Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী ৯ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২২০৯

চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর

মাঝে সরকারি অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :

          চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ নগদ সহায়তা, ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা প্রভৃতি কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

          চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৯০ হাজার ৮৩৮ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৪ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৯০ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ২১৬ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬৮ লাখ ৪৭ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ হাজার প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ চট্টগ্রাম জেলায় আরো ১৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২ হাজার ১৩টি পরিবার।

          কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ৩৭ হাজার ১৩০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৭৩টি প্রান্তিক পরিবার ও ৭ লাখ ৭২ হাজার ১০৬ জন মানুষ। এছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১ হাজার ১৫৪টি পরিবার। জেলাটিতে শিশুখাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৪২০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩১৬টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৭০ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

          রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২৫ হাজার ৬০০ পরিবার ও ৮৭ হাজার ১৫০ জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবত ২৫ হাজার ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় শিশুখাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।

          খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৮৫টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৯৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার ৮৫০ টাকা ২৮ হাজার ২৬টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশুখাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৩৬টি পরিবার।

          বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ১৪ হাজার ৫২০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার মধ্যে এ যাবৎ ৪৪ হাজার ৪৬৩টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৮ হাজার ৩৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশুখাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১ হাজার ৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ হাজার ৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

চলমান পাতা -২

- ২ -

          লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩১ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৫ হাজার ৬০০টি দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৩ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।

          নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৮১ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার ২০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার মধ্যে অদ্যাবধি ৬৬ হাজার ৭০০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৩ কোটি ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৫৪টি পরিবার। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

          ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ৫৩ লাখ ৭৪ হাজার ২৫০ টাকা ১১ হাজার ১১৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩৬ হাজার ৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবার। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১০০টি পরিবার।

          কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ২৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৭৫০ টাকা মোট ১ হাজার ৪৪৫টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে অদ্যাবধি বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৪২ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৭০০ পরিবার।

          চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ২ কোটি ৭২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ৪৭ হাজার ৬০০টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১ লাখ ১ হাজার ২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

          ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ২৯ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮১টি প্রান্তিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৮০টি পরিবার। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।

          উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।

#

ফয়সল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১৩০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                          নম্বর : ২২০৮

 

ডিজিটাল বাণিজ্য হতে হবে বহুপাক্ষিক

           ---ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাণিজ্য একপাক্ষিক নয় তা হতে হবে বহুপাক্ষিক। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নিকট যেমন শহুরের পণ্য পৌঁছে দিতে হবে ঠিক তেমনি প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য শহরে পৌঁছে দিতে হবে। এতে অর্থনীতি গতি পাবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগী, ফরিয়া ও দালালের দৌরাত্ম্য কমবে। কৃষক তার পণ্যের দাম পাবে।  

 

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে ডাক বিভাগের উদ্যোক্তাদের সাথে ই-ক্যাব আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিন, ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল ওয়াদে তমালসহ ডাকঘরের উদ্যোক্তা প্রতিনিধিগণ বক্তৃতা করেন।

 

          মন্ত্রী প্রদর্শনভিত্তিক ও কায়িক শ্রমভিত্তিক কেনাকাটা আগামী দিনগুলোতে চলবে না উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যৎ বাণিজ্য বলতে ডিজিটাল বাণিজ্য বুঝাবে। প্রচলিত ধারার বাণিজ্যের অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন, প্রচলিত ধারার শিক্ষাও ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না। তিনি ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল যুগের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নিজেদের তৈরি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা ছাড়া ডিজিটাল যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যাবে না। প্রত্যেককে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার আহ্বান জানিয়ে ডিজিটাল কমার্সের বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকলেই তা সম্ভব।

 

          মন্ত্রী উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণসহ কোর্স মেটেরিয়াল দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করে বলেন, তোমরা অতীত যুগের নও, টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল যোগ্যতা অর্জনের বিকল্প নেই। ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠার পৃষ্ঠপোষক মোস্তাফা জব্বার ই-ক্যাব শূন্য থেকে অল্প সময়ে একটি মহিরূহে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘরসহ যাদের যুক্ত করা দরকার ই-ক্যাব তা সঠিকভাবেই চিহ্নিত করতে পেরেছে। তিনি বলেন, শত শত বছরে গড়ে উঠা ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো ডিজিটাল বাণিজ্য বিকাশে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, ডাকঘরকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

#

শেফায়েত/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১২২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                            নম্বর : ২২০৭

 

দ্বিতীয় পর্বে  ৬ হাজার ৯৮৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামের চূড়ান্ত  তালিকা প্রকাশ

 

 

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :

 

          বীর মুক্তিযোদ্ধাদের  নামের চূড়ান্ত  তালিকা (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।  এতে ৮ বিভাগের  ৬ হাজার ৯৮৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক  মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) পাওয়া যাবে।

 

