তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৬৫
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক ও
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা ২০২১ এর উদ্বোধন
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২১ এর জাতীয় পর্যায়ে খেলা কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম জুই, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই খেলাধুলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। যার ফলে ক্রিকেট ফুটবলসহ সকল খেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। যে ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের নাম ছিলো না সেই দেশ এখন ক্রিকেট পরাশক্তিদের অনায়াসে পরাজিত করছে। তিনি বলেন, এই টুর্নামেন্টসমূহ গ্রাম-গঞ্জের সর্বত্রই একটা ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি করেছে। খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হওয়ায় আমাদের সন্তানরা বিপদগামী না হয়ে সঠিক পথের দিশা পাচ্ছে। এজন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রশংসার দাবিদার।
সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে প্রতিভাবান ফুটবলারদেরকে দেশের ভিতরে এবং বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। বিগত টুর্নামেন্ট হতে ৪ জন প্রতিভাবান ফুটবলারকে ব্রাজিলের গামা ক্লাবে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৪২ জন ফুটবলারকে বিকেএসপিতে ৩ মাসব্যাপী উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ বছরেও বালক-বালিকা হতে বাছাই করা সেরা প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলারদের ব্রাজিল এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ হতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুই ধাপে ৮০ জন খেলোয়াড়কে বিকেএসপিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে আট বিভাগের বালক এবং বালিকা দল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা থেকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে ৪০ জন বালক এবং ৪০ জন বালিকা ফুটবলার। বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে বিকেএসপিতে ৩ মাসের নিবিড় আবাসিক ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। ক্যাম্প থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগও রয়েছে।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) মোঃ মোশারফ হোসেন মোল্লা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান, ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক কে এম আলী রেজাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/নাইচ/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৬৪
শিশুদেরকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের চেয়ে ভালো কর্মসূচি হতে পারে না
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
শিশুদেরকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের চেয়ে ভালো কর্মসূচি আর হতে পারে না। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও মোটেও তা কঠিন বা দুঃসাধ্য নয়। সরকার নিজ দায়িত্ব থেকেই এই চ্যালেঞ্জটি নিয়েছে, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এই কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে এ কর্মসূচিকে একটি ভিশনারি কাজ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা একদিন শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রচলিত প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের ঐতিহাসিক সাক্ষী হয়ে থাকবেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালকরণ প্রকল্পের প্রশিক্ষকগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবদুল ওয়াহাব এবং বিজয় ডিজিটাল-এর প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুঁই বক্তৃতা করেন।
ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে মন্ত্রী তার দীর্ঘ পথ চলার চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের সবচেয়ে বড় দুটি প্রতিবন্ধকতা হলো ডিভাইস এবং কনটেন্ট। গত ১২ বছরে বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুঁই কনটেন্ট বিষয়ক চ্যালেঞ্জটি তার ২০ জন দক্ষ সহযোদ্ধাকে নিয়ে অত্যন্ত সফলতার সাথে মোকাবিলা করতে পেরেছেন। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্য পুস্তকের কনটেন্ট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের হাতে তিনি তুলে দিতে পেরেছেন। বিনা টাকায় করোনাকালে শিক্ষার্থীদেরকে এই কনটেন্টটি দেওয়া হয়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষা জীবনে প্রাথমিক স্তরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর আগামী দিনটা হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৩ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির পথ বেয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশ নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে।ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
#
শেফায়েত/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৬৩
ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনা ‘একসেস টু জাস্টিস’নিশ্চিতে অবদান রাখবে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনা বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়াকে বেগবান করবে। বিচার বিভাগে বিচারপ্রার্থীর ‘একসেস টু জাস্টিস’ নিশ্চিতকরণ ত্বরান্বিত করবে; মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের ভিত বঙ্গবন্ধুই রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় বিচার বিভাগে নানামুখী ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াকে আরো জনবান্ধব ও সহজীকরণ করতে তাঁর আন্তরিক ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় বিচার বিভাগের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ পরিকল্পনা ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ই-জুডিসিয়ারি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারাদেশের সকল আদালতে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে মামলা দায়ের করা হলে বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতেই বিচারপ্রার্থী জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে। সুপ্রীম কোর্টে ডিজিটাল ফাইলিং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল মামলা সংশ্লিষ্ট ফাইল দ্রুততার সাথে অন লাইনে দায়ের, গ্রহণ ও অনুমোদন করা যাবে। ফলে সাশ্রয় হবে আদালতের কর্মঘণ্টার। তাছাড়া বিচারপ্রার্থীর বিচারপ্রাপ্তির অধিকার অধিকতর স্বচ্ছ, দ্রুত এবং সহজলভ্য হবে।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল আর্কাইভিং সিস্টেমের মাধ্যমে ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সকল মামলার রায়ের কপি সংরক্ষণের যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে তা পর্যায়ক্রমে নথির ডিজিটাল আর্কাইভিং ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নথিপত্র সংরক্ষিত থাকবে বিধায় এর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, অ্যানালগ পদ্ধতিতে মামলার নথি বা সংশ্লিষ্ট আদেশ খুঁজে বের করার ঝামেলা ও সময় হ্রাস পাবে এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল হওয়ায় আদালতের ভৌত অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তাও বহুলাংশে কমে যাবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/পাশা/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৬২
নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ববঙ্গের বাঙালি নারীর জীবনের দরজা খুলে দিয়েছিল। এখানে উচ্চশিক্ষা নিতে এসে কেবল পড়াশোনাতেই থেমে থাকেননি নারীরা। তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও জড়িত হয়েছেন।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠার শতবর্ষে দাঁড়িয়ে উপলব্ধি করছি, বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে এতদাঞ্চলে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তার অনেকটাই পুষিয়ে দিতে পেরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিরবচ্ছিন্নভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে বাঙালি জাতিকে বহু অজানা ও নতুন পথ দেখিয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, কীভাবে অধিকার ও স্বাধীকার অর্জন করতে হয়, কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়, কীভাবে দেশ গড়তে ও পরিচালনা করতে হয় তা উর্বর ও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কে বিস্তরভাবে শিখিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাঙালি জাতি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতার সংগ্রাম সহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে সফল হতে পেরেছে। আর এসব আন্দোলন ও সংগ্রামের সূতিকাগার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্ত্রী জানান, ভারত বিভক্তির পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান অর্জন ও রাজনীতি চর্চার তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেন। তাঁর পাকিস্তান বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের অভিযাত্রাও শুরু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
এসব কারণেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রধান চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যাপিঠ। তারই প্রতিশোধ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে এখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। আবার বাঙালির কাছে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৪ই ডিসেম্বরেও এখানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা- একথা বলেন আনিসুল হক।
নব্যস্বাধীন বাংলাদেশ গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রেও রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসামান্য অবদান। স্বাধীন বাংলাদেশেও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীরা অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, জনগণের অধিকার ও স্বাধিকার অর্জন, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশ গঠন ও পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিশ্বের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় এতসব অবদান রাখতে পেরেছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে একটি অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সোনালী চক্রবর্তী ব্যানার্জি, ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/পাশা/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৬১
২ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে এইচ এস সি ও সমমানের পরীক্ষা
কেন্দ্রে ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
২০২১ সনের এইচএসসি/ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বি.এম), ডিপ্লোমা ইন কমার্স ও আলিম পরীক্ষা আগামী ২ ডিসেম্বর ২০২১ হতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার প্রদত্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টগণ ব্যতীত জনসাধারণের অনধিকার প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
#
শফিকুল/পাশা/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৬০
কপ-২৬ এ বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনেক দাবি পূরণ হয়েছে
-- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহরে ৩১ অক্টোবর হতে ১৩ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (COP 26) এ প্রত্যাশা অনুযায়ী যথাযথ প্রাপ্তি না হলেও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনেক দাবি পূরণ হয়েছে। এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো ‘গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন’ সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য ‘গ্লাসগো-শার্ম আল শেখ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন দ্য গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যা আমাদের ভবিষ্যৎ এডাপটেশন কার্যক্রমকে নিঃসন্দেহে আরও বেগবান করবে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে সদস্য দেশসমূহকে উচ্চাভিলাষী ও শক্তিশালী পরিকল্পনা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্যারিস চুক্তির রুল বুক সম্পন্ন হয়েছে এবং উক্ত চুক্তির আওতায় ‘আর্টিকেল ৬ (মার্কেট এন্ড নন মার্কেট মেকানিজম)’ এর মোডালিটিজ, প্রোসিডিউরস এন্ড গাইডলাইন্স গৃহীত হয়েছে।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ ২৬): প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশসমূহে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধনী ও শিল্পোন্নত দেশসমূহ কর্তৃক অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করার পাশাপাশি কপ-২৬ এর বিভিন্ন ডিসিশন টেক্সট এ অভিযোজন ও প্রশমন অর্থায়নের মধ্যে ৫০:৫০ সমতা আনার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও উন্নত দেশসমূহ কর্তৃক জলবায়ু অর্থায়নে নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের নিমিত্ত ২০২২-২০২৪ সময়ের জন্য একটি এডহক ওয়ার্ক প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ধনী দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিলে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ অন্তত দ্বিগুণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশ ‘গ্লাসগো লিডার্স ডিক্লারেশন অন ফরেস্টস এন্ড ল্যান্ড ইউজ’ অনুমোদন করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও স্থানান্তর বিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং সম্মেলনে এ সংক্রান্ত আলোচনায় কার্যকর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ এর ওয়ার্ল্ড লিডার্স সামিটে-এ অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের পক্ষে কান্ট্রি স্টেটমেন্ট প্রদান করেন। উক্ত সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (ঈঠঋ) বর্তমান চেয়ার হিসেবে সদস্য ৪৮টি সর্বাপেক্ষা বিপদাপন্ন রাষ্ট্রসমূহের পক্ষে অত্যন্ত জোরালো ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সম্মেলনে বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক আলোচনায় বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের পক্ষে কার্যকর ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জলবায়ু সম্মলনের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির আলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এখনই ঠিক করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য সকল ধরনের ঝুঁকি চিহ্নিতপূর্বক তা মোকাবিলায় আমাদেরকে কাজ শুরু করতে হবে। কেবলমাত্র বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ওপর নির্ভর না করে আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়েই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর অভিযোজন এবং প্রশমনমূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আশাকরি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সফল হবো।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয় এমপি, পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, সিভিএফ প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।
#
দীপংকর/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৫৯
শিল্পমন্ত্রীর সাথে জাপান ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি (Ito Naoki) এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন (Winnie Estrup Petersen) আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে তাঁর দফতরে সাক্ষাৎ করেছেন।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানাসহ জাপান ও ডেনমার্ক দূতাবাস এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী জাপানের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপানের উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশ সরকার তা যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে।
এ বিষয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত নতুনভাবে সার কারখানা স্থাপন এবং অটোমোবোইল ফ্যাক্টরি স্থাপনে জাপানের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
#
মাহমুদুল/পাশা/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৫৮
বর্জ্য বিদ্যুৎ স্মার্ট শহর গড়তে তাৎপর্যময় অবদান রাখবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্জ্য বিদ্যুৎ স্মার্ট শহর গড়তে তাৎপর্যময় অবদান রাখবে। বর্জ্যের এই ব্যবস্থাপনা শুধু বিদ্যুৎই দেবে না; একই সাথে গ্রিণ হাউজ গ্যাসসমূহ হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমিত করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সোনারগাও হোটেলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাথে ঢাকার আমিনবাজারে ‘৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে বিদ্যৎ উৎপাদন প্রকল্প’এর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের সকল জেলায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ঢাকা শহরে দ্রুত ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল চালু করতে পারলে পরিবেশের জন্য খুবই ভালো হয়। ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের দক্ষতাও বেশি এবং আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী। বিদ্যুৎ বিভাগ প্রয়োজনীয় চার্জিং স্টেশন করে দেবে। এসময় তিনি বিদ্যুতের তার ভূগর্ভস্থ করার বিষয়ে মেয়রদের সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এই ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে বিদ্যৎ উৎপাদন করবে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএমইসি), চায়না [China Machinery Engineering Corporation (CMEC) Chaina] পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে EU 2010/75/EY মানদণ্ড প্রয়োগ করে CMEC কর্তৃক নিজ খরচে Ash yard নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ২০ একর জমি ক্রয়, প্রায় ১২ কিঃমিঃ ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন ও GIS Bay তৈরী করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪২.৫ মেগাওয়াট বর্জ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন স্পন্সর কোম্পানিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩০ একর জমি ও দৈনিক ৩০০০ মে.টন বর্জ্য সরবরাহ করবে। No Electricity, No Payment -এর ভিত্তিতে স্থাপনকৃত এই কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ US $ 0.2178 (বা ১৮.২৯৫ টাকায়) ক্রয় করা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ ও সিএমইসি’র উপ-মহাব্যবস্থাপক ওয়াং পেংফেই (Wang Pengfei) এবং বাস্তবায়ন চুক্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে যুগ্ম-সচিব নাজমুল আবেদীন স্বাক্ষর করেছেন।
বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, মোঃ আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়নার রাষ্ট্রদূত লি জিমিং (Li Jiming), স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, সিএমইসি এর চেয়ারম্যান ফ্যাং ইয়ান শুই (Fang Yan Shui) বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৫৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৮৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯৮৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৮ জন।
#
কবীর/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৮৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৫৬
ছাত্রদের গায়ে কালিমা লেপন করছে একটি মহল
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
‘ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভর করে একটি মহল ছাত্রদের গায়ে কালিমা লেপন করছে’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বিজয় মাসের শুভেচ্ছা জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ছাত্ররা হাফভাড়ার দাবিতে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বিআরটিসি বাসে হাফভাড়া আজকে থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ঢাকা বাস মালিক সমিতি তারা ঘোষণা দিয়েছে আজকে থেকে তারাও ঢাকায় হাফভাড়া কার্যকর করবেন। চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরেও মালিকরা একই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করবো। এরই মাঝে গত সোমবার রাতে রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় একজন ছাত্র দুঃখজনকভাবে নিহত হয়েছে, তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
কিন্তু এই ঘটনা বিশ্লেষণে কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টা ৪৫মিনিটে, এর ১২ মিনিট পর ১০টা ৫৭ মিনিটে নিরাপদ সড়ক চাই ফেইসবুক পেজ থেকে সরাসরি লাইভ করা হয়, রাত ১১টায় জামাত পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবরটি প্রকাশি