তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৫৫
সরকার বিরোধীরা দেশে খাদ্য সংকটের দিবাস্বপ্ন দেখছে
- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপিসহ সরকার বিরোধীরা দিবাস্বপ্ন দেখছে দেশে খাদ্য সংকট হবে। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে, দেশ শ্রীলংকার মতো হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। দেশে খাদ্য সংকট হবে না, আর দেশ শ্রীলংকার মতোও হবে না।
আজ রাজধানীর খামারবাড়িতে বিএআরসি মিলনায়তনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন (বিএসএ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি অতীতে জ্বালাও-পোড়াও করে আন্দোলন করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, পাওয়ার প্ল্যান্টে আগুন দিয়েছে, রেললাইন তুলে নিয়েছে, জানমালের ক্ষতি করেছে সেরকম আন্দোলন আর এদেশে হবে না। বর্তমান সরকার নির্বাচিত সরকার, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব।
মন্ত্রী বলেন, সরকার চালের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করছে। সেজন্য, ব্রি ২৮সহ পুরনো জাতের ধানের পরিবর্তে নতুন উদ্ভাবিত বেশি উৎপাদনশীল জাত চাষ করতে হবে। ব্রি নতুন নতুন জাত নিয়ে এসেছে। ব্রিধান ৮৯, ৯২, ১০০সহ নতুন জাতগুলো প্রতি বিঘায় ৩০ মণের বেশি হয়। বিঘায় ২০ মণের জায়গায় যদি ৩০ মণ হয় এটি বিরাট বিপ্লব। এ বিষয়ে সবার একত্রে কাজ করতে হবে। যাতে কৃষকের কাছে দ্রুত জাতগুলো পৌঁছায়।
সীড কোম্পানির উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সীড কোম্পানিগুলোকে আধুনিক হতে হবে। এখনো কিছু কিছু কোম্পানির প্রতারণার প্রবণতা আছে সেখানে মানুষকে বিশ্বাসের জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।
বিএসএর সভাপতি এম আনিস উদ দৌলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/২০০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৫৪
নারী নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে নারী নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আজ রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নির্যাতন ও সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনার বিষয়ে সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মাদক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন থেকে নিজেদের দূরে রাখবেন। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যেনও আপনাদের হৃদয় মনকে আচ্ছন্ন করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সাম্প্রদায়িকতা আমাদের জীবনকে প্রায়শই কলুষিত করে, আমাদের ব্যথিত ও পীড়িত করে, আমাদের গৌরবকে কালিমা লিপ্ত করে। আমরা সাম্প্রদায়িকতাকে দূর করে দিতে চাই। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, লাখ লাখ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সেই রাষ্ট্রটিকে আবার সাম্প্রদায়িকতা যেন ফনা তুলতে না পারে আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে আমরা যেনও বৈষম্য না করি, বৈষম্য যেন দূর করতে পারি। নারী নির্যাতনকারীদের যে পরিচয়ই থাকুক না কেনো তাকে বিচারের আওতায় অবশ্য অবশ্যই আনা হবে। সাম্প্রদায়িকতা যেমন পরিত্যাজ্য, সাম্প্রদায়িকতাকে যেমন প্রতিহত করতে হবে, তেমনি নারী নির্যাতনকেও দূর করতে হবে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নারী নির্যাতন বা সাম্প্রদায়িকতার মতো অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করা সেটি শেখ হাসিনার সরকার হতে দেবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সামনে একটি নির্বাচন আছে তাই তার আগেই ধর্মের ধুয়া তুলে একটা অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এখন যেভাবে বিন্যস্ত আছে তাতে নতুন করে ভাববার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এখন মডিউলার এডুকেশনের সময় যাচ্ছে। পরিবর্তিত বিশ্বে শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতায় গড়ে তুলতে হবে। মডিউলার এডুকেশনের সঙ্গে সঙ্গে ব্লেন্ডেড এডুকেশনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ কাজের জায়গা থেকে নিজেকে আপস্কিল করবেন, রিস্কিল করবেন। এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে উচ্চশিক্ষাকে পুনর্বিন্যাস করার প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র, তাই সেখানে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।
#
খায়ের/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/২০১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৫৩
শত সহকর্মীর প্রার্থনায় বেতারের মহাপরিচালকের অন্তিম যাত্রা
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
বাংলাদেশ বেতারের সদ্যপ্রয়াত মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের প্রথম জানাজার নামাজ শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধ্যরাতেও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং বেতারের সর্বস্তরের প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এতে অংশ নেন। সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ক্যান্সারে চিকিৎসাধীন আহম্মদ কামরুজ্জামান শনিবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াতের মরদেহ বিমানযোগে রাতে ঢাকা এসে পৌঁছালে সরাসরি আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়।
জানাজার আগে মন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক-জনসংযোগ ও সহকারী একান্ত সচিব তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের পক্ষে প্রয়াতের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সচিব মোঃ মকবুল হোসেন, বেতারের দায়িত্বরত মহাপরিচালক খাদিজা বেগমের পক্ষে তার কর্মকর্তা, বেতার ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক কামাল আহমেদ, বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের সভাপতি স ম গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নসরুল্লাহ মোঃ ইরফান, উপমহাপরিচালক
মোঃ ছালাহউদ্দিন, পরিচালক সায়েদ মোস্তফা কামাল, বার্তা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ, পরিচালক মুহাঃ শরীফুল কাদের, পরিচালক-মনিটরিং শফিকুল আলম, বার্তা নিয়ন্ত্রক মোছাঃ তানিয়া নাজনীন, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ ভূঁইয়া, সিনিয়র প্রকৌশলী মোঃ মাহবুব রহমান, স্টেশন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীসহ শতশত সহকর্মী প্রয়াত আহম্মদ কামরুজ্জামানের জানাজায় সমবেত হন। সংক্ষিপ্ত কথনে তারা প্রয়াত মহাপরিচালকের সুআচরণ ও কর্মনিষ্ঠার স্মৃতিচারণ করেন। তার আত্মার চিরশান্তি এবং স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ও দুইকন্যা সিরাজুম মনিরা ও আসমাউল হুসনার শোক সহ্যশক্তির জন্য প্রার্থনা করেন তারা।
জানাজার পর অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আল আমিন খান মরদেহ নিয়ে প্রয়াতের নিজ বাড়ি যশোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সেখানে রোববার শহরের পোস্ট অফিস পাড়ায় বাসভবনের সামনে বাদ জোহর অনেক মানুষের অংশগ্রহণে জানাজার পর স্থানীয় কারবালা মসজিদসংলগ্ন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ১১তম ইনটেকের এক্স-ক্যাডেট আহম্মদ কামরুজ্জামানের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি যশোরে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক কামরুজ্জামান ১৯৮৭ সালে ৭ম বিসিএস তথ্য ক্যাডারে (বেতার প্রকৌশল) মেধা তালিকায় ১ম হয়ে বাংলাদেশ বেতারে যোগদান করেন।
২০১৪ সালে তিনি প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান এবং ২০২১ সাল থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে ২৩ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান কামরুজ্জামান। বিশ্বব্যাপী বাংলাভাষী শ্রোতাদের প্রিয় বাংলাদেশ বেতার অ্যাপ চালু করাসহ ৩৫ বছরের কর্মজীবনে অনেক উদ্ভাবনী সাফল্যের স্বাক্ষর এবং সুআচরণের অনন্য নজির রেখে গেছেন তিনি।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৫২
বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন
- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগের, যেখানে বিচারপ্রার্থী জনগণ ভোগান্তিহীনভাবে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বেশকিছু সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করছে। যার অন্যতম উদাহরণ ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাঙ্গামাটি সিজেএম আদালত ভবন। এ ভবনের নির্মাণ ব্যয়, নির্মাণশৈলী, আয়তন এবং সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করলে নিশ্চয়ই বলা যায় এটি একটি অত্যাধুনিক স্থাপনা। এই স্থাপনা অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে।
আজ ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে রাঙ্গামাটিতে নবনির্মিত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ রাঙ্গামাটিতে যে আদালত ভবন উদ্বোধন করা হলো তা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের একটি খণ্ডচিত্র মাত্র। বর্তমানে বাংলাদেশের এমন কোনো সেক্টর খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে তাঁর সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল এবং জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে বিচার বিভাগের যে উন্নয়ন হয়েছে তার সবগুলো যোগ করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়কালের উন্নয়নের সমান হবে না।
মন্ত্রী বলেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির স্থান সংকুলানের জন্য সরকার প্রত্যেক জেলা শহরে আট বা দশতলা বিশিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২টি জেলায় সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৩টি জেলায় নির্মিত সিজেএম আদালত ভবন ইতোমধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে। অবশিষ্ট জেলাগুলোতে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন অপরিহার্য। এই বিশ্বাসকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশনে আইনি পদক্ষেপসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তন- বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপের সুফল জনগণ ইতোমধ্যেই পেতে শুরু করেছে। তদুপরি স্বপ্নের ডিজিটাল বিচার বিভাগ বির্নিমাণে আমাদের আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পুরো বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার জন্য ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক বিকাশ কুমার সাহা, রাঙ্গামাটির জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নুরুল ইসলাম এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৫১
বান্দরবানে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে বান্দরবানে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
আজ বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ৫ জন মৎস্য চাষিকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী।