          প্রকাশিত তালিকায় ঢাকা বিভাগের ১ হাজার ৯৪২ জন,  চট্টগ্রাম বিভাগের ১ হাজার ৩৪৭ জন, বরিশাল বিভাগের  ৫৭৩ জন, খুলনা বিভাগের ৭৭০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৬৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ৬৮৪ জন, রংপুর বিভাগের ৫৭২  জন ও সিলেট বিভাগের  ৫৩৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। 

 

          উল্লেখ্য, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদনবিহীন বেসামরিক গেজেট  এ তালিকায় প্রকাশ করা হয়নি।  জামুকার অনুমোদনবিহীন গেজেট নিয়মিতকরণের পর পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।

 

          এর আগে গত ২৫ মার্চ  বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথম পর্ব  প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

 

 

#

মারুফ/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০৩৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২২০৬

পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও প্রচারবিমুখ মানুষ

                                                                            -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও প্রচারবিমুখ মানুষ। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ড. ওয়াজেদ মিয়া তাঁর সমগ্র কর্মজীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

          আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে দেশবরেণ্য, আন্তর্জাতিক পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া দেশবরেণ্য বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সাহসী, দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ, দায়িত্বশীল স্বামী, পিতা এবং মেধাবী ছাত্র। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

          পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হয়েও ড. ওয়াজেদ মিয়া সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করলেও স্বপ্ন দেখতেন বড়। তিনি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল তা আজ বাস্তবায়নের পথে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় ড.ওয়াজেদ মিয়ার অবদানকে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটালি স্মরণীয় করে রাখতে রংপুর পীরগঞ্জ শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে ড. ওয়াজেদ মিয়া ডিজিটাল কর্নার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া রংপুর হাইটেক পার্কের নাম ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে নামকরণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর  ডা:  সানোয়ার হোসেন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসান, পীরগঞ্জ পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীম।

          পরে ড. ওয়াজেদ মিয়ার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

#

শহিদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০৪০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২২০৫

বরিশাল বিভাগে করোনাকালীন সরকারি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :

          বরিশাল বিভাগের কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় গরিব, অসহায়, দুঃস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

          পটুয়াখালী জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ কার্য (নগদ অর্থ) সহায়তা খাতে ৪০ হাজার পরিবারের ২ লাখ মানুষের মাঝে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি পরিবারের ১২ লাখ ৬০ হাজার ৫৪৮ জনের মাঝে ১৪ কোটি ১৮ লাখ ১১ হাজার ৬৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ১৪৯টি পরিবারের ৭৪৫ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

          বরগুনা জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ কার্য (নগদ অর্থ) সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯১৬টি পরিবারের ১ লাখ ১১ হাজার ৬৬৪ মানুষের মাঝে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ১ লাখ ৩০ হাজার ১২২টি পরিবার বা ৫ লাখ ২০ হাজার ৪৮৮ মানুষের মাঝে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ১০৯টি পরিবারের ৪৩৬ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

          ঝালকাঠি জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ কার্য (নগদ অর্থ) সহায়তা খাতে ৮ হাজার ৬৫৯ টি পরিবারের ৩৮ হাজার ৫২১ মানুষের মাঝে ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৫৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ১৯ হাজার ৪৪০ টি পরিবারের ৮৭ হাজার ১২৭ জনের মাঝে ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ৫২টি পরিবারের ২০৮ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

          পিরোজপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২০০টি পরিবারের ১৬ হাজার ৮০০ মানুষের মাঝে ১৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা ত্রাণকার্য (নগদ অর্থ) বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ২ হজার ৪৩৮টি পরিবারের ৯ হাজার ৭৫২ জনের মাঝে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ২০ টি পরিবার বা ৮০ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

          জেলাসমূহের জেলা তথ্য এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

#

জাহাঙ্গীর/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০১৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                      নম্বর : ২২০৪

রংপুর  বিভাগে কর্মহীন দরিদ্র অসহায় মানুষের  মাঝে মানবিক সহায়তা অব্যাহত

 

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :

 

          কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে আজ রংপুর  বিভাগের জেলাগুলোতে  করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

          ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ পরিবার, নাগেশ্বরী উপজেলায়  ১৪ হাজার পরিবার, ফুলবাড়ি উপজেলায় ৭ হাজার ৩০০ পরিবার, সদর উপজেলায় ১২ হাজার ২০০ পরিবার, রাজারহাট উপজেলায় ৭ হাজার ২০০ পরিবার, চিলমারী উপজেলায় ৫ হাজার ৮০০ পরিবার, রৌমারী উপজেলায় ১২ হাজার ৩০০ পরিবার ও রাজীবপুর উপজেলায় ৬ হাজার ৩৫০ পরিবারকে ৪৫০ টাকা হারে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া জিআর কর্মসূচির আওতায়  সদর উপজেলায় ৬২৫ পরিবার, নাগেশ্বরী উপজেলায় ৯২৫ পরিবার, উলিপুর উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ পরিবার, চিলমারী উপজেলায় ৬২৫ পরিবার, রাজীবপুর উপজেলায়  ৬২৫ পরিবার, কুড়িগ্রাম পৌরসভায় ৫০০ পরিবার ও উলিপুর পৌরসভায় ১৯০ পরিবারকে ৪০০ টাকা হারে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

          ত্রাণ কার্যক্রম (নগদ অর্থ) মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গাইবান্ধা জেলায় মোট ২৩ হাজার ২১২ পরিবারকে ৪৮৫ টাকা হারে ত্রাণ  সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এখানে উপকারভোগীর সংখ্যা
১ লাখ  ৪ হাজার ৭৪০ জন। জেলায় আজও ৭ হাজার ৩৬৬ পরিবারকে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।  ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) কার্যক্রমের আওতায় মোট ৭৯ হাজার ৫১৬ পরিবারকে  ৪৫০ টাকা হারে মানবিক  সহায়তা প্রদান করা হয়। এখানে উপকারভোগী লোকসংখা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২০জন। আজও ২১ হাজার ৮২৯ পরিবারকে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।

          দিনাজপুরের পাঁচ  উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে করোনায়  ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজার ৩০০ গবিব-দুস্থ-অসহায় মানুষকে  নগদ ৫০০ টাকা  হারে আর্থিক সহায়তা  দিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া ভিজিএফ  কর্মসূচির আওতায় জেলার বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলা এবং বীরগঞ্জ পৌরসভায় ৩০ হাজার ২৬৫ জন দরিদ্র অসহায় কর্মহীন মানুষকে ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

          পঞ্চগড় জেলায়  প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে মোট ১৯ হাজার ২৩৪ পরিবারকে মোট ৮৬ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা  নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় মোট ৪৮ হাজার ২৬১ পরিবারকে ২ কোটি ১৭ লাখ ১৭ হাজার ৪৫০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

                                                     #

রেজাউল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০০৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ২২০৩

ঈদে সরকারি ছুটির তিন দিন শ্রমিকদেরকে কর্মস্থলে থাকতে হবে

                                                             -- শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :

          শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ঈদের সরকারি ছুটি তিনদিন। গার্মেন্টসসহ সকল শিল্প খাতের শ্রমিকদের ছুটি পাওনা থাকলে কারখানা পর্যায়ে মালিক-শ্রমিক সমন¦য় করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ছুটি যে কয়দিনই নেন, অবশ্যই কর্মস্থলেই থাকতে হবে।

          আজ রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসি'র সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালিকগণ আগামীকালের মধ্যে অবশ্যই শ্রমিকদের বেতন-বোনাসসহ সকল পাওনা পরিশোধ করবেন। সভায় উপস্থিত মালিক প্রতিনিধিগণ আগামীকালের মধ্যে প্রায় শতভাগ কারখানার শ্রমিকদের  বেতন-বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে সবাইকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ঈদ উদ্যাপন করার নির্দেশনা দিয়েছে। আপনারা সকলে কষ্ট করে হলেও মাস্ক পরুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনারা বাড়ি যাবেন না। যেখানে আছেন এবারের ঈদ সেখানেই উদযাপন করুন। এতে আপনি যেমন নিরাপদে থাকবেন, আপনার পরিবার পরিজন নিরাপদ থাকবে, দেশ নিরাপদে থাকবে।

          সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব ড.রেজাউল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম চক্রবর্তীসহ গার্মেন্টস শিল্পের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

#

আকতারুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                         নম্বর : ২২০২

 

খুলনা বিভাগে অসহায় মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

 

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :

 

          খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলায় করোনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে আজ নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

          কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের নগদ সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২হাজার ২শত ৩৫ টি পরিবারের মাঝে ১০ লাখ ১২ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৬ হাজার ৬ শত ৬০ টি পরিবারের মাঝে ২৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকার অর্থ সাহায্য প্রদান করা হয়।

          মাগুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভিজিএফ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২৬ টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ অন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

          নড়াইল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইশত জন করোনায় কর্মহীন শ্রমিক ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

          সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে ২৯ হাজার পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৮৫ হাজার  ২শত  উপকারভোগী পরিবারের মাঝে  ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪০  হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩৩৩-এ কল এর মাধ্যমে ৫৭টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

          যশোর জেলায় এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৪৫ হাজার ৮ শত ৬২টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি ২৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই লাখ ৩৩ হাজার ৯৮টি পরিবারের মাঝে ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৯৪ হাজার ১শত টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৩৩৩-এ কল এর মাধ্যমে এক হাজার সাতশত ২০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

          মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৩ হাজার ৬ শত টি পরিবারের মাঝে ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ২শত টি পরিবারের মাঝে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।

          খুলনা বিভাগের অন্য জেলাগুলোতে অনুরূপ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।


#

দীপংকর/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ২২০১

বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে) :

          আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ঢাকার আগারগাঁয়ে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের ড. আনোয়ার হোসেন অডিটোরিয়ামে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্

2021-05-09-15-47-b8b78f2ae2a0685feea89e4d30840851.docx