তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৬৫
ইউনেস্কো’র হাত ধরে বাংলাদেশ একাধিক অসামান্য অর্জনের গৌরব লাভ করেছে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতি খাতে ইউনেস্কো’র হাত ধরে বাংলাদেশ একাধিক অসামান্য অর্জনের গৌরব লাভ করেছে। বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর সম্পর্কের ৫০ বছরের সুদীর্ঘ সময়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অর্থাৎ ইউনেস্কোর কর্মপরিধির মূল যে ক্ষেত্রসমূহ রয়েছে, বাংলাদেশে তার প্রতি ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে ইউনেস্কো। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ জামদানি ও সিলেটের শীতলপাটি বুনন শিল্প, বাউল সংগীত এবং পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ২০১৭ সালে ইউনেস্কোর মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে অন্তর্ভুক্তি এবং ১৯৯৯ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান- বাঙালি হিসেবে এ দু’টি অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
আজ রাতে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু এর উৎসব বলরুমে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন আয়োজিত ‘সম্পর্কের ৫০’ শীর্ষক উদ্যাপন ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো’র মতো একটি বহুপাক্ষিক সংস্থার সঙ্গে বিগত ৫০ বছর যাবৎ বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ইউনেস্কো’র বিভিন্ন সনদে অনুস্বাক্ষর করেছে এবং নিয়মিত নির্বাহী বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছে। সবমিলিয়ে এ সুদীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কো'র সম্পর্ক একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এতে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। শিক্ষামন্ত্রী এসময় ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে ইউনেস্কোসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশের পাশে থাকবে মর্মে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনেস্কো ঢাকা কার্যালয়ের অফিসার ইন চার্জ মিজ সুজান ভাইজ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ সোহেল ইমাম খান।
বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সৃজনশীল অর্থনীতিতে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অভ্ ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এটিই জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ সংস্থা প্রবর্তিত প্রথম পুরস্কার। সেজন্য ইউনেস্কো’কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ অপার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আর বৈচিত্র্যের লীলাভূমি। বাংলাদেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত ইউনেস্কো কনভেনশন-২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জাতীয় ইনভেন্টরি প্রস্তুতকরণের লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আশা করছি, আমরা অতি দ্রুত তালিকাটি প্রস্তুত করতে পারবো। প্রতিমন্ত্রী এসময় ইউনেস্কো ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অদূর ভবিষ্যতে আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে ও বহুমাত্রিকতা লাভ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
ফয়সল/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৬৪
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরার
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
বিদেশে বসে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি ও তাদের সহযোগীরা আজ বিদেশে বসে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল উন্নয়নকে ভূল তথ্য দিয়ে উপস্থাপন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে জয়ী করতে হবে। পূর্বের মতো দেশের সকল সঙ্কটে যেমন প্রবাসীরা এগিয়ে এসেছে, এবারো এগিয়ে আসতে হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গতকাল লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলে সিলেটের বিশ্বনাথ ওসমানীনগর প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ আর সাহায্যনির্ভর দেশ নয়, এখন স্বনির্ভর দেশ। বাংলাদেশ ঋণ নির্ভর দেশ নয়, ঋণ দাতা দেশ। বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখেন, অন্যকে স্বপ্ন দেখান এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। সাহসী ও দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী ট্যানেল নির্মাণ করেছেন।
যুক্তরাজ্যে প্রবাসী মোঃ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় যুক্তরাজ্যের বেথনাল গ্রিন এন্ড বাউওয়ের এমপি রূশনারা আলী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ যুক্তরাজ্য বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
#
আলমগীর/সিরাজ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ৪৭৬৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ^ দরবারে ব্যাপক প্রশংসিত
--- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর ) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম সাফল্য হলো বড় বড় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা। বর্তমান সরকার মানবতা বিরোধী অপরাধের মতো জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে সারা বিশ্বে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, দেশে আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বিচার প্রার্থী সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার স্বল্প সময়ে নিশ্চিতকরণে সফলতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা মহামারিকালে মানুষের বিচারিক সেবা অব্যাহত রাখতে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৬-দফা, মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বিভিন্ন গণআন্দোলনে বৃহত্তর বরিশালের আইজীবীদের রয়েছে গৌরবোজ্জ¦ল ভূমিকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠিত মহান মুক্তিযুদ্ধে দক্ষিণাঞ্চলের আইনজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল আইনজীবীদের দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বরিশালের আইন আদালত অঙ্গনের সার্বিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
#
আহসান/সিরাজ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৪৭৬২
