তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০৪
সাম্প্রতিক বন্যায় সাত কোটির বেশি নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাম্প্রতিক বন্যায় তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক সহায়তা হিসেবে ১৪টি জেলায় জেলা প্রশাসকগণের অনুকূলে ১ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সাত কোটি ১১ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে । এছাড়া
৫ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন চাল, এক লাখ ২৩ হাজার ২০০ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৪০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
বরাদ্দকৃত জেলা সমূহের মধ্যে সিলেট জেলায় ২ হাজার মেট্রিক টন চাল, ২ কোটি ১৫ লাখ নগদ টাকা, ৪৩ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশু-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল, ২ কোটি ৮ লাখ নগদ টাকা, ৩৮ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট/বস্তা, শিশু-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলায় ৪০০ মেট্রিক টন চাল, ৮০ লাখ নগদ টাকা, ৯ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশু-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।
রংপুর জেলায় ৩ হাজার ৫০০ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নীলফামারী জেলায় ৫ লাখ নগদ টাকা এবং ৩ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল, ৩০ লাখ নগদ টাকা এবং ১ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল, ৩০ লাখ নগদ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলায় ৩০০ মেট্রিক টন চাল, ৬২ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশু-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
শেরপুর জেলায় ১৫০ মেট্রিক টন চাল, ১১ লাখ নগদ টাকা এবং ৪ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলায় ৩০০ মেট্রিক টন চাল, ২২ লাখ নগদ টাকা এবং ৮ প্যাকেট/ বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ নগদ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৪০০ মেট্রিক টন চাল, ১১ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলায় ৩৫০ মেট্রিক টন চাল এবং ৯ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা জেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল, ১৭ লাখ নগদ টাকা এবং ১ হাজার ৭০০ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।
#
সেলিম/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০৩
দপ্তরগুলোর সাথে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
আগামী আর্থিক বছরের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাথে এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সচিবালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের উপস্থিতিতে সচিব মোঃ মকবুল হোসেন সংস্থা প্রতিনিধিদের সাথে পৃথক পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
তথ্য অধিদফতর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, গণযোগাযোগ অধিদফতর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট -তেরোটি দপ্তর ও সংস্থা প্রধান ও প্রতিনিধিবৃন্দ ২০২২-২৩ সালের এ চুক্তি স্বাক্ষরে অংশ নেন।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বাড়াতে, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি কর্মব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থসাল থেকে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এনুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট) প্রবর্তন করে সরকার।
এ ব্যবস্থায় মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে সংশ্লিষ্ট সচিব মন্ত্রণালয়ের দপ্তরগুলোর সাথে বার্ষিক কাজের তালিকা ও পদ্ধতিগত চুক্তি করেন এবং সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বছর শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চুক্তিগুলো মূল্যায়ন করে।
#
আকরাম/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০২
টেলিভিশনে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা :
‘আগামীকাল ২৭ জুন ২০২২, সোমবার ভোর ৬টা থেকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার’।
-- সেতু বিভাগ
#
পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০১
২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিষ্কার করার জন্য সকল সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সারা দেশে পশুর হাট বসবে বলেও জানান মন্ত্রী। আজ পবিত্র ঈদুল আজহায়, ২০২২ইং উপলক্ষ্যে অনলাইনে আয়োজিত পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি বাস্তবায়ন ও কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ নির্দেশ প্রদান করেন।
মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘ্ন হতে পারে সেখানে কোনো ক্রমেই পশুর হাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকগণ পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা সবাই তাঁদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, করোনার মহাসংকটেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ঈদে পশুর হাট বসানো হয়েছিল। এবছরের শুরুতে করোনা সংক্রমণের হার কম থাকলেও গত বেশ কয়েকদিন ধরে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এবারের পশুর হাট বসাতে হবে। এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিববৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে অনলাইন সভায় অংশ নেন।
#
হায়দার/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬০০
রাষ্ট্রপতির সাথে কুয়েতের বিদায়ি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে আজ বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত Adel Mohammed A.H. Hayat বিদায়ি সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ কুয়েতের সাথে সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। তিনি দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তিনি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রপতি কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে করোনার টিকা প্রদান ও তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য কুয়েত সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান। সম্প্রতি কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে নার্স নিয়োগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সেক্টরে আরো দক্ষ ও আধা-দক্ষ জনশক্তি নেয়ার জন্য কুয়েত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য কুয়েত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, এ সমস্যার সমাধানে কুয়েত আরো জোরালো ভূমিকা রাখবে। তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য কুয়েতের বিদায়ি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
