তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৮
ডা. জোহরা বেগম কাজীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
-- নৌপরিবহণমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :
নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, চিকিৎসাসেবা বিশেষ করে গাইনি চিকিৎসায় ডা. জোহরা বেগম কাজীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। গাইনি চিকিৎসকদের কাছে তিনি দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন। মন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ডা. জোহরা বেগম কাজীর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী স্মৃতি উদযাপন পরিষদ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষঞ্জ অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ সিরাজুল হক খান, বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক লতিফা সামসুদ্দিন ও বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান।
শাজাহান খান বলেন, ডা. জোহরা কাজী কুসংস্কার, ধর্মান্ধতার বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে এসে সমাজ সংস্কারক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি মুসলিম মহিলা চিকিৎসাবিদ- এজন্য আমরা গর্বিত।
#
আলম/সেলিম/মোশারফ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৭
শান্তিচুক্তির সফল বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম
-- বীর বাহাদুর উশৈসিং
বান্দরবান, ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, শান্তিচুক্তির সফল বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। শান্তিচুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। বান্দরবানের গুংগুরু পাড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গুংগুরু আগাপাড়া বৌদ্ধবিহারসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে গুংগুরু পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে এক জনসভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি ও উন্নয়নের প্রতীক। ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত শান্তিচুুক্তি তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইতিমধ্যে তিনি বিশ্বের কাছে উন্নয়ন ও অগ্রগতির রোলমডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ম্রাসা খেয়াংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শফিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলী হোসেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্য সা প্রু, ফিলিপ ত্রিপুরা, সিং ইয়ং ম্রো এবং তিং তিং ম্যাসহ হেডম্যান, কারবারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
#
জুলফিকার/সেলিম/মোশারফ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৬
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৫
খুব শিগগিরই ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু হবে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নিবন্ধন অধিদপ্তরে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং খুব শিগগিরই এটা চালু হবে। এটা কেউ আটকে রাখতে পারবে না। ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে যদি ডিজিটাল পদ্ধতি আমরা গ্রহণ না করি বাংলার জনগণ আমাদেরকে আস্তাকুঁড়ে ফেলবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশনের (বিআরএসএ) বার্ষিক সাধারণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে নিবন্ধন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করার ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হওয়ার পরও তা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বিলম্বিত হয় এবং ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে প্রতিষ্ঠানটিকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়। তিনি বলেন, নিবন্ধন পরিদপ্তর অধিদপ্তরে উন্নীত হওয়ায় নিবন্ধন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যসহ জনগণকে সেবা দেওয়ার সুযোগ আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। এসুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণকে উন্নত সেবা দিয়ে তাদের মন জয় করার জন্য নিবন্ধন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, নাগরিক সুবিধা বাড়াতে সরকার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগসুবিধা সংবলিত রেজিস্ট্রি ও সাবরেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ করার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং এপ্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
বিআরএসএ’র সভাপতি দ্বীপক কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মোঃ আব্দুল মান্নান এবং বিআরএসএ’র মহাসচিব শেখ কাওসার আহমেদ বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/সেলিম/মোশারফ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৪
দরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম প্রসারিত করা হয়েছে
-- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
কেশবপুর (যশোর), ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তাবলয় কার্যক্রম আরও প্রসারিত করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আজ যশোরের কেশবপুরে গৌরিঘোনা ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামে এক জনসভায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারের সসম্মানে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সরকার দেশের সকলক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তপন কুমার ঘোষ, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাসুম/সেলিম/মোশারফ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৩
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮২
আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশের সকল ঐতিহাসিক অর্জন
-- মায়া চৌধুরী
মতলব (চাঁদপুর), ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশের সকল ঐতিহাসিক অর্জন ও স্বীকৃতি এসেছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জেল খেটেছেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মন্ত্রী আজ মতলব ডিগ্রী কলেজ মাঠে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিকতায় বাংলাদেশের ২১শে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আজ ইউনিসেফের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সম্পদ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলেও অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির সংগ্রাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অব্যাহত রয়েছে। এ যুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে শামিল হতে হবে।
#
দেওয়ান/সেলিম/মোশারফ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮১
স্পিকারের সাথে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও
সামাজিক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের বৈঠক
ঢাকা, ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগ (ডেসা) এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জেনমিন লিউ (তযবহসরহ খরঁ) গতকাল জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকের শুরুতে স্পিকার ডেসার আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন, মানসম্মত শিক্ষা, কৃষি উৎপাদন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, স্বাস্থ্য-পুষ্টি-সেবা, গড় আয়ু বৃদ্ধি, সামাজিকনিরাপত্তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। এসময় তিনি বয়স্ক জনসংখ্যার কল্যাণে বাংলাদেশ যে সকল নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সে বিষয়েও আলোকপাত করেন। তিনি আর্থসামাজিক উন্নয়ন, এসডিজি বাস্তবায়ন ও এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় ডেসার সহযোগিতা কামনা করেন।
জবাবে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগ (ডেসা) এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জেনমিন লিউ বলেন, আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করছে বিশেষ করে দারিদ্র্য নির্মূলে বাংলাদেশের সাফল্য সারাবিশ্বের জন্য উদাহরণ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশসমূহ এবং এ অঞ্চলের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এসময় তিনি স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের নিশ্চয়তা দেন।
বৈঠকে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
#
তারিক/সেলিম/মোশারফ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৮
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর ৪৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি)
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর ৪৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
''ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর ৪৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাংলাদেশ পুলিশ দেশের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়লগ্নে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিগত বছরগুলোতে অকুতোভয় পুলিশ সদস্যগণ জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আমি তাদের এ বীরত্বপূর্ণ অবদানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
“শান্তি শপথে বলিয়ান” এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ঢাকা মহানগরের প্রায় দুই কোটি নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীচক্র তাদের অপরাধের কৌশল যেমন পরিবর্তন করছে তেমনি নতুন নতুন অপরাধের সাথে যুক্ত হচ্ছে। মাদক ও সাইবারক্রাইম কঠোরহস্তে দমন করতে পুলিশকে আরো তৎপর হতে হবে। এজন্য ডিএমপিসহ বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিতে হবে।
বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। এ বাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং নানামুখী কৌশলের সমন্বয়ে নগরবাসীর নিরাপত্তা প্রদানসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নগরবাসী তা প্রত্যাশা করে।
মানুষের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ গতিকে ত্বরান্বিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করবে-দেশবাসী তা প্রত্যাশা করে।
আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।''
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আববাস/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা