Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২৯ অক্টোবর ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৪৮৩

 

নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে

                                                               -- নাহিদ ইসলাম

 

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

 

আবরার ফাহাদ নদী নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফ্যাসিস্টদের হাতে শহিদ হয়েছেন। নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে।

 

আজ ঢাকায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর অডিটোরিয়ামে ‘ফ্যাসিবাদের কবলে নদী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আবরার ফাহাদ নদীর কথা বলতে গিয়ে শহিদ হন। ফ্যাসিবাদের কবলে পড়ে বিগত ১৬ বছরে নদীর যে বিপর্যস্ত অবস্থা তার সমাধান কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। নদী, কৃষি এবং পরিবেশ নিয়ে জাতীয় নীতি গ্রহণ করা হবে। 

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে নদীর সম্পর্ক। স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের স্লোগান ছিল ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। ঢাকার চতুর্দিকে চারটা নদী রয়েছে। এই নদীগুলোকে মাথায় রেখে নগর পরিকল্পনা করতে পারলে তা জনবান্ধব হতো। বিভিন্ন মাফিয়ারা নদী দখল এবং পরিবেশ ধ্বংস করে গোষ্ঠীস্বার্থ হাসিল করেছে। আমরা যাতে দখলদারদের প্রতিহত করতে পারি, সে জন্য রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে। দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী রূপরেখা প্রণয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ম‌‌ৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নতুন করে যে সংবিধান লেখা হবে তাতে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করা হবে। ফ্যাসিস্টরা উন্নয়নের কথা বলে আমাদের গণতন্ত্র হরণ করেছে, পরিবেশ ধ্বংস করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

 

উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার আরো বলেন, আমরা দেখি হাওরের রাস্তায় আলপনা আঁকা হয়। পরবর্তীতে সেই রং পানিতে মিশে অনেক মাছ মারা যায়, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব বিষয়ে কথা বলা লোকের সংখ্যা বর্তমান সমাজে একেবারেই কম। তাই নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইন করা যায় কি না সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে।

 

রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

 

অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, পিআইবি’র মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

জসীম/শিবলী/ফেরদৌস/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৪৮২

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই

                                                    -- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ নাসিব হাসান রিয়ান-এর স্মরণে অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনাসভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহিদ ও আহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিয়েই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। একটা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমরা লড়াই করেছি, রক্ত দিয়েছি। আমরা এমনভাবে রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠন করতে চাই যেন ফ্যাসিবাদ আর ফিরে আসতে না পারে।

শহিদ নাসিব হাসান রিয়ান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে রাজপথে নেমেছে। মৃত্যু ভয়কে তুচ্ছ করে সে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। এই আন্দোলনে শহিদ নাসিবের পিতার অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, নাসিব যখন লাঠি হাতে আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, তখন নাসিবের বাবা তাঁর ছেলের হাতের লাঠি পরিবর্তন করে শক্ত লাঠি তুলে দিয়েছেন। নাসিবের বাবার মতো অনেক অভিভাবক এভাবে আন্দোলনে উৎসাহ যুগিয়েছেন। আন্দোলনে নিজের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, আমিও পরিবারের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রমাণক সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এসব প্রমাণক বারবার প্রচার করতে হবে, তা না হলে অনেকে আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে যাবেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের দায়িত্ব নেবে সরকার। এই আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের পরিবার ও আহতদের প্রতি সকলের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। তিনি শহিদ পরিবার ও আহতদের পাশে থাকার জন্য সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।  

আলোচনাসভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ নাসিব হাসান রিয়ানের পিতা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম রাজ্জাক। সভায় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ নাসিব হাসানের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমার ছেলে নাসিব হাসান রিয়ান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। মৃত্যুভয় তাকে আন্দোলনে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি। শহিদ নাসিবের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়া; কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হলো না। সে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। শহিদ নাসিবের বাবার বক্তব্যের সময় অনুষ্ঠানস্থলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ. এস. এম. আব্দুল হালিম। আলোচনা শেষে শহিদ নাসিব হাসান রিয়ান-সহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নাসিব হাসান রিয়ান। তিনি ঢাকার মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

#

মামুন/শিবলী/ফেরদৌস/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৪৮১

 

বর্তমান বাস্তবতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা সম্ভব নয়

                                              -- আইন উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

 

বর্তমান বাস্তবতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা সম্ভব নয় বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ককে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

 

আজ সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার দপ্তরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা যায় কি-না সে বিষয়ে টুর্ক কথা বলেছেন। এটা বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব না। কারণ আমাদের পেনাল সিস্টেম ও শত বছরের জাস্টিস সিস্টেমে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। যে ফ্যাসিস্টদের হাতে হাজারো তরুণ নিহত হয়েছে, তাদের হত্যার বিচারকে সামনে রেখে হঠাৎ করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া যে কোনো বড় ধরনের আইনগত পরিবর্তন সমাজ আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিল রেখে করতে হয়।

 

আসিফ নজরুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচারকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন আইনগত সংস্কারে জড়িত রয়েছে। এছাড়া ফরেনসিক সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট বা ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়েও সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। ভলকার টুর্ক-কে আশ্বস্ত করে আইন উপদেষ্টা বলেছেন, এই ট্রাইব্যুনালে সুবিচার করা হবে। প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা থেকে এটা করা হচ্ছে না। অবিচার করার জন্য আগের আদালতে যে রকম হয়েছে, সে রকম অবিচার করা হবে না। এখানে কোনো কিছু লুকানোর নেই। যে কেউ এসে এই বিচার দেখতে পারবেন।

 

আইন উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কাজ বিশেষ করে সংস্কার কাজ, ট্রান্জিশনাল ট্রান্সফরমেশন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। হাইকমিশনার সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

 

আসিফ নজরুল বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালত নিয়ে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কী কী সংস্কার ভাবনা রয়েছে, সেটা হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে। তিনি এসব বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

 

#

 

রেজাউল/শিবলী/ফেরদৌস/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৪৮০

পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন বাংলাদেশের আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র

                                      --- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

          পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন ভাষাভাষী নৃ-গোষ্ঠীসহ এখানকার সকল অধিবাসীর জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

          আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের এম্বাসেডর Michael Miller -এর নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

          সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিগণ সরকার গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।  পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানান।

          মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার মান বৃদ্ধি এবং পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর উপদেষ্টা বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া সুশাসন, পরিবেশবান্ধব ট্যুরিজম, সমউন্নয়ন, পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, সুপেয় পানি সরবরাহ, মানবাধিকার রক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরো ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে পারে বলে উপদেষ্টা ও এম্বাসেডর একমত পোষণ করেন।

          ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনাকালে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের এম্বাসেডর Michael Miller, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজুয়ান/শিবলী/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৪৭৯

 

১ নভেম্বর থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে অভিযান মনিটরিংয়ের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন

 

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়।

 

কমিটির আহ্বায়ক হলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন অনুবিভাগ)। সদস্যগণ হলেন যুগ্মসচিব (পরিবেশ-১ অধিশাখা), উপসচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ-১ ও ২) এবং সিনিয়র সহকারী সচিব (পরিবেশ-৩)।

 

কমিটি ১ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী পরিচালিত পলিথিন বন্ধে অভিযানের মনিটরিং করবে। মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও প্রয়োজনে মাঠ কার্যক্রম পরিদর্শন করবে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরও একটি আলাদা কমিটি গঠন করবে। অধিদপ্তরের কমিটি প্রতিদিন বিকাল ৫টার পর পরিচালিত অভিযানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটিকে পাঠাবে।

 

#

 

দীপংকর/শিবলী/ফেরদৌস/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৩৫ ঘণ্টা

 

 

Handout                                                                                                                   Number: 1478

 

Committee Formed by the Ministry of Environment to

Monitor Enforcement of Ban on Polythene Starting November 1

 

Dhaka, 29 October:

 

The Ministry of Environment, Forest and Climate Change has formed a five-member committee to monitor the ban on polythene shopping bags. This initiative, spearheaded by the ministry's Advisor Syeda Rizwana Hasan, aims to ensure the effective implementation of the polythene ban.

 

The committee is chaired by the Additional Secretary (Environment Pollution Control and Law Division) of the ministry. Other members include the Joint Secretary (Environment-1), Deputy Secretary (Environment Pollution Control-1 and 2) and the Senior Assistant Secretary (Environment-3).

 

Starting November 1, the committee will monitor the nationwide enforcement operations to enforce the polythene ban. It will maintain communication with relevant field officials and, if necessary, conduct field inspections. Additionally, the Department of Environment will form a separate committee. This committee will send daily updates on enforcement activities to the ministry’s committee after 5 p.m.

