Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী ১ মার্চ ২০২১

Handout                                                                                                                             Number : 998

OIC reaffirms support to Bangladesh over ICJ case

Dhaka, 01 March :

            The visiting OIC delegation led by OIC Assistant Secretary General for Political Affairs, Amb.Youssef Aldobeay called on the Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen and the State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam at their offices today.

            During the calls on, the OIC delegation deeply appreciated the Government of Bangladesh for the humanitarian assistance provided to the Rohingyas. They applauded the initiatives taken by Bangladesh in relation to Bhashan Char and commended the role of the Government of Bangladesh in particular the directives of the Prime Minister Sheikh Hasina referring her as the ‘Mother of Humanity’.

            The Foreign Minister welcomed the OIC delegation to Bangladesh. He briefed the delegation on the overall construction of Bhashan Char’s infrastructure which will now be used as a relocation center for around 100,000 Rohingya. He urged the OIC delegation to strengthen their efforts in relation to early repatriation of the Rohingya people who are currently taking shelter in Bangladesh.

            Referring to his recent visit to the USA, Dr. Momen mentioned his proposal to the Secretary of State to appoint a Special Envoy on Rohingyas who will focus on Rohingya issue and coordinate their efforts for their repatriation.

            The State Minister for Foreign Affairs briefed the delegation about the current situation of Rohingya people in Bangladesh, and in this connection, reiterated position of the Bangladesh government i.e. safe, dignified and sustained repatriation of them to their homeland Myanmar as the viable solution to end this humanitarian crisis. He also called upon the OIC Member States to continue to stress on Myanmar to take back their nationals. 

            The State Minister for Foreign Affairs expressed his sincere thanks to the OIC Member States who contributed to the ‘OIC Fund for Rohingya’. He further requested the OIC delegation to encourage the OIC Member countries to contribute to the ‘OIC Fund for Rohingya’ in order to enable Bangladesh and The Gambia to continue with the case in the ICJ and to reach an early and decisive decision. In this regard, he assured the delegation of full cooperation of Bangladesh.

            During the calls on, the visiting OIC Assistant Secretary General for Political Affairs informed that they have seen the condition of the Rohingyas in the camps, and comprehended the request made by the Government of Bangladesh. He reiterated OIC’s full solidarity to Bangladesh for providing shelter to more than 1 million forcibly displaced Myanmar nationals, and stated that OIC is beside the Government of Bangladesh and will continue to support Bangladesh in the ICJ case.

            Earlier, the OIC delegation had a meeting with the Foreign Secretary Masud Bin Momen at his office, and expressed their views regarding their visit to the Rohingya camps. During the meeting, the Foreign Secretary also urged for OIC’s continued support to resolve this humanitarian crisis permanently.

#

Tohidul/Roksana/Masum/Sanjib/Joynul/2021/2105 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                              নম্বর : ৯৯৭

 

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক

মানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ চলছে

                                ----সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৬ ফাল্গুন (১ মার্চ) :

 

          সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত 'বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ভৌত অবকাঠামো সংস্কার ও সম্প্রসারণ' শীর্ষক প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পাদনপূর্বক কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। শীঘ্রই এ প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হবে। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি লোকজ ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। ফলে এখানে একদিকে যেমন দেশি-বিদেশি পর্যটকের সমাগম বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে 'বাংলাদেশ ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন' আয়োজিত 'মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা এবং শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু লোকজ উৎসব ২০২১' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          প্রধান অতিথি বলেন, ঐতিহ্যবাহী লোক ও কারুশিল্প আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের জাতিস্বত্তার স্বকীয়তা ও অতীত ঐতিহ্যের এ এক মূর্ত প্রতীক। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অতীতকে ফিরে দেখা, অতীতের সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর বর্তমানকে দাঁড় করানো ও সাংস্কৃতিক ভবিষ্যতের সঠিক গন্তব্যের নিশানা খুঁজতে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্থিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন যথার্থভাবেই ঐতিহাসিক সোনারগাঁকে বেছে নিয়েছিলেন এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার জন্য।

