তথ্যবিবরণী নম্বর :২৫৯৬
বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ঢাকা পরিবহন সমন¦য় কর্তৃপক্ষ-এর উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সমন¦য়ে ২২-এ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘যানজট ও দূষণ হ্রাসে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করি, বহুমাধ্যমভিত্তিক সমনি¦ত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করছি।
বর্তমান সরকার দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাছে। আমরা রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। উন্নত যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা একটা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও পরিবহন খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। পরিবহন খাতে ধারাবাহিকভাবে সরকারের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ খাতে দৃশ্যমান উন্নতি সাধিত হয়েছে।
ঢাকা মহানগরের এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট, বায়ু ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বক্তিগত গাড়ির উপর নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ‘জবারংবফ ঝঃৎধঃবমরপ ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃ ঢ়ষধহ (জঝঞচ)’ প্রণয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমরা গণপরিবহন ব্যবস্থায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। ঢাকা মহানগরীর যানযট নিরসনে ও ব্যক্তিগত গাড়ির উপর নির্ভরতা হ্রাসে ‘গধংং জধঢ়রফ ঞৎধহংরঃ (গজঞ) খরহব-৬ এর আওতায় বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ঢাকা মহানগরী ও গাজীপুর মহানগরীর জনসাধারণের দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার্থে ইঁং জধঢ়রফ ঞৎধহংরঃ (ইজঞ) করিডোর নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলছে। ‘জবারংবফ ঝঃৎধঃবমরপ ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃ ঢ়ষধহ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গজঞ খরহব-১ এবং গজঞ খরহব-৫ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলমান আছে। এ দু’টি লাইনে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো প্রায় ৩২ কিলোমিটার পাতাল রেলের সংস্থান রাখা হয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়িত হলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীগণ স¦াচ্ছন্দ্যে গণপরিবহনে যাতায়াতের মাধ্যমে নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে পারবেন। এর ফলে ব্যক্তিগত গাড়ির উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে বলে আমি মনে করি।
আমি আশা করি, জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনে যাতায়াতে সকলকে উৎসাহিত করতে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আমি ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৮’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৫৯৫
বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২২ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)-এর উদ্যোগে ‘যানজট ও দূষণ হ্রাসে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করি, বহুমাধ্যমভিত্তিক সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ি’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সম্মিলিতভাবে ২২ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৮’ (ডড়ৎষফ ঈধৎ ঋৎবব উধু) উদযাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত।
ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জনবসতি বৃদ্ধি, শিল্পকারখানা স্থাপন, ব্যবসা বাণিজ্যের দ্রুত সম্প্রসারণ, নগরায়ন ইত্যাদির ফলে ক্রমান্বয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে, যা যানজট সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ। যানজটের ফলে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান কর্মঘণ্টা। সেই সাথে বাড়ছে শব্দ ও বায়ু দূষণ। বাড়ছে জ্বালানির অপচয়ও। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোতে যানজট এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে গণপরিবহন, মেট্রোরেল, বিআরটি, বাইসাইকেল এমনকি নিকটবর্তী স্থানে যেতে পায়ে হাঁটাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের ন্যায় আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের জন্য নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আনন্দনায়ক চলাচলের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জুরুরি বলে মনে করি।
বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে মেট্রোরেল, বিআরটি, এক্সপ্রেসওয়ে, ফøাইওভার, আন্ডারপাস, ইউলুপ নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মেট্রোরেল প্রকল্প সম্পন্ন হলে মানুষ স¦াচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবে এবং এতে করে ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন, বায়ু ও শব্দ দূষণ হ্রাস পাবে বলে সকলের প্রত্যাশা।
যানজট নিরসনে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৮ উদযাপন সফল হোক - এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরানুল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা