তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৬৪
মোংলা হবে বিশ্বমানের, আধুনিক ও স্মার্ট সমুদ্রবন্দর
--- নৌপরিবহন উপদেষ্টা
খুলনা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
মোংলা বন্দরকে বিশ্বমানের, আধুনিক ও স্মার্ট সমুদ্রবন্দরে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
আজ খুলনায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়ক পথে দূরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার। এছাড়াও বন্দরটির সাথে ঢাকা-সহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের রেল ও নৌযোগাযোগ রয়েছে। এ বন্দরটিকে পিছিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। মোংলা বন্দরকে আরো আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে ও কিছু প্রকল্প ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের বার্ষিক সক্ষমতা বাড়বে। চ্যানেলে ৮ দশমিক ৫ সিডি গভীরতা অর্জিত হবে। ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ মোংলা বন্দরে হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। মোংলা বন্দরে বার্ষিক প্রায় ৮ লাখ টিইউজ কন্টেইনার, ৪ কোটি মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়বে।
এ সময়ে বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেশি গতিশীল ও আমদানি-রফতানিকারকদের উৎসাহিত করতে রাজস্ব বিভাগকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দরে স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন উপদেষ্টা। বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য নিজস্ব ২টি ড্রেজার ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বন্দরের আরো বেশি প্রচার প্রচারণা করা দরকার। মোংলা বন্দরের সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বুকলেট তৈরি করে আমাদের বিদেশি মিশনগুলোর মাধ্যমে প্রচারণা বাড়াতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পত্র দেয়া হবে বলে জানান তিনি। এ সময়ে দেশের সকল নদীবন্দর, স্থল বন্দর, সমুদ্রবন্দরগুলোকে নিয়ে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান-সহ বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/শিবলী/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২২১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৬৩
২০৪০ সালের মধ্যে সীসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পরিবেশ উপদেষ্টার
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সীসা এবং ভারী ধাতু দূষণকে ‘নীরব সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। ঢাকার বিআইসিসিতে অনুষ্ঠিত ‘সীসামুক্ত বাংলাদেশ: আমরা কীভাবে পৌঁছাব?’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার সকল অংশীজনের সহযোগিতায় ২০৪০ সালের মধ্যে সীসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছে। সীসা দূষণের উৎস শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সীসা দূষণের জাতীয় পর্যায়ের তথ্যসমূহ কার্যকর নীতিমালা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ইউনিসেফ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং দূষণ প্রতিরোধে সমন্বিত, তথ্যভিত্তিক উদ্যোগের আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক সীসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল ভারী ধাতু দূষণের স্বাস্থ্যগত প্রভাব, বিশেষত শিশুদের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের একত্রিত করা।
কর্মশালায় উপস্থাপিত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের শিশুদের রক্তে উদ্বেগজনক মাত্রায় সীসা রয়েছে। বায়ু, পানি, মাটি, খাদ্য, রং ও রান্নার পাত্রের মতো ভোক্তা সামগ্রী থেকে এই ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। দ্রুত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে ভারী ধাতুর দূষণ বেড়েছে, যা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
সম্প্রতি ইউনিসেফের সহযোগিতায় আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআর,বি পরিচালিত এক গবেষণায় ঢাকা, খুলনা ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় শিশুদের রক্তে সীসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই সংকটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ইউনিসেফ ও ইউএসএআইডির সহযোগিতায় আসন্ন এমআইসিএস ২০২৪-২০২৫ জরিপে রক্তের সীসার মাত্রা অন্তর্ভুক্ত করেছে যা নীতি প্রণয়নে সহায়ক তথ্য প্রদান করবে।
ইউনিসেফ একটি শক্তিশালী বহু-খাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার আহ্বান জানিয়ে গবেষণাগারে ভারী ধাতুর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেছে। ইউনিসেফসহ বিভিন্ন অংশীদারদের সহায়তায় ‘সীসামুক্ত ভবিষ্যৎ’ উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে শিশুদের সীসা দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এসময় বক্তৃতা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন; ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স; ইউএসএআইডির মিশন পরিচালক রিড আইশ্লিম্যান; বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।
