তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৩
ই-নামজারি ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনদুর্ভোগ কমাবে
--- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
ই-নামজারির ফলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনদুর্ভোগ কমবে। একই সঙ্গে মানুষের সেবা গ্রহণ ও প্রদান সহজতর হবে। জনবান্ধব ভূমি প্রশাসন প্রতিষ্ঠায় ই-নামজারি ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে জনগণের জীবনমান উন্নত হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ আজ ঢাকায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায় ই-নামজারি ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। তাঁর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ এগিয়ে চলছে। জনদুর্ভোগ কমিয়ে জনগণের সকল প্রকার সেবা প্রাপ্তি সহজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা যুগান্তকারী সফলতা বয়ে আনবে।
প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাঁদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান প্রয়োগ করে মানুষকে আরো সহজে সেবা প্রদানে ব্রত হবে। এতে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সকল অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা দূর হবে। মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা পাবে।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক সচিব মোঃ আনিছুর রহমান। এ সময় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে গোপালগঞ্জ প্রান্তে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং শরীয়তপুর প্রান্তে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ (রাজস্ব) অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আওতায় দুই ব্যাচে মোট ৫৬ জন এবং শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আওতায় ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
#
আনোয়ার/মাহমুদ/এনায়েত/পারভেজ/জয়নুল/২০১৯/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০২
প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি আরো বাড়াতে হবে
-- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের গতি আরো বাড়াতে এবং সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতিচ্ছবি জনগণকে জানানোর উদ্যোগ নিতে হবে। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সকল তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রকল্পসমূহের ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে যার যার অবস্থান থেকে ভিশন-২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় জানানো হয়, জ্বালানি বিভাগে জিওবি ও এডিপিভুক্ত ২৯টি প্রকল্প রয়েছে। এ সকল প্রকল্পের ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত গড়ে অগ্রগতি ৫৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।
সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোঃ রাহমাতুল মুনিমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও দপ্তরসমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০১
কারখানার কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, কারখানার কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘খধনড়ঁৎ গধহধমবসবহঃ, চৎড়ফঁপঃরারঃু ধহফ ডড়ৎশঢ়ষধপব ঝধভবঃু ধহফ ঐবধষঃয’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এ প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ দেশের অর্থনৈতিক সমস্যাকে দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করা; শ্রমিক-মালিক ও সরকার তিন পক্ষের মধ্যে একটি সুন্দর শিল্পসম্পর্ক বজায় রাখা, যোগ্যতা বিবেচনায় সম্মিলিত দর কষাকষির মাধ্যমে মজুরি নির্ধারণ; দক্ষ শিল্পসম্পর্ক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক দৃঢ় করা, উৎপাদন বৃদ্ধি; শ্রমিকদের সমস্যা আপোস নিষ্পত্তির মাধ্যমে সমাধান করা; কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা এবং লেবার কোর্টের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী এ প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে ভবিষ্যতে অধিকতর সুসংহত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য রাজশাহী শহরের তেরখাদা এলাকায় মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ১৯ বিঘা জমির ওপর আন্তর্জাতিক মানের জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ চলছে। শুধু গ্রিন ফ্যাক্টরি কিংবা কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরিই নয়, সরকার বাংলাদেশের সকল কর্মস্থলকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত করতে চায়।
নিরাপদ কর্মস্থল এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ উন্নত করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার ও সিঙ্গাপুরের ঘধহুধহম চড়ষুঃবপযহরপ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স¦াক্ষরিত হয়। তারই আলোকে গত দু’বছরে ট্রেড ইউনিয়ন এবং এ সংক্রান্ত আইন; জাতীয় মজুরি নীতিমালা ও-এর গঠন; মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এর উন্নয়ন; শিল্প সংক্রান্ত সমস্যার আপোস নিষ্পত্তি; কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য এবং ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে ‘খধনড়ঁৎ গধহধমবসবহঃ, চৎড়ফঁপঃরারঃু ধহফ ডড়ৎশঢ়ষধপব ঝধভবঃু ধহফ ঐবধষঃয’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
