Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ নভেম্বর ২০১৬

তথ্যবিবরণী 4/11/2016

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪০৬

জিয়াউর রহমান ৭২’র সংবিধানের মূল কাঠামোকে ক্ষতবিক্ষত করেছে 
                                                                          -- রাশেদ খান মেনন

ঢাকা, ২০ কার্তিক (৪ নভেম্বর):

    বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২’র সংধিধানের মূল কাঠামোকে ক্ষতবিক্ষত করে। যার পরিণতিতে রাজনীতিতে ফিরে আসে সেই সামপ্রদায়িকতা, ঘৃণা আর প্রতিক্রিয়াশীলতা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হয় পদদলিত। আজকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতির প্রয়োজনে ৭২’র সংবিধানে পুরোপুরি ফিরে যাওয়া যাচ্ছে না। রাজনীতির অবক্ষয় এমন জায়গায় চলে গেছে যাকে বাণিজ্য ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। একটি গোষ্ঠী সামপ্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের আবহ সৃষ্টি করে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে, যে অন্ধকার আমরা পেরিয়ে এসেছিলাম ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে। তাই আমাদেরকে বর্তমান সংকট উপলদ্ধি করতে হবে এবং ৭২’র সংবিধানে পুরোপুরি ফিরে না যাওয়া অবধি এ সংকট কাটবে না। 

    মন্ত্রী আজ ঢাকায় ধানমন্ডির ডবিস্নউভিএ মিলনায়তনে ‘৪৫তম সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে ‘৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। 

    তিনি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙড়্গানুয়ায়ী ৭২’র সংবিধান পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। এ সংবিধানেই প্রথম ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করা হয়, ভারতের মতো দেশেও তা সংযোজন করা হয় ১৯৭৬ সালে, এ সংবিধানেই একটি শোষণহীন সমাজ সৃষ্টির প্রত্যয়ে সমাজতন্ত্রের কথা বলা হয়, ৭২'র সংবিধানেই ধর্মকে রাজনীতি থেকে পৃথক রাখার কথা ব্যক্ত করা হয়। 

    সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অন্যান্যের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যরিস্টার আমিরম্নল ইসলাম, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন হায়দার চৌধুরী মানিক, এডভোকেট রানা দাস গুপ্ত এবং শাহরিয়ার কবির বক্তৃতা করেন।

#

মাহবুবুর/সেলিম/নবী/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/২০৪০ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৪০৫

গুণীজনদের সম্মানকারী জাতি সম্মানের উচ্চতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে                                                                                  
                                                                          -- স্পিকার

ঢাকা, ২০ কার্তিক (৪ নভেম্বর):

        স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, যে জাতি তার সমাজের কৃতী, গুণী ও বিশিষ্টজনকে সম্মানিত করে সে জাতি সম্মানের একটি  অনন্য উচ্চতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। 

তিনি আজ ঢাকায়  তোপখানা রোডে  মেহেরবা পস্নাজায় ক্যাম্পাস সততা পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অনত্মর্নিহিত শক্তি অনেক। এদেশের মানুষ অনেক পরিশ্রমী ও মেধাবী। এ মেধাবী মানুষেরাই উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। মানুষের এ মেধাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে আমরা নিম্নআয় থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। পরবর্তীতে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে সড়্গম হব।  

স্পিকার আরো বলেন, আলোকিত ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। যেকোনো উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে গবেষণার গুরম্নত্ব অপরিসীম। সমাজের বিভিন্ন ড়্গেত্রে ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র গবেষণার মাধ্যমে সমাজের প্রয়োজনকে চিহ্নিত করে যেভাবে কাজ করে  যাচ্ছে  তা সত্যই প্রশংসার দাবিদার।
 
ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব ড. এম হেলালের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স'ায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, ড. আলমগীর মতি, ড. নাজনীন আহমেদ এবং ড. এম হারম্ননুর রশীদ বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে সমাজে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রাখায়  অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং দেশের বিশিষ্ট বীমা ব্যক্তিত্ব নাসির এ চৌধুরীকে ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের সততা সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।  

#

নূরম্নল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর: ৩৪০৪
প্রাণিসম্পদের সমস্যা নিরসনে আরো গবেষণা কার্যক্রম প্রয়োজন
                --মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

সাভার (ঢাকা), ২০ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
    পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদের বর্তমান সমস্যা নিরসনে এ খাতে আরো গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবনগুলো গ্রাম বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করতে হবে।

    প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মিলনায়তনে বিএলআরআই কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ-২০১৬ এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর’’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এ কথা বলেন।  

    প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে, এ লক্ষ্য অর্জনে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। সরকারের ভিশন-২০২১কে সামনে রেখে গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তিনদিনের এই কর্মশালার আলোকে যে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে সেগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

    বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তালুকদার নূরুন্নাহার এর সভাপতিত্বে তিন দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আযাদ।

#
শাহআলম/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৮১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৪০৩
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এর সাথে মায়া চৌধুরীর মতবিনিময়

নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর :

    যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম তথ্য আদান-প্রদান জোরদার করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত ও বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে একমত হয়েছে দেশ দুটি।

    আজ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এর আমন্ত্রণে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম সাক্ষাৎকালে তাঁরা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

    ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ, ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব অশীল কুমার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    গঙ্গা বা তিস্তা ব্যারেজের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দু’দেশের সহযোগিতা আরো নিবিড় করতে উদ্যোগ নিতে মায়া চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। এর ফলে বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা আরও সুসংহত হবে বলে মন্ত্রী ভারতকে অবহিত করেন। ভারত-বাংলাদেশ একই ভূমিকম্প বেল্টে অবস্থিত উল্লেখ করে ভারতে সংগঠিত বিগত ভূমিকম্প তথা ১৯৮০ সালে সংগঠিত গুজরাট ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সাথে বিনিময় ও ভূমিকম্পের উদ্ধার তৎপরতা বিষয়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের পদক্ষেপ নিতে মায়া চৌধুরী ভারতকে অনুরোধ করেন।

    বাংলাদেশকে ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভারতের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশেষত দুর্যোগের আগাম তথ্য বিনিময়ে ভারতকে আরও আন্তরিক হতে জনাব রাজনাথ সিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
#
ফারুক/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭৩২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৪০২
থ্রিআর ফোরামের কান্ট্রি প্রতিবেদনে শিল্পমন্ত্রী
সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :

বাংলাদেশ সরকার প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বল্প কার্বন নির্গমনকারী শিল্পায়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে উল্লে¬খ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের শিল্প কারখানায় কাঁচামালের অপচয় হ্রাস, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াকরণের  কৌশল বা থ্রিআর বাস্তবায়নে বহুমুখী কর্মসূচি ও প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে থ্রিআর (৩জ) কৌশল বাস্তবায়ন উপযোগী অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার তাগিদ দেন।
অস্ট্রেলিয়া সফররত শিল্পমন্ত্রী গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে ‘দশ বছর মেয়াদি থ্রিআর সম্পর্কিত হ্যানয় ঘোষণার আলোকে বিভিন্ন দেশে গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও বিশেষ অর্জন শীর্ষক কান্ট্রি প্রতিবেদন পর্যালোচনা অধিবেশনে সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন। সপ্তম এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক থ্রিআর ফোরাম উপলক্ষে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এডেলেইড কনভেনশন সেন্টারে এ অধিবেশনের  আয়োজন করা হয়।
চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিনহুই লি এর সঞ্চালনায় অধিবেশনে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কিরিবাতি, কিরগিজস্তান, সামুয়া ও থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিরা পৃথকভাবে নিজ নিজ দেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এসময় বাংলাদেশের ওয়েস্ট কনসার্নের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ মো. মাকসুদ সিনহা আলোচনায় অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়ন ও উন্নয়নের সাথে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি জড়িত। দেশে শিল্পায়নের ধারা যতই জোরদার হবে, পরিবেশ দূষণের ঝুঁকিও তত বাড়বে। এ বাস্তবতা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় থ্রিআর কৌশল প্রণয়ন করেছে। এর আলোকে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিআর কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  তিনি আরো বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তিনি উন্নত বিশ্বের আদলে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাখাতে লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্ব দেন।
#
জলিল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭৪৪ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর:৩৪০১
জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :    
    “আজ ৫ নভেম্বর ২০১৬ দেশে ৪৫তম জাতীয় সমবায় দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে  আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের সকল সমবায়ীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
    দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ের দর্শন টেকসই উন্নয়ন’ যা অত্যন্ত যুগোপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
    সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সমবায়কে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে সমবায় পদ্ধতির সম্প্রসারণকল্পে থানা পর্যায়ে পল্লিউন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন। জাতির পিতা দেশের দুগ্ধ চাহিদা পূরণের জন্য সমবায়ের ভিত্তিতে দুগ্ধ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের লক্ষ্যে মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেন।
    আওয়ামী লীগ সরকার একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ ও ‘আশ্রয়ণ’সহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমরা সহায়-সম্পদহীন মানুষের আবাসন ও র্কসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।
    আমরা যুগোপযোগী সমবায় সমিতি আইন প্রণয়ন করেছি। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমবায় বাজার স্থাপন ও কেন্দ্রীয় সমিতি গঠন করা হয়েছে। আমরা সমবায়ভিত্তিক ব্যবসা উন্নয়নে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করেছি। আমাদের এসকল পদক্ষেপের ফলে দেশে সমবায় আন্দোলন বেগবান হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ব্যাপকহারে  হ্রাস পেয়েছে। আমরা ৭ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
    এ মুহূর্তে আমাদের সরকারের প্রচেষ্টা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। টেকসই উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে হলে পণ্য-সামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকা-ে সমবায়ের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
    আমি আশা করি, সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাগণ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে ভূমিকা রাখবেন।
    আমি ৪৫তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।  

                জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
                  বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#
মনিরুন/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/ ১৭০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৪০০
জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৫ নভেম্বর ৪৫তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :    
    ‘‘সমবায়ের দর্শন টেকসই উন্নয়ন- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ৪৫তম জাতীয় সমবায় দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং সমবায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা  ও অভিনন্দন জানাই।
    জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। একক প্রচেষ্টায় যা করা অসম্ভব, সমবায় পদ্ধতিতে তা সহজেই করা সম্ভব। তাই প্রাচীনকাল থেকেই সমবায় বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অন্যতম কার্যকর কৌশল হিসেবে ব্যবহƒত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টেকসই উন্নয়নের এ কৌশল বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০২১ এবং ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে সফলভাবে ব্যবহƒত হতে পারে বলে আমি মনে করি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোলমডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি সামাজিক সূচকগুলোতেও বাংলাদেশের সাফল্য অন্য যেকোনো উন্নয়নশীল দেশের জন্য  অনুসরণীয়।
    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তিনি বিশ্বাস করতেন তাঁর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা তখনই সম্ভব যখন উৎপাদনযন্ত্র, উৎপাদন ব্যবস্থা ও বণ্টন প্রণালীসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হবে জনগণ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে  তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১৩নং অনুচ্ছেদে সমবায়ীসহ মালিকানা ব্যবস্থার কাঠামো সন্নিবেশিত করেছিলেন।
    সমবায় জনগণের সংগঠন। বাংলাদেশের পল্লি অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নারীর  ক্ষমতায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা রেখে চলেছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রসার ও প্রযুক্তির বিপ্লব আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে নবতর সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। তাই এসব সম্ভাবনাকে কাজে  লাগাতে নতুুন  উদ্যোগে আধুনিক প্রজন্মের সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে। সমবায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অন্যতম হাতিয়ার হোক - জাতীয় সমবায় দিবসে এ প্রত্যাশা করি।
    আমি জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা  

 

Todays handout (3).docx