#
দীপংকর/শিবলী/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৬২
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের মেডিকেল দল ঢাকায়
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসকদের একটি টিম বাংলাদেশে এসেছে। আজ দুই সদস্যের মেডিকেল টিম ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) আন্দোলনে আহত ভর্তি রোগীদের পর্যবেক্ষণ করেন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন।
নিটোরের পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজজামান জানান, যুক্তরাজ্য থেকে আসা দুই সদস্যের চিকিৎসক টিম হাসপাতালে আহত ৬৫ জন রোগী দেখেছেন। তারা আমাদের চিকিৎসা প্রটোকলের সাথে একমত পোষণ করেছেন। এদের মধ্যে ১৪/১৫ জন রোগীর ব্যাপারে আগামীকাল বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকগণ প্রয়োজনীয় সার্জারি সম্পন্ন করবেন। আহতদের সুচিকিৎসার্থে যুক্তরাজ্যের এ চিকিৎসক দল ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে।
আজ স¦াস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
#
শাহাদাত/শিবলী/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৬১
ভূমি রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সমন্বিতকরণের তাগিদ ভূমি সচিবের
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ভূমি রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের তত্ত্বাবধান কার্যক্রম সমন্বিত উপায়ে জোরদার করতে হবে। এতে করে জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে অবদান রাখা সম্ভব হবে। তিনি ভূমি মালিকদের ভূমি সেবা বিষয়ে ব্যাপক সচেতনা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরামর্শ দেন।
আজ ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভূমি সংস্কার বোর্ড আয়োজিত ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য করণীয় নির্ধারক বিষয়ক এক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি সচিব এসব কথা বলেন।
বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহ. মুনিরুজ্জামান।
ভূমি সিনিয়র সচিব বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে ভূমি রেকর্ড হালনাগাদ থাকতে হবে। সরকারি জমি অব্যবহৃত থাকলে তা থেকে রাজস্ব আদায় করার উদ্যোগ নেয়া দরকার। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।
কর্মশালায় জানানো হয়, জমি, জলাশয় ও অন্যান্য ভূমির মালিকানা ও ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে ভূমি রাজস্ব আদায় করা হয়। এ কার্যক্রম সাধারণত বিভিন্ন ফি, কর ও চার্জের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়। ভূমি রাজস্বের উৎস বা খাত হচ্ছে ভূমি উন্নয়ন কর, নামজারি ফি, সায়রাত মহাল ও অর্পিত সম্পত্তি লিজ ফি, হাটবাজার লিজ ফি এর ভূমি রাজস্ব অংশ ও অন্যান্য ফি।
#
আহসান/শিবলী/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৬০
গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারিতে জমা হয়েছে ১৬০০ অভিযোগ
-- কমিশনের সভাপতি
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শৃঙ্খলা বাহিনী এবং অনুরূপ যে কোনো বাহিনী বা সংস্থা কর্তৃক বলপূর্বক গুমের অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারিতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ অভিযোগ জমা হয়েছে।
আজ রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে কমিশনের কার্যক্রম বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযোগকারীদের মধ্য হতে ১৪০ জনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ টি অভিযোগনামা ও তৎসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে প্রচলিতভাবে ‘আয়না ঘর’ বা ‘বন্দিশালা’ নামে পরিচিত প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এর জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, ডিবি, সিটিটিসি, র্যাব সদরদপ্তর, র্যাব-১, র্যাব-২ ও র্যাব-১১ এর ইন্টারোগেশন সেল অত্র কমিশন পরিদর্শন করেছে।
কমিশনের সভাপতি আরো উল্লেখ করেন, অভিযোগকারী ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ সদস্যকে অত্র কমিশন সম্প্রতি শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য সমন প্রেরণ করেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্টদেরকেও সমন প্রেরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য বিচারপতি মোঃ ফরিদ আহমদ শিবলী, মোঃ নূর খান, ড. নাবিলা ইদ্রিস এবং মোঃ সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
#
খালিদ/শিবলী/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৫৯
ধর্ম উপদেষ্টার সাথে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাতে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আলজেরিয়ার প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের অনুরোধ জানান। এছাড়া সেদেশের খ্যাতনামা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসমূহে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে পাঠদানের প্রস্তাব দেন।
আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালুর বিষয়ে সম্মতি জানান। তিনি রিসোর্স পার্সন বিনিময়ের মাধ্যম আলজেরিয়ার গুণী অধ্যাপকদেরকে দিয়ে বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন। এছাড়া রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আলজেরিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দুটি দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আগামী দিনে দু'দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে আলজেরিয়ার অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
#
আবুবকর/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরনী নম্বর: ১৫৫৮
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে শহিদ আবু সাঈদের পরিবারের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ আবু সাঈদের পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে তথ্য ও সস্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শহিদ আবু সাঈদের পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে শহিদ আবু সাঈদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন। শহিদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা শহিদ আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘শহিদ আবু সাঈদ ফাউন্ডেন’ প্রতিষ্ঠায় সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। এ সময় শহিদ আবু সাঈদের বড়ো ভাই রমজান আলী, আবু হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/রহমান/ফাতেমা/রবি/সুবর্না/সাঈদা/লিখন/২০২৪/৩.৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৫৭
কৃষি উপদেষ্টার সাথে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ মন্ত্রণালয়ে অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু, বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, দেশের আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ ও রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচিত হয়। শুরুতে কৃষি উপদেষ্টা নরওয়ের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানী বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত জলবায়ুজনিত অভিযোজন, শস্যের বহুমুখীকরণ, এক ফসলি জমিতে দুই বা ততোধিক ফসল চাষ ও মৎস্যখাতে একযোগে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহের কথা জানান।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত নাইট্রোজেন সার রপ্তানিতে তার দেশের আগ্রহের কথা জানালে উপদেষ্টা বলেন, দেশে সারের চাহিদা রয়েছে। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন দেশ থেকে সার আমদানি করছি, নরওয়ে চাইলে জিটুজি বা বেসরকারি খাতের মাধ্যমে সার রপ্তানি করতে পারে।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। এসময় কৃষি উপদেষ্টা নরওয়েতে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দেয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পুলিশ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অচিরেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। প্রসঙ্গক্রমে উপদেষ্টা বলেন, কাজে যোগ না দেয়া পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। বিভিন্ন পদে পুলিশের নিয়োগ চলমান রয়েছে। পুলিশের মনোবল চাঙা করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান আছে। পুলিশের সংস্কারে নরওয়ে সহযোগিতায় আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত জানালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ সংস্কার কমিশনকে যোগাযোগের জন্য জানানো হবে।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশে খাদ্য শস্যের উৎপাদন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শস্যহানির কারণে কিছু কিছু খাদ্যশস্য কেনা হবে। নরওয়ের রাষ্ট্রদূত খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ জানালে কৃষি উপদেষ্টা তাকে ধন্যবাদ জানান এবং এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় তথা সরকারেরও আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। উপদেষ্টা কৃষি ও মৎস্যখাতে বাংলাদেশ থেকে তরুণ গবেষক নেওয়ার জন্য নরওয়েকে অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয় ও নরওয়ে দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
জাকির/রহমান/ফাতেমা/রবি/সুবর্ণা/সাঈদা/মাসুম/২০২৪/১৫৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরনী নম্বর: ১৫৫৬
জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা ও অনলাইন
পরিবেশগত ছাড়পত্র সার্টিফিকেশন সফটওয়্যার উদ্বোধন করলেন -পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ু দূষণের উৎস নিয়ন্ত্রণ, বায়ু মান মনিটরিং ব্যবস্থা উন্নত করা এবং আইন প্রয়োগের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে সরকার জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এটি কঠোর নিয়ম বাস্তবায়ন এবং শিল্প, পরিবহন ও নগরায়ানে পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি প্রসারে একটি পথনকশা হিসেবে কাজ করবে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, এই কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশের টেকসই পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনের বৃহত্তর কৌশলের একটি অংশ, যা গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলের উদ্বেগজনক দূষণ হ্রাসে সহায়ক হবে। পরিচ্ছন্ন বায়ুর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে সরকার পরিবেশ রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে যাতে এই কর্মপরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, পরিবেশবাদী সংগঠন, একাডেমিয়া এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় নীতিতে বায়ু মান ব্যবস্থাপনা সংযোজন, উন্নত পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি গ্রহণ এবং দূষণের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে অন্য একটি অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়ার অটোমেশন করার লক্ষ্যে ‘অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ট্রান্সফরমেশন অব দ্যা এনভায়রনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রসেস’ শীর্ষক নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, এই নতুন সফটওয়্যার প্রবর্তনের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র প্রক্রিয়ার স্মার্ট পরিবর্তন আনছে। এতে ছাড়পত্র/নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ হবে।
তিনি বলেন, অনলাইনে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড ও ছাড়পত্র গ্রহণের সুবিধা থাকবে। উদ্যোক্তারা আবেদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি অনলাইনে দেখতে পারবেন। অনলাইনে ফি প্রদান, ছাড়পত্র/নবায়ন ফি, ভ্যাট প্রদান সহজ হবে। এতে বেজা, বিডা, বিসিক, বেপজা, বিএইচটিপিএ-এর অনস্টপ সেবা নিশ্চিত করা যাবে। জাল কাগজপত্র শনাক্তকরণ, ডাটা যাচাই ও ছাড়পত্রের সঠিকতা নিশ্চিত সহজ হবে। সময়, খরচ ও অফিসে যাতায়াত কমবে। হার্ডকপির ব্যবহার কমে যাবে। মনিটরিং সহজ হবে।
এভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি কমবে। ডাটা সুরক্ষা বৃদ্ধি পাবে।
#
দীপঙ্কর/রহমান/ফাতেমা/রবি/সুবর্না/সাঈদা/লিখন/২০২৪/৩.২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৫৫
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ
-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা
ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এছাড়া, সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত মানবসৃষ্ট দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশনের মাল্টিপারপাস হলে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা : সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ফারুক ই আজম বলেন, জীবন রক্ষার জন্য আমাদের প্রয়োজন শক্তিশালী প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা, উন্নত বিল্ডিং কোড এবং আরো ভালো নগর পরিকল্পনা। তিনি আরো বলেন, মানুষ সচেতন হলেই ঝুঁকি হ্রাস পাবে। এই সচেতনতা আমাদের প্রত্যেকের ঘর থেকেই আরম্ভ করতে হবে এবং অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। এছাড়া, সরকারের ওপর নির্ভর না করে সর্বত্র ভলান্টিয়ার সৃষ্টি করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায়, ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনায় দক্ষ দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আদলে কার্যকর মডেল সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবাইকে প্রস্তুত রাখা এখন সময়ের দাবি। তিনি আরো বলেন, আমাদের সকল সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিজস্ব উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট গবেষণার প্রয়োজন। আমি আশা করি তরুণ প্রজন্ম এসব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
ফারুক ই আজম বলেন, প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগের চেয়ে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের দরিদ্রতা। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ টি উপজেলার শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তিনি বলেন, দরিদ্রতাজনিত অপুষ্টি একটি দুর্বল জাতি সৃষ্টি করবে, যার পরিণাম হবে ভয়াবহ। তাই আমরা দারিদ্রকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সেলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তররের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম সচিব মোঃ আহমেদুল হক বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।
কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্হা ও প্রতিষ্ঠানের ৭০ জন প্রতিনিধি অংশগ্ৰহণ করেন।
#
এনায়েত/ফাতেমা/রবি/সুবর্ণা/সাঈদা/মাসুম/২০২৪/১৩১৫ ঘণ্টা