Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ এপ্রিল ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৮ এপ্রিল ২০২২

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                           নম্বর : ১৭৬৭

বরিশাল নগরীর ইফতার ও দোয়া মাহফিলে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ বৈশাখ (২৮ এপ্রিল) :

          আজ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড হোছানিয়া মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বরিশাল নগরীর কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

           প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে অল্প সময়ে যে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছে, বিশ্বের বুকে এক অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ। দেশের সকল অর্জন সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের জন্য তৃণমূল পর্যন্ত কাজ করতে হবে।

          মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়ক রমজান। মানুষকে মর্যাদা দিতে শিখায় রমজান।  মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এটুকু অনুভূতি জাগ্রত হওয়াই রোজা ও রমজানের বড় শিক্ষা। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছে একে অপরের কল্যাণকামিতার জন্য। বিপদে-আপদে একে অন্যের পাশে থাকা ও সহযোগিতার হাতকে সম্প্রসারণের জন্য বলেন প্রতিমন্ত্রী।

          এ-সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান দুলাল, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিস শরীফ, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হুমায়ুন কবির, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমীর বিশ্বাস, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, মহানগর যুবলীগ নেতা মোঃ আলী হোসেনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

          ইফতার ও দোয়া মাহফিলে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

#

গিয়াস/পাশা/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/২১৩৫ঘণ্টা
Handout                                                                                                                     Number : 1766

Both the Foreign Ministers of Bangladesh and India

vowed to further strengthening the bilateral ties


Dhaka, 28 April 2022:

            Foreign Minister of Bangladesh Dr. A. K Abdul Momen and External Affairs Minister of India Dr. S Jaishankar met today to comprehensively discuss the bilateral issues between Bangladesh and India. Both the Foreign Ministers noted that 2021 was a landmark year for the Bangladesh-India relationship as the President and Prime Minister of India visited Bangladesh in a single year and both the counties celebrated the 50th years of diplomatic ties through the joint celebration of a number of landmark events across the world. Both the Foreign Ministers expressed satisfaction with the ongoing cooperation between the countries and discussed the possible dates of the visit of the Prime Minister of Bangladesh to India to further cementing the ties. They underscored the necessity of holding of the next round of Joint Consultation Commission (JCC) meeting at the earliest convenience of both sides. Both the Foreign Ministers stressed on following up the decisions taken at the highest level for their effective implementation for mutual benefit.

            Dr. Momen reiterated that India is the most important neighbour for Bangladesh, noting that over the last few years, both the countries have achieved remarkable progress in a number of areas. The Foreign Minister recalled that the two countries had resolved many of the outstanding issues in the spirit of friendship and cooperation and expressed hope that all outstanding issues including the early signing of the Teesta Water Sharing Treaty may be concluded at an early date. Foreign Minister stressed on robust trade and commerce between the two countries. He also sought the support of India for the speedy repatriation of the forcibly displaced Myanmar nationals to their country of origin. Foreign Minister expressed satisfaction on rise of trade volume between the two countries and announcement of 200 scholarships by the Government of Bangladesh for the family members of war veterans of India who fought for Bangladesh in 1971.

            External Affairs Minister of India stressed that Bangladesh features as the most important country in the Indian Foreign Policy objectives of 'Neighbour First Policy’.  He stated Bangladesh and India have been maintaining excellent relationship even during the pandemic when the whole world was at a standstill. Dr. Jaishankar appreciated Bangladesh for the transformative socio-economic development under the dynamic leadership of Prime Minister Sheikh Hasina. He emphasized on promoting trade, commerce and connectivity especially in the light of supply chain disruption resulting from covid-19 restrictions and recent conflict in Ukraine. He assured of India's cooperation in resolving some of the concerns of Bangladesh including the early repatriation of forcibly displaced Myanmar nationals to their country of origin. He also stressed on early and timely completion of some of the projects funded by India and on the need of sub-regional cooperation in all matters, particularly in the energy sector.

            Indian External Affairs Minister arrived today in the afternoon with a high level delegation including Foreign Secretary-designate Vinay Mohan Kwatra. Earlier in the afternoon, Dr. Jaishanker called on the Prime Minister at Ganabhaban. Tomorrow, in the morning, he would depart Dhaka for Paro, Bhutan.

#

 

Mohsin/Pasha/Mosharaf/Joynul/2022/2120hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর:  ১৭৬৫

 

করোনা টিকায় ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়

টিআইবিসহ মিথ্যাচারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা

                                          ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ বৈশাখ (২৮ এপ্রিল) :    

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, সরকার যেখানে রাষ্ট্রের ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে, সেখানে টিআইবিসহ যারাই এ নিয়ে মিথ্যাচার করছে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা দিয়েছি। বিশ্বে  ১৩০টি দেশে যখন টিকা দেয়া শুরুই হয়নি তখন বাংলাদেশ টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে। দেশে টিকা দেয়া হয়েছে ২৫ কোটি ডোজের বেশি, যার মধ্যে ১৩ কোটি প্রথম ডোজ, সাড়ে ১১ কোটির বেশি দ্বিতীয় ডোজ এবং দেড় কোটি বুস্টার ডোজ। উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে এই পুরো টিকাই বিনামূল্যে প্রতিটি মানুষকে দেয়া হয়েছে, যা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও হয়নি। টিকা ক্রয়, দেশব্যাপী সরবরাহ, টিকা প্রদান ব্যবস্থাপনা বাবদ ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। আর বিনামূল্যে সংগ্রহ করার প্রেক্ষিতে সরকার রাষ্ট্রের ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। 

 

সরকার যেখানে রাষ্ট্রের ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সেই কথা ধরে টিআইবি উল্টোটা বলেছে বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে করোনায় মৃত্যুহার হচ্ছে শতকরা ১.৫ ভাগ আর টিআইবির বিবৃতি বলছে শতকরা ৭.৮ ভাগ। এতেই বোঝা যায়, টিআইবি কিরকম অপেশাদার সংস্থা। বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত মানুষের মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার অথচ টিআইবির কল্পিত মৃত্যুহার ধরলে সেই সংখ্যা হবে দেড় লাখ। 

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো গবেষণা করে না তড়িঘড়ি করে গবেষণার নামে দেশকে দোষী করা ও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের জন্য মনগড়া তথ্য দেয়াটা টিআইবি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেছে আর মূর্খের মতো সেই সূত্র ধরে কথা বলেছেন বিএনপির রিজভী সাহেব। এই ধরনের মিথ্যাচার যারাই করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। যেখানে সমগ্র দুনিয়া, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ প্রশংসা করে, সেখানে তারা সমালোচনার বাক্স খুলে বসেছেন। প্রয়োজনে টিআইবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হবে।’ 

 

ড. হাছান এ সময় প্রয়াত বঙ্গবন্ধুপুত্র শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন। ১৯৭১ সালে ধানমন্ডিতে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে পালিয়ে গিয়ে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে স্বাধীনতার পর তিনি যুগোস্লাভিয়া ও যুক্তরাজ্যের স্যান্ডহার্স্ট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত শেখ জামাল দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ছিলেন একাধারে সামরিক অফিসার, অন্যদিকে সংস্কৃতিমনা, যন্ত্রসংগীতে দক্ষ একজন সম্ভাবনাময় তরুণ। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হয়েও তিনি ইংল্যান্ডে খণ্ডকালীন আইসক্রিম বিক্রির কাজ করেছেন। একথা হয়তো অনেকে জানে না। আজকে তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’ 

 

মন্ত্রী এর আগে একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. অরূপরতন চৌধুরী গ্রন্থিত ‘করোনাভাইরাসের সঙ্গে মাদক ও তামাকের সম্পর্ক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। ড. হাছান গ্রন্থটিকে সময়োপযোগী বলে বর্ণনা করেন ও সকলকে পড়ে দেখার অনুরোধ জানান। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাঞ্চন কুমার দে, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সহসভাপতি মোতাহার হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

#

আকরাম/পাশা/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৮১৩ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ১৭৬৪

 

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ‘ডিপ্লোম্যাট অভ্ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ এ ভূষিত

 

লন্ডন, ২৭ এপ্রিল ২০২২ :

          ‘ডিপ্লোম্যাট অভ্ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। জলবায়ু কূটনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ‘ডিপ্লোম্যাট’ ম্যাগাজিন তাঁকে ‘ডিপ্লোম্যাট অভ্ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ প্রদান করে। ২৫ এপ্রিল লন্ডনের বিল্টমোর মেফেয়ারে ২৫০ জনেরও বেশি কূটনীতিকের উপস্থিতিতে ‘ডিপ্লোম্যাট’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক হাই কমিশনারের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি কূটনীতিককে যুক্তরাজ্যে এমন স্বীকৃতি দেয়া হলো।

          ‘ডিপ্লোম্যাট অভ্ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন, ইউকে প্রদত্ত একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার যা যুক্তরাজ্যভিত্তিক ১৬৫ টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতকে মনোনয়ন এবং ভোটের ভিত্তিতে প্রতি বছর প্রদান করা হয়।

          হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে পুরস্কার প্রদানের সময় ‘ডিপ্লোম্যাট’ যুক্তরাজ্যের সম্পাদক ভেনিশা ডি ব্লক ভ্যান কাফেলার বলেন, ‘লন্ডনে জলবায়ু কূটনীতিতে অসামান্য অবদান ও নেতৃত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে নিরন্তর উদ্যোগ ও সাফল্যের জন্য তাঁকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে।’

          ‘ডিপ্লোম্যাট অভ্ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার গ্রহণকালে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘এই স্বীকৃতি যা বিশেষ করে জলবায়ু কূটনীতির জন্য প্রদান করা হলো তা আমার এবং আমার দেশের জন্য একটি বড় গর্বের বিষয়।

          হাইকমিশনার তাঁর অ্যাওয়ার্ডটি লাখো জলবায়ু অভিবাসী এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে জলবায়ু বিপর্যয়ের শিকার অগণিত মানুষের প্রতি উৎসর্গ করেন। 

          বিগত ১২ বার বছর ধরে প্রচলিত 'ডিপ্লোম্যাট অভ্ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড' লন্ডনের কূটনীতিকদের জন্য সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি হিসাবে বিবেচিত।

#

তাসনিম/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮১৮ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ১৭৬৩

অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ভাতা

অনুদান জিটুপি পদ্ধতিতে আইবাসের মাধ্যমে সরাসরি প্রেরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

ঢাকা, ১৫ বৈশাখ (২৮ এপ্রিল) :

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে দেশব্যাপী সকল জেলায় সরকারি ভাতা/অনুদানপ্রাপ্ত সংস্কৃতিসেবীদের প্রদত্ত ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে 'নগদ বা বিকাশ বা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অনুদান ইএফটি'র মাধ্যমে প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ অনলাইনভিত্তিক এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে। বিভিন্ন নাগরিক সেবার ডিজিটালাইজেশনের কারণে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে দুর্নীতি, হয়রানি, দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস পেয়েছে। আর এর পেছনে নেপথ্য কারিগর হিসাবে কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সুযোগ্য পুত্র আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাচাই-বাছাইপূর্বক দেশব্যাপী অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তারপরও কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে যা সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অনুদানপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে যাতে সঠিকভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদেরকে ভাতা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে অনুদান প্রদানের নিমিত্ত 'আর্থিকভাবে অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের ভাতা মঞ্জুরি নীতিমালা' ও 'সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অনুদান মঞ্জুরি নীতিমালা' রয়েছে। নীতিমালা মোতাবেক অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত আবেদন ফরমে জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে আবেদন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে পুরাতন ৪০১৬ জন ও নতুন প্রায় ১০০জন সংস্কৃতিসেবীকে এবং প্রায় ১৫০০টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে জিটুপি পদ্ধতিতে আইবাসের মাধ্যমে ভাতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সংস্কৃতিসেবীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নিজ নামে রেজিস্ট্রিকৃত মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চেক বইয়ের উপরের কভারপেজসহ ব্যাংক হিসাবের তথ্যাদি (ইংরেজি) সকল জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়। যেহেতু ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট ভাতা/অনুদান প্রদানের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে, সেহেতু স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং দ্রুততার সঙ্গে সেবাদান সম্ভবপর হবে।

আরো উল্লেখ্য, উপরোক্ত পদ্ধতিতে আজ ৩৫টি জেলার ১১২৭ জন সংস্কৃতিসেবীকে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৭ হাজার ২০০ টাকা এবং আরো ১০টি জেলার ২০০টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

#

ফয়সল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭২৫ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর : ১৭৬২

 

 

জাতীয় পরিচয় নম্বর ব্যবহার করে সরাসরি ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে পারবে ভূমির মালিক

 

ঢাকা, ১৫ বৈশাখ (২৮ এপ্রিল) :

          ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান ব্যবস্থায় জাতীয় পরিচয় নম্বর ব্যবহার করে সরাসরি ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করার অপশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শীঘ্রই ভূমি মালিকগণ তাঁদের এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে সরাসরি ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে পারবেন।

          গত ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখ পর্যন্ত সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেম সাময়িক বন্ধ রাখার পর ২৫ এপ্রিল থেকে পুনরায় চালু করা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের সময় ৪ কোটি হোল্ডিংয়ের দাবি ক্যালকুলেশন এবং ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমে নতুন বাংলা বছরের '১৪২৯' সম্পর্কিত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আপডেট করা হয়েছে। এছাড়া, ১৪২৮ সাল পর্যন্ত দাবি আদায় হয়েছে এমন হোল্ডিংগুলোতে সর্বশেষ সাল ১৪২৯ সংযুক্ত করা হয়েছে।

          চালু হতে যাওয়া এনআইডি নম্বর দিয়ে সরাসরি ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মূল ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থায় জমির মালিকের  প্রোফাইলে না ঢুকেই জমির মালিকের নিবন্ধিত ও হোল্ডিং এন্ট্রি সম্পন্নকৃত জমির ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া যাবে। অর্থাৎ যেকোনো ব্যক্তি ভূমি উন্নয়ন কর অপরের পক্ষেও দিতে পারবেন। এই ব্যবস্থা অতিকর্মব্যস্ত মানুষের জন্য সুবিধাজনক হবে। তবে সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দাখিলা যেন কেবল জমির মূল মালিক গ্রহণ করতে পারেন তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া, বর্তমানে অনলাইনে খাজনা পরিশোধের  তিন দিনের মধ্যে পর কিউআর কোড-সংবলিত অটোমেটেড দাখিলা প্রদানের ব্যবস্থা থাকলেও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের সাথে সাথে দাখিলা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে।

          গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর ৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ১৬১২২ নম্বরে কল করেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

#

নাহিয়ান/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৭৫৫ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ১৭৬১

নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সপোতে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ

কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের মর্যাদা আরো নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ বৈশাখ (২৮ এপ্রিল) :

 নেদারল্যান্ডসে ৭ম আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সিবিশনে (ফ্লোরিয়েড এক্সপো-২০২২,) সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। ৬মাস ব্যাপী এই এক্সপো শুরু হয়েছে ১৪ এপ্রিল শেষ হবে ৯ অক্টোবর, বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ অফিসিয়াল পার্টনার হিসাবে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে। 

মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে এক্সপোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এ এক্সপোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে দেশের অর্জিত বিস্ময়কর সাফল্য ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি সম্ভাবনা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সম্মান আরো নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী জানান, সরকারের পাশাপাশি দেশের এসিআই, প্রাণ গ্রুপ, হাশেম ফুডস, স্কয়ার ফুডস, গ্লোবপ্যাক ফুডস, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড আ্যালাইড প্রডাক্টস এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশনসহ প্রায় ২০টির মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এতে অংশগ্রহণ করছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজ খরচে যাতায়াতসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এক্সপোতে অংশগ্রহণ করছে।

মন্ত্রী বলেন, এক্সপোতে প্যাভিলিয়ন প্রস্তুত, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, বাংলাদেশ দিবস উদ্‌যাপন, সমাপনী অনুষ্ঠান, প্যাভিলিয়ন পরিচালনাসহ সফলভাবে এক্সপোতে অংশগ্রহণের জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এক্সপো চলাকালীন (৬ মাস বা ১৮০ দিন) পর্যায়ক্রমে প্যাভিলিয়নে, নেদারল্যান্ডসে এক্সপোতে অংশগ্রহন করবেন এবং বিজনেস নেটওয়ার্কিং, দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা ও ব্রিফিং, প্যাভিলিয়ন ম্যানেজমেন্টসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, নেদারল্যান্ডসে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্যাভিলিয়নে কাজে লাগাতে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, এক্সপোতে বাংলাদেশ নিজেদের উদ্ভাবন ও গ্রিন সল্যুশনস বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে।দেশের মানসম্মত নিরাপদ শাকসবজি, ফলমূল ও ফুলের এবং কৃষিপণ্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, স্টলে দেশের কৃষির বিভিন্ন সাফল্যের উপর নির্মিত ১৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এক্সপোতে বাংলাদেশ দিবস পালন ও বিভিন্ন সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও ব্রান্ডিং তৈরির সুযোগ হবে।