এ প্রশিক্ষণে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থাসহ মালিক এবং শ্রমিকপক্ষ থেকে ৬টি ব্যাচে ১২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
#
আকতারুল/মাহমুদ/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০০
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শারীরিক শিক্ষা বিষয়কে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন
-- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মেধা ও শারীরিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কোর্স কারিকুলামে শারীরিক শিক্ষা বিষয়কে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। এ বিষয়টি অধ্যয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানব দেহের ওপর মাদকের কুফল সম্পর্কে জানতে পারবে। এ ছাড়া বয়ঃসন্ধিকালীন বিষয় সম্পর্কেও কিশোর কিশোরীরা নিজেদের সচেতন করতে পারবে। এর মাধ্যমে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি আজ ক্রীড়া পরিদপ্তর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, প্রতিটি উপজেলায় যুব বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের যে পরিকল্পনা রয়েছে সেখানে খেলাধুলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে খেলাধুলা বিকশিত হবে। সামগ্রিক এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার জন্য ক্রীড়া পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করে প্রতিটি উপজেলায় শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যুব এবং ক্রীড়াকে আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের পরিকল্পনার কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মোহাঃ মোমিনুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ওমর ফারুক সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
আরিফ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৯/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৯
সময় এসেছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে পর্যটন শিল্পে ব্যবহার করার
-- পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি:
বাংলাদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এদেশের প্রতিটি জেলার বিভিন্ন পুরাকীর্তি ও স্থাপনার সাথে মিশে আছে মিথ। প্রতিটি জেলার রয়েছে গর্ব করার মতো ঐতিহ্য। এখন সময় এসেছে পর্যটন শিল্পের প্রসারে এসব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ব্যবহার করার।
আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে একথা বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আলাদা একটি প্রাণ রয়েছে, মুগ্ধ করার আলাদা ক্ষমতা রয়েছে যা পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবে না। এ দেশের পাহাড়ের লেকের যে সৌন্দর্য, সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জনে যে প্রাণ, পল্লী অঞ্চলে বা বনভূমিতে জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের আলোর যে স্নিগ্ধতা তার কোন তুলনা নেই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অনেক জায়গায় নতুন নতুন পর্যটন গন্তব্য আবিষ্কার হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য সকল পর্যটন গন্তব্যকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিকট আরো আকর্ষণীয় করে তোলা, দ্বীপগুলোকে পর্যটন স্বর্গ হিসেবে গড়ে তোলা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা কোথাও যেন কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যটকরা যেন সহজেই পর্যটন গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারেন সে জন্য বিমান বন্দরের গ্রাহক সেবার মান আরো উন্নত করা হবে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যের সরকারি হোটেল- মোটেলগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের জেনারেল ম্যানেজার জেমস পি ম্যাকডোনাল্ড সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ।
#
তানভীর/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৯/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৮
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের কাজের পদ্ধতিই ট্রান্সপারেন্ট নয়
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) কাজের পদ্ধতিই ট্রান্সপারেন্ট নয়’, মন্তব্য করে ‘টিআই প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০১৮ ত্রুটিপূর্ণ, অস্বচ্ছ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং দেশ ও মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য’, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার সচিবালয়ে টিআই প্রকাশিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০১৮’ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকৃতপক্ষে যে পদ্ধতিতে দুর্নীতির এই ধারণা সূচক তৈরি করেছে সেটি ত্রুটিপূর্ণ এবং অস্পষ্ট। আমরা যতদূর জানি, টিআইয়ের এই দুর্নীতি সূচক নিরূপণের মেথডোলজি তথাকথিত কিছু বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ীর মতামত গ্রহণ করা এবং তাদের বিভিন্ন জায়গায় কিছু কমিটি আছে নানা নামে, সেই সমিতি বা কমিটির মাধ্যমে এসব তথ্যগুলো সংগ্রহ করে। অর্থাৎ তাদের মেথডোলজিই (গবেষণা পদ্ধতি) সমস্যাগ্রস্ত।’ তথ্যমন্ত্রী এ সময় খ্যাতনামা ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে দুর্নীতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ এলেক্স কবহ্যাম (অষবী ঈড়নযধস) এর প্রকাশিত নিবন্ধের উক্তি উদ্ধৃত করে বলেন, ‘গুটিকতক মানুষের মতামতের ভিত্তিতে একটি দেশের দুর্নীতির অবস্থা যাচাই করা সম্ভব নয়। এই ত্রুটিপূর্ণ কৌশল ব্যবহার করে একটি দেশের দুর্নীতি যাচাই করা অসম্ভব।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে বলে সারা দেশে রব তুলেছিল টিআই। তখন বিশ্বব্যাংক অর্থ বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা বলেছিল, দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরে সেটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক কানাডার আদালতে মামলা করেছিল, সেখানে বিশ্বব্যাংক হেরে গেছে। কিন্তু এই ঘটনায় টিআই সেই সময় দুর্নীতি হচ্ছে বলে যেভাবে রব তুলেছিল পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হওয়ার পরও তারা সেটা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। যখন কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংক হেরেছিল তখন আমরা মনে করেছিলাম তারা ঘটা করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে, কিন্তু তারা ক্ষমা চায়নি।’
‘নির্বাচনের আগেও টিআই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যা ছিল বিএনপির এজেন্ডার প্রতিধ্বনি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির অভিযোগের সঙ্গে তাদের প্রতিবেদনের ৮০ শতাংশ মিল ছিল। ফলে তারা যে একটি বিশেষ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, সেটা পরিষ্কার’, যোগ করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন, তাঁর সততা, নিষ্ঠা যখন বিশ্বে একটি উদাহরণ, যে আমলে সরকারি দলের সংসদ সদস্যকে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) জিজ্ঞাসাবাদ করে, তাঁদের আদালতে দাঁড়াতে হয়, যা বাংলাদেশে অতীতে কখনো হয়নি। বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেছে বলে যখন বিশ্ব দরবারে প্রশংসা হয়, যেই মুহূর্তে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসা করে ঠিক সেই মুহূর্তে টিআই তাদের ত্রুটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ পদ্ধতি দিয়ে দেশ ও মানুষকে হেয় করার জন্য চেষ্টা করছে। এটি সমীচীন নয়।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দেশের সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর গঠনমূলক সমালোচনাকে সব সময় স্বাগত জানাই। কিন্তু অন্ধ বা উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা কখনো দেশ ও জনগণের উপকার বয়ে আনে না।’ ‘আমি টিআইকে অনুরোধ করবো, আপনাদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে তা দুদক ও সরকারকে জানান, সরকার সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে’, বলেন তিনি।
বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবও দেন মন্ত্রী। টিআইয়ের প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অবশ্যই, এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’ টিআই’র বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুদক ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চেয়েছে। আমি টিআইকে বলব, আপনারা কোন্ তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তা দুদকের কাছে বলুন।’ সরকারে থাকতে বিএনপি তিনবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, টিআই যখন এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তখন আপনারা স্বাগত জানিয়েছিলেন, এখন টিআইয়ের প্রতিবেদন প্রত্যাখান করছেন কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তখন যথেষ্ট কারণ ছিল। তখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। খালেদা জিয়া নিজে কালো টাকা সাদা করেছেন। তাঁর অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করেছেন। তখন যথেষ্ট কারণ ছিল। এখন কোন্ তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে তার নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই।’
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের পর এ দিন সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অভ্ নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সাথে তথ্যমন্ত্রী মতবিনিময় করেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিম/২০১৯/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৭
চলমান কর্মসূচি এগিয়ে নিতে হবে
--- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনগণকে আস্থায় নিয়ে কাজ করলে যে কোনো কাজে সাফল্য পাওয়া যায়। পল্লী উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চলমান কর্মসূচিসমূহ এগিয়ে নিতে হবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ কামাল উদ্দিন তালুকদারসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন ঋণ প্রদান কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। যারা কম বা অশিক্ষিত, তাদেরকে ঋণ প্রদানে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যক্তির আয় করার মনমানসিকতা ও অবস্থা বিবেচনা করে ঋণ প্রদান করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর্থসামাজিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিতে হবে। কাজের গুণগত মানের ক্ষেত্রে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জনগণ এর সুফল ভোগ করবে।
মন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে বিদ্যমান শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ প্রদানের জন্য ব্যবস্থা নিতেও গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে মন্ত্রী চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপি প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্যে প্রকল্পসমূহ নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ প্রদান করেন।
