Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩১st জুলাই ২০১৫

তথ্যবিবরণী 30/7/2015

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ২১১২

সমবায় ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
বিরোধী জোটের সহিংস কর্মসূচির বিচারকার্য এগিয়ে নিতে সমবায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :

এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা বিরোধী জোটের রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সংঘটিত জানমাল, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সমবায় খাতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির জন্য চলমান বিচারকার্য এগিয়ে নিতে দেশের সর্বস্তরের সমবায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এর ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এম এ কাদের সরকার, সমবায় নিবন্ধক মোঃ মফিজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী মোঃ আফজাল হোসেন, পরিচালক এ এম এম সাহাবুদ্দিন এবং হাবিবুর রহমান চাঁন বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমবায়বান্ধব সরকার মুনাফা ও দ- মুনাফা বাবদ সমবায় ব্যাংকের অনুকূলে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এতে করে দেশের কয়েক লাখ দরিদ্র সমবায়ী কৃষক ও সমবায় সমিতি উপকৃত হয়। ফলে সার্বিক কৃষি উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

জনাব রাঙ্গা বলেন, বর্তমান সরকারের ভিশন ও উন্নয়ন ভাবনা বাস্তবায়নে সমবায় ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে গ্রামীণ কৃষি ও অকৃষি খাতে জামানতবিহীন সহজ শর্ত ও নামমাত্র মুনাফায় দেশব্যাপী ১০০টি সমবায় সমিতিকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। সমবায়ীদের কল্যাণে নারায়ণগঞ্জে ব্যাংকের ১৬ কাঠা জমিতে ৯ তলার বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ শুরুসহ রাজধানীর ভিক্টোরিয়া রোডে ৫ কাঠা জমিতে অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি সমবায় আইনের কিছু ধারা শিথিল করে সমবায়ীদের সরকারের ঘূর্ণায়মান তহবিল পেতে ও পুরানো কৃষিঋণ মওকুফে সহায়তার আশ্বাস দেন।

#

আহসান/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২৩০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ২১১১

 

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখানোর নির্দেশ

 

ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :

 

    উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় “কঙগঊঘ” (ডওঞঐ ঊঈচ ৯৮৮ ঐচঅ) উত্তর দিকে সরে গিয়ে আজ রাত ৯টায় কিছুটা দুর্বল হয়ে সন্দ্বীপের নিকট দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার পর আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

 

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

 

    চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর পুনঃ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

    উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৫ নম্বর পুনঃ ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৫ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

 

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩  থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

 

    উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 

 #

 

মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/২২২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১১০

এডিপি পর্যালোচনা সভা
কনক্রিটের তৈরি সড়কের চেয়ে পিচের তৈরি সড়কে খরচ অনেক কম
                                                 -- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :
    দেশের সব জায়গায় কনক্রিটের সড়ক তৈরি সম্ভব নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যেসব রাস্তাঘাট করা হয় এগুলো কনক্রিট দিয়ে তৈরি করা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। বলা হচ্ছে, এতে খরচ কম হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণও সহজ। কিন্তু যেখানে কনক্রিটের রাস্তা করা হবে সেই মাটি এর উপযোগী নয়। মাটিকে উপযোগী করতে হলে যে পরিমাণ খরচ হবে তার চেয়ে পিচের রাস্তার খরচ অনেক কম।
    মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে বিভাগের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাসভায় একথা বলেন। 
    এলজিআরডি মন্ত্রীর সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকের সঞ্চালনায় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সংস্থাগুলোর প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
    সভার শুরুতে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী তাঁর অধিদপ্তরের আওতাধীন ১১০টি প্রকল্পের তথ্য তুলে ধরেন।
    মন্ত্রী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ওয়াসাসমূহের সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যাপারে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভশীলতা কমিয়ে পুকুর জলাশয়ের পানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ভূগর্ভে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে এখনি আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। সভায় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন। মন্ত্রী প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে তদারকি বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেন।
    পরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন। এছাড়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের অগ্রগতিও সভায় আলোচনা হয়। এলজিআরডি মন্ত্রী যতদ্রুত সম্ভব এই প্রকল্পের মহাপরিচালককে নিজস্ব তথ্যভা-ার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন।  
#
মমিনুল/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/২২৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২১০৯

 

