তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৫৩
প্রযুক্তিই সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে গ্রাহকদের মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ দিয়ে স্বস্তি নিশ্চিত করবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
পূর্বাচল (ঢাকা), ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রযুক্তিই সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে গ্রাহকদের মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ দিয়ে স্বস্তি নিশ্চিত করবে। গ্যাস বা বিদ্যুতের সংযোগ বা বিল প্রদান ঘরে বসেই দিতে পারবে। গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে মন্ত্রণালয় আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে এবং আগামীতে আরো করবে। সরকারি পর্যায় ইআরপি বাস্তবায়ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বেসিস (BASIS-Bangladesh Association of Software & Information Services) আয়োজিত ‘ফ্রম ডিজিটাল বাংলাদেশ টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট গ্রিড, অ্যাডভানস মিটারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এএমআই) সিস্টেম, স্ক্যাডা, সাব-স্টেশন ওটোমেশন, জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস), লোড ফরকাস্ট সিস্টেম (এলএফএস) প্রভৃতি আধুনিক প্রযুক্তি মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ ও গ্রাহকদের ক্ষমতায়ন করবে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়েই তাদের স্বস্তির জন্যই আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগে প্রয়োগের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। প্রযুক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, এই পরিবর্তনের সাথে আমাদের আরো দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে, গুছিয়ে কোনো কাজ করাই স্মার্টনেস। তিনি বলেন, সম্মিলিত ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশ দ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সঞ্চালনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
#
আসলাম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৫২
বিএনপি পাশের দেশেও অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি তো নিজেরা সন্ত্রাসী দল, সুতরাং দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার করে ভারতবর্ষেও তারা অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।’
আজ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভার পূর্বে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বিএনপি সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন দশ ট্রাক অস্ত্র আনা ও খালাসের ব্যাপারে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী কোন দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা আমরা সহ্য করব না। সেই কারণে এ ধরনের চোরাচালান এবং অস্ত্র চোরাচালান পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, ‘গত বছর আমি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো সফরে গিয়েছিলাম। বিএনপি'র সময়ে হাওয়া ভবন এবং তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্র চোরাচালান হয়েছে, বর্তমানে যে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে সেগুলো হচ্ছে না, সেজন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী আমার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।’
‘শনিবার জেলায় জেলায় বিএনপির বিক্ষোভের ডাক এবং আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ’ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না, কিন্তু যারা রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়েছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, জনগণের সহায়-সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে, তারা যে আবার কখন একই কাজ করবে সেটি বলা যায় না। এবারেও পূর্বের কর্মসূচিতে তারা গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়েছে, আমাদের শান্তি সমাবেশের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের পাশে থাকা, দেশে যাতে কেউ শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতি নষ্ট করতে না পারে। সে কারণেই আমরা শনিবার প্রত্যেক জেলায় শান্তি সমাবেশ করব এবং সতর্ক দৃষ্টি রাখব যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, কারণ বিএনপি’র মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।’
মন্ত্রী হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাঠের রাজনীতির দল। আমরা বিরোধী দলে যখন ছিলাম তখন যেমন মাঠে ছিলাম, সরকারি দল হলেও মাঠের রাজনীতির দল হিসেবে সব সময় মাঠে আছি এবং থাকবো।’
তথ্যমন্ত্রী এরপরই চট্টগ্রামের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
#
আকরাম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৫১
জাতীয় উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি)
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্যই সরকার পরিকল্পনা নেয় এবং সমন্বিত উদ্যোগের ফলেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হ্য়।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ “Planning Week 2023 : Spatial Planning for the Future” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় পরিকল্পনাবিদদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এমনকি আগামী একশ বছরের জন্য তিনি বাংলাদেশের পথ পরিক্রমা ডেল্টা প্ল্যানের মাধ্যমে ঠিক করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭০০ ডলার। আর বর্তমানে তা ২ হাজার ৮২৪ ডলার। মাত্র ১৪ বছরের ২ হাজার ১২৪ ডলারের ব্যবধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত পরিকল্পনার ফলেই সম্ভব হয়েছে।
এ সময় তিনি বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সাথে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একসাথে কাজ করার সুযোগ আছে জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে MoU স্বাক্ষরের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শন বাস্তবায়নে পরিকল্পনাবিদদের সম্পৃক্ত করা গেলে শহরের নাগরিক সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছানো সহজ হবে। এতে মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমবে।
সরকার মন্ত্রী বলেন, বাসযোগ্য ঢাকা শহরের জন্যই বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) করা হয়েছে। পরিকল্পিত ঢাকার জন্য পরিকল্পনাবিদসহ সবাইকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন এবং সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. আব্দুল জব্বার খান।
#
হেমায়েত/সিরাজ/মোশারফ/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২০০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৫০
লেখনীর মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সঠিক পথ নির্দেশ করে লেখক সমাজ
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, লেখনীর মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সঠিক পথ নির্দেশ করে কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও লেখকগণ। লেখক সম্মিলনের মাধ্যমে নানা বৈচিত্র্যের সাহিত্য চিন্তার সম্মিলিত রূপ চেতনা ও আদর্শকে আরো বেশি সংগঠিত করতে পারে । চেতনার এই সম্মিলন সমাজ সংস্কারের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। যার ফলে লেখকগণ নিজেরা ঋদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি এগিয়ে যায় দেশ ও সমাজ।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মেঘদূত লেখক পর্ষদ আয়োজিত 'লেখক সম্মিলন ও মিলনমেলা ২০২৩' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চট বিছিয়ে যে বইমেলার সূচনা করেন, তা এখন আকার ও পরিসরে বিস্তৃত হয়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গার বিশাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালির প্রাণের এ মেলা লেখক-পাঠকদেরও একটি বড় মিলনক্ষেত্র। এর মাধ্যমে পাঠকরা গুণী লেখকদের সান্নিধ্য ও সংস্পর্শে আসতে পারছেন।
মেঘদূত লেখক পর্ষদ এর সভাপতি চৌধুরী রাসেদুন্নবী'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলা একাডেমির সচিব (যুগ্মসচিব) এ. এইচ. এম. লোকমান ও প্রমিস্কো গ্রুপের চেয়ারপারসন মৌসুমী ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী মেঘদূত প্রকাশিত ২৯টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রতিমন্ত্রী পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) আয়োজিত 'বৈচিত্র্যের ঐকতান' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
#
ফয়সল/সিরাজ/মোশারফ/লিখন/২০২৩/১৯১১ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৯
দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে
উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে
-- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ড, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি)
সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বব্যাপী রোগীদের চিকিৎসা নিরাপত্তার উপর ৫ম আন্তর্জাতিক মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিবর্গের সাথে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক অংশ নিয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি. Alian Berset সম্মেলনটির উদ্বোধন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক Tedros Adhanom Ghebreyesus সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
সম্মেলনের শেষ দিবসের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সম্মেলনের শেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বিশ্ব স্বাস্থ্যখাতের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। দরিদ্র দেশগুলো নানারকম খাদ্য সমস্যায় ভোগার পাশাপাশি খুব একটা মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পায় না। এজন্য উন্নত দেশগুলোর উচিত অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আরো বেশি ও কার্যকর ভূমিকা রাখা। দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র দেশগুলোকে হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা ও প্রশিক্ষণ সেবা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরনার্থী সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্মেলনে আগত ৮০টি দেশের মন্ত্রিবর্গসহ বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরনার্থী প্রবেশ করেছিল ১০ লাখের মতো। এখন সেই জনগোষ্ঠী সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে সেখানে। এত বড় শরনার্থী শিবিরের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া দূরূহ কাজ। এই শরনার্থীরা দিন দিন স্থানীয় লোকজনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। যা সামলাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের সহযোগিতা একান্ত জরুরি।’
বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে রোগীদের সেবা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল, জবাবদিহিপুর্ণ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, তথ্যের আদান-প্রদান করার উপর জোর দেন।
সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতৃবৃন্দ কোভিড-১৯ এর করণীয় পরবর্তী বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং ২০২১-২০৩০ সাল ভিত্তিক একশন প্লান বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সম্মেলনে জাপান, সৌদি আরব, ইতালি, সিংগাপুর, মালেয়েশিয়া, হাঙ্গেরি, শ্রীলঙ্কা, ইরাক, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, লিবিয়া, নামিবিয়া, পর্তুগাল, আরব আমিরাত সহ ৮০ টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি বর্গ অংশ নেন।
#
মাইদুল/সিরাজ/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি)
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৭৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১ হাজার ১১৫ জন।
#
রাশেদা/সিরাজ/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৭
দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে যুব সমাজ সাহসী ভূমিকা রেখে থাকে
---আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, যুব সমাজই যুগে যুগে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে সাহসী ভূমিকা রেখে থাকে । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যুব সমাজকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ায় নিজ বাসভবনে উপজেলার বিভিন্ন যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে দক্ষ, মেধাবী ও বিশ্ব চ্যালেঞ্জ উপযোগী যুব সমাজ গঠনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির জন্য প্রশিক্ষিত ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ যুব সমাজ উপহার দিতে প্রতিটি বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাসী। সরকার দেশব্যাপী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বনায়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত খাতে সমন্বিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ স্থানীয় যুব সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদেরকে স্বনির্ভরতা অর্জনে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি উপজেলার যুব সংগঠনগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
#
আহসান/সিরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০২৩/১৯০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৬
বিদ্রোহী কবিতা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সম্পদ
-মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিদ্রোহী কবিতা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সম্পদ। কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আধুনিক বাংলা কবিতার একশ বছরের ইতিহাসের মসৃণ পথচলাকে আমূল বদলে দিয়েছিল। কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে গর্বিত করেছেন।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নজরুল উৎসব ২০২৩ উপলক্ষ্যে বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে বাঙালির আত্মপরিচয় বিনির্মাণের ক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের তেজোদীপ্ত কবিতা, গান ও সাহিত্য আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাগরণের কবি নজরুল ইসলামের দর্শন দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, তিনি কবি রচিত ‘চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল’ গানটিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর রণসঙ্গীত হিসেবে নির্ধারণ করেন। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ২৫ মে কবির ৭৩তম জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে ২৪ মে তাঁকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে এসে নাগরিকত্ব প্রদান এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে জাতীয় কবিকে ডি লিট উপাধি প্রদান করা হয়। মন্ত্রী বলেন, নিপীড়িত মানুষের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ধর্মমত নির্বিশেষে সকল বাঙালি মিলেমিশে সমতার ভিত্তিতে একটি নতুন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সেটাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ'-এর ভিত্তি।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহমেদ শরীফ চেয়ার অধ্যাপক প্রফেসর আবুল কাশেম ফজলুল হক,সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূইয়া, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যন মো: সবুর খান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দৌহিত্র খিল খিল কাজী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, শত শহীদ মিনার নির্মাণ উদ্যোক্তা আবদুল সালাম চৌধুরী, সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার মো: ফজলুল হক এবং বিশিষ্ট আবৃ্ত্তিকার রেজাউল হোসেন টিটো মুন্সিকে নজরুল সম্মাননা প্রদান করা হয়।
#
শেফায়েত/জুলফিকার/সাঈদা/কলি/শামীম/২০২৩/১৫০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৫
শত ব্যস্ততার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :
রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও নিজ এলাকায় উন্নয়নের দায়িত্ব পালনের শত ব্যস্ততার মাঝেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া অব্যাহত রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পরিবেশ রসায়নে ডক্টরেট এবং বিশ্ব পরিবেশ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য ২০১৫ সালে গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনাল সম্মাননায় ভূষিত হাছান মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে এখন সম্মান শ্রেণিতে বৈশ্বিক জলবায়ু বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছেন।
করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি অনলাইনে পাঠদান করেছেন। মহামারির প্রকোপ কমে এলে আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন, দিনে দিনে বেড়ে যাওয়া ব্যস্ততার মধ্যেও অধ্যাপনা অব্যাহত রেখেছেন। কৌতুহল উদ্দীপক আঙ্গিকে পাঠদানের জন্য শিক্ষক হিসেবে জনপ্রিয় ড. হাছান জানান, অনলাইনের চেয়ে সরাসরি ক্লাস নেওয়াই তার বেশি পছন্দ।।
উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান এর আগেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও কর্নেল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অভ লন্ডন, দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজসহ (এনডিসি) দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ লেকচার দিয়েছেন।
#
আকরাম/জুলফিকার/সাঈদা/কলি/শামীম/২০২৩/১২৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৪
রোহিঙ্গা রেজুল্যুশনের বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
নিউইয়র্ক, ২৪ ফেব্রুয়ারি:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, গাম্বিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, জিবুতি, সেনেগাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এবং অন্যান্য পর্যাযের কূটনৈতিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া, জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওআইসির স্থায়ী পর্যবেক্ষণ মিশনের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিষয়ক একটি রেজুল্যুশন (২৬৬৯) গৃহীত হয়। এতে মিয়ানমারের বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যাসহ রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের বিষয়টিও বিশেষভাবে প্রাধান্য পায়। এছাড়া, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিগত বছরগুলোতে নিয়মিতভাবে রোহিঙ্গা বিষয়ক রেজুল্যুশন পাস হয়। নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের রোহিঙ্গা বিষয়ক এই রেজুল্যুশনগুলোকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জোরালো আহ্বান জানানোই ছিল এ সভার মূল উদ্দেশ্য ।
বক্তব্য প্রদানকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে সফলতা না আসায় হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি এর ফলে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্ভাবনার কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মতো ছোট আয়তনের দেশে বিশাল জনসংখ্যাসহ অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তার ওপর মিয়ানমার থেকে আগত ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করা কোনভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি গৃহীত রেজুল্যুশনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ান -এর নেতৃত্বের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন।
সভায় বক্তরা রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐক্যমত্যের সফল বাস্তবায়নের ওপরও জোর প্রদান করেন। তাছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা।
সভায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা মিয়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় এবং সকল ধরনের মানবিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, এ সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
#
মিশন/জুলফিকার/সাঈদা/কলি/শামীম/২০২৩/১২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৩
নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মার্কিন ক