তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৮
নারীর সহযোগিতা ছাড়া কোনো জাতি যোগ্য নাগরিক পায় না
--- মতিয়া চৌধুরী
ঢাকা, ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :
নারী দিবস মনে করিয়ে দেয় নারীরাই এই জগতের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। নারীসমাজকে এখন আর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজে না লাগিয়ে সামনে নিয়ে এসে সরাসরি কাজে লাগাতে হবে। সম্মানের আসনে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। নারীর সহযোগিতা ছাড়া কোনো জাতি যোগ্য নাগরিক পায় না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণার উৎস ছিল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধেও নারীদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আজ ঢাকায় সুপ্রিম কোর্টের শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে দক্ষিণ বাংলা নারী আইজীবী পরিষদ আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নারীদেরকে বঞ্চনা, লাঞ্ছনা থেকে মুক্ত করে তাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গভীর উপলব্ধি থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর নারীসমাজের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেন। তিনি আমাদের উপহার দেন বাহাত্তরের অনন্য সংবিধান যা কেবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির কথাই বলেনি; অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে নারী-পুরুষের সমতাও সমুন্নত করেছে। জাতির পিতা জাতীয় সংসদে সর্বপ্রথম নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত করেন। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। যার ফলে বাংলাদেশের প্রথম সংসদেই নারীরা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়।
মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের সমাজে সম্মানিত করেছেন, সুেেযাগ দিয়েছেন মাথাউঁচু করে দাঁড়াবার। এর ফলে আজ বাংলাদেশে স্পিকার, মন্ত্রী থেকে শুরু করে এমপি, রাষ্ট্রদূত, সচিব, বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সশস্ত্রবাহিনী, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, শিল্প সাহিত্য,ব্যাবসাবাণিজ্য সবক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে। বিশ্ব শান্তিরক্ষা মিশনেও নারীরা মেধা, যোগ্যতা দিয়ে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। বাংলাদেশকে ২০২১ সাল নাগাদ একটি মধ্যমআয়ের রাষ্ট্র ও ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন নারীকে বাদ দিয়ে সম্ভব না।
দক্ষিণ বাংলা নারী আইজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজমুন আরা সুলতানা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আহ্বায়ক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এবং প্রধান বক্তা অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
#
গিয়াস/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৭
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ধর্মের অপব্যাখ্যা বড় বাধা
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ ) :
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ধর্মের অপব্যাখ্যা বড়বাধা বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। নারীর অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা এবং নারীর প্রতি সবধরণের সহিংসতা বন্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা ছাড়া দেশের সার্বিক চিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব নয় এবং নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ উপলব্ধি থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর নারীসমাজের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেন এবং তিনিই প্রথম জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত করেন। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ। যার ফলে বাংলাদেশের প্রথম সংসদেই নারীরা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন এবং এর মাধ্যমে দেশে নারী উন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এই বিপুল সংখ্যক নারীকে উন্নয়ন প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই অনুধাবন থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে নারী উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। কিন্তু ২০০১ সালে একটি দল সরকার গঠন করলে নারী উন্নয়ন থমকে দাঁড়ায়। অতঃপর জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠন করলে দেশের নারী সমাজ আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
আনিসুল হক আরো বলেন, নারী উন্নয়নে অগ্রমুখী কৌশল গ্রহণের ফলেই আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, হুইপ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন, বিচারপতি, সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডিসি, এসপিসহ সরকারের সকলক্ষেত্রে নারীদের দৃপ্ত পদচারণা। এমনকি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিপুলভোটে জয়ী হয়ে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন, যা বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. নমিতা হালদার, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব আফরোজা খান এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/মাহমুদ/সেলিম/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৬
জঙ্গি সঙ্গীদের ছোবলমুক্ত দেশ গড়তে কাজ করবে শিল্পীসমাজ
-- বিএফডিসিতে তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ ) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘রাজাকার ও জঙ্গির সঙ্গী এবং পৃষ্ঠপোষকেরা যাতে দেশের ওপর আর ছোবল হানতে না পারে, সেজন্য শিল্পীসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। স্পষ্ট বলতে হবে, রাজাকার ও জঙ্গিরা যদি খারাপ হয়, তাদের সঙ্গী এবং পৃষ্ঠপোষকেরাও খারাপ ও পরিত্যাজ্য।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের জহির রায়হান মিলনায়তনে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি আয়োজিত ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালকদের সংবর্ধনা’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর মরদেহে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে অন্তিম শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী। জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরিন আখতারসহ দলের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
চলচ্চিত্রসভায় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে নিজের পথে রাখতে এই অগ্নিঝরা মার্চে বঙ্গবন্ধু যেমন পাকিস্তানকে বিদায় দেন, তেমনি পাকিস্তানের দালাল রাজাকার-জঙ্গি সঙ্গীদেরও আজ রাজনীতি থেকে বিদায় জানাতে হবে। আর একাজে শিল্পীসমাজকে নিতে হবে অগ্রণী ভূমিকা।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের ছাতার নিচে চলচ্চিত্র-শিল্পসাহিত্য বিকশিত হচ্ছে। সমগ্র চলচ্চিত্র অঙ্গন মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে। এখানে রাজাকার ও জঙ্গিদের কোনো স্থান নেই।
মন্ত্রী সকল গুণী চলচ্চিত্র পরিচালকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে একাগ্রভাবে কাজ করছে। সাভারের কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি নির্মাণ প্রায়পূর্ণ ও এফডিসিসংলগ্ন স্থানে চলচ্চিত্র কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। নির্মিত হয়েছে আধুনিক ফিল্ম আর্কাইভ।
তথ্যমন্ত্রী এসময় কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেন ও আব্দুল জব্বার খান স্মরণে ঢাকায় দু’টি সড়কের নামকরণের উদ্যোগ নেবার ঘোষণা দেন এবং বলেন, চলচ্চিত্র বিকাশে বিএফডিসি’র নতুন মুখের সন্ধানকাজেও সহায়তা দেবে তথ্য মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত একুশজন চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্যে প্রয়াত কলিম শরাফী, জহির রায়হান, ওবায়েদ-উল-হক, সৈয়দ শামসুল হক, হুময়ূন আহমেদ, আলি মনসুর, সুভাষ দত্ত, আব্দুল্লহ আল মামুন, আব্দুল জব্বার খান , সাদেক খান, খান আতাউর রহমান, চাষী নজরুল ইসলাম ও তারেক মাসুদের প্রতিনিধিদের হতে এবং আমজাদ হোসেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, এটিএম শামসুজ্জামান, তানভীর মোকাম্মেল ও ইলিয়াস কাঞ্চনের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী সুচন্দা, ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, খোরশেদ আলম খসরু, মেহের আফরোজ শাওনসহ সংবর্র্ধিত চলচ্চিত্রকারবৃন্দ তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৪
লক্ষ্মীপুরে দরিদ্রদের মাঝে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রীর চাল বিতরণ
লক্ষ্মীপুর, ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ ) :
দেশকে আরো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চাইলেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল।
মন্ত্রী আজ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণ করেন। এ সময় আগামী এক মাসের মধ্যে লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরীর হাট থেকে ঢাকা পর্যন্ত দু’টি লঞ্চ সার্ভিস চালু করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী চন্দ্রগঞ্জ ও হাজির পাড়া ইউনিয়নের ১ হাজার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ৩০ কেজি হারে চাল বিতরণ করেন।
#
মাহবুবুর/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪৩
বিশ্ব কিডনি দিবসের আলোচনা সভায় তারানা হালিম
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নারীর ক্ষমতায়ন দরকার
ঢাকা, ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক নারী। নারী যদি ক্ষমতায়িত না হয়, অর্থনৈতিক মুক্তি না ঘটে তাহলে কখনই আমরা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো না। একইভাবে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও যদি তাদের সুস্বাস্থ্যের প্রতি নজর না দেই, তাহলে সুন্দর ও সবল জনগোষ্ঠী কখনও পাবো না। সে কারণেই নারীদের সঙ্গে নিয়ে, তাদের সমান অধিকার, চিকিৎসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বাত্মক সমান অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে তবেই একটি জাতিকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় ইনস্টিটিউট অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে কিডনি ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ডাক্তারদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সারাদেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, চিকিৎসার জন্য এ ক্লিনিকগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্লিনিকগুলোতে নারীর প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন একটি শক্তভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, নারীদের গড়আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশে নারী যখন কর্মক্ষমতার বাইরে চলে আসে এবং পারিবারিক সঞ্চয় থাকে না প্রবীণ এ নারীদের স্বাস্থ্য ইস্যু তখন অত্যন্ত মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি নারীদের স¦াস্থ্যবীমা করার বিষয়ও গুরুত্বারোপ করেন। নারীদের লক্ষ্যে গৃহীত সরকারের বিভিন্ন ