তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৪৩
কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই
-- তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):
কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই- করোনায় সাত মাস ধরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলো বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মুজিব শতবর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনকালে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) আয়োজিত এ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম মেহেদী হাছানের সভাপতিত্বে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং অন্যান্যের মধ্যে সিজেকেএস সহসভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, এহছানুল হায়দার বাবুল, হাছান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানের কিশোর-যুবারা এখন আর আমাদের মতো মাঠে গিয়ে খেলে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ওয়েবভিত্তিক বিভিন্ন এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাপসগুলোর আসক্তি থেকে আমাদের তরুণ সমাজকে বের করে আনতে হবে। কিশোর-যুবাদের অপরাধ ও অবক্ষয় থেকে মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আজকে ধর্ষণসহ নানা অপরাধ থেকে কিশোর-যুবাদের রক্ষার একটি বড় উপায় হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় খেলাধুলার ব্যাপকতা বাড়ানো।
জাতির পিতার ফুটবল অনুরাগের কথা উল্লেখ করে এ সময় ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, 'এখানে অনেকে জানেন না, বঙ্গবন্ধু নিজেও কিন্তু ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধু যখন স্কুলছাত্র তখন স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান। তখন শেখ লুৎফর রহমানের টিমের সাথে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন টিমের খেলা হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ায়। সেই খেলায় বাবার টিমকে তিনি হারিয়ে দিয়েছিলেন।'
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, করোনার কারণে পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেছে। করোনাকালের এই স্থবিরতা বেশিদিন রাখা যায়না, এটা কাটানোর জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আমি মনে করি খুব সহসা চট্টগ্রামে লীগ খেলাও আয়োজন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোথাও করোনার কারণে এই ফুটবল টুর্নামেন্ট এখনো শুরু হয়নি। আমাদের সবাইকে যেমন করোনা মোকাবেলা করতে হবে, জীবন এবং জীবিকাও অব্যাহত রাখতে হবে। একইভাবে জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবেযুক্ত খেলাধুলাও আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই করোনাকালে বাংলাদেশে প্রথম সিজেকেএস ফুটবল টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরু করায় সিজেকেএসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।
#
আকরাম/খালিদ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/২১৪০ ঘণ্টা
Handout Number : 3842
Foreign Minister stresses the need to foster
cooperation among the NAM member states
Dhaka, October 09 :
Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen reaffirmed Bangladesh's unswerving commitment to NAM values and stressed the need to foster cooperation among the NAM member states to confront the challenges of the contemporary world, including the ongoing pandemic COVID-19.
He mentioned this in his recorded statement delivered at the Ministerial Meeting of the NAM Coordinating Bureau today. He said that on the 65th anniversary of the Bandung Principles, NAM membership must reflect on the Movement’s achievements so far, and endeavor to make NAM more relevant and effective to face the current and emerging global challenges, especially the Covid-19 pandemic.
In his statement, Dr. Momen, said that the Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, recognized the importance of the Non-Aligned Movement and led Bangladesh to join the Movement as early as 1973. Since then, Bangladesh remains an ardent supporter of NAM. He mentioned that since inception, NAM represented the basic aspirations of the common people of the world - to remain free from hunger and disease, to get decent employment and to achieve quality education.However, the Covid-19 pandemic presents formidable challenges to these aspirations. During this trying time, NAM countries must work in full solidarity and pool their best practices, experiences, crises-management protocols, research, and resources to fight the invisible enemy.
The Foreign Minister particularly underscored collaboration and political commitment among the member states on equitable and timely access to Covid-19 medicines and vaccines at affordable prices, guided by the spirit of fraternity and solidarity. He also sought the support of the NAM countries to repatriate the 1.1 million persecuted and forcibly displaced Myanmar nationals temporarily sheltered in Bangladesh.
Dr. Momen said that the Covid-19 is likely to exacerbate the existing global challenges including poverty, climate change, drought, desertification, violence, extremism, and conflicts. Building back better from the pandemic would necessitate committed leadership, and meaningful partnership. To confront the challenges of the pandemic and to keep our development gains on track, NAM members must be guided by the movement’s abiding principles, ideals and purposes in seeking to establish a peaceful and prosperous, just and equitable world, Foreign Minister emphasized.
#
Tohidul/Khalid/Mosharaf/Salim/ 2020/2120 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৪১
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় ডব্লিউএফপিকে অভিনন্দন কৃষিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ২০২০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
আজ এক অভিনন্দন বার্তায় মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশ-সহ সারা বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রয়াসে নিয়োজিত ডব্লিউএফপিকে এই পুরস্কারপ্রাপ্তি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে। বিশেষ করে মহামারি করোনার প্রভাবে যখন বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তখন এই পুরস্কারপ্রাপ্তি সংস্থাটিকে তাদের উদ্যোগ আরো জোরালো করতে উৎসাহ দেবে। পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তায় বিশ্বকে একযোগে কাজ করার বার্তাকে আরো শক্তিশালী করবে।
মন্ত্রী এ সময় নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ডব্লিউএফপিকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
#
কামরুল/খালিদ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৪০
সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংস্কৃতি চর্চা শুরু করতে হবে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
মৌলভীবাজার, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, করোনার কারণে সারাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে স্থবিরতা বিরাজ করছিল, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সংস্কৃতি চর্চা সে স্থবিরতাকে কিছুটা হলেও দূর করেছে। যেহেতু, করোনা মহামারি দীর্ঘমেয়াদি এবং করোনায় নিম্ন মৃত্যুহারের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দেশ, সে কারণে সময় এসেছে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংস্কৃতি চর্চা শুরু করার।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজের মুন হলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস-২০২০ উপলক্ষে দেশব্যাপী অনলাইনভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মৌলভীবাজার জেলা পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণী এবং স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল সংস্কৃতিচর্চার তীর্থভূমি। এ অঞ্চলে জন্মেছেন দেশবরেণ্য বহু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তাছাড়া এ অঞ্চলে রয়েছে বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির ধারক বেশ কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। আমরা জাতীয়ভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি নিয়ে উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। সেখানে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মণিপুরী সম্প্রদায়সহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হবে।
কে এম খালিদ বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। হল ভাড়ার জন্য সংস্কৃতিচর্চা যেন থেমে না থাকে এজন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনে এক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান করা হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় হল বরাদ্দের ক্ষেত্রে সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন যেন সমান সুযোগ পায় সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কালচারাল অফিসার জ্যোতি সিনহা।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্মাণ কাজ এবং কমলগঞ্জ উপজেলাধীন 'মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন, গেস্ট হাউজ ও ডরমিটরি বিল্ডিং নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
#
ফয়সল/সাহেলা/খালিদ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৩৯
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অর্থনীতির বর্তমান উত্তরণের সাথে সামঞ্জস্যহীন
---অর্থমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
বিশ্ব ব্যাংক একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তারা যখন কোনো দেশ সম্পর্কে বা কোন বিষয় নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করে, সঙ্গত কারণেই এটি সবাইকে প্রভাবিত করতে পারে। গতকাল বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার (জিডিপি) নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে পূর্বাভাস দিয়েছে তা বাংলাদেশের অথনীতির বর্তমান উত্তরণের সাথে সামঞ্জস্যহীন। আমাদের জিডিপি সম্পর্কে এবার যে নাম্বারগুলো বলেছেন তারা সেগুলো করোনার প্রভাবে অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি শ্লথ হওয়ার শুরু থেকেই বলে আসছে এবং সেই একই জায়গাতেই তারা এখনো আছে। আমাদের অর্থবছরের তিন মাস পার হয়ে গিয়েছে, এখনও নয় মাস সময় রয়েছে। করোনার প্রভাবে যে শ্লথ গতি অর্থনীতিতে তৈরি হয়েছিল সেটি অনেকটা স্বাভাবিক। স্বাস্থ্য ও মহামারি পরিচালন ব্যবস্থার ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সত্ত্বেও সরকারের উপযুক্ত অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা অর্থনীতিকে সুসংহত করেছে, দরিদ্র ও দুর্বলদের জন্য মৌলিক সেবা ও পণ্যাদি নিশ্চিত করেছে। অভ্যন্তরীণ বেসরকারি ও সরকারি ব্যয়, বিনিয়োগ, রপ্তানি এবং রেমিট্যান্সসহ অর্থনীতির প্রায় সকল খাত বেশ সক্ষম অবস্থানে রয়েছে। গতকাল প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া ইকনোমিক ফোকাস ফল ২০২০ রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
গতকাল প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া ইকনোমিক ফোকাস রিপোর্টে বাংলাদেশের জিডিপিতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে । ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। করোনা মহামারির প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়া নজিরবিহীন অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সকলেই জানি যে তাদের প্রক্ষেপনের বৈশিষ্ট্যই হলো অত্যন্ত রক্ষণশীল পদ্ধতি। বিশ্ব ব্যাংকের এ যাবৎকালের সকল প্রক্ষেপণ যদি কেউ একটি তালিকা করে তাহলে দেখা যাবে যে তারা যে প্রক্ষেপণগুলো করে তা বাস্তবতা হতে অনেক দূরে! আমরা বিশ্বাস করি তারা এবারো সেই গতানুগতিক ধারার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সক্ষমতার নিরিখে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি এবং তা অর্জন করি। অর্জন করে বার বার প্রমাণ করতে হয় আমরা সঠিক। এবারও আমরা কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে প্রমাণ করব যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রাই সঠিক। সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স বাড়লেও এটি সাময়িক মনে করছে অনেকে। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ উৎসাহিত করার জন্য আমরা যখন প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছি তখন অনেকেই বলেছিল রেমিট্যান্সে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো প্রণোদনার ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, প্রবাসী আয় বেড়েছে, কারণ করোনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের ভাই-বোনেরা ফিরে আসছেন, তাদের সব কিছু বিক্রি করে চলে এসেছেন কাজেই এই প্রবৃদ্ধি। কিন্তু তারা হয়তো ভুলে গেছেন, ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা এবং রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম-কানুন সহজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের কথা।
#
তৌহিদুল/সাহেলা/খালিদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৩৮
যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি থেকে সন্তানদেরকে দূরে রাখার সুযোগ নেই
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সোস্যাল মিডিয়া হচ্ছে ডিজিটাল যুগের প্রোডাক্ট। এটি গণমাধ্যমকেও বদলে দিয়েছে। যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি থেকে সন্তানদেরকে দূরে রাখার সুযোগ নেই। অন্যদিকে ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল ব্যবসার জন্য জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হিসেবে অনেকের জীবন যাত্রাই শুধু নয়, অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক জীবন ধারাকেও পাল্টে দিয়েছে। এটির ভালো ও খারাপ দুটি দিকই আছে। ভালোটি গ্রহণ এবং খারাপটি বর্জন করার জন্য উপায়টিও জানতে হবে। প্যারেন্টাইল গাইডেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে খারাপটি ব্যবহার থেকে নিবৃত্ত করতে অভিভাবকদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওয়েবিনারে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও কোভিডকালীন সময়ে বাংলাদেশ শীর্ষক সারা বাংলা এসএসসি-৯১ সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচিকে বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশ আজ অতীতের শত শত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ডিজিটাল বিপ্লবের নেতৃত্বকারী দেশ হিসেবে বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে। কোভিডকালে দেশে মানুষের জীবন ধারায় এ কর্মসূচি অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা করেছে। কোভিড পরবর্তী সময়েও এই জীবন ধারা থেকে ফিরে আসার সুযোগ নেই। ডিজিটাল এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রাথমিক স্তর থেকেই বাচ্চাদের ডিজিটাল শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে ২৬ হাজার পর্ন সাইট ও ৬ হাজার জোয়ার সাইট ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। ক্ষতিকর লিংকবন্ধ অব্যাহত আছে। তিনি ডিজিটাল বিপদ থেকে কিংবা হ্যাকিং থেকে নিজেকে রক্ষায় করণীয় বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, একাউন্টের পাসওয়ার্ড তৈরি কিংবা সংরক্ষণে সাবধান হওয়ার উপায়গুলো আয়ত্ত করা খুব কঠিন কিছু নয়। শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরকে তিনি জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন।
#
শেফায়েত/সাহেলা/খালিদ/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৩৭
বড়লেখা উপজেলাকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে
---পরিবেশ মন্ত্রী
মৌলভীবাজার, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলাকে শীঘ্রই মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে। মাদক গ্রহণ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণসহ সকল সমাজবিরোধী কার্যক্রম থেকে যুবসমাজকে বিরত রাখতে আরও কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মন্ত্রী এ সময় জেলা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পুলিশের কার্যক্রম সহজ করতে উপজেলার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিস ভবন পাকাকরণ এবং আধুনিক দ্রুতগতির গাড়ি সরবরাহসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আজ বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিয়নভিত্তিক মোবাইল সেবা গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার ফারুখ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম আল ইমরান প্রমুখ।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনা সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এই চরম সংকটকালে সমাজের সকল অসহায় শ্রেণির মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সরকারের উদ্যোগের ফলে দেশে কোনো কর্মহীন, গৃহহীন, খাদ্যহীন মানুষ থাকবে না। উপস্থিত পুলিশ সদস্য ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ ও জনগণের পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা মাদক, সন্ত্রাসসহ সকল প্রকার আইনবিরোধী কার্যক্রমমুক্ত একটি বাসযোগ্য সমাজ গড়তে সক্ষম হবো।
#
দীপংকর/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৩৬
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ হাজার ২৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ২৭৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৭৭ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ৯১২ জন।
#
হাবিবুর/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৭৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮৩৫
ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটালে রূপান্তর হচ্ছে
-মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রচলিত ধারার ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর হচ্ছে। পাশাপাশি তৃতীয় শিল্প বিপ্লব থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে প্রবেশের কারণে কায়িক শ্রম নির্ভর পেশা মেধাভিত্তিক পেশায় পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল কমার্স একটি বড় কর্মক্ষেত্র হতে পারে। এ জন্য তরুণদের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওয়েবিনারে ‘দেশীয় ই-কমার্সের বিকাশে ১৪টি ইক্যাব মেম্বার কোম্পানীর যৌথ প্রচার কার্যক্রম ‘অন-লাইন শপিং উৎসব’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কমার্সের সফলতার জন্য দরকার আন্তরিকতা, ব্যবসায়িক সততার মাধ্যমে গ্রাহকের আস্হা অর্জন করা। যে পণ্য অন-লাইনে দেখানো হবে সেটা গ্রাহককে নিশ্চিত করতে হবে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে পারলে ডিজিটাল কমার্স সম্ভাবনার জায়গায় পৌঁছবে। ডিজিটাল কমার্সের জন্য বিদ্যমান অবকাঠামো পর্যাপ্ত নয়। ছোট উদ্যোক্তাদের ডাকঘর অথবা কোরিয়ার সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হয়। দেশের বিদ্যমান ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল ডাক সেবায় রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরটি হবে ডাক ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন বছর।
মন্ত্রী বলেন, কোভিডকালে ডিজিটাল কমার্স মানুষের জীবন ধারায় এক অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা করেছে। ডিজিটাল কমার্স মানুষের জীবনের প্রয়োজনের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে গেছে। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমি কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান খান বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১৬১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৩৪
২০৪১ সালের মধ্যে ২০ লাখ বেল তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সিডিবির
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, তুলা উৎপাদনে সরকার তুলা উন্নয়ন বোর্ড সিডিবি’কে শক্তিশালী করছে। সম্প্রতি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং ভৌত অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, ল্যাবরেটির স্থাপন ও দক্ষ জনবল নিয়োগ করছে। যাতে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু উপযোগী নতুন জাত উদ্ভাবন করে তুলা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়।
মন্ত্রী গতকাল বিশ্ব তুলা দিবস উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ২০ লাখ বেল তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিডিবি। দুই লাখ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব, সেজন্য হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ১০ বেলে উন্নীত করতে হবে। বাংলাদেশে গত অর্থবছরে হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ছিল ছয় দশমিক ১৫ বেল, যেখানে বিশ্বের শীর্ষ তুলা উৎপাদনকারী দেশসমূহে হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ১০ বেলের উপরে।
অনুষ্ঠানে জানান হয়, বাংলাদেশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে ও এক দশমিক ৭১ লাখ বেল উৎপাদিত হয়েছে। সম্প্রতি সিডিবি’র হাইব্রিড উন্নত জাতের তুলা উদ্ভাবন ও চাষের ফলে তুলা উৎপাদন বাড়ছে।
সিডিবি’র নির্বাহী পরিচালক মো: ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ইন্টারন্যাশনাল কটন অ্যাডভাইজারি কমিটির নির্বাহী পরিচালক কাই হিউজেস, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এম বখতিয়ার, মিশরের কটন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আল সাইদ নেগম বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল কটন অ্যাডভাইজারি কমিটির টেকনিক্যাল ইনফরমেশনের হেড কেশব ক্রান্তি ও সিডিবির নির্বাহী পরিচালক মো: ফরিদ উদ্দিন।
#
কামরুল/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১৫৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৩৩
বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):
আজ ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস। এ উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকেট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছে। এছাড়া পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।
১৮৭৪ সালের এই দিনে সুইজারল্যন্ডের বার্ণে ২২ দেশের অংশগ্রহণে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) গঠন করার দিনটি স্মরণীয় রাখতে ১৯৬৯ সালে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ‘ডাক ইউনিয়ন দিবস’ ঘোষণা করা হয় । পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ রাখা হয়। উদ্ভাবন, একাগ্রতা এবং অন্তর্ভুক্তি এই তিনটি স্তম্বের ওপর এবছর ইউপিইউ পোস্টার ডিজাইন করেছে।
দিববসটি উপলক্ষ্যে মন্ত্রী আজ এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউপিইউ এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর সদস্য পদ অর্জন করে এবং অদ্যাবধি প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে একটি ‘গ্লোবাল হোম’ এ পরিণত করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ডাকসেবা জনবান্ধব করতে ডাকঘর প্রযুক্তিনির্ভর করতে হবে। সেদিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার চলমান সংগ্রাম সফল করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় ডাক অধিদপ্তর ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। গ্রামীণ আট হাজার পাঁচশ ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যমান জনবলকে ডিজিটাল উপযোগী করে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার ফলে তৃণমূল জনগোষ্ঠী সরকারের ২০০ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত কর্মসূচির ফলে এক সময়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়া ডাকঘর আজ জনগণের কাছে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে।
স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম ৯ অক্টোবর ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকেট বিক্রি হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্হা আছে।
#
শেফায়েত/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১৫৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮৩২
কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক
সহযোগিতার আহ্বান রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার
নিউইয়র্ক, ৯ অক্টোবর:
কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, কোভিড-এর ভ্যাকসিনে প্রবেশাধিকার সার্বজনীন ও সাশ্রয়ী করা, এসডিজি’র ঘাটতি মোকাবিলায় অর্থায়ন, দারিদ্র্য ও অসমতার ক্রমবর্ধমান ধারার অবসান, অভিবাসী শ্রমিকদের সহযোগিতা প্রদান, রপ্তানি আয়ের নিম্নগতি রোধ, সকলের জন্য ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং জরুরি জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটির সাধারণ বিতর্ক পর্বে এ আহ্বান জানান।
&