কুয়েতের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২০২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৯
সেবা নিতে এসে একজনও যেন বিমুখ না হন
- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবার মান বাড়াতে নির্দেশ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একজন সেবাগ্রহিতাও যেন বিমুখ না হন। অন্যদিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সেবা নিয়ে পাবলিক পারসেপশন ভালো না, প্রভাবমুক্ত ও ভোগান্তিহীন সেবা দিতে হবে।
আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সাথে তার অধীন ২৩ টি অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের সাথে বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপ্রিএ) চূড়ান্ত মূল্যায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সরকারের ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। তবে শিক্ষা সেক্টরে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে পাবলিক পারসেপশন ভালো না থাকায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সেবার মান বাড়াতে হবে। কোনো সেবাগ্রহিতা যেনও আমাদের কাছে বিমুখ হয়ে ফিরে না যান। যদি সেবাগ্রহিতাকে তার কাজ করে দেওয়া সম্ভব নাও হয় তবু তিনি যেন তৃপ্তি নিয়ে ফেরত যেতে পারেন।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘হাই লেভেল এসেসমেন্ট হলো ন্যূনতম মানদণ্ড। এতে সন্তুষ্ট হলে চলবে না। নাগরিক সেবা উন্নত হচ্ছে না। যারা প্রন্তিক পর্যায়ের সেবা গ্রহিতা তারা সেবা পাচ্ছে না। উচ্চ পর্যায়ের পুরস্কার পেলেই জনগণের চিন্তা-ভাবনা ইতিবাচক হবে তা নয়। আমাদের সেবা সম্পর্কে পাবলিক পরসেপশন এখনও ভালো না। আমরা ভোগান্তিহীনভাবে সেবা দিতে পারছি না। জেলা ও উপজেলার শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের বাজেট বাড়ছে কিন্তু সেবার মান বাড়ছে না। অর্থ অনেক খরচ হচ্ছে অথচ প্রভাবমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পারছি না। প্রভাবমুক্ত ও ভোগান্তিহীন সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
#
খায়ের/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৮
পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার ৭১১ জনকে আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান
মুন্সিগঞ্জ, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার ৭১১ জনকে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ ইতোমধ্যে আত্মকর্মীতে পরিণত হয়েছে এবং বাকিরাও বিভিন্ন প্রজেক্ট গ্রহণ করছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে এবং তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক অগ্রাধিকারভিত্তিতে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হবে এবং প্রয়োজনে আরো প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
প্রতিমন্ত্রী আজ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ‘প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ’ কোর্সের সমাপনী ও যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। আমি দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ সর্বস্তরের জনগণকে এ সেতু বাস্তবায়নে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ’ কোর্সের আওতায় দুই ধাপে ৪ হাজার ৭১১ জনকে ক্ষুদ্র ব্যবসা, মাছ চাষ, মোবাইল ও টিভি মেরামত, ফ্রিজ ও এসি মেরামত এবং ওয়েলডিং, ইলেকট্রিক ওয়ারিং/ইলেকট্রিশিয়ান, পাটজাত পণ্য উৎপাদন, টেইলারিং এ্যান্ড ড্রেস মেকিং, ক্রাফট, স্কিন এন্ড ব্লক বাটিক, গরু-ছাগল পালন এ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বিষয়ক মোট ১২ টি ট্রেডে আধুনিক ও সময়োপযোগী নানা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এ সকল মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সনদপত্র ও প্রশিক্ষণ ভাতা হিসেবে দৈনিক ৫ শত টাকা হারে প্রশিক্ষণের মেয়াদ অনুযায়ী প্রদান করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৭
বাংলাদেশ এখন সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
----জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সংযুক্ত দপ্তরসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারি কর্মচারীদের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় কর্মদক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে শুদ্ধাচার চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এবছর দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের মধ্যে থেকে মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ কা
মোঃ দিনারুল ইসলাম, গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-৯ ভুক্ত ক্যাটেগরিতে সি আর অধিশাখার অতিরিক্ত সচিব
মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, গ্রেড ১০ থেকে গ্রেড ১৬ ভুক্ত ক্যাটেগরিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াসিম বিন মঈন, গ্রেড ১৭ থেকে গ্রেড ২০ ভুক্ত ক্যাটেগরিতে অফিস সহায়ক সাইফুল ইসলাম শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন।
প্রতিমন্ত্রী পুরষ্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ তুলে দেন।
#
শিবলী/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৯৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৬
দীর্ঘসূত্রতা অপচয় ও দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করে
