Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ জুন ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৬ জুন ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ২০৭২

 

মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রেরিত মানবিক সহায়তা হস্তান্তর

 

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

 

ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রেরিত ত্রাণ সামগ্রী মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

আজ ইয়াংগুনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইয়াংগুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স এএসএম সায়েম মিয়ানমারের ইয়াংগুন রিজিয়ন সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী অং উইন থেইন (U Aung Win Thein) এর নিকট এসব ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রেরিত প্রায় ১২০ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সমুদ্র জয়’ গত ৩ জুন চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করে ৫ জুন অপরাহ্নে ইয়াংগুনের থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছায়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শুকনো খাবার, তাঁবু, বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট।  

 

প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দুর্গত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে ২০১৫ সালে মিয়ানমারে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এবং ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জনগণের জন্য বিপুল পরিমাণ জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করেছিল।

 

ত্রাণসামগ্রী গ্রহণের সময় ইয়াংগুন রিজিয়ন সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী অং উইন থেইন বাংলাদেশ সরকারের এই সময়োপযোগী মানবিক সাহায্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মানবিক সহায়তা হিসেবে এই সাহায্য প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী কোভিড অতিমারি এবং সিরিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ত্রাণ সামগ্রী এবং চিকিৎসা দল প্রেরণ করেছে। সরকারের এসব মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

 

ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের পক্ষে সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইয়াংগুনে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ‘সমুদ্র জয়’ এবং সিট্যুয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

 

মোহসিন/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২৩১৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ২০৭১

 

ইসলামাবাদে আয়োজিত হলো বাংলাদেশ উৎসব

 

ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

 

ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন  গত ৩ জুন  অত্যন্ত সাড়ম্বর ও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশ উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী’, ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ এবং ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’ উদ্‌যাপন করেছে। সম্পূর্ণ বাঙালি ধারায় আমন্ত্রিত অতিথিগণকে সম্ভাষণ, বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি প্যাভিলিয়ন, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হরেক রকম সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন ছিল এই উৎসবের মূল আকর্ষণ। এ উপলক্ষ্যে সমগ্র দূতালয় আলোকমালা, রংবেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, ঘুড়ি, ফুল ও ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি লোকপণ্য দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।

 

পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকী ‘বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি প্যাভিলিয়ন’ এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সূচনা করেন। প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এর বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু সংস্করণ, কারাগারের রোজনামচাসহ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের ওপর বই, আলোকচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শন করা করা হয়।

 

আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাইকমিশনার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি তাঁকে শুধু বিশ্বের প্রথম সারির নেতৃত্বের কাতারেই অধিষ্ঠিত করেনি, বিশ্ববাসীর চোখে তাঁকে হিমালয়সম উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে এবং বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে করেছে গৌরবান্বিত।

 

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতালয়ের সবুজ চত্বরে আমন্ত্রিত অতিথি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহণে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এরপর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের ছেলেমেয়েরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি, সংগীত ও নাচ পরিবেশন করে। এছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশি অতিথিগণ সংগীত পরিবেশন করেন।

 

উচ্চপদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাগণ, সংগীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সুশীল সমাজ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশি কমিউনিটি সদস্য, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণরত বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণসহ প্রায় দুই শতাধিক অতিথি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

খাদীজা/পাশা/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২২২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ২০৭০

 

ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বোনাস এবং জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে

                                                                             -- শ্রম প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির আগেই শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন প্রদানের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

 

আজ রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসি এর ৭৫তম এবং আরএমজি টিসিসির ১৫তম সভায় সভাপতি হিসেবে প্রতিমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

 

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদ যেহেতু মাসের শেষ দিকে সেজন্য মালিকগণ ঈদ বোনাসের সাথে চলতি জুন মাসের ১৫ দিনের বেতনটাও পরিশোধ করবেন। শ্রমিক নেতৃবৃন্দের জুন মাসের পূর্ণ বেতন দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, ১৫ দিনের বেতন বাধ্যতামূলক। তবে কোনো মালিকের সক্ষমতা থাকলে ইচ্ছে করলে পূর্ণ মাসের বেতন দিতে পারবেন। সেটা বাধ্যতামূলক নয়। তিনি বলেন, গার্মেন্টস যেহেতু রপ্তানিমুখী শিল্প এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মালিকগণ উভয় বিষয় মাথায় রেখে শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে ছুটির বিষয়টি নির্ধারণ  করবেন।

 

শ্রমিক নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের জন্য রেশনের ব্যবস্থার দাবি জানালে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের রেশনের দাবির বিষয়ে অবগত। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী মালিক শ্রমিক সবাই মিলে যাতে সুন্দরভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারেন সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান।

 

টিসিসি সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ, ফাহমিদা আখতার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক মিনা মাসুদ উজ্জামান, শিল্প পুলিশের ডিআইজি জিহাদুল কবির, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ নাসির উদ্দীন,  পরিচালক মোঃ হারুন অর রশিদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুস সালাম খান, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম রনি, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি কামরুল আহসান, ইন্ডাস্ট্রি অভ্‌ বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি শ্রমিক নেত্রী নাজমা খাতুনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, আইএলও, দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

 

#

 

আকতারুল/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২০১৫ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২০৬৯

 

বিএনপি ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি

                           --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

‘বিএনপির নেতিবাচক ধ্বংসাত্মক, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি, নির্বাচন প্রতিহত করা-বয়কট করার অপরাজনীতির কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

আজ সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি’ বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে কারণ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে এবং অন্য কোনো দেশের সমর্থনও পায়নি। ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো ‘নির্বাচন প্রতিহত করবো, বর্জন করবো’ এগুলো বলার সুযোগ নাই।’ যে কারণে এখন ফখরুল সাহেব একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন, বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করছেন।’

হাছান বলেন, ‘সব কথার শেষ কথা হচ্ছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর করা সম্ভবপর নয়। তাই তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, দেশে গন্ডগোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।’ 

বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক : ড. হাছান

বিএনপি এবং জামায়াত আবার এক হচ্ছে, জামায়াত ১০ জুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে -সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক আছে। তারা কোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয় নাই, মাঝে মধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দেশে গন্ডগোল করার চেষ্টা করবে। সেই গন্ডগোল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গন্ডগোল করার উদ্দেশ্যেই। সেই গন্ডগোল তাদেরকে করতে দেওয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামায়াতকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় দেশের জনগণ তা জানে।’ 

একই সাথে ড. হাছান বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে জামায়াত এবং বিএনপি সহিংসতা করার লক্ষ্যেই কর্মসূচি সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি গন্ডগোল করে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা, পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেটি করার সুযোগ তারা পাবে না।’ 

গুজব প্রতিরোধ করবে সরকার ও মূলধারার গণমাধ্যম : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজবের উদ্ভব হচ্ছে- এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ। আমি ক’দিন আগে এশিয়া মিডিয়া সামিটে গিয়েছিলাম সেখানে এই বিষয়টা গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং সামিটের ঘোষণাপত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট যারা খুনের দায়ে, দুর্নীতির দায়ে পলাতক তারা বিদেশে বসে আর কিছু ব্যক্তিবিশেষ দেশ থেকে নানা গুজব ছড়ায়।’

 

 

 

 

-২-

গুজব প্রতিরোধের জন্য সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আগামী জুলাই থেকে বিটিআরসির সক্ষমতা বাড়বে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়েও গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আর মূলধারার গণমাধ্যম পত্রিকা এবং টেলিভিশন করোনার মধ্যেও গুজবের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আমি আশা করবো, ভবিষ্যতেও নির্বাচনকে সামনে রেখে হোক, যে কোনো প্রেক্ষাপটেই হোক, গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।’ 

বিএনপির বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও : প্রস্তুত জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

৮ জুন বিএনপির বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, এবার যদি সেটা করে তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে, উচিত শিক্ষা দেবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত আছে। আর তারা তো বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারেক রহমানের খাম্বা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি করে বিদ্যুতের খাম্বা বানিয়েছিল বিদ্যুৎ না দিয়ে শুধু খাম্বা লাগিয়েছিল। আমি আশা করবো তারা যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করতে যাবে তারেক রহমান যে শুধু খাম্বা দিয়েছিল সেটিও মাথায় রাখবে।’ 

বিদ্যুৎ সরবরাহে ছেদ নিয়ে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় দেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। এখন মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে এটি ঠিক কিন্তু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ১৫ দিনের মধ্যে এটা পরিবর্তন হবে।’ বিদ্যুতের এই অসুবিধা বিশ্বব্যাপী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক সেকেন্ডের জন্যও কখনো বিদ্যুৎ যায়নি। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিদ্যুতের রেশনিং করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবাইকে এসএমএস করে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার জন্য।

 

#

 

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮৩৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২০৬৮

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

 

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।               

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৫১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৪৩৭ জন।

 

#

 

সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭৪০ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ২০৬৭

 

 

প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে

                                                --আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন):

 

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে নিরন্তর সামনে এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশ এখন অন্যান্য দেশের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভা চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন তৃণমূল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা তথা সকল প্রত্যাশা পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জনস্বার্থকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে হবে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, স্বাধীনতার সংগ্রাম, ঐতিহ্য, উন্নয়ন ও চলমান অগ্রযাত্রাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, সরকার অর্থনীতিকে বিকশিত ও গ্রামীণ জনগণের উন্নয়ন ভাবনাকে আবর্তিত করে বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তিনি প্রস্তাবিত বাজেটকে সাধারণ মানুষের আশা-প্রত্যাশা ও উন্নয়ন ভাবনা প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেন। 

