv| wZwb gywRebMi w`e‡mi Zvrch© Ges Kxfv‡e A¯’vqx GB ivRavbx e½eÜzi bv‡g gywRebMi wn‡m‡e bvgKiY Kiv nq †m BwZnvm Zz‡j a‡ib| wZwb e‡jb, HwZnvwmK 7 gv‡P©i fvl‡Yi gva¨‡g ¯^vaxbZv msMÖv‡gi myPbvi c‡i 26 gvP© RvwZi wcZv ¯^vaxbZvi †NvlYv †`b| RvwZi wcZvi †bZ…‡Z¡ evOvwj RvwZ Suvwc‡q c‡o gyw³hy‡×| ZvB gnvb gyw³hy‡×i cÖvwZôvwbK ¯^xK…wZ I AvBbMZ wfwË ¯’vc‡b gywRebMi miKv‡ii †Kvb weKí wQj bv|

 

gywRebMi miKv‡ii †bZ…Z¡, †KŠkj I mg‡qvc‡hvMx w`K-wb‡`©kbvi d‡j gyw³hy× `ªæZZg mg‡q mdj mgvwßi w`‡K GwM‡q hvq g‡g© D‡jøL K‡i ivóª`~Z dvwZgv e‡jb, gywRebMi miKv‡ii me‡P‡q eo P¨v‡jÄ wQj cÖwZK~j cwi‡ek †gvKvwejv K‡i wek¦ RbgZ‡K evsjv‡`‡ki c‡ÿ Avbv hv Zuviv AZ¨šÍ mdjZvi mv‡_ Ki‡Z †c‡iwQ‡jb| GB miKvi wek¦ m¤úª`vq‡K evsjv‡`‡ki c‡¶ Avb‡Z †ek wKQz mg‡qv‡hvMx c`‡ÿc MÖnY K‡i| fviZmn we‡k¦i wewfbœ †`‡ki cvwK¯Ívbx `~Zvev‡m Kg©iZ evOvwj K~UbxwZKiv †hb `ªæZ cvwK¯Ív‡bi c¶ Z¨vM K‡i gywRebMi miKv‡ii c‡¶ AvbyMZ¨ cÖKvk K‡ib, †m D‡`¨vM MÖnY K‡i|

­­­

wZwb bZzb cÖR‡b¥i gv‡S gywRebMi miKv‡ii BwZnvm, gnvb gyw³hy‡×i BwZnvm I Zvrch© Zz‡j aivi AvnŸvb Rvbvb|

 

Db¥y³ Av‡jvPbv c‡e© w`emwUi Zvrch© Zz‡j a‡i cÖvYešÍ Av‡jvPbv K‡ib Av‡jvPKMY| gywRe bMi w`e‡mi GB fvPz©qvj Abyôv‡b wgk‡bi mKj ¯Í‡ii Kg©KZ©v-Kg©Pvwi AskMÖnY K‡ib|

#

পরীক্ষিৎ/সুবর্ণা/বিপু/২০২১/১৩৩৫ ঘণ্টা

 

 

 

Handout            &nb

2021-04-18-14-15-d63c6f43ccff177e81e5b39fe837f1c5.docx