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশকে নতুন গন্তব্যে নিয়ে যেতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও যথাসময়ে এর বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। দীর্ঘসূত্রতা উন্নয়নের অন্তরায়, এটি অপচয় ও দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে পাশাপাশি দেশপ্রেম, সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে, তবেই দেশের জন্য আমাদের পূর্বসূরিদের জীবন বিসর্জন দেয়া সার্থক হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণলায়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মন্ত্রণালয়ের সাথে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুহিবুর রহমান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক আতাউর রহমান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক মোঃ শাহ আলম ও শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক আবুল বাশার।
অনুষ্ঠানে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে শুদ্ধাচার পুরস্কার বিজয়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
#
তুহিন/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৫
সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারলে প্রতিষ্ঠান দ্রুত এগিয়ে যাবে
----বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারলে প্রতিষ্ঠান দ্রুত এগিয়ে যাবে। সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই আমাদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সংস্থার প্রধানদের অবশ্যই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হবে।
আজ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং দপ্তর ও সংস্থার মাঝে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বড় হচ্ছে। জ্বালানির গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাঁচ বছর পরে কতটা জ্বালানি তেল লাগবে, কবে কোথায় গ্যাস সরবরাহ করতে হবে তার পরিকল্পনা এখনই গ্রহণ করে তা বাস্তাবায়নে সচেষ্ট থাকা বাঞ্ছনীয়। পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে পাইপলাইন করা বা ভোলার গ্যাস মূল প্রবাহে আনা সময়ের দাবি।
নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, নতুন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন, গ্যাস উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, জ্বালানি তেল আমদানি, গ্যাস ও তেল সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এ বিভাগের কার্যক্রমের গতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এপিএ’তে লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলেই দেশে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করার কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করাই হয় নিজেদের গুরুত্বসহকারে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রাখা। এপিএ বাস্তবায়নে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে অবশ্যই প্রথম দিকে থাকতে হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, বিপিআই-এর মহাপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচলাক আবুল খায়ের মোঃ আমিনুর রহমান, ডিপার্টমেন্ট অভ্ এক্সক্লুসিভ-এর চিফ ইন্সপেক্টর মোহা. নায়েব আলী, জিএসবি’র ডিজি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, বিপিসি’র সচিব মোঃ লাল হোসেনসহ সকল দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাইড্রোকার্বন ইউনিট, বিপিআই, বিএমডি, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, জিএসবি, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি’র প্রধানগণ সিনিয়র সচিবের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
#
আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৪
প্রাণিসম্পদ খাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে সরকার
-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রাণিসম্পদ খাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সরকার আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে প্রযুক্তির সাথে সাধারণ জনগণকে অভ্যস্ত করতে ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশের জনসাধারণ প্রাণিসম্পদ খাতে যেকোন প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে সাদরে গ্রহণ করবে এবং সে প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করবে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'ক্লিন অ্যান্ড এনার্জি ইফিসিয়েন্ট কুলিং ফর লাইভস্টক সাপ্লাই চেইন ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি খাতে আমূল পরিবর্তন ঘটছে। বিশেষ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সারা বিশ্বের বিশেষ নজরে এসেছে। প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের সাথে তুলনামূলক বিচারে এ খাতে আমাদের অর্জন অসাধারণ। এ কারণে বিশ্বব্যাংকসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এ খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করছে। দেশীয় বিশেষজ্ঞদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও সাধারণ মানুষের অবদানে ইতোমধ্যে এ খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার এবং দেশের কারিগরি বিশেষজ্ঞগণের নিরলস প্রচেষ্টা রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় পোল্ট্রি ও ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষ গঠন ও এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ খাতের সত্যিকার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সবধরনের চাহিদা সরকার পূরণ করবে।
বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা ও অন্যান্য খাতে অসাধারণ সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে। উন্নয়নের প্রক্রিয়া সীমিত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রান্তিক পর্যায়ে আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই। প্রান্তিক পর্যায়ে প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে না পারলে সেটা কোনো কাজে আসবে না। সরকারের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক সিদ্দিকা ভূঁইয়া মিশু। বাংলাদেশের ডেইরি খাতে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রব্বানী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার ইকোনমিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্জার, মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
#
ইফতখার/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৩
ঢাকার চারপাশের ব্রিজ ভেঙে নৌ চলাচলের উপযোগী করা হবে