ম্যানিলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী

প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান

 

ম্যানিলা (ফিলিপাইন), ৩০ জুলাই :

 

          সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ম্যানিলায় বসবাসকারী  প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

          মন্ত্রী আজ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এ আহ্বান জানান।

 

          ম্যানিলায়  নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অবঃ) জন গোমেজ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

          মন্ত্রী বলেন,  বিদেশে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।

 

          তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন  বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে এবং স¦ল্প সময়ের মধ্যে মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। এসময় মন্ত্রী বিভিন্ন কমিউনিটির সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে বিশেষ নজর দেয়ার আহ্বান জানান। 

 

#

 

ওয়ালিদ/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২১৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ২১০৮

চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণে দক্ষ জনবল তৈরি করবে বিসিটিআই

                                                               -- অর্থমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :

          অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) এর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি করবে। এজন্য কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও সুচারু কর্মপরিকল্পনায় প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সব কাজে, সব বয়সেই প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হতে পারে। বিসিটিআই’র প্রথম প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

          অর্থমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিসিটিআই আয়োজিত ইনস্টিটিউটের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

          ‘সংস্কৃতির অগ্রযাত্রায় নবতরঙ্গ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্য দেন।

          তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিসিটিআই গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিসিটিআই’র প্রধান নির্বাহী  ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রশিক্ষণ (ডিপ্লোমা) কোর্সের কোর্স পরিচালক মসীহ উদ্দিন শাকের, টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা (ডিপ্লোমা) কোর্সের কোর্স পরিচালক ম. হামিদ, প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী শাহজাহান শামীম এবং প্রথম টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী ফজলে রাব্বী বক্তব্য রাখেন।

          অর্থমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি চর্চা ও নান্দনিকতার ক্ষেত্রে আমাদের একটি ঐতিহ্য আছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এফডিসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের পথচলা শুরু। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্জন রয়েছে। কিন্তু তারপর সব থেমে যায়। প্রায় ২০-২২ বছর পরে আমরা আবার কাজ শুরু করি। তারপর আমরা আস্তে আস্তে এগিয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে আজকের এই পর্যায়ে পৌঁছাতে আমাদের ৬৭ বছর লেগেছে।

          অর্থমন্ত্রী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী তরুণ নির্মাতা ও প্রযোজকদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্পকে সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান।

          তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রকে চলচ্চিত্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তারই ঐকান্তিক ইচ্ছায় ২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি ইনস্টিটউিট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইন প্রণীত হয়। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন।

          তথ্যমন্ত্রী ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-কে বাংলাদেশের ইতিহাসের উল্টোযাত্রা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে সামরিক শাসকরা ইতিহাসকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোটের সরকার গঠনের মাধ্যমে ইতিহাসের ফেরত যাত্রা শুরু হয়। এ ফেরত যাত্রা দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির পথে।

          তথ্যমন্ত্রী জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অগ্রযাত্রায় প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিসিটিআই দক্ষ তরুণ চলচ্চিত্রকার ও প্রযোজক সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির উত্থান প্রতিরোধ, জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পুনরুদ্ধার, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে বাংলাদেশের মানুষকে উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

          তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ বলেন, বিসিটিআই বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জগতে দক্ষ জনবলের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। তিনি ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত নির্মাতা ও প্রযোজকদের কর্মসংস্থান এবং শ্রেষ্ঠ নির্মাতাদের জন্য সরকারি অনুদান প্রদানে মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও অবহিত করেন।

          সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ এবং অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রদর্শন করা হয়।

#

আকরাম/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/২২০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২১০৭


জেলা প্রশাসকদের প্রতি পর্যটনমন্ত্রী
নিজ নিজ এলাকায় পর্যটন প্রোডাক্ট চিহ্নিত করার আহ্বান

ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :
    বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যটনখাত থেকে তৈরিপোশাকখাতের চেয়েও বেশি আয় করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ২০১৬ সালকে পর্যটনবর্ষ হিসেবে ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসকদের স্ব স্ব এলাকায় পর্যটন “প্রোডাক্ট” চিহ্নিত করে কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
    মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিষয়ক অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। 
    মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভ্ূইঞার সভাপতিত্বে অধিবেশনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এবং বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
    জেলা প্রশাসকগণকে মাঠপর্যায়ে সরকারের প্রশাসনের অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে বিমানমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে সরকারি সেবা বিকাশের দীর্ঘ ইতিহাস জড়িয়ে আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনখাতকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করছে। যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এ খাতকে বিনিয়োগের থ্রাস্ট সেক্টরে পরিণত করার পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিমান পরিবহণখাতেও আমরা ইতোমধ্যে বহুদূর এগিয়েছি। বিমানবহরে নতুন এয়ারক্রাফট সংযোজনের পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বহু প্রত্যাশিত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু করেছে। মংলায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে। 
    তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আধুনিক বিমানবন্দর হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রীসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালভবন নির্মাণ এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম চলছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    মন্ত্রী দেশের অব্যবহƒত বিমানবন্দরগুলো চালু করতে ডিসিদের উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 
#
 শেফায়েত/মিজান/নবী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৫/২১৪০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১০৬

মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সংসদ সদস্যদের উদ্যোগ নিতে হবে
                                                     -- স্পিকার

ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আজ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৫ উপলক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় সংসদভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে স্পিকার একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, মৎস্যখাত দেশের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত। খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্যবিমোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মৎস্যখাত অর্থনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। তাই মৎস্যখাতের উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জেলে সমাজের উন্নয়নে তাদের নিবন্ধন ও আইডি কার্ড প্রদান একটি প্রশংসনীয় ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। মৎস্যসম্পদের সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে জেলেদের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
স্পিকার বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশের সকল জলাশয়কে মৎস্য চাষের কাজে লাগানোর উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। প্রতিবছর মৎস্য সপ্তাহ পালন মৎস্য চাষ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার পাশাপাশি মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে অনেক অবদান রাখবে। তিনি মৎস্যখাতের উন্নয়নে সকলকে আরো সচেতন ও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মোঃ ছায়েদুল হক, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ মোঃ শহিদুজ্জামান সরকার, ইকবালুর রহিম ও মাহবুব আরা গিনি এবং সংসদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#

মঞ্জুর/মিজান/নবী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৫/২১২০ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১০৫

পর্যটনমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনার
বেসামরিক বিমান পরিবহণখাতে ক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ

ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :
    কানাডা বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহণখাতে সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আজ বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সাথে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার বিনোয়েট পিয়েরে লারামি (ইবহড়রঃ ঢ়রবৎৎব খধৎধসবব) এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
    সাক্ষাৎকালে তাঁরা বিমান পরিবহণ ও পর্যটনখাতের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
    রাশেদ খান মেনন বাংলাদেশ ও কানাডা বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, কানাডা বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহণখাতের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে বলেন, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে দেশে বৃহত্তম বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বর্তমান সরকার গ্রহণ করতে যাচ্ছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
    হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল সুবিধা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনখাতের উন্নয়নে বিমান যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধি অপরিহার্য। তাঁর দেশ বাংলাদেশের সাথে বিমান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
    বিমানমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের উন্নয়নের জন্য বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বিভিন্নখাতে কানাডার বিনিয়োগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি বিনিয়োগবান্ধব দেশ। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অধিকতর বিনিয়োগে কানাডা এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
#

শেফায়েত/মিজান/নবী/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২০১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২১০৪

নারী ও শিশু নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো নিয়মিত মনিটর করা হবে
                                           -- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতনকারী ব্যক্তির শাস্তি নিশ্চিত করতে চাঞ্চল্যকর কিছু মামলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মনিটরিং করবে। প্রতি তিন মাস পর পর ঐ বিচারকাজের সাথে জড়িত সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে তলব করা হবে এবং মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তারা অবহিত করবে। প্রয়োজনে যে কোনো সময় বিভিন্ন এজেন্সিকে ডাকা হবে। 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর বিচার নিশ্চিতকরণে করণীয় নির্ধারণে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপরাধী যত ক্ষমতাধর হোক আর যে দলেরই সদস্য হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সভায় তিনি সিলেটের রাজন হত্যা মামলা ও সাভারে স্বামী কর্তৃক সুখী বেগমের চোখ উপড়ানো মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে পুলিশ সদরদপ্তরের প্রতিনিধির কাছে জানতে চান। পুলিশ সদরদপ্তরের প্রতিনিধি জানান, রাজন হত্যা মামলায় ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ৮ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মূল আসামি কামরুলকে সৌদি আরবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে দেশে আনা হলে তারপর চার্জশিট দেয়া হবে। আর সুখী বেগমের স্বামী গ্রেফতার আছে এবং অভিযুক্ত অপরাধ স্বীকার করেছে। দুই একদিনের মধ্যে চার্জশিট দেয়া হবে।

সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদরদপ্তর, সিআইডি, র‌্যাব, আইন ও বিচার বিভাগ, জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা, ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি, ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলদেশ মহিলা পরিষদ, ব্লাস্ট, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।

#

খায়ের/মিজান/নবী/সঞ্জীব/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২১০৩

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়

সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :

দশম জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নাছিম), এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং নাসিমা ফেরদৌসী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বণ্টন চুক্তির আওতাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বর্তমান অবস্থা, দেশীয় গ্যাস উত্তোলন কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম, গভীর ও অগভীর সমুদ্রে গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রাপ্যতা সম্পর্কে গৃহীত কার্যক্রম এবং BAPEX এর কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

কমিটি গভীর ও অগভীর সমুদ্রে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে গ্যাসের সম্ভাব্য প্রাপ্যতা সম্পর্কে গৃহীত কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করে।

বৈঠকে নতুন সমুদ্রসীমা অর্জনের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের অফশোর এলাকায় নতুন বিডিং রাউন্ড আহ্বানের লক্ষ্যে বিদ্যমান Revised Model PSC 2012 এ প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিমার্জন করে চূড়ান্ত মডেল পিএসসি ২০১৫ দ্রুত বাস্তবায়ন করার পরামর্শ দেয়া হয়।

বৈঠকে যে সকল কন্ট্রাকটার অবৈধ সংযোগের সাথে জড়িত তাদের লাইসেন্স বাতিলের পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করার পরামর্শ দেয়া হয়।

বৈঠকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করার বিষয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

তাছাড়া, তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কার্যক্রমের পাশাপাশি সঞ্চালন, বিতরণ, মার্কেটিংসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নিজস্ব উদ্যোগে অথবা যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে BAPEX কে নিজস্ব কর্মপরিধির বিস্তার ঘটানোরও পরামর্শ দেয় কমিটি।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ারম্যান, বাপেক্সের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

#

হালিম/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৯৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২১০২

 

প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে

                                                                   -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই) :

 

          জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেডিসি) সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা যেকোনোভাবে ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর পূর্ব থেকেই সারাদেশের কোচিং সেন্টার, ফটোকপি মেশিন ইত্যাদিতে নজরদারি রাখা হবে। বিজি প্রেস ও বিভিন্ন বোর্ডের প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের ওপরও বিশেষ নজর রাখা হবে। 

 

          আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। উল্লেখ্য, আগামী ১ নভেম্বর থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ২০১৫ শুরু হবে।

 

          শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক নামধারী যেসব ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন বা পরীক্ষা শুরু হবার আধা ঘন্টা আগে প্রশ্নপত্র খুলে মোবাইলে ফটো তুলে ফেসবুক বা হোয়াটসআপে তুলে দেয় তাদেরকে মহান শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে  দেয়ার পরামর্শ দেন। এবার এসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রী পাবলিক পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মাঠ প্রশাসনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

 

          সভায় বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায় কর্মরত এবং প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের প্রত্যেকের ছবি, মোবাইল নম্বর, বাসার ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর, বাসার অন্য সদস্যদের মোবাইল ফোন নম্বর ইত্যাদি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে হস্তান্তর করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ছাপাকালীন প্রতিদিন বিজি প্রেসের সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি পর্যালোচনা করা হবে। সভায় জানানো হয়, কেউ ফেসবুক বা অন্য কোনো সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়ালে বা এসব স্থানে লাইক দিলে বা শেয়ার করলে আইসিটি অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা মতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

          শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষাসচিব অরুনা বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস ও রোকসানা মালেক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাখাল চন্দ্র বর্মন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুবকর সিদ্দিক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পুলিশ, এনএসআই, র‌্যাব, বিটিআরসি এবং বিজি  প্রেসের প্রতিনিধিবৃন

Todays handout (15).doc