Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ২৯৩৯

 

প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছে সরকার

                                                                            ---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৯ মাঘ, (১২ ফেব্রুয়ারি) :

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সফল উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকার কাজ করছে।

 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (বিএসওএবি) আয়োজিত ‘হেয়ার এন্ড বিউটি ফেস্ট-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, এখন গ্রাম পর্যায়েও বিউটি সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের নারীরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলছে। বিউটি সার্ভিস এখন আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী আর তাদের ছাড়া দেশকে কখনো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভাব হবে না। তাই নারী উদোক্তাদের সহায়তা করলে এদেশের নারীরা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে।

 

দীপু মনি বলেন, হেয়ার অ্যান্ড বিউটি ফেস্ট সৃজনশীলতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রচারে শিল্পের প্রতিশ্রুতির উদাহরণস্বরূপ। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা সৌন্দর্যকে উদ্‌যাপনের পাশাপাশি ক্ষমতায়ন, ভোক্তা অধিকার এবং নৈতিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি বলেন, বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ সফল উদ্যোক্তা কাজ করছে। পাশাপাশি নারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যা যা প্রয়োজন তা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় করবে।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (বিএসওএবি) এর সভাপতি কানিজ আলামস খান।

 

 

#

জাকির/ফয়সল/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২৫৪ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ২৯৩৮

 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সাথে এডিবি’র উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক

 

 

ঢাকা, ২৯ মাঘ, (১২ ফেব্রুয়ারি) :

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের সাথে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন। পরামর্শক দলে ছিলেন সাউথ এশিয়ার ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক তাকেও কনিশি, এডিবি’র বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিংসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর প্রধানগণ। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রণালয়ের চাহিদা, এডিবি’র পোর্টফোলিওর মূল বিষয়গুলো চিহ্নিতকরণ এবং মন্ত্রণালয়কে আরো নিবিড়ভাবে সহায়তা করার লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের জন্য একটি শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বলে জানান।

প্রতিনিধিদল এই সময় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় কী ধরনের প্রকল্প নেওয়া সম্ভব, আন্তসম্পদের সঠিক ব্যবহারের জন্য পৌরসভা বন্ড চালু করণের সম্ভবতা, গ্রামীণ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নতকরণ, নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনিয়োগ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়া রাজধানী ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা এবং নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় নদীর দূষণ, দখল ও নাব্যতা রক্ষায় প্রকল্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ আর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে ২১৭ টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এর মধ্যে ১০ টি প্রকল্প এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ সহায়তার পরিমাণ ২২৩৫৫.৭১ কোটি টাকা। এডিবি চলমান দ্রুত নগরায়ন এবং মৌলিক নগর অবকাঠামোর জন্য অগ্রাধিকার বিবেচনা করে বড় শহরগুলোতে জল সরবরাহ, স্যানিটেশন (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) এবং শহরগুলোকে আরো বাসযোগ্য করে তোলার জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে সাক্ষাৎকালে জানানো হয়। ‘মডেল’ শহর গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় এডিবি’র আগ্রহ রয়েছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন৷

এদিকে, পরবর্তীতে ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সমঝোতা বিষয়ক এম্বাসাডর স্টেফান ক্রুজাটের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপে এবং ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।

বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন কার্যক্রমের বিস্তারিত আলোচনা শেষে এ সম্পর্কিত প্রকল্পে বিনিয়োগে ফ্রান্সের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের তিনটি প্রকল্পে ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) অর্থায়ন করেছে যার পরিমাণ ১৫৪১৫.০৯ কোটি টাকা।

 

#

হেমায়েত/ফয়সল/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২৩৭ ঘণ্টা       

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর: ২৯৩৭

নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না

সাবেক এমপি মোছলেম উদ্দিন এর স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া আপনাদের এই দল এবং রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না। তিনি বলেন, 'বসে যাওয়া পুরাতন গাড়ির মতো বিএনপিকে দেশি-বিদেশি অনেকে ঠেলেও স্টার্ট দিতে পারেনি। বিএনপি’র এই পুরাতন গাড়ি স্টার্ট দিতে হলে ব্যাটারি চেঞ্জ করতে হবে। কিন্তু তাদের ড্যাম হয়ে যাওয়া ব্যাটারিও থাকে লন্ডনে। এই ব্যাটারি ফেলে না দিলে বিএনপির রাজনীতির গাড়ি আর কখনো স্টার্ট হবে না।'

আজ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনার সরকারকে সারাবিশ্বের অভিনন্দন দেখে বিএনপি কয়দিন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসেছিল মন্তব্য করে হাছান বলেন, 'এ পর্যন্ত ৭০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। জো বাইডেন চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে, বাংলাদেশ সরকারের সাথে তারা কাজ করতে চায়। তার ক’দিন পরে ঋষি সুনাক-ও চিঠি দিয়েছেন অভিনন্দন জানিয়ে। জাতিসংঘের মহাসচিবও চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইউরোপিয়ান কমিশনের সবাই অভিনন্দন জানিয়েছেন। এতো অভিনন্দন বার্তা ইতিপূর্বে কখনো আসেনি। সমস্ত পৃথিবী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে, এবং এই সরকারের সাথে কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। আর এগুলো দেখে মাথা খারাপ হয়ে বিএনপি কয়দিন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসেছিল, কি করবে বুঝতে পারেনি।'

বিএনপির লিফলেট কর্মসূচি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা লিফলেট বিতরণ করেন, পেট্রোল বোমা বিতরণ করতে যাবেন না। সেটা যদি করেন উচিত শিক্ষা আপনাদেরকে দেওয়া হবে। দলের তরুণ কর্মীদের বলবো, বিএনপির কারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করে, সেটা খুঁজে বের করুন। আমরা তাদেরকে এই কাজ করতে দেব না।'

প্রয়াত এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ একজন কর্মী থেকে নেতা হয়ে ওঠা মানুষ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, মিছিলের পেছনের সারির কর্মী থেকে তিনি নেতৃত্বের আসনে আসীন হয়েছিলেন। একজন কর্মী কীভাবে নেতা হতে পারেন সেটির উদাহরণ তিনি। আজকের নতুন প্রজন্ম যারা ৩০ বছর বয়স, তারা জানে না বিরোধী দল কি, বিরোধী দলে থাকতে আমাদের কি যন্ত্রণা হয়েছিল, সেটি অনেকে বুঝতে পারে না।

সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে, জিয়া-এরশাদের দমন-পীড়ন-রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিনের মতো যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ডকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আজকে ধীরে ধীরে তাদের অনেকে প্রয়াত হয়েছেন, ভারাক্রান্ত স্বরে বলেন হাছান।

বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা’র সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুস ছালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন প্রমুখ।

#

আকরাম /ফয়সল/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর: ২৯৩৬

দীর্ঘ অপেক্ষার পর চালু হলো রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে পণ্যবাহী যান চলাচল

রাজশাহী, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

          বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ প্রটোকলের আওতায় চালু হলো রাজশাহীবাসীর দীর্ঘ কাঙ্ক্ষিত সুলতানগঞ্জ পোর্ট অভ্ কল এবং সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথ।

          আজ বাংলাদেশ অংশের সুলতানগঞ্জে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এ নৌপথটির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মসচিব সেলিম ফকির। এ উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

          সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব প্রতিদিনই নতুন উচ্চতা পাচ্ছে। সুলতানগঞ্জ-মায়া নতুন নৌপথটি তারই প্রতিফলন। তিনি বলেন, আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য একটি উপাদান হলো পাথর। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মাত্র ৫ শতাংশ পাথর পাওয়া যায়। বাকি ৯৫ ভাগই ইইউ, ভিয়েতনাম, ওমান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে আনতে হয়। দূরবর্তী ওই দেশগুলো থেকে মাদার ভেসেলের মাধ্যমে সমুদ্র বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি করতে প্রতি মেট্রিক টনে প্রায় ২০ মার্কিন ডলার খরচ হয়। ভারত থেকে কয়েকটি স্থল-বন্দর দিয়ে সিএন্ডএফ এর মাধ্যমে পাথর আমদানিতে খরচ হয় ১৩ মার্কিন ডলার আর সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে আমদানি করলে খরচ ৮/৯ মার্কিন ডলারে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

          শুষ্ক মৌসুমে এই নৌপথটির নাব্যতা চ্যালেঞ্জ থাকলেও মাত্র ২০ কি.মি. দূরত্বের সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে সারাবছরই স্বল্প নাব্যতার নৌযান দ্বারা উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পরিচালনা করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কালাম আজাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

          উল্লেখ্য, পদ্মা ও মহানন্দা নদীর মোহনায় অবস্থিত রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ হতে ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের জন্য এ নৌপথটি তৈরি করা হয়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে বাণিজ্য চালু ছিল। পরে নৌপথটি বন্ধ হয়ে যায়।

#

তৌহিদ/ফয়সল/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ২৯৩৫

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর

বরিশাল, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি) :

          শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার দিকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধিশালী স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের তরুণরাই হবে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধার। এজন্য এখন থেকেই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

          আজ বরিশাল জিলা স্কুল এর ১৭০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, তোমাদের লেখাপড়া করতে হবে, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই গঠনমূলক কর্মকাণ্ড করতে হবে। তোমরা যদি সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের গড়ে তুলতে পারো, তাহলেই তোমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কর্ণধার হতে পারবে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার। কিন্তু আমরা জনসাধারণ যদি শারীরিকভাবে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারি তাহলে এটা সোনার বাংলা হবে না, রুগ্ন বাংলা হবে। সুতরাং সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের প্রতিটি নাগরিককে শরীরের দিকে নজর দিতে হবে। আর এজন্যই সরকার খেলাধুলার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে।

          জাহিদ ফারুক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি-এ চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নাগরিক সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দুর্নীতিমুক্ত, কাগজবিহীন, আন্তঃসংযুক্ত ও আন্তঃক্রিয়াশীল একটি স্মার্ট সরকারের লক্ষ্যে কাজ করছেন।

          বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক পাপিয়া জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বরিশাল আঞ্চলিক উপপরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ লস্কর নুরুল হক ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ মাহমুদুল হক।

#

গিয়াস/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২৯৩৪

 

জিআই হিসেবে অনুমোদন পেল আরো ৪ পণ্য

বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮টি

 

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি): 

 

আজ আরো ৪টি পণ্যকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। পণ্য ৪টি হলো- রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজরের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর এবং মুক্তগাছার মন্ডা। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮টি।

 

সম্প্রতি অনুমোদিত ৩টি পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার অনুমোদনের কপি ও জার্নাল গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। এতে জিআই পণ্যের সংখ্যা হয় ২৪টি।

 

২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরো ২০টি পণ্য। সেগুলো হলো-বাংলাদেশ ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারিভোগ, বাংলাদেশ কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাই নবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা

 

এছাড়া আরো ২টি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেগুলো হলো জামালপুরের নকশি কাঁথা এবং যশোরের খেজুর গুঁড়। আগামী সপ্তাহে এই দু’টো পণ্যের জার্নাল প্রকাশিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

২০০৩ সালে বাংলাদেশে এ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে একে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) নামে অভিহিত করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ পাস হয়। এর দুই বছর পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়।

#

মাহমুদুল/ফয়সল/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২০৪৮ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৯৩৩

 

বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে আরো বৈচিত্র্য আনতে হবে

                                 ---জাহাঙ্গীর কবির নানক

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি): 

 

বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে আরো বৈচিত্র্য আনতে হবে। ক্রেতা আকৃষ্ট হয় এমন ডিজাইন উদ্ভাবন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

 

আজ জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাশসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের গর্বের পাট অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। জুট মিলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জুটমিলের সাথে সম্পৃক্ত হাজার হাজার কর্মকর্তা, শ্রমিকরা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। আদমজির মতো জুটমিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। সরকার সেগুলো সচল রেখেছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে তিনি সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। 

 

মন্ত্রী বলেন, পাটের ব্যবহার বহুমুখী করে তৈরি করা হচ্ছে শাড়ি, জুতা, ব্যাগ, পর্দার কাপড়, বেড কভার ইত্যাদি। আমাদের বিজ্ঞানীরা পাটের জীবন রহস্য উদ্‌ঘাটনের মাধ্যমে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ তৈরি করতে পেরেছে। পাট থেকে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন কতদ্রুত করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমেই পাটশিল্পকে লাভজনক করা সম্ভব হবে। 

 

নানক বলেন, পাটশিল্পে বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ইতেমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, এখন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

 

সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাড়াও সেখানে বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি। আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্যসামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশ গ্রহণ করেছে।’

 

#

সৈকত/ফয়সল/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২০৪১ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                          নম্বর : ২৯৩২

 

পাটের উৎপাদন বেড়েছে ৩৩ লাখ বেল; জিনোম সেন্টারকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে                

                                                                                                              ---কৃষিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):  

 

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের পাটবান্ধব নীতির কল্যাণে বিগত ১০ বছরে পাটের উৎপাদন বেড়েছে ৩৩ লাখ বেল। ২০১৫ সালে যেখানে ৫১ লাখ বেল পাট উৎপাদন হতো, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে পাট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৮৪ লাখ বেল। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ লাখ বেল পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে।

 

আজ রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে ‘পাট গবেষণায় জিনোম সেন্টারের সাফল্য ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য ২০০৯ সালে পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং এর কার্যক্রম শুরু করান এবং জিনোম সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। এর ফলে ২০১০ সালে বিশ্বে সর্বপ্রথম পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়। জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে দেশে চাষোপযোগী উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর দেশের মাটিও পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কাজেই পাটের উৎপাদন বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।

 

বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, পাটের উৎপাদন আরো বাড়াতে উচ্চফলনশীল জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। এলক্ষ্যে গবেষণায় আরো মনোযোগী হতে হবে এবং জিনোম সিকুয়েন্সিং ল্যাবের পুরোপুরি ব্যবহারে আপনাদেরকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

 

পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। চাহিদার সিংহভাগ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। সেজন্য পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে, পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং কম জমিতে অধিক পরিমাণ পাট উৎপাদনের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার।

 

মন্ত্রী বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাটের আঁশের বহুমুখী ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে জিওটেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়ে নানা কাজে 'মেটাল নেটিং' বা পলিমার থেকে তৈরি সিনথেটিক জিওটেক্সটাইলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ও উৎকৃষ্ট জুট জিওটেক্সটাইলের কদর বাড়ছে। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে পাটকাঠির কালো ছাই বর্তমানে চীন, তাইওয়ান, জাপান, হংকং ও ব্রাজিলে রপ্তানি হচ্ছে।

 

অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রেহানা পারভীন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আব্দুল আউয়াল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

#

কামরুল/ফয়সল/শফি/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২০২২ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৯৩১

 

মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

 

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি): 

 

মিয়ানমার থেকে তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে জাহাজ আসার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, জাহাজটি কখন ভিড়বে সেটি টেকনিক্যাল পার্ট। আমরা সম্মত তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এটা খুব সহসা হবে।

 

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও তাদের সাথে কিছু সেনা যারা এসেছে, তারা রোহিঙ্গা গণহত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট কি-না সেটি তদন্ত করার দাবি উঠেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আপাতত তাদের ফেরত পাঠানো নিয়েই কাজ করছি। কারণ সেটিই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার এবং মিয়ানমারও তাদের নিয়ে যেতে চায়। আমরা সেটি নিয়েই কাজ করছি।

 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মি দখল করেছে, বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্তে তারা টহল দিচ্ছে সেটি দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সংকট তৈরি করবে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী হাছান বলেন, মিয়ানমারে যেটি ঘটছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের নিরাপত্তা চৌকি কে পাহারা দিচ্ছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোলের কারণে এখানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক সেটি আমরা কখনো চাই না। আমাদের এখানে তাদের শেল এসেছে পড়েছে, দুইজন নিহত হয়েছে। সেটি নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি।

 

রাখাইনের রাজধানী সিত্তে থেকে বাংলাদেশ কনসুলেটের কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

 

বিএনপি বলেছে মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার তথ্য গোপন করছে -এ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো বক্তব্য দিয়ে তাদের দলের অস্তিত্ব জানান দিতে চায়। এখানে মিয়ানমারের যতজন সদস্য আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে সে বিষয়ে আমরা সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করেছি। এখানে লুকোচুরি করার প্রশ্নই আসে না। তাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব সহসা তাদের ফেরত পাঠাতে পারব। তিনি বলেন, বিএনপি এসব বক্তব্য ও নানা কর্মসূচি দিয়ে তাদের হতাশা কাটানোর চেষ্টা করছে। আমরা চাই তারা গণতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যে থাকবে। সরকারের প্রতিবাদ তারা করতেই পারে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তাদের অগ্নিসন্ত্রাস আর করতে দেয়া হবে না।

 

নাফ নদীর তীরে অনেক রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছে, তাদের জন্য বর্ডার খুলে দেওয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের দেশে রোহিঙ্গা আছে ১.২ মিলিয়ন। এখন রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেমন পরিবেশগত সমস্যা, নিরাপত্তাজনিত সমস্যা, মাদকজনিত সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পক্ষে কি আরো রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব? আর মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিয়েই সংঘাত চলছে তা নয়। তাদের মধ্যে নানা জাতিগোষ্ঠী আছে। তাদের মধ্যে নানা সমস্যা চলছে। সেই সংঘাতের উত্তাপের কারণে আমাদের দেশে আমরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ব সেটি কি সঙ্গত?

 

মিয়ানমার ইস্যুতে ভারত সফরে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে এখন যে সংঘাত চলছে সেই সংঘাতের কারণে আমাদের অঞ্চলে যে সংকট তৈরি হয়েছে, নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে তাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে সেখানে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ভারতের সহায়তা কামনা করেছি।

 

মিয়ানমার ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ কীভাবে একসাথে কাজ করবে-এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান বলেন, আমরা তাদের সাথে বর্ডার শেয়ার করি। সুতরাং মিয়ানমারে যদি কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে তাহলে সেটি আমাদের দেশকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা উদ্বিগ্ন করে তাদেরকেও উদ্বিগ্ন করে। সুতরাং দুই দেশেরই যেহেতু উদ্বেগ প্রতিবেশীকে নিয়ে তাই আমাদের একসাথে কাজ করার অনেক বিষয় তো রয়েছ

2024-02-12-17-02-affb5be7a7d3c023a5c8d12a6defb235.docx