বিতরণ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে
--বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিতরণ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে। ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক তার ও সাবস্টেশন এবং অটোমেশন, সেন্ট্রাল স্ক্যাডা বিতরণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। অপটিক্যাল ফাইবারসহ ভূগর্ভস্থ ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডুয়েল সোর্সের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বৈদ্যুতিক তার ও সাবস্টেশন ভূগর্ভস্থ করার প্রক্রিয়া চলামান। এতে
মান সম্পন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার সাথে সাথে পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে সহায়তা করবে।
“ডিপিডিসি’র আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক প্রকল্পটির আওতায় নতুন ১৪ টি ১৩২/৩৩ কেভি ও ২৬ টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে এবং বিদ্যমান ৮ টি ১৩২/৩৩ কেভি ও ০৪ টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। ঢাকা শহরের ভূমির দুষ্প্রাপ্যতা বিবেচনায় আধুনিক এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ৩৫/৫০ এমভিএ ৩৩/১১ কেভি পাওয়ার ট্রান্সফর্মার স্থাপন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই ধরনের পাওয়ার ট্রান্সফর্মার বাংলাদেশে এই প্রথম ডিপিডিসি কর্তৃক স্থাপন করা হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ধানমন্ডি এলাকার ২০ কিলোমিটার বিদ্যমান ওভারহেড বিতরণ লাইনকে ভূগর্ভস্থ ক্যাবল নেটওয়ার্কে রূপান্তর করা হবে। ফলে, তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত হয়ে ধানমন্ডি এলাকা হবে দৃষ্টি নন্দন এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা হবে নিরবচ্ছিন্ন। হাতিরঝিল এলাকার ওভারহেড ট্রান্সমিশন লাইন ও টাওয়ার অপসারণ করে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপন করা হবে, যা ঐ এলাকার নান্দনিক সৌন্দর্য বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে। এছাড়া, টঙ্গীতে ১ টি অত্যাধুনিক ম্যাকানাইজড ওয়্যার হাউজ নির্মাণ করা হচ্ছে যার সাথে ওপেন হ্যাঙ্গার সংযুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সেক্টরে এ ধরনের ওয়্যার হাউজ এটিই প্রথম।
এ সময় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান সাথে ছিলেন।
#
আসলাম/সিরাজ/রফিকুল/লিখন/২০২২/১৬২৩ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ৪৭৬১
শিল্পীদেরকে সৃষ্টিকর্মের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করার আহ্বান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর ) :
শিল্পীরাই জাতির জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের আধার। তাঁদের সৃষ্টিকর্মের যথাযথ মূল্যায়ন এবং নিজেদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে কপিরাইট অফিসের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা জরুরি। তিনি শিল্পীদেরকে মূল্যবান এ সৃষ্টিকর্মের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করার আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর তেজগাঁওস্থ চ্যানেল আই অফিস প্রাঙ্গণে চ্যানেল আই এবং বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বামবা-চ্যানেল আই ব্যান্ড মিউজিক ফেস্ট ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি বলেন, সংশোধিত কপিরাইট আইনকে যুগোপযোগী করে প্রণয়ন করা হচ্ছে যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সংসদ অধিবেশনে এটি উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। কপিরাইট অফিসের মাধ্যমে ব্যান্ড আইকন আইয়ুব বাচ্চুর সৃজনকর্ম সংরক্ষণপূর্বক রয়্যালটি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। একইভাবে গত মাসে বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণপূর্বক রয়্যালটি বাবদ ১০ হাজার ডলার তাঁর পুত্র শাহ নূর জালালের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
কে এম খালিদ বলেন, ব্যান্ড সংগীত সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এর মাধ্যমে তরুণ ও যুবসমাজকে সহজে উদ্বুদ্ধ ও অণুপ্রাণিত করা সম্ভব। প্রতিমন্ত্রী এ সময় বামবা ও চ্যানেল আইসহ আয়োজক কর্তৃপক্ষকে আগামীতে প্রতি জেলায় এ ধরনের ব্যান্ড সংগীত উৎসব আয়োজনের আহ্বান জানান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, গান বাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৌশিক হোসেন তাপস, বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) এর প্রেসিডেন্ট হামিন আহমেদ এবং ব্যান্ড আইকন প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা। স্বাগত বক্তৃতা করেন ‘বামবা-চ্যানেল আই ব্যান্ড মিউজিক ফেস্ট ২০২২’ পাওয়ার্ড বাই গান বাংলা এর প্রকল্প পরিচালক ইজাজ খান স¦পন।
উল্লেখ্য, এখন থেকে প্রতি বছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ১ তারিখে দেশজুড়ে পালিত হবে ‘ব্যান্ড মিউজিক ডে’ এবং ডিসেম্বরের প্রথম শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ‘বামবা চ্যানেল আই ব্যান্ড মিউজিক কনসার্ট’। তারই অংশ হিসেবে আগামীকাল ২ ডিসেম্বর শুক্রবার ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে দেশের ১৬টি প্রথিতযশা ব্যান্ড নিয়ে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। কনসার্টে অংশগ্রহণকারী ব্যান্ডসমূহ হচ্ছে- নগর বাউল, মাইলস, ওযারফেইজ, সোলস, রেঁনেসা, ফিডব্যাক, অর্থহীন, মাকসুদ ও ঢাকা, অবসকিউর, দলছুট, আর্টসেল, শিরোনামহীন, ভাইকিংস, ক্রিপটিকফেইট, পেন্টাগন এবং পাওয়ারসার্জ। এটিকে বলা হচ্ছে দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় কনসার্ট। কনসার্টের প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা।
#
ফয়সল/সিরাজ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৬০
১০ ডিসেম্বর সমাবেশ কি বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের সাথে বিএনপির সংহতি প্রকাশ
---প্রশ্ন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর
ঢাকা, ১৬ অগ্রাহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশার দিন ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করে বিএনপি কি বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে চায়?’