 

#

 

Dipankar/Shibli/Ferdows/Mosharaf/Salim/2024/19.30 Hours

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর: ১৪৭৭

রেলযাত্রায় টিকিট প্রাপ্তি সহজীকরণে রেলপথ উপদেষ্টার নির্দেশনা

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

             ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তি অধিকতর সহজ, স্বচ্ছ ও যাত্রীবান্ধব করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন রেলপথ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

            আজ রাজধানীর রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

            উপদেষ্টা বলেন, টিকিট প্রাপ্তি ও ভ্রমণে যাত্রীদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। যাত্রীরা যেন সহজে টিকিট কিনতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। টিকিটের ক্রয় প্রক্রিয়ায় যাত্রীরা কতটুকু সন্তুষ্ট হতে পারছে তা বিবেচ্য। অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে কাক্সিক্ষত গন্তব্যের টিকিট না পেয়ে যাত্রীরা হতাশ হন। সেক্ষেত্রে নিকটস্থ কোনো স্টেশনের কোন সময়ের জন্য টিকিট অবশিষ্ট রয়েছে সার্চ অপশনে যাত্রীর নিকট যেন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপস্থাপিত হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনবোধে রেলওয়ের বাইরের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।

            সভা শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে তিনি জানান অধিক পরিমাণ যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য বাড়তি ট্রেন সার্ভিস চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকোমোটিভ ও ক্যারেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এছাড়া টিকিট কালোবাজারি ও রুট রেশনালাইজেশনের জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন)-কে প্রধান করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে তরুণদেরকে সম্পৃক্ত করতে এবং ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত কোটার টিকিট বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

            সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ সরদার সাহাদাত আলীসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 রেজাউল/শিবলী/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৪৭৬

মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো

                                                              --- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

            স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নানাভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সে বিবেচনায় বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের হার অনেক কম এবং দিন দিন পরিস্থিতির আরো উন্নতি ঘটছে।

            উপদেষ্টা আজ রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার Volker Turk এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

            উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে মূলত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মানবাধিকার ইস্যুতে আমাদের কাছে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছে। তাছাড়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উত্তরণ ও বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কাজেও তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

             লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বৈঠকে প্রতিনিধিদল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের পাঠানোর ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে যাচাই-বাছাই ও স্ক্রিনিং করে পাঠানোর পরামর্শ প্রদান করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভালো পারফর্মেন্সের তারা প্রশংসা করে। তাছাড়া পুলিশ সংস্কার কমিশনে মানবাধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি যেন গুরুত্ব প্রদান করা হয় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। অধিকন্তু তারা আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষী সুরক্ষা ও ভিকটিম সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নিশ্চিতকরণের পরামর্শ প্রদান করেন।

            উপদেষ্টা আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা জাতিসংঘের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছি। যদিও জাতিসংঘ-সহ বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন বিষয়ে আমাদের সাহায্য করছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটি অনেক কম। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে সহিংস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আরো কিছু রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সেজন্য জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণে আমরা চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।

            জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার Volker Turk এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশস্থ জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি অফিসের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান, জেনেভাস্থ Office of the High Commissioner for Human Rights (OHCHR) এর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান Rory Mungoven, জেনেভাস্থ Office of the High Commissioner for Human Rights (OHCHR) এর মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মুখপাত্র Ravina Shamdasani, জেনেভাস্থ Office of the High Commissioner for Human Rights (OHCHR) এর মানবাধিকার কর্মকর্তা Livia Cosenza ।

            স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ ময়নুল ইসলাম এনডিসি, বিজিবি'র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মোঃ মাইনুল হাসান এনডিসি, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান প্রমুখ।

#

ফয়সল/শিবলী/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৪৭৫

ইমামগণ সমাজের অন্যতম চালিকাশক্তি

                            --- ধর্ম উপদেষ্টা

দিনাজপুর, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

          ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইমামগণ সমাজের অন্যতম চালিকাশক্তি। সবখানেই সামাজিক একটি শক্তি আছে। এই সামাজিক শক্তির নেতা হচ্ছে ওলামায়ে কেরামরা।

          আজ দিনাজপুরে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ইমামদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

          ধর্ম উপদেষ্টা বলেন,  বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদ আছে। এসকল মসজিদের ইমামরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ানোর পাশাপাশি জুমার দিনে খুতবা দেন। তারা মানুষকে সততা, নৈতিকতা, ন্যায়পরায়ণতা, পিতা-মাতা ও প্রতিবেশীর হক, সদাচরণ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, মাদক প্রভৃতি বিষয়ে মানুষকে সচেতন করেন। ইমামদের ভূমিকা সমাজের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ইমামদের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত নিবিড়। তারা ধর্মীয় জ্ঞানের আলোকে জনগণকে আলোকিত করেন, সঠিক পথ দেখান। জনগণও ইমামকে শ্রদ্ধা করেন, সম্মান দেখান।

          ড. খালিদ বলেন, ইমামদের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে ইমামদের সামনে সমাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখার সুযোগ অবারিত হয়। তারা প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্যদের মাঝেও অর্জিত জ্ঞান সঞ্চারিত করে থাকেন। তাদের এ ভূমিকা সমাজ ও দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। মহানবী (স.)-এর বিদায় হজের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. খালিদ বলেন, ইমামগণ ১ হাজার ৫০০ বছর ধরে আল্লাহ ও রাসূলের বাণী পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তারা আসমানের কথা যেমন বলেন, তেমনি জমিনের কথাও বলেন। জমিনের ওপরের মানুষের কল্যাণের কথাও বলেন। ইমামরা দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরিতেও প্রয়াস চালিয়ে যান।

          ইসলামিক ফাউন্ডেশন রংপুরের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় দিনাজপুর ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপপরিচালক মোঃ আলমগীর হায়দার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম হাবিবুল হাসান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

          পরে উপদেষ্টা দিনাজপুর সম্মিলিত কওমী পরিষদের আয়োজনে জেলা শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে হজ ও উমরাহ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। এতে উপদেষ্টা এবারের হজ প্যাকেজকে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

#

আবুবকর/শিবলী/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর : ১৪৭৪

নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি গ্রহণ

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর): 

সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাঝে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষদের স্বস্তি প্রদানের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ‘কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি-২০২৪’ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগরীর ২০টি পয়েন্টে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভরতুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রয় শুরু করা হয়েছে। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের ভিত্তিতে  ঢাকা মহানগরীতে আরো ১০টি পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে খাদ্য ভবন, রামপুরা, দক্ষিণ খান, উত্তরখান, নতুন বাজার, উত্তর মুগদা, বাসাবো, বছিলা, রূপনগর, মিরপুর, কালসি, কামরাঙ্গিরচর, গাবতলী, হাজারিবাগ, রাজারবাগ, মালিবাগ, কাঁঠাল বাগান, রায়ের বাজার, পলাশি মোড়, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, তালতলা, মানিক মিয়া এভিনিউ ও বিএডিসি (৪টি) সহ মোট ৩০টি পয়েন্টে ভরতুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রয় হচ্ছে।  

এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগরীর স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ৫টি পয়েন্টে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভরতুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সরকারি এ কর্মসূচি চালুর পর নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলায় চট্টগ্রাম মহানগরীতে আরো ৫টি পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে চকবাজার, দেওয়ানহাট, ষোলশহর, ফিরিঙ্গিবাজার, ফিরোজশাহ্, সিটি গেইট, হালি শহর, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট ও ফ্রি পোর্টসহ মোট ১০টি পয়েন্টে ভরতুকি মূল্যে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি চলমান আছে। 

এছাড়া, খুলনা মহানগরীর নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি প্রদানে ৫টি পয়েন্টে চালু হয়েছে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি। মহানগরীর শিববাড়ি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খালিশপুর ও দৌলতপুরে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভরতুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলছে।

কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ডিম, আলু, পেঁয়াজ, পটল, পেঁপে, করলা, কচু, শসা, লাউসহ কয়েকটি কৃষিপণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। ক্রেতাগণ ১ ডজন ডিম ১১০ টাকা, ১ কেজি আলু ৩০ টাকা, ১ কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, ১ কেজি কাঁচা পেপে ১৫ টাকা, ১ কেজি পটল ৩০ টাকা, ১ কেজি করলা ৪০ টাকা, ১ কেজি শসা ১৫ টাকা, ১ কেজি কচু ৩০ টাকা, ১ পিস লাউ ২০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।   

সপ্তাহের সাত দিনই এই বিক্রয় কার্যক্রম চালু আছে। এছাড়া, সকল গ্রাহক যেন পণ্য পায় তা নিশ্চিত করার জন্য প্যাকেজ আকারে এসব পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে এবং একই সাথে সকল পণ্যের সর্বোচ্চ ক্রয়সীমাও উল্লেখ করা হচ্ছে।  

#

জাকির/ফাতেমা/রবি/সুবর্ণা/আসমা/২০২৪/১৫০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর :১৪৭৩

কারা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিদর্শন

যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পার্কিংয়ের স্থান বৃদ্ধি করতে হবে

                                                 --স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর):

          স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) পুরাতন ঢাকার যানজট নিরসনে কারা অধিদপ্তরের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন প্রকল্পে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পার্কিংয়ের স্থান বৃদ্ধির বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

          উপদেষ্টা আজ রাজধানীর চানখাঁরপুলে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ নির্দে

2024-10-29-15-41-3c2e3993818a38de5304a248f9f2b09e.docx