 

          বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক ও সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি।

#

 

ফয়সল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০৫৭ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                               নম্বর : ৯৯৬

 

সাংবাদিকদের কল‍্যাণে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে

                                    ---নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৬ ফাল্গুন (১ মার্চ) :

 

          নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, করোনার সময়ে কেউ আক্রান্ত ব‍্যক্তির কাছে যেতে চায়নি। সারা বিশ্বের মানুষ করোনার ভুক্তভোগী। এখন করোনার ভীতিটা কমে গেছে।  প্রতিষেধক টিকা নেয়ার পর কনফিডেন্স বেড়ে গেছে। বাস্তবতা হলো জীবিত থাকলে সবাই থাকে; চলে গেলে কেউ থাকে না। বাচসাস’র সদস‍্যদের কল‍্যাণে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে নৌ মন্ত্রণালয় প্রস্তুত; তবে সেটি একক কোনো কাজ নয়, সম্মিলিতভাবে করতে হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত করোনাকালীন বাচসাসে’র পাচজন সাংবাদিকের মৃত‍্যুতে স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন।

          অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে দোয়া  করা হয়।

          সংগঠনের সভাপতি ফাল্গুনি হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন‍্যান‍্যরে মধ‍্যে বক্তব‍্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি রফিকুজ্জামান, সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু, সহসভাপতি সৈকত সালাহউদ্দিন, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, রহমান মোস্তাফিজ এবং লিটন এরশাদ।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বিভিন্ন ব‍্যবসায় বিনিয়োগ করে থাকেন। সাংবাদিকদের জীবন মানের জন‍্য বিনিয়োগ করলে আরো ভাল হয়। দেশের উন্নয়নে সাংবাদিকদের অবদান রয়েছে, তাদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী তাদের অবদানের কথা অনুধাবন করে তাদের জন‍্য কল‍্যাণ ফান্ড গঠন করেছেন।

          উল্লেখ্য, সৈয়দ লুৎফল হক, এম এ জিন্নাহ, নাজিম উদ্দিন নাজিম, হমায়ুন কবির খোকন এবং আসলাম রহমানের মৃত‍্যুতে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/২০৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৯৯৫

 

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সত্তার দু’টি নাম

                                ---পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৬ ফাল্গুন (১ মার্চ) :

 

            বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সত্তার দু’টি নাম। সকল অর্থে তিনিই বাংলাদেশ, আমাদের আত্মপরিচয়। জীবনভর তিনি এ দেশ ও মানুষের মুক্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। বাঙালির দুঃখ, বেদনা, আনন্দ ও স্বপ্নকে তিনি নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন।

            আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন ও সোনারগাঁও হোটেল শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে পরাধীনতার দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস। জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো "বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য" হিসেবে মেমোরি অভ্ দভ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়া অতি সম্প্রতি ইউনেস্কো "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অভ্ ক্রিয়েটিভ ইকোনমি" নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা বাঙালি জাতি হিসাবে আমাদের জন্য গর্বের ও আনন্দের।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শন ছিল এদেশের গণমানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক গভীর মানবিক সংগ্রাম। এই দর্শনের লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও মানবিক উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের উন্নয়নে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বহুমাত্রিক নেতৃত্বে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের শুভলগ্নে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

            কোভিড-১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে খুব দ্রুত প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল ব্যবসায় লাভের ধারায় ফেরত আশায় হোটেলের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিককে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সারা বিশ্বে পর্যটন শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে পর্যটন শিল্পকে উজ্জীবিত করার জন্য কাজ করছি। এর ফলে ইতোমধ্যেই দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটন চাঙ্গা হয়ে উঠছে। এভিয়েশন খাতেও গতি ফিরতে শুরু করেছে। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলো ইতোমধ্যে তাদের ব্যবসা ৮০ ভাগের ওপরে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

            অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আলমগীর ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ।

#

তানভীর/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/২২০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৯৯৪

৪ থেকে ১০ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২১ উদ্যাপন করা হবে

ঢাকা, ১৬ ফাল্গুন (১ মার্চ) :

          ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে আগামী ৪ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের জাটকা সম্পৃক্ত জেলাসমূহে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২১ উদ্যাপন করা হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের সেøøাগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষে শপথ নেবো, জাটকা নয় ইলিশ খাবো’।

          আজ রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

          সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, গতবছর মা ইলিশ সংরক্ষণে সফল অভিযানের ফলে ৩৭ হাজার আটশ কোটি ইলিশের পোনা ইলিশ সম্পদে যুক্ত হয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে জাটকা সংরক্ষণেও আমাদের সাফল্য নিয়ে আসতে হবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন হবে ৬ লাখ মেট্রিক টন। এসময় ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

          সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২১-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ৫ এপ্রিল পটুয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এদিন বর্ণাঢ্য নৌর‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তাহের উদ্বোধনী দিনে (০৪ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, ইলিশ বিষয়ক কর্মশালা, সভা-সেমিনার আয়োজন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ, বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলার ব্যাপারেও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্মসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, নৌ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, পরিবহন মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি, মৎস্যজীবী সমিতি, মৎস্যজীবী লীগসহ ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

          উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে অবৈধ জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক ও জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্যাপন হয়ে আসছে।

#

ইফতেখার/রোকসানা/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৯৯৩

 

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার উৎস

                                                     --তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সরিষাবাড়ি (জামালপুর), ১৬ ফাল্গুন (১ মার্চ) :   

          তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ছিল বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। বাঙালি জাতি সেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিকামী মানুষ তাদের নেতার মুখে মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা শোনার জন্য একত্রিত হয়েছিল রেসকোর্স ময়দানে। দেশের সেই উত্তাল পরিস্থিতিতে করণীয় কী, তা জানতে অধীর আগ্রহে ছিল মুক্তিকামী জনতা। তাদের মুখে ছিল নানা ধরনের স্বাধীনতার স্লোগান। ঐতিহাসিক এ ভাষণটি সবদিক থেকেই ছিলো পরিপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধে এ ভাষণ প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন এ ভাষণ মানুষের মনের মণিকোঠায় থাকবে।

          আজ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পৌর ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

          পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু জাফর আহম্মদ শীশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বাদশা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, পৌর মেয়র মনির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য আবুল হোসেন, তারাকান্দি ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক মুকুল, পিংনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আল মামুনসহ পৌরসভার নব-নির্বাচিত কাউন্সিলরবৃন্দ।

#

 

মাহবুবুর/রোকসানা/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২০১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৯৯২

সমতাভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির পিতার মূল লক্ষ্য

                                                         -- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ ফাল্গুন (১ মার্চ) :

          পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, বাঙালি জাতি অনন্তকাল ধরে তার জাতির পিতাকে স্মরণ করবে। সমতাভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির পিতার মূল লক্ষ্য।

          আজ ঢাকায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদ্যাপন উপলক্ষে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

          বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্তের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ড. অসীম সরকার, ড. সঞ্চিতা গুহ এবং অধ্যাপক ডা. নিম চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস বাঙালি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় মাস। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে ঘটনা প্রবাহের নানা কারণে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একাত্তরের পুরো মার্চ মাস।

          স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দিকনির্দেশনায় নিরস্ত্র বাঙালি জাতি একটি সুসজ্জিত সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সাহস পেয়েছিল।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের এই উদ্যোগ সমগ্র দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে একতার একটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। জাতির পিতার আদর্শ ও চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তাঁর আদর্শ ও চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

#

আহসান/রোকসানা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০৪৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৯৯১

নিরপেক্ষ জাতীয় প্রেসক্লাবকে সংঘর্ষের ঢাল বানানো অপরাধের শামিল 

                                                              -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ ফাল্গুন (১ মার্চ) :   

          ‘নিরপেক্ষ জাতীয় প্রতিষ্ঠান প্রেসক্লাবকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা সংঘর্ষের ঢাল হিসেবে অপব্যবহার করা কখনই উচিত নয় এবং তা অপরাধের শামিল’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। প্রেসক্লাব একটি নিরপেক্ষ জাতীয় প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান এবং সব মত ও পথের মানুষ ও সব রাজনৈতিক দলের জন্য উন্মুক্ত, সুতরাং সেখান থেকে পুলিশের ওপর হামলা খুবই অনভিপ্রেত, বলেন তিনি।  

          আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল নির্মাণ-সংস্কারে সহজে ব্যাংক ঋণ চালু হওয়ায় তথ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সহ-সভাপতি মিঞা আলাউদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শরফুদ্দিন এলাহী সম্রাট, কোষাধ্যক্ষ আজগর হোসেন ও নির্বাহী সদস্য ফারুক হোসেন মানিক এসময় উপস্থিত ছিলেন।

          জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল (রোববার) পুলিশ ও ছাত্রদলের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘প্রেসক্লাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ছাত্রদল হাজার হাজার ইটের টুকরা, পাথরের টুকরা পুলিশের ওপর নিক্ষেপ করে হামলা চালিয়েছে। প্রেসক্লাবে তো কোনো পাথর থাকে না। এগুলো আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। প্রেসক্লাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে  এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো কখনই উচিত নয় এবং এটি অপরাধের শামিল। এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত, দুঃখজনক, অনুচিত এবং কেউ যাতে এভাবে প্রেসক্লাবকে অপব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।’

          ‘এটিএন বাংলার একজন সাংবাদিক ছাত্রদলের ছুঁড়ে মারা ইটের আঘাতে আহত হলো কেন, সেই প্রশ্ন আগে আসা উচিত ছিল’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রদল গতকাল দেশে একটি ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে একটি মহল পানিঘোলা করার চেষ্টা করছে। এ অপচেষ্টা অতীতেও হয়েছে, কোনো লাভ হয় নাই, এবারও কোনো লাভ হবে না।’ 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশে দেশে

          ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে এসময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমাদের দেশের এ আইনের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে যে শাস্তির বিধান রয়েছে, তা ভারতের ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্টের ১১তম অধ্যায়ে এবং পাকিস্তানের প্রোটেকশন অভ ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্টের ১৮ ধারায় আছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার ফ্রড এন্ড এবিউজ অ্যাক্ট, যুক্তরাজ্যে কম্পিউটার মিসইউজ অ্যাক্ট, নেপালে ইলেক্ট্রনিক ট্রানজেকশন অ্যাক্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফেডারেল ডিক্রি ল’ অভ ২০১২ অন কমব্যাটিং সাইবার ক্রাইমস, জার্মানীতে নেটওয়ার্ক এনফোর্সমেন্ট অ্যাক্ট ২০১৭, অস্ট্রেলিয়াতে সাইবার ক্রাইম লেজিসলেশন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০১২, সিঙ্গাপুরে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮ এ ধরনের আইন আছে। এ শুধু কয়েকটা দেশের উদাহরণ মাত্র। উন্নত দেশগুলোতেও এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার এবং শাস্তির বিধান করা হয়। তবে অবশ্যই আমিও আপনাদের মতো এই আইনের যাতে কোনো অপপ্রয়োগ না হয় সেজন্য সতর্ক থাকার পক্ষে।’ 

          ‘মুশতাক আহমেদ কোনো ড্রাগ ব্যবহার করতেন কি না বা এর কোনো প্রভাব তার মৃত্যুতে আছে কি না’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উনার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই। মৃত্যুর কারণ নিরূপণের জন্য যে তদন্ত কমিটি হয়েছে, তাদের রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে তিনি কোনো ড্রাগ ব্যবহার করতেন কি না বা উনার কিভাবে মৃত্যু হয়েছে, কিংবা কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল কি না। তবে এই মৃত্যুর জন্য আমি নিজেও ব্যথিত এবং এটি অবশ্যই অনভিপ্রেত।’ 

হল নির্মাণ-সংস্কারে ব্যাংক ঋণ চালু : চলচ্চিত্রশিল্পে আশার দিগন্ত

          এর আগে সিনেমা হল নির্মাণ-সংস্কারে সহজে ব্যাংক ঋণ চালু হওয়ায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির পক্ষে প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলে ড. হাছান বলেন, দেশের চলচ্চিত্রশিল্পের যুগান্তকারী উন্নয়নের লক্ষ্যেই প্রকৃতপক্ষে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও অবহিত করি। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। সে কারণেই আজকে একটি বিশেষ তহবিল গঠিত হয়েছে। 

          মন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক আপাতত ৫০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে যা প্রয়োজনে ১ হাজার কোটি টাকা বা তারও বেশি করা যাবে এবং সাধারণভাবে ৮ বছরে পরিশোধযোগ্য এই ঋণ গ্রহণের ১ বছর পর থেকে শোধ করা শুরু হবে। এ তহবিল আসলে প্রণোদনা প্যাকেজ। তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে এটি বিতরণ হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ১ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে অর্থটা তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোকে দেবে। ব্যাংকগুলো জেলা-উপজেলায় সেটি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ আর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে ৫ শতাংশ সুদে ভোক্তাদের কাছে এই ঋণ বিতরণ করবে।’

          ঋণ তারাই পাবে যারা সিনেমা হল সংস্কার করতে চায়, বন্ধ হয়ে গেছে এমন সিনেমা হল পুনরায় চালু করতে চায় অথবা নতুন সিনেমা হল বানাতে চায় এবং একইসাথে কোনো মার্কেটের ভেতরে যদি কোনো সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল কেউ করতে চায় সেই ক্ষেত্রেও পাবে, জানান তথ্যমন্ত্রী। অচিরেই দেশের চলচ্চিত্র জগতের বিশাল ইতিবাচক অগ্রযাত্রা সকলের দৃষ্টিগোচর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তথ্য থেকে ‘তথ্য ও সম্প্রচার' মন্ত্রণালয় নাম প্রস্তাবিত

          মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর এই মন্ত্রণালয়ের নাম ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়’ই ছিল। পরে কোনো একসময় এটি পরিবর্তন করা হয়েছে। সম্প্রচারের বিষয়টা এই মন্ত্রণালয়ই দেখে। যেমন টেলিভিশনের সম্প্রচার, অন্যান্য মাধ্যমের সম্প্রচার, সমস্ত বিষয় এই মন্ত্রণালয়ের অধিভূক্ত। এখন যেমন তথ্য মন্ত্রণালয় আছে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও আছে, এতে করে নানা জটিলতা এমনকি চিঠিপত্র উল্টাপাল্টা হয়ে যাচ্ছে।’

          ড. হাছান বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয়ে এখন টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন, আইপিসহ সম্প্রচারের কাজ ব্যাপক। বঙ্গবন্ধুর সময় এই মন্ত্রণালয়ের নাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ছিল এছাড়া ভারত, পাকিস্তানেও এই মন্ত্রণালয়ের নাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এসকল কারণেই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এটি মন্ত্রিসভায় পাশ হতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেতে হবে, সর্বশেষ রাষ্ট্রপতিরও অনুমোদন লাগবে। এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।’ 

#

আকরাম/রোকসানা/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৮৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৯৯০

বায়োটেক প্লাজমা প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

                                                          -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

গাজীপুর, ১৬ ফাল্গুন (১ মার্চ) :

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, অরিক্সের বায়োটেক প্লান্ট স্থাপন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বায়োটেক প্লাজমা প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করল এবং রক্তের প্লাজমা বিশ্লেষণ করে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ প্রস্তুত করার পথও সুগম হলো।

          প্রতিমন্ত্রী আজ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে চীনভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি অরিক্স বায়োটেক প্লাজমা ফ্রাকশানেশন প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা ব

2021-03-01-22-55-72b868679c808575a97aefc8fc870ad6.docx