আজ ঢাকা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশার দিন বিএনপির সমাবেশ কেন’ শীর্ষক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ প্রশ্ন রাখেন।
ড. হাছান বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজ উদ্দীন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায়, যাদেরকে পরবর্তীতে হত্যা করা হয়। অর্থাৎ এই দিনে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি কেন সমাবেশের জন্য বেছে নিল সেটি একটি বড় প্রশ্ন।’
মন্ত্রী বলেন ‘বিএনপি ১০ ডিসেম্বরকে তাদের সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সাথে যুক্ত ছিল, তাদের অনেকেই এখন বিএনপি নেতা এবং যে জামায়াতে ইসলামের মূল নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল, তারা হচ্ছে তাদের জোটের প্রধান সহযোগী। ক’দিন আগে বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন- ‘পাকিস্তানই ভালো ছিল’। দলের যে মহাসচিব এ কথা বলেন তাদের আসলে এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। সুতরাং তারা নিজেরা হত্যাকারী এবং আবার নতুনভাবে হত্যাকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করার জন্যই তারা ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসম্পন করেছিল, সেই উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করতে এতো অনীহার কারণ, তারা তো পাকিস্তানের দোসর। পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের জায়গার চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেখানে শিশু পার্ক বানিয়েছিলেন। সে জন্য তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না। অথচ আমাদের সরকার তাদের সুবিধার্থে, তারা যাতে বেশি লোক সমাগম করতে পারে সে জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছে, তাদের প্রস্তুতির জন্য ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ থেকে ৬ ডিসেম্বর এগিয়ে এনেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সারাদেশে বিএনপি মাঠে সমাবেশ করেছে আর ঢাকা শহরে আসার পর আর মাঠ ভালো লাগে না। তারা চায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে যেখানে ৩০ থেকে ৫০ হাজারের বেশি লোক ধরে না অর্থাৎ তাদের সমাবেশে মানুষ হবে না এটি একটি ভয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে রাস্তায় সমাবেশ করলে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে, প্রয়োজনমতো অগ্নিসংযোগ করা যাবে, শহরে গণ্ডগোল করা যাবে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে।’ কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ডাক্তার, শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীরা তাদেরকে সেই কাজ করতে দেবে না উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকা শহরে অগ্নিসন্ত্রাসীদের জড়ো করে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লাইসেন্স তাদেরকে দেওয়া হবে না। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মীদেরকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলাম কিন্তু তাদের উস্কানিমূলক বক্তব্যে আমাদের কর্মীদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে। প্রয়োজনে আগে থেকে থাকবে।’
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সরকার সহযোগিতা করছে বিধায় বিএনপি সারাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারছে, কিন্তু বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল, ২৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হেলাল এমপির জনসভায় হামলা চালিয়ে এক ডজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, কিবরিয়া সাহেব এবং আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, শতশত মানুষকে আহত করা হয়েছিল, খুলনার মঞ্জুর ইমামসহ অনেককে তারা হত্যা করেছে এবং আমরা যখন পার্টি অফিসের সামনে কোনো সমাবেশ করতাম তখন তারা দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাখতো। এমনকি ধানমন্ডিতে এই রাসেল স্কোয়ারে আমাদের প্রয়াত নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে পুলিশ পিটিয়েছিল, দেশের জ্যেষ্ঠ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মতিয়া আপাকে টানা হেঁচড়া করেছিল। কই তাদের কোনো নেতাকে তো এমন করা হয়নি, তাদের কোনো সমাবেশে তো পটকাও ফোটেনি।’
অতএব, সরকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের অপচেষ্টা করে সরকারকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কঠোর হস্তে দমন করবে, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো ঐক্যের ভিত্তিতে সমস্ত অপশক্তিকে আমরা রুখে দেবো, এই বাংলাদেশে আগুন-সন্ত্রাসীদের রুখে দেবো।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নিজামুল হক ভূঁইয়া শহিদ বুদ্ধিজীবীকন্যা অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, শহিদ বুদ্ধিজীবীকন্যা শমী কায়সার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম।
