তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭০
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৭ আশি^ন (১২ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ৩৯ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৬৯ ট্রাকের মাধ্যমে ১৬৮ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১৪ হাজার ২ শত ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১২ হাজার ৬ শত ৩০ প্যাকেট শিশু খাদ্য, ৫ হাজার ৭ শত প্যাকেট রান্না করা খাবার, ৬ শত পিস পোশাক, ৭ হাজার পিস গৃহস্থালী সামগ্রী, ২ হাজার ৫ শত ১০ পিস স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরির উপকরণ, ২ হাজার ৮০ পিস নির্মাণ সামগ্রী । এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
#
সাইফুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬৯
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৭ আশি^ন (১২ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং ক্যাম্পে ১ হাজার ৭ শত ১১ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩ শত ৮২ জন নারী মিলে ৩ হাজার ৯৩ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৭ শত ২২ জন পুরুষ ও ৮ শত ৮৮ জন নারী মিলে ১ হাজার ৬ শত ১০ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ শত ২০ জন পুরুষ ও ৬ শত ৮১ জন নারী মিলে ২ হাজার ১ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ শত ২৪ জন পুরুষ ও ৩ শত ৭৭ জন নারী মিলে ১ হাজার ৭ শত ১ জন, লেদা ক্যাম্পে ৮ শত ৮৯ জন পুরুষ ও ৮ শত ৮৫ জন নারী মিলে ১ হাজার ৭ শত ৭৪ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৫ শত ৫৫ জন পুরুষ ও ৫ শত ১৩ জন নারী মিলে ১ হাজার ৬৮ জন এবং পুরোদিনে ৬টি কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ২ শত ৪৭ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬ শত ৮৭ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
#
সাইফুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬৮
মানসম্পন্ন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয় ও আইএফসির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
বাংলাদেশে উচ্চমানসম্পন্ন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে আজ খবমরংষধঃরাব ওসঢ়ধপঃ অংংবংংসবহঃ (এলআইএ) নামক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি)।
আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের পক্ষে যুগ্মসচিব ছায়েদ আহাম্মদ এবং বাংলাদেশে আইএফসির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার এহসানুল আজিম এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে পৃথিবী অনেক বদলে গেছে। ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা থেকে আমরা এখন যেখানে এসেছি, সেটাকে আমরা বলি গণতন্ত্র। এর মূলস্তম্ভ হচ্ছে আইন প্রণয়ন। তিনি বলেন, আগে আইন প্রণয়ন করা হতো রাজা-বাদশা ও নবাব সাহেবদের সুবিধার্থে। এখন সেই প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ বদলে গেছে। এখন প্রেক্ষিত হয়েছে জনগণের উপকার করা। সুশাসনকে আরো শক্তিশালী করার জন্য এলআইএ এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন প্রণয়নে আমাদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে, যাতে জনগণের লাভ হয়। সেজন্য এলআইএ গ্রহণ করা হয়েছে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, আইএফসির সিনিয়র ইকোনোমিস্ট ড. মাসরুর রিয়াজ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬৭
একটি দল জঙ্গি-সন্ত্রাসী রক্ষার ষড়যন্ত্র করছে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, একটি দলের প্রধান এখনো লজ্জাহীনের মতো জঙ্গিসঙ্গী। কিন্তু মানুষ জঙ্গি সমর্থক নয়। সে কারণে তিনি নির্বাচন চান না। তিনি জামাতীদের সাথে নিয়ে নির্বাচন বানচাল করে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের রক্ষারই ষড়যন্ত্র করছেন।
আজ বিকেলে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা গণগ্রন্থাগার ময়দানে প্রয়াত জননেতা মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন লেনিনের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী আরো বলেন, অনিবার্য ধ্বংস থেকে দেশ বাঁচাতে কোনোভাবেই আর জঙ্গি-রাজাকারের সরকার আসতে দেয়া যায় না। দেশ পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারের অদল-বদল ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ খেলা চিরতরে বন্ধ করতে হবে। এ পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান তিন চ্যালেঞ্জ হলো, ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে যথাসময়ে নির্বাচন, জঙ্গি-রাজাকার-সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচনের বাইরে রাখা এবং শান্তি-উন্নয়ন অব্যাহত রাখা, বলেন ইনু।
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি এসময় প্রয়াত নেতা জালালের উদাহরণ টেনে বলেন, দেশের কাজ করতে টাকা-পয়সার মালিক হতে হয় না, মানুষের জন্য ভালোবাসা থাকতে হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জননেতা শামসুল আলম খানের সভাপতিত্বে সভায় রাজনীতকদের মধ্যে ইকবাল হোসেন খান, আফজাল হোসেন খান জকি, আসলাম খান বাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬৬
‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর ) :
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌকমান্ডোদের দ্বারা পরিচালিত ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৯৭১-এর সংঘবদ্ধ যুদ্ধের সত্য ঘটনা অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হচ্ছে। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করবেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর ওপর নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের খসড়া স্ক্রিপ্টের বিষয়ে এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা দলের সদস্য আ ক ম রইসুল হক বাহার, চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম এবং নৌকমান্ডো সাজেদুল হক চুন্নু উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহণমন্ত্রী চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, পরিকল্পনা ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা, নৌকমান্ডোদের সাহসী ভূমিকার কথা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে আহ্বান জানান। বাঙালি জাতি ও বিশ্ববাসী এ চলচ্চিত্রটি দেখে মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যেন আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে সে বিষয়ে কাজ করারও আহ্বান জানান।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬৫
কক্সবাজারে সওজ-এর নতুন অফিসভবনের
নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন ওবায়দুল কাদের
কক্সবাজার, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর ) :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ কক্সবাজারের মোটেল রোডে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)-এর চারতলা নতুন অফিসভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
প্রায় চার কোটি বত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলাবিশিষ্ট এ অফিস ভবনটি নির্মাণে আঠারো মাস মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরে মন্ত্রী উখিয়ার কুতুপালং এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এসময় সাইমুম সারওয়ার কমল এমপি, আশিক উল্যাহ রফিক এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সওজ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়–য়াসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
ওয়ালিদ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬৪
মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর ) :
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হার বর্ধিত ছুটিকালীন বিদেশে অবস্থানের সময় ৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত অথবা তার পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপীল বিভাগের প্রবীণতম বিচারক মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা’কে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
#
অনসূয়া/শহিদ/আসমা/২০১৭/১৬৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬৩
কন্যাশিশুরা এখন আর বোঝা নয়
- শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানতম অন্তরায়। সমাজ কন্যাশিশুদেরকে বোঝা মনে করে। কন্যাশিশুদের পড়াশোনার পেছনে টাকা খরচ করতে চায়না পরিবার। তারা মনে করে বিয়ে দিতে পারলে বোঝা দূর হয়ে গেল।
প্রতিমন্ত্রী আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাল্যবিবাহ নিরোধ দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মেহের আফরোজ বলেন, সময় বদলেছে। কন্যাশিশুরা এখন আর বোঝা নয় বরং কন্যাশিশু হল সর্বোত্তম বিনিয়োগ। কারণ তাদের মধ্যে থেকেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে উঠবে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বাবা মায়ের বেশি যতœ নেয়।
মানববন্ধনে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী দিবস উপলক্ষে এক সাইকেল র্যালি উদ্বোধন করেন।
#
খায়ের/অনসূয়া/শহিদ/আসমা/২০১৭/১৬১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬২
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর বোনের ইন্তেকাল
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর ) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র মেঝ বোন জিন্নাতুল নূর আজ ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
মরহুমার নামাজে জানাজা আজ বাদ আছর চট্টগ্রামের বহদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
জিন্নাতুল নূরের মৃত্যুতে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদার, এনডিসি, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড এর মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, এনডিসি এবং বাংলাদেশ ওভারসিজ এন্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ ন ম মাসরুরুল হুদা সিরাজী গভীর শোকপ্রকাশ করেন।
এক শোকবার্তায় তারা মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৪২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬১
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৩ই অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৭’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ঐড়সব ঝধভব ঐড়সব’ অর্থাৎ ‘দুর্যোগ সহনীয় আবাস গড়ি, নিরাপদে বাস করি’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। তিনি ঘূর্ণিঝড় থেকে জানমাল রক্ষায় মুজিব কিল্লা নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা হিসেবে ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠা করেন যা আজ সারাবিশ্বে সমাদৃত।
আমাদের সরকার দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কার্যক্রমে কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি অধিকতর পরিমার্জিত আকারে ২০১০ সালে ঝঃধহফরহম ঙৎফবৎং ড়হ উরংধংঃবৎ নামে প্রকাশিত হয়। এছাড়া আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১৫ সহ গুরুত্বপূর্ণ আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। জনগণ যাতে বিনামূল্যে আবহাওয়ার বার্তা পায় সেজন্য আমরা যে কোনো মোবাইল থেকে ১০৯০ নম্বরে (টোল ফ্রি) ফোন করে আবহাওয়া বার্তা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ভূমিকম্প মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই ১৬৯ কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল গঠন, ন্যাশনাল ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য জমি বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ১৩ হাজার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প চলমান আছে। মুজিব কিল্লা নির্মাণ প্রকল্প এবং গ্রামীণ রাস্তা হেরিং বোন বল্ড করার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
এবারের হাওড় অঞ্চলের ৬টি জেলায় আকস্মিক ও নজিরবিহীন বন্যা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের পাহাড়ধস, উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মোরা ও উত্তর অঞ্চলসহ দেশের ৩৫টি জেলায় দুই দফায় ব্যাপক বন্যা সরকার সফলতার সাথে মোকাবিলা করেছে। বজ্রপাত মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই সারাদেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণ কার্যক্রম চালু হয়েছে। বজ্রপাত ও ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন নির্মাণ করতে হবে। আরো অধিক সংখ্যক নগর স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে হবে। প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, শিল্পকারখানা, মার্কেট ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব প্রশিক্ষিত দুর্যোগ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে হবে।
আমি আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬০
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৩ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করে দুর্যোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৭’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ সহনীয় আবাস গড়ি, নিরাপদে বাস করি’ ‘ঐড়সব ঝধভব ঐড়সব’ যা খুবই সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার কাজে স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) কে নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করেন, যা সদ্য স্বাধীন দেশের দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে একটি অনন্য মাইলফলক ছিল। এবছরের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুর্যোগ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলে যে কোনো দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দুর্যোগের প্রকোপ এবং মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দুর্যোগঝুঁকি মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দুর্যোগঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অবদান রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যা দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভূমিকম্প জীবনহানীসহ ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। তাই ভূমিকম্প মোকাবেলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিত প্রচারণাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্প মহড়া আয়োজন খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। সরকার এ লক্ষ্যে বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণসহ বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে অত্যাধুনিক উদ্ধার সরঞ্জামাদি ক্রয় করেছে। ভূমিকম্প মোকাবেলায় নগর স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমি আশা করি সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে দুর্যোগ সহনশীলতা অর্জনে দ্রুত ও কার্যকর কৌশল গ্রহণে সক্ষম হবে।
‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৭’ উদ্যাপনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমি ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ এর সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১২১৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৫৯
জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ অক্টোবর ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আমি দেশের ও বিশ্বের সকল কন্যাশিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর জাগরণ, আনবে দেশের উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের প্রতি সকল ধরণের বৈষম্য ও সহিংসতা দূর করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কন্যাশিশুদের কল্যাণে অবৈতনিক শিক্ষার প্রচলন, উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণসহ নারীশিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য আলাদা ব্লক নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।আমরা ‘জাতীয় শিশুনীতি ২০১১’, ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১’ প্রণয়ন করেছি। ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন রহিত করে অধিকতর কঠোর ধারা উপধারা সন্নিবেশ করে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ প্রণয়ন করেছি। আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। কিশোরী ও নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিশোরীদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে দেশব্যাপী কিশোরীক্লাব গঠন করা হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের মেয়েরা ২০১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ বয়সভিত্তিক মেয়েদের দক্ষিণ এশিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
আমি আশা করি, আজকে কন্যাশিশুরা বড় হয়ে সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠন করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।
আমি কন্যাশিশুদের সার্বিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাই।
আমি ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/জসীম/শামীম/২০১৭/১০৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৫৮
জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৩ অক্টোবর ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“কন্যাশিশুর জাগরণ, আনবে দেশের উন্নয়ন’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৭’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সকল কন্যাশিশুর প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
কন্যা-জায়া-জননী’র বাইরেও কন্যাশিশুর বৃহৎ জগত রয়েছে। স্বাধীনভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকা-ে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব। এ জন্য কন্যাশিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বেড়ে ওঠার সকল অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
কন্যাশিশুদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিয়ে সচেতনতা ও উদ্যোগ প্রশংসনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেলেও বিশ্বজুড়ে নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা ও নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে। নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি এই মনোভাব আমাদের অগ্রগতির পথে বড়বাধা। সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে কন্যাশিশুদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে প্রতিটি কন্যাশিশুর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বর্তমান সরকার কন্যাশিশুদের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। এ লক্ষ্যে সরকার কন্যাশিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসহ পরিপূর্ণ বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের এসব পদক্ষেপ বহির্বিশ্বেও প্রশংসিত হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কন্যাশিশুর অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনসহ আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।
কন্যাশিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাক, জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে এটাই হোক সকলের অঙ্গীকার।
আমি ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/শহিদ/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১০৩০ ঘণ্টা