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বরিশালবাসীর ভাগ্যোন্নয়নে স্ব স্ব ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

 

#

 

আহসান/পাশা/সঞ্জীব/লিখন/২০২৩/১৭৪৭ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ২০৬৬

একনেকে ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকার ১৮ প্রকল্প অনুমোদন

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক) প্রায় ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১৮ টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার ৮৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের “ফরিদপুর জেলাধীন মধুমতি নদীর বাম তীরের ভাঙ্গন হতে শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর সংযোগ রাস্তাসহ অন্যান্য এলাকা সংরক্ষণ ও ড্রেজিং” প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৪টি প্রকল্প যথাক্রমে “বাগেরহাট জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প, “নেত্রকোণা জেলার গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প, “গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায়) (১ম সংশোধন)” প্রকল্প এবং “নড়াইল জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প; কৃষি মন্ত্রণালয়ের “নতুন ০৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগার উন্নয়ন” প্রকল্প; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে “আশ্রয়ণ-২” (৫ম সংশোধন) প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২ টি প্রকল্প যথাক্রমে “১০টি মেডিকেল কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আধুনিক সুবিধা সংবলিত ১৯টি হোস্টেল ভবন নির্মাণ” প্রকল্প এবং “পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, পটুয়াখালী” (১ম সংশোধন) প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২ টি প্রকল্প যথাক্রমে “জাহাঙ্গীরগনর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং স্থাপন” এবং “হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন (HEAT)” প্রকল্প; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের “জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা” (৩য় সংশোধন) প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের “বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১: শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন” (২য় সংশোধন) প্রকল্প; গৃহায়ন ও গণপূত মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে “সাতক্ষীরা সড়ক ও সিটি বাইপাস সড়ককে সংযুক্ত করে সংযোগ সড়কসহ তিনটি লিংক রোড নির্মাণ” প্রকল্প এবং“চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড” (৪র্থ সংশোধন) প্রকল্প;  প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২ টি প্রকল্প যথাক্রমে “সাভার সেনানিবাস এলাকায় মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন” এবং “ডিজিএফআই এর টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ এবং কারিগরী সক্ষমতা উন্নয়ন (টিআইএইচডিটিসিবি)” (২য় সংশোধন) প্রকল্প; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের “বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ” (২য় সংশোধন) প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ; স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

                                                             #             

শাহেদুর/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রাসেল/মাসুম/২০২৩/১৪৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর : ২০৬৫ 

সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে খুতবায় বয়ান করতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান                                                       

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :  

জুমার খুতবায় আলেম ওলামাদের সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে বয়ান করার আহ্বান জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, আলেম ওলামাদের নেতৃত্বেই দেশ থেকে সন্ত্রাস-উগ্রবাদ চিরতরে দূর হবে।

আজ বায়তুল মুকাররম মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নিরসন, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ, মাদক নির্মূল ও দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ইসলাম কখনোই উগ্রবাদকে সমর্থন করে না, একথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সাড়ে ৩ লাখ মসজিদে যে ইমাম রয়েছেন তাঁরাই আমাদের বড় শক্তি। আলেমরা হলো এ দেশের বাতিঘর। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে কতিপয় গোষ্ঠী ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ অপপ্রচারকে রুখে দিতে দেশের আলেম সমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

ফরিদুল হক খান বলেন, সরকার আলেম ওলামাদের কল্যাণে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইসলাম ধর্মের সঠিক প্রচারের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ২০০টি মডেল মসজিদ কর্তৃক উদ্বোধন করেছেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা রুহুল আমিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলম ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান।

#

শায়লা/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রাসেল/কলি/আসমা/২০২৩/১৫০০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ২০৬৪

ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“আজ ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের শুরুটা হয়েছিল ১৯৬৬ সালের এই দিনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে দিনটি অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের
৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে ৬-দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬-দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ৬-দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ। ছয়-দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ মানুষ রাজপথে নেমে আসে।

জাতির পিতা ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে এ দিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, আবুল হোসেন, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন। আজকের এই দিনে আমি ঐতিহাসিক ৭ই জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬-দফার প্রতি এ দেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ছয়-দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অঙ্কুরিত হয় স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ। ছয়-দফা ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ছয়-দফা ভিত্তিক ১১-দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জনগণ
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। ছয়-দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।

ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে এবং প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছি। গত প্রায় সাড়ে ১৪ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করি এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ ও আধুনিক-স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

আমি ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উ

2023-06-06-17-17-5cb7c9c590d57160e4aee43b985b4a33.docx