আয়োজক জোটের সহ-সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল এবং অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, চিত্রনায়িকা রোজিনা ও অরুণা বিশ্বাস, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, জোটের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লায়ন মুহাম্মদ মীযানুর রহমান, তথ্য গবেষণা সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মিতু মাদবর, অভিনেতা রাজ সরকার, অভিনেত্রী পারুল আক্তার লোপা, কণ্ঠশিল্পী তরঙ্গ ডেইজী, মুনা চৌধুরী প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/সিরাজ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ৪৭৫৯
দেশে প্রবেশের সময় বিদেশ ফেরত কর্মীদের পুনরায় এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে
- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর ) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে প্রায় ১৪ হাজার জন এইডস রোগী আছে। এই এইডস রোগীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এইডস আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে তারা তাদের পরিবারের কাছের সদস্যদের আক্রান্ত করছেন। দেশে ফেরার সময় নিজেরাও জানতে পারেনি যে, তারা এইডস আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। এজন্য দেশে প্রবেশের সময়ও তাদেরকে পুনরায় এইচ আইভি পরীক্ষা করা হবে। এতে করে আক্রান্তদের সঠিক চিকিৎসা দেয়া যেমন সহজ হবে, অন্যদিকে, তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও নিরাপদ থাকবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এ সময় দেশে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দেয়া প্রসঙ্গে জানান, বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে। চিকিৎসা নিলে এইডস রোগীরা আরো বেশি দিন সুস্থ থাকতে পারে। তবে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কথা ভেবে এইডস হলে তারা গোপন রাখে এবং সেকথা কাউকে প্রকাশ না করে অন্যদেরকেও আক্রান্ত করে ফেলে। এতে করে দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ডা. আশরাফী আহমদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রাজেন্দ্র পোখড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, লাইন ডাইরেক্টর ডা. খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক।
#
মাইদুল/সিরাজ/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৫৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৬ অগ্রাহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৬৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৩৩ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৯ জন।
#
কবীর/সিরাজ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৭৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৭৫৭
ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক
--মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের অভিযাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম, ডাটাকার্ড এবং একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে কম্পোজ করে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে উন্মোচিত হয় বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের স্বর্ণালী এক অধ্যায়ের।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এই উপলক্ষ্যে পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটাকার্ড এবং একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, বরেণ্য ব্যক্তি ও ঘটনার ঐতিহাসিক স্মারক হিসেবে কাজ করে। তিনি বলেন, চিঠি লেখার দিন থাকুক বা না থাকুক ডাকটিকেটের প্রয়োজনীয়তা আছে, থাকবে। নতুন প্রজন্মকে তাই ডাকটিকেট সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে। একইভাবে এটি একটি সৃজনশীল কাজ হওয়ায় অঙ্কন-ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত সৃজনশীল মানুষদেরকে স্মারক ডাকটিকেটের ডিজাইনে কাজে লাগাতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী মুদ্রণ যন্ত্রে বাংলা হরফের ক্রমবিকাশ তুলে ধরে বলেন, ১৪৫৪ সালে জার্মানে মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার হলেও পঞ্চানন কর্মকারের হাত ধরে ৩২৪ বছর পর তা হুগলিতে আসে। শীশার হরফে বাংলা প্রকাশনার সেই কঠিন যুগ পেরিয়ে সাপ্তাহিক আনন্দপত্রের প্রকাশনা ছিলো বাঙালির ইতিহাসের একটি অভাবনীয় অধ্যায়। এই অধ্যায়টি উদ্ভাবক কে সেটা বড় বিষয় নয় কিন্তু ইতিহাসের পথ রেখায় সেটি যাতে মুছে না যায় সে জন্য স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে ডাক অধিদপ্তর সঠিক দায়িত্বটি পালন করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, কম্পিউটারে বাংলা হরফে সাপ্তাহিক আনন্দপত্র এর প্রকাশনা দেশের মুদ্রণ ও প্রকাশনার শিল্পের জন্য ঐতিহাসিক মাইলফলকই নয়, এটি দেশে সংবাদপত্র বিকাশে বিস্ময়কর অবদান রেখে আসছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুব-উল আলম, ডাক অধিদপ্তরের- মহাপরিচালক মো: হারূন উর রশীদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। &