তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৯
চিকিৎসক ও নার্সদের প্রথম কাজ রোগীকে সেবা দেয়া
-- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
খুলনা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সেবার চেয়ে বড় কিছু নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রথম কাজ হচ্ছে রোগীকে সেবা দেয়া।
তিনি আজ খুলনা শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি জঙ্গি দমনে সফলতা অর্জন করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলকে উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে এনেছেন। সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নার্সদের ২য় শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছে এ সরকার। সরকারি প্রচেষ্টায় দেশে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। খুলনা শিশু হাসপাতলকে সরকারি করার দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে খুলনায় একটি সরকারি শিশু হাসপাতাল করা হবে।
অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, তালুকদার আবদুল খালেক ও পঞ্চানন বিশ্বাস, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ফারুক হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমূল আহসান, সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আবদুর রাজ্জাক, বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, হাপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মোঃ কামরুজ্জামান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে যোগদান এবং খুলনা আদ-দ্বীন হাসপাতালে মডেল ফার্মেসির উদ্বোধন করেন।
#
জাকির/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৮
ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
দশম জাতীয় সংসদের ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৮তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম হীরার সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, মোঃ মকবুল হোসেন এবং এ কে এম মাঈদুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সকল জেলার ভূমি জরিপের কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখার উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনা ও জরিপ অধিদপ্তরের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন, গতিশীলতা বৃদ্ধি ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করার উদ্যোগ গ্রহণ করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে ভূমি রেজিস্ট্র্রেশন বিভাগকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া দেশের সকল বালুমহাল জেলা প্রশাসকদের নজরদারিতে রাখারও সুপারিশ করা হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
হালিম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৭
কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে
--- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থার কাজের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে অনুপাতে কর্মকর্তাদের দক্ষতাও বাড়াতে হবে। ভালভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ সম্পাদন করতে হবে। একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্ধ-বার্ষিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)-এর ই-ফাইল কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। মাউশি’র মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন উইং (এমইডব্লিউ) এ পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন প্রণয়ন করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার কাজের গতি বাড়ায়। প্রযুক্তি এখন মানুষের বড় হাতিয়ার। কম সময়ে কাজ সম্পন্ন করার জন্য এর ব্যবহার করতে হবে। ই-ফাইলিং এক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
তিনি প্রকল্পগুলোর অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। প্রকল্পের কাজে ধীরগতির কারণ সুনির্দিষ্টভাবে মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে তুলে ধরার জন্যও তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, সেকায়েপ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মাহামুদ-উল-হক, মাউশি’র পরিচালক (মাধ্যমিক) এলিয়াছ হোসেন এবং এমইডব্লিউ-এর পরিচালক ড. মো. সেলিম মিয়া বক্তব্য রাখেন।
এর আগে মন্ত্রী মাউশি’র ই-ফাইল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ১৩টি প্রকল্পের অর্ধ-বার্ষিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
#
আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬
পাঁচশ’ শিক্ষার্থীকে মুক্তির ইতিহাস শোনালেন তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
বীর শহিদদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশের মাটি ও নদ-নদীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী শ্লোগান, অস্ত্রের ঝংকার আর হার না মানা নির্যাতিত মানুষের আর্তনাদ ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে। জাতির সুপ্রাচীন ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রা নিয়ে এভাবেই পাঁচশ’ শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তাদের শোনালেন বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও স্বাধীন হওয়ার অমর কাহিনী।
আজ রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজে ‘আমরা মানুষ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘মুক্তির ইতিহাস শোনো’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আলোচনা করেন। বিএএফ শাহীন কলেজের অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন আহসানের সভাপতিত্বে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজের পরিচালক রাসেল আহমেদ তুহিন অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন।
মুক্তিযোদ্ধা ইনু তার বক্তৃতায় বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। লাখো শহিদের রক্ত, মা-বোনের আত্মত্যাগ, সন্তানহারা মায়ের কান্না মিশে আছে এই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে। তাদের প্রত্যেকের জন্য চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
‘শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরের মহাযুদ্ধে পক্ষ-বিপক্ষ ছিল। তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে হাত মিলিয়ে ছিল এদেশের কিছু ঘৃণ্য মানুষ-তারা রাজাকার। তারাই আজ জঙ্গিবাদী। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে জঙ্গি এবং মাদক পরিহার করতে হবে। দেশপ্রেমিক হতে হবে, দেশের শত্রুও চিনতে হবে। আর মাতা-পিতা এবং শিক্ষকদের জন্য বুকে রাখতে হবে বিরাট সম্মান। এভাবেই বাংলাদেশকে তার নিজের পথে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।’
সমাজসেবক এবং আয়োজক সংস্থার উপদেষ্টা রাশেক রহমান, প্রাণ ফুডস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আলী হাসান আলম এবং আরএফএল প্লাস্টিকের বিপণন প্রধান এস এম আরাফাতুল রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং আয়োজক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শামীমা রহমান তুষ্টি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নূতন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছানোর জন্য দেশের ৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘আমরা মানুষ ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে ‘মুক্তির ইতিহাস শোনো’ অনুষ্ঠানের সূত্রপাত ঘটলো।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৫
তিন বছরের মধ্যে ৪০ ভাগ সরকারি কর্মচারী আবাসন সুবিধা পাবে
-- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি)ঃ
আগামী তিন বছরের আগেই ঢাকায় কর্মরত ৪০ ভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি আবাসন সুবিধার আওতায় আসবে। বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত মাত্র আটভাগ কর্মকতা-কর্মচারী সরকারি আবাসন সুবিধা পান। সরকার ২০১৯ সালের মধ্যে ৪০ ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি আবাসন সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আজ মিরপুরে তিনটি স্থানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন কোয়ার্টার্স ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। এ সময়ে মন্ত্রী মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাঠের কারখানা কম্পাউন্ডে ১০টি ২০ তলা ভবনে ১০৬৪টি ফ্ল্যাট, একই সেকশনে একটি ১২ তলা ও তিনটি ১৩ তলা ভবনে ২৮৮টি ফ্ল্যাট এবং মিরপুরের পাইকপাড়ায় আটটি ২০ তলা ভবনে ৬০৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি কাজে গতিশীলতা আনতে হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যেই সরকার সরকারি আবাসন সুবিধার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মিরপুর এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরো বেশকিছু পুরাতন ভবন রয়েছে। এসব ভবন ভেঙ্গে ফেলে সেখানে সুউচ্চ কোয়ার্টার্স ভবন নির্মাণ করে আরো প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসন সুবিধা গড়ে তোলা হবে। আজিমপুর ও মতিঝিলে ২০ তলা কোয়ার্টার্স ভবন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। বিচারপতিদের জন্য ৩৫০০ বর্গফুটের ৮৬টি ফ্ল্যাট মার্চ মাসে হস্তান্তর করা হবে। মন্ত্রীদের জন্য বেইলী রোডে সুসজ্জিত একটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ আবাসিক ভবনে মন্ত্রীগণ তাদের নিজস্ব ব্যবহারের জিনিস-পত্র নিয়ে পরিবারসহ উঠবেন। কোন ফার্নিচার আনতে হবে না। সচিবদের জন্য তিনটি বহুতল ভবনে ১১৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। সকল সচিবেরই এখানে আবাসনের ব্যবস্থা করা যাবে। এ সব ভবনে সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য মিপুর ৬ নম্বর সেকশনে ১০ একর জমিতে ১০টি ২০ তলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৮৫২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, একই সেকশনে আড়াই একর জমির ওপর একটি ১২ তলা ও তিনটি ১৩ তলা ভবন নির্মাণে ব্যয় ১০২ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং পাইকপাড়ায় চার একর জমির ওপর আটটি ২০ তলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
#
কিবরিয়া/মাহমুদ/জসীম/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৪
একনেক সভায় ১২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ১২ হাজার ৫৫০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় সংবলিত ৮টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আজ ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সৌদি গেজেট পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফরের পর উপসাগরীয় দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে- বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ধ্যানধারণায় ব্যাপক পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী একনেক সভা শেষে সভার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, দেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় প্রশাসন পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড টানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, চর এলাকায় ভূমিহীনদের জমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে, বসতবাড়ী এবং চাষাবাদের জমির জন্য প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পিত পদ্ধতি গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করবেন। এতে ফসলি জমি রক্ষা পাবে এবং বসতবাড়ীতেও রাস্তাঘাট, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনসহ আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে-জমির অপচয়ও রোধ হবে। তিনি বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি।
একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হচ্ছে ‘লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৫৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩১৫৩ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২৩৮২ কোটি টাকা। ‘জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৪১৮ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩১৫ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১০২ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা । ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৬৩৫ দশমিক ৭০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অভ্ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), মিরপুর সেনানিবাস এর অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণ’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৪২১ দশমিক ০৯ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। অনন্যা আবাসিক এলাকার উন্নয়ন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৮৩২ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ২০০০ কোটি টাকা (ব্যাংক ঋণ) এবং নিজস্ব তহবিল ৮৩২ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা। ‘নাটোর রোড (রুয়েট) হতে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১৩৯ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। ‘বরিশাল ও সিলেট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং রেঞ্জ রিজার্ভ (আরআরএফ) পুলিশ লাইন নির্মাণ’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৩১ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। ‘পটুয়াখালী-পায়রা ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ’ প্রকল্প এবং এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৩৬ দশমিক ১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ২৯৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৪০ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১২
দুই বছর পর উৎপাদনে আসছে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে আসছে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (সিইউএফএল)। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ কারখানায় অ্যামোনিয়া এবং ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হবে।
উল্লে¬খ্য, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ইউরিয়া রিঅ্যাক্টরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ইটালিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে দু’দফা মেরামত শেষে এটি চালু করা হচ্ছে।
মেরামতকালে এতে সম্পূর্ণ নতুন কুলিং টাওয়ার প্রতিস্থাপন এবং ইউরিয়া রিঅ্যাক্টর রিলাইনিং করা হয়েছে। কারখানাটি চালু হলে দৈনিক দেড় হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে।
এছাড়া, গত বছর অক্টোবর মাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুগঞ্জ সার কারখানাও আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে উৎপাদন শুরু করবে। এ কারখানা থেকেও প্রতিদিন দেড় হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার পাওয়া যাবে।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৩
দেশে ইউরিয়া সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ইউরিয়া সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আজ পর্যন্ত বিসিআইসি’র বিভিন্ন গুদামে ৮ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে।
একই সাথে জি-টু-জি পদ্ধতিতে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সার আমদানি অব্যাহত রয়েছে। মংলা বন্দরে একটি জাহাজ থেকে আমদানিকৃত সাড়ে ২৭ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার খালাসের কাজ চলছে। এছাড়া, আরো ৪২ হাজার মেট্রিক টন সার নিয়ে দু’টি জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
এছাড়া বর্তমানে বিসিআইসি’র সার কারখানাগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন সার উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। সিইউএফএল এবং আশুগঞ্জ কারখানা উৎপাদনে গেলে দৈনিক আরো ৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া যোগ হবে।
জুন, ২০১৬ থেকে জানুয়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার চাষী পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে বলে বিসিআইসি জানিয়েছে।
#
জলিল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি ) :
জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রলায়ের মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মোহাম্মদ নোমান এবং ইয়াসিন আলী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিগনালিং এর বর্তমান পদ্ধতি ও এর উন্নয়নের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ, বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবহারের জন্য জ¦ালানি ক্রয় পদ্ধতি, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান সংস্কার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সভায় জানানো হয়, রেলওয়েতে তেল চুরি রোধকল্পে প্রতিটি লোকামিটিভের ফুয়েল ট্যাংকে স্টেইনার সংযোজন পূর্বক ফুয়েল ক্যাপ সিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো কারণে সিল ভাঙ্গা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এলএম/এএলএম এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। সিল সংক্রান্ত রেজিস্টারের মাধ্যমে প্রতিটি সেডে সিলের বিষয়টি রেকর্ডভুক্ত হচ্ছে, জ¦ালানির অপব্যবহার রোধকল্পে কোন মালবাহী ট্রেনে ৩০ মিনিটের বেশি আইডেল রেশন দেয়া হয় না। এছাড়া, কোনো ট্রেনের অতিরিক্ত জ¦ালানি খরচ হলে সংশ্লিষ্ট এলএম এর বেতন হতে টাকা কর্তনের মাধ্যমে সমন্বয় করা হচ্ছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিগন্যালিং পদ্ধতি উন্নত করতে সুপারিশ করা হয় এবং কমিটি রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগের নীতিমালা আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
সাব্বির/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৬০৫ ঘণ্টা
থ্যবিবরণী নম্বর : ৩১০
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে আজ সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে বিশ্বব্যাংকের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। বিশ্বব্যাংকের এডুকেশন প্র্যাকটিস ম্যানেজার কেইকো মিওয়া প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ ও অশোক কুমার বিশ্বাস এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিদলের প্রধান শিক্ষাখাতে চলমান প্রকল্পগুলো যথাসময়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চারটি প্রকল্প সেকায়েপ, হেকেপ, স্টেপ ও কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হচ্ছে উল্লেখ করে কেইকো মিওয়া বলেন, বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রকল্পগুলো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সফল প্রোগ্রাম। শিক্ষাখাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে তা আরো বাড়ানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলো সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। কারিগরি ও উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা বাংলাদেশের শিক্ষাখাতের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।
প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট দিলীপ পারাজুলি ও শিরো নাকাতা এবং সিনিয়র অপারেশনস্ অফিসার মো. মোখলেসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
#
আফরাজুর/অনসূয়া/শহিদ/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৭/১৪২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯
মৎস্যখাতের ২৯টি প্রকল্পে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ ৪৩৭ কোটি ১১ লাখ
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মৎস্য অধিদফতরের ২৯টি প্রকল্পে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত ৪৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকার মধ্যে ডিসেম্বর-১৬ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১০৮ কোটি ৪৯ লক্ষাধিক টাকা, যা শতকরা হিসেবে ২৪ দশমিক ৮২ ভাগ।
বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। একই সময়ে প্রকল্পসমূহের জন্য অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ১৮৩ কোটি ৩৬ লক্ষাধিক টাকা। উল্লেখ্য, ডিসেম্বর-১৬ পর্যন্ত প্রকল্পবাস্তবায়নে জাতীয় গড় অগ্রগতি হচ্ছে ২৭ দশমিক ১১ ভাগ।
আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মৎস্য-উপখাতের মাসিক অগ্রগতি পর্যালোচনাসভায় এ তথ্য জানানো হয়। উপখাতভিত্তিক সংস্থাসমূহ হচ্ছে- মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদফতর, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন ও মেরিন ফিশারিজ একাডেমি।
উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হচ্ছে-বন্যানিয়ন্ত্রণ ও সেচপ্রকল্প এলাকায় এবং অন্যান্য জলাশয়ে সমন্বিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প, মেরিন ফিসারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্প, গোপালগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলায় মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট স্থাপন, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্যচাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাদুপানির চিংড়িচাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, উন্মুক্ত জলাশয়ে বিলনার্সারি স্থাপন ও পোনা অবমুক্তকরণ প্রকল্প ইত্যাদি।
#
শাহ আলম/অনসূয়া/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৮
সরকার যুব উন্নয়ন বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে
- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
নিউইয়র্ক, ৩১ জানুয়ারি :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন সিকদার বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বিভিন্ন খাতে যুবদেরকে সংশ্লিষ্ট রেখে লক্ষ্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার বিভিন্ন জাতীয় নীতি ও কর্মসূচিতে যুব উন্নয়ন বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়েই ২০৩০ এজেন্ডা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাবে বাংলাদেশ সরকার।
প্রতিমন্ত্রী ৩০ জানুয়ারি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ঊঈঙঝঙঈ)- আয়োজিত ৬ষ্ঠ ইকোসক ইয়ুথ ফোরামে প্রদত্ত বক্তৃতায় একথা বলেন।
জাতিসংঘে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই আমাদের যুবশক্তি দেশ গড়ার কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় যুব নীতি অনুযায়ী ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি নাগরিক যুব, যা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশ। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ব্যতীত দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, বেকার যুবদের কর্মমুখী করতে সরকার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় দুই বছরের জন্য বিভিন্ন পেশায় চাকুরির সুযোগ সৃষ্টি, যুবদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান, জাতীয় সংসদে যুব কল্যাণ তহবিল বিল ২০১৬ পাশসহ এখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করেছে। উদ্ভাবনে যুবদের উৎসাহ দিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘যুব উদ্ভাবনী তহবিল ২০১৫’ চালু বাংলাদেশে যুব উন্নয়নে একটি মাইলফলক।
দারিদ্র্য বিমোচন, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে যুবদের ভূমিকা আরো বৃদ্ধি করতে প্রতিমন্ত্রী এ ফোরামে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এগুলো হচ্ছে : যুব সমাজকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান, যুব মহিলাদের কর্মমুখী করতে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি প্রণয়ন, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী যুবদের যথাযথ গুরুত্ব প্রদান, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে যুবদেরকে সম্পৃক্ত করা, বিশ্বের সকল যুবদের বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং জাতিসংঘে যুবদের জন্য বিভিন্ন প্লাটফরম গড়ে তোলা যাতে তারা বৈশ্বিক নীতি প্রণয়নে অবদান রাখার সুযোগ পায়।
উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ‘ইয়ুথ ফোরাম’ যুবদের জন্য জাতিসংঘের একমাত্র প্লাটফরম যেখানে যুবরা নীতি নির্ধারণী আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এর মাধ্যমে যুবরা সমন্বিতভাবে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, নতুন নতুন ধারণার প্রবর্তন এবং সৃষ্টিশীল কাজে অবদান রাখতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক ফোরাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৫ জন মন্ত্রীসহ যুব সংগঠনের প্রতিনিধিগণ এ ফোরামে অংশগ্রহণ করছেন।
#
অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১২২০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানুয়ারি ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আমি দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সরস্বতী পূজা বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় উৎসব। ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে এই উৎসবে সকলের অংশগ্রহণ এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে বাণী অর্চনার এই আবহ অম্লান হোক। জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত হয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ অসাম্প্রদায়িকতা, অজ্ঞানতার অন্ধকার, কূপম-ূকতা আর অকল্যাণকর সকল বাধা পেরিয়ে একটি উন্নত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবে-এটাই সকলের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল থেকে এ দেশের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকল সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
আমি সরস্বতী পূজা উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১০০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৭
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ মাঘ (৩১ জানু<