#
হাসান/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৬
দুর্যোগ মোকাবিলায় নারী ও শিশুকে প্রধান্য দিতে হবে
--- মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব
ঢাকা, ১৭ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব কামরুন নাহার বলেছেন, সংসারের প্রতি নারীদের টান অনেক বেশি। তারা সহজে ঘর-বাড়ি ছাড়তে চায় না। ঘূর্ণিঝড়ের সময় তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চায় না। একেবারে শেষ সময়ে এসে আশ্রয় কেন্দ্রের উদ্দেশে বের হওয়ার কারণে তারা দুর্যোগের কবলে পড়ে। আর মা আক্রান্ত হলে শিশুও আক্রান্ত হয় ফলে দুর্যোগ বা ঘূর্ণিঝড়ে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় যত রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয় তার মধ্যে নারী ও শিশুকে প্রাধান্য দিতে হবে।
সচিব আজ রাজধানীর ইস্কাটানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএন উইমেন এর অর্থায়নে পরিচালিত ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রাম (ডি ডাব্লিউ পার্ট) শীর্ষক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কামরুন নাহার আরো বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে সক্ষমতা অর্জন করেছে সেটি সারা বিশ্বে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। উন্নত বিশ্বও আমাদের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোঃ আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইউ এন ইউমেন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট দিলরুবা সরদার, ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রামের (এন আর পি) ন্যাশনাল প্রজেক্ট ডাইরেক্টর দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোহসীন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আইনুল কবীর।
উল্লেখ্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করার জন্য এন আর পি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প ব্যায় ১০২ কোটি টাকা। এন আর পি দুর্যোগ ও ত্রাণ, স্থানীয় সরকার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মিলে বাস্তবায়ন করবে। কর্মশালায় সচিব প্রকল্পের সহায়তায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের ল্যাপটপ প্রদান করেন।
#
খায়ের/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৫
১০০ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের ৯৪তম ‘ড্র’ আগামী ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
সিঙ্গেল কমন ‘ড্র’ পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রাইজবন্ডের প্রতি সিরিজে প্রতি ‘ড্র’ -এ ছয় লাখ টাকার একটি, ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার একটি, এক লাখ টাকার ২টি, ৫০ হাজার টাকার দুইটি এবং ১০ হাজার টাকার ৪০টিসহ মোট ৪৬টি পুরস্কার রয়েছে।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৪
দেশীয় ও বহুজাতিক ১৫টি টেস্টিং ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সনদ পেতে যাচ্ছে। আগামীকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে এ সনদ বিতরণ করবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করছে।
সনদের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- মেডিকেল ল্যাবরেটরি ক্যটেগরিতে ইউনাইটেড হসপিটাল এবং ল্যাব এইড হসপিটাল। সরকারি ল্যাবরেটরি ক্যাটেগরিতে বিএসটিআই’র ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরি, আণবিক শক্তি কমিশন ল্যাবরেটরি, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ল্যাবরেটরি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যাবরেটরি (পদ্মা সেতুর মান নিয়ন্ত্রণকারী ল্যাব)। বহুজাতিক ল্যাবরেটরির ক্যাটেগরিতে এসজিএস (ঝএঝ) বাংলাদেশ লিমিটেড এবং তুরস্কভিত্তিক টেমাকোস ফ্যাশন ওয়্যার ল্যাবরেটরি বেসরকারি শিল্পল্যাব ক্যাটেগরিতে ওয়ালটন বিডি লিমিটেড এবং প্রাণ গ্রুড ল্যাবরেটরি। এছাড়া, দেশীয় আরো কয়েকটি ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পাবে।
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে পণ্য ও সেবা আমদানি কিংবা রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ও অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা (ঞবপযহরপধষ ইধৎৎরবৎ ঃড় ঞৎধফব/ঞইঞ) আরোপ করা হয়ে থাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা হলো অ্যাক্রেডিটেশন। কোনো পণ্য অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির সনদপ্রাপ্ত হলে, তা বিশ্বব্যাপী অনায়াসে গ্রহণযোগ্য হয়। যে কোনো দেশে বিনা বাধায় সে পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হয়। এ বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা উৎপাদনের লক্ষ্যে অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রম জোরদারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় মান অবকাঠামোর আধুনিকায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
নতুন এসব ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশন সনদের মানে উন্নীত হওয়ায় দেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা বেগবান হবে। এর মাধ্যমে সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ, শ্রমঘন এসএমইখাতের বিকাশ, ভারী ও মৌলিক শিল্পকেন্দ্রিক বহুমাত্রিক সংযোজন শিল্প স্থাপন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণখাতের প্রসার, স্থানীয় কাঁচামালনির্ভর ক্লাস্টার ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের মতো লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।