Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ নভেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী ০৯ নভেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪২৮৮

নূর হোসেন একটি ইতিহাস

           -- তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) : 

          তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেছেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি প্রশংসিত হচ্ছে তখন  সরকারের সাফল্যকে নস্যাৎ করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একের পর এক অসংলগ্ন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন; যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উস্কানিমূলক। দেশের জনগণ অতীতের মতো এসব অপপ্রচারকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ’৯০ এর গণ-আন্দোলনের শহিদ নূর হোসেনের স্মরণে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, নূর হোসেন ছিলেন অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের মুক্তির দূত। নূর হোসেন একটি ইতিহাস। নূর হোসেন আগামীর চিরন্তন প্রেরণা। জাতির পিতার নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচারের স্থান নেই।

          সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন কামাল চৌধুরী, বলরাম পোদ্দার, অরুণ সরকার রানা, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, হুমায়ূন কবির মিঝি প্রমুখ।

#

মাহবুবুর/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৮১৫ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৪২৮৬

সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হানের স্বজনদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ


ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) : 

          সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হানের স্বজনরা আজ ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা রায়হান হত্যা মামলার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন।

          এ হত্যার সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

          সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন রায়হানের চাচা মইনুল ইসলাম কুদ্দুস, ভগ্নিপতি মোফাজ্জেল আলী, মামাত ভাই শওকত আলী এবং রায়হানের আত্মীয় ও সিলেট মহানগরের কাউন্সিলর মোকলেস রহমান কামরান এবং ব্যারিস্টার ফয়েজ আহমেদ। এছাড়া সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গাজী জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

          উল্লেখ্য, আজ রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামী এস আই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

#

তৌহিদুল/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭৩২ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৪২৮৫

মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) : 

          বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোভিড-১৯ (দ্বিতীয় পর্যায়) এর বিস্তার রোধে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি সকল বাণিজ্যিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং এর অধিনস্ত সকল এসোসিয়েশন, জেলা ও উপজেলা চেম্বার/যৌথ চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিসমূহ, সমিতি, ফাউন্ডেশন, গ্রুপ ও ফোরামসমূহে কর্মরত সদস্য ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

          বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে গত ১ নভেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করেছে।

          উল্লেখ্য কোভিড-১৯ (দ্বিতীয় পর্যায়) বিস্তার রোধে মাস্ক পরিধানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

#

বকসী/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭১৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৪২৮৪

২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) : 

              বাংলাদেশের সকল সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহে ২০২১ সালে ছুটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।  

            সাধারণ ছুটিসমূহ হচ্ছে - ২১ ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস; ১৭ মার্চ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম দিবস; ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস; ১ মে, মে দিবস; ৭ মে, জুমাতুল বিদা; ১৪ মে, ঈদ-উল-ফিতর; ২৬ মে, বুদ্ধ পূর্ণিমা; ২১ জুলাই, ঈদ-উল-আযহা; ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস; ৩০ আগস্ট, জন্মাষ্টমী; ১৫ অক্টোবর, দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী); ১৯ অক্টোবর, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা:); ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস; ২৫ ডিসেম্বর, যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড় দিন)-সহ মোট ১৪ দিন।

            নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটিসমূহ হচ্ছে - ২৯ মার্চ, শব-ই-বরাত; ১৪ এপ্রিল নববর্ষ; ১০ মে, শব-ই-ক্বদর; ১৩ ও ১৫ মে, ঈদ-উল-ফিতর (ঈদের পূর্বের ও পরের দিন); ২০ জুলাই ও ২২ জুলাই, ঈদ-উল-আযহা (ঈদের পূর্বের ও পরের দিন); ১৯ আগস্ট, আশুরা-সহ মোট ৮ দিন।

            ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব) সমূহ হচ্ছে - ১২ মার্চ, শব-ই-মিরাজ; ১৬ মে, ঈদ-উল-ফিতর (ঈদের পরের ২য় দিন); ২৩ জুলাই, ঈদ-উল-আযহা (ঈদের পরের ২য় দিন); ৬ অক্টোবর, আখেরি চাহার সোম্বা; ১৭ নভেম্বর, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম-সহ মোট ৫ দিন।

            ঐচ্ছিক ছুটি (হিন্দু পর্ব) সমূহ হচ্ছে - ১৬ ফেব্রুয়ারি, শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা; ১১ মার্চ, শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রত; ২৮ মার্চ, দোলযাত্রা; ৯ এপ্রিল, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব; ৬ অক্টোবর, মহালয়া; ১৪ অক্টোবর, শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা (নবমী); ২০ অক্টোবর, শ্রী শ্রী লক্ষ্ণী পূজা; ৪ নভেম্বর, শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা-সহ মোট ৮ দিন।

            ঐচ্ছিক ছুটি (খ্রিষ্টান পর্ব) সমূহ হচ্ছে - ১ জানুয়ারি, ইংরেজি নববর্ষ; ১৭ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার; ১ এপ্রিল, পুণ্য বৃহস্পতিবার; ২ এপ্রিল, পুণ্য শুক্রবার; ৩ এপ্রিল, পুণ্য শনিবার; ৪ এপ্রিল, ইস্টার সানডে; ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর, যিশু খ্রিষ্টের জন্মোৎসব (বড় দিনের পূর্বের ও পরের দিন)-সহ মোট ৮ দিন।

            ঐচ্ছিক ছুটি (বৌদ্ধ পর্ব) সমূহ হচ্ছে - ২৮ জানুয়ারি, মাঘী পূর্ণিমা; ১৩ এপ্রিল, চৈত্র সংক্রান্তি; ২৩ জুলাই, আষাঢ়ী পূর্ণিমা; ২০ সেপ্টেম্বর, মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা); ২০ অক্টোবর, প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)-সহ মোট ৫ দিন।

            ঐচ্ছিক ছুটি (পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য) সমূহ হচ্ছে- ১২ ও ১৫ এপ্রিল, বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসমূহের অনুরূপ সামাজিক উৎসব-সহ মোট ২ দিন।

            উল্লেখ্য, চাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় ছুটির তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। একজন কর্মচারী তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগের অনুমতি পেতে পারেন এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

            যে সকল অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অথবা যে সকল অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।

            জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৪ নভেম্বর এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারী করে।

#

সাইফুল/অনসূয়া/কামাল/আসমা/২০২০/১৫০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৪২৮৩

শহীদ নূর হোসেন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) : 

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ নূর হোসেন দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস। এ দিবসে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদকে।

          বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। নূর হোসেন তাঁর বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি যখন জিরো পয়েন্টে পৌঁছে, তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিতে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়। এছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হন। তাঁদের এ মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে। সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে। স্বৈরাচারী সরকারের পতন আরো ত্বরান্বিত হয়।

          গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন-সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ আরো নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। জনগণ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের অধিকার।

          আমি নূর হোসেনসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তাঁদের শোকসম্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

                                                           #

শাওন/অনসূয়া/কামাল/খোরশেদ/২০২০/১০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর: ৪২৮২

শহীদ নূর হোসেন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা,  ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :  

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শহীদ নূর হোসেন দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “আজ ১০ নভেম্বর, শহীদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে সংগ্রাম করতে গিয়ে আত্মাহুতি দেন নূর হোসেন। আমি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি শহীদ নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদকে।

          বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ কখনো মসৃণ ছিল না। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃসংশভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ হয়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের। ১৯৮৭ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সাহসী সৈনিক নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ এই স্লোগান বুকে পিঠে ধারণ করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। মিছিলের পুরোভাগে থাকা এই অকুতোভয় যোদ্ধা অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন।

          শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। শহীদ নূর হোসেনের আত্মত্যাগও বৃথা যায়নি। তাঁর আত্মাহুতির ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। নূর হোসেনের মতো সাহসী মানুষদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। 

          আমি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।  

          জয় বাংলা।

          খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

ইমরানুল/অনসূয়া/কামাল/কুতুব/১০০০ ঘণ্টা

2020-11-09-21-59-6782ab48ae02623447dae3cf6caad497.docx