এসময় পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে পুকুর-জলাশয় ও খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণে মাছের পোনা ছাড়তে হবে যাতে আমাদের আমিষের ঘাটতি মেটানো যায়। তিনি সবাইকে মৎস্য চাষে এগিয়ে আসা এবং দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ সাদেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাজিম উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ অভিজিৎ শীল, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জিয়া উদ্দিনসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মৎস্য চাষিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
নাছির/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৫০
লোডশেডিং ও পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বৈশ্বিক সমস্যা
-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
কুমিল্লা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিং এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বর্তমানে বৈশ্বিক সমস্যায় দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ কুমিল্লায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ১১ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জ্বালানি সাশ্রয় এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতেই অল্প সময়ের জন্য লোডশেডিং হচ্ছে। লোডশেডিং যে শুধু আমাদের দেশেই হচ্ছে তা কিন্তু নয়। অনেক উন্নত দেশও লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছে। জ্বালানি সংগ্রহ না করার কারণে অনেক দেশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে। এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারা পৃথিবীই সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সবখানেই একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন প্রায় ২৫ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদন করে এবং বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করে থাকে। যুদ্ধের কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ করতে পারছে না। যার কারণে শুধু বাংলাদেশের নয় ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারা বিশ্বেই জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারি সংকটের পর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে খাদ্যশস্য উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এই দুটি দেশ বিশ্বের অধিকাংশ খাদ্যশস্যের যোগান দিয়ে থাকে। দেশ দুটি থেকে আমরাও আমদানি করে থাকি। যুদ্ধের কারণে আমরা যেমন আমদানি করতে পারছি না তারাও রপ্তানি করতে পারছে না। যার জন্য খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশই নয় সারা বিশ্বেই বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বৈশ্বিক এই মহাসংকটের ফলে বাংলাদেশে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল তা একটু হলেও ব্যাহত হচ্ছে। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সকল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য একটি মাস্টারপ্লান প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লা শহরের আয়তন, জনগণ এবং ভবিষ্যৎ চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান করলে উন্নত, দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য শহরে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলরসহ সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে ঐকবদ্ধ্য হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। এসময় কুমিল্লা শহরসহ আশপাশে এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ আহছান উল্লাহ খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খাঁন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফান হক রিফাত, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আতাবুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ১১ তলা বিশিষ্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
#
হায়দার/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৪৯
প্রধানমন্ত্রী সততা ও দূরদর্শিতা দিয়ে ১৩ বছরে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
নাটোর, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে গত ১৩ বছরে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। তিনি বলেন, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে আইসিটি খাতে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে। আইটি ও আইটিএস খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এ খাত থেকে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হচ্ছে। দেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।
আজ নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নাটোর আইটি/হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিংড়ায় হাইটেক পার্ক স্থাপন সম্পন্ন হলে এই এলাকার তরুণ-তরুণীরা ঘরে বসে ইউরোপ-আমেরিকার মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার উপার্জন করতে পারবে। গৃহীত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে তরুণদের আর চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না, নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকরি দিবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এই হাইটেক পার্কে থাকছে স্টিল স্ট্রাকচারের সাততলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন, তিনতলা ডরমেটরি ভবন, একটি সিনেপ্লেক্স ভবন, খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এসব স্থাপনার মাধ্যমে সিংড়ায় একটি চমৎকার ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করবে এই ‘হাইটেক পার্ক’। তিনি আরো বলেন, আগামীতে এখান থেকেই আমাদের মেধাবী তরুণরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি রোবটিকস, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এই হাইটেক পার্ক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ -ভারত দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। তিনি আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক ফজলুল হক।
#
শহিদুল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৮৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৪৮
নিরাপদ মাছ উৎপাদন ও সরবরাহে সরকার কাজ করছে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
নিরাপদ মাছ উৎপাদন ও সরবরাহে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
শ ম রেজাউল করিম।
আজ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অতীতে মাছের মান নিয়ন্ত্রণে কোন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পরীক্ষাগার ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগার স্থাপন করেছেন। মাছের খাবার এবং যে মাছ রপ্তানি করা হবে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এখন সম্ভব হচ্ছে। সরকারের পদক্ষেপের কারণে বাজারে এখন ফরমালিনের প্রয়োগ নেই। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাসহ সরকারের অন্যান্য পর্যায়ের কর্মকর্তারা দেখভাল করছে। নিরাপদ মাছ ছাড়া ক্ষতিকর কোনো মাছ বাজারে বা অন্য কোনো জায়গায় বিক্রি হবে না। যে মাছ ক্ষতিকর তা উৎপাদনও কেউ যাতে করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য সর্বপ্রথম গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য বিনিয়োগ করছেন। তাঁর লক্ষ্য ব্যাপক উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করে বিদেশ থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করব। সে অর্থ দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ খাতকে আরো সম্প্রসারিত করার জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মাছ হবে পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানোর একটা সহায়ক খাত। বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করা এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির একটি বড় খাত হবে মাছ।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছোট মনির ও মোছা. শামীমা আক্তার খানম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এদিন সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ ও কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলা আগামী তিন দিন অনুষ্ঠিত হবে।
#
ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৪৭
মাছ চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া যায়
---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, মাছ কেবল আমিষের জোগান দেয় তা নয়, মাছ চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
মন্ত্রী আজ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ -২০২২ উপলক্ষ্যে উপজেলা মৎস্য অফিস কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে সকলকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। দেশের ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করার জন্য মন্ত্রী সকলকে আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য সপ্তাহ -২০২২ পালনের মাধ্যমে মাছ চাষ সম্পর্কে মানুষজন অবহিত হবেন। বৈজ্ঞানিকভাবে মাছ চাষে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য মন্ত্রী মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মচারীদের মাঠ পর্যায়ে নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রীর পক্ষে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মান্নান উপজেলা পরিষদ পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
#
জাকির/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৭৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৪৬
সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৪২ কর্মকর্তার বিদেশ
সফর সংক্রান্ত বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত নয়
ঢাকা, ৯ শ্রাবণ (২৪ জুলাই) :
আজ দেশের শীর্ষ কিছু পত্রিকায় ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের উন্নয়ন, বিদেশ সফরে যাবেন ৪২ কর্মকর্তা’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার সূত্র ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট এ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য এবং এই সময়ে এভাবে এতজন কর্মকর্তার বিদেশ গমনের অনুমোদন কীভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হলো তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।
পরিবেশিত সংবাদটি নিয়ে যাতে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয় সেজন্য সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালটি পুরোপুরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি হাসপাতাল এবং