 এবারের এক্সপোটি নেদারল্যান্ডসের Almere শহরের অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ৬০ হেক্টর বা ১৫০ একর জমি নিয়ে এই এক্সপোর আয়োজন। এক্সপোর ১০১ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। গুরুত্বের দিক দিয়ে আয়োজক দেশ ডাচ প্যাভিলিয়নের পাশের প্যাভিলিয়নটি বাংলাদেশের। ১০০০ বর্গমিটার এর প্যাভিলিয়নটি জাতীয় ফুল শাপলার ১৮টি পাপড়ির উপর দাঁড়ানো একটি প্রাকৃতিক প্যাভিলিয়ন যার বেশিরভাগ পাটের তৈরি পণ্য ও পাটের আঁশ দিয়ে সাজানো। এছাড়াও আছে হর্টিকালচার ও প্রক্রিয়াজাত পণ্যের ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল ডিসপ্লে।

#

 কামরুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ১৭৬০

 

দেশের কারখানাগুলোকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে

                                                     ---বাণিজ্যমন্ত্রী

 

 

ঢাকা, ১৫ বৈশাখ (২৮ এপ্রিল) :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশের শিল্প কলকারখানাগুলোকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছে। দেশের শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়-শহিদের রক্ত এবং শ্রমিকের ঘাম এর মর্যাদা সমান। বাংলাদেশে শ্রমিক এবং মালিক মিলে মিশে কাজ করছে। আমাদের অনেক দূর যেতে হলে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান এবং উন্নয়নের রোল মডেল ।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর আয়োজিত জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদ্‌যাপন এবং কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ’।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ২০১৩ সালে নীতিমালা তৈরি করে কারখানার শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে কোভিড-১৯ এর কারণে কারখানার শ্রমিকদের তেমন কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হননি। শ্রমিকদের শতকরোনা ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, এ বিষয়ে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। শ্রমিকদের ডিজিটাল ডাটা বেজ তৈরির কাজ চলছে। এতে শ্রমিকদের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে এবং শ্রমিকদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

          শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবীর, বিকেএমই-এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মো. হাতেম, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, জাতীয় শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নুর কুতুব আলম মান্নান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী।

 

#

বকসী/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/১৭৪০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৭৫৯

 

 

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস

ঢাকা, ১৫ বৈশাখ (২৮ এপ্রিল) :

          ‘বিনা খরচে নিন আইনি সহায়তা, শেখ হাসিনার সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চয়তা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২২। দিবসটি উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

          কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল  ১০টায় রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণ (১৪, আব্দুল গনি রোড) থেকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (১৫, কলেজ রোড) পর্যন্ত একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া  আইন ও বিচার বিভাগ এবং এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এনজিও প্রতিনিধিরা  র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

          র‌্যালি শেষে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

          সভাপতির বক্তব্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার বলেন, আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে এই বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে অধিদপ্তরে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে লিগ্যাল এইড অফিসারের পদকে যুগ্ম জেলা জজ পদে উন্নীত করার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারণে তিনি জেলা পর্যায়ে এডিআর সেন্টার গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

          আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ বজলুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ তফাজ্জল হাসান হিরু বক্তৃতা প্রদান করেন।

          এদিকে  জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সারা দেশের জেলা পর্যায়ে র‌্যালি, আলোচনাসভা, পথ প্রচার, লিগ্যাল এইড মেলা, ক্লায়েন্ট-আইনজীবী যৌথ সভা,  সেরা প্যানেল আইনজীবী পুরস্কার,  ম্যাগাজিন/স্যুভেনির/দেয়ালিকা প্রকাশ, আলোকচিত্র প্রদর্শন, প্রচার ও প্রকাশনা সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।

          সংবাদপত্রে  রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং আইন ও বিচার বিভাগের  সচিব এর বাণীসহ আইনগত সহায়তা বিষয়ক প্রতিবেদন সংবলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ ছাড়াও রেডিও-টেলিভিশনে আইনগত সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।

#

 রেজাউল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৭২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ১৭৫৮

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

 

ঢাকা, ১৫ বৈশাখ (২৮ এপ্রিল) :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজার। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য শ্রম আইন সংশোধন করে বিশ্বমানের করেছে। দেশের কারখানাগুলো নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। বিল্ডিং ও ইলেকট্রিসিটি সেইফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। তৈরি পোশাক কর্মীরা এখন নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছে। বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিড গ্রিন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সনদপ্রাপ্ত ১৫৭টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। বিশ্বের প্রথম ১০ টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেই ৯ টি। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এখন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ন্যায্যমূল্য (ফেয়ার প্রাইজ) নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসের সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত

2022-04-28-15-49-3486813fe0f3e2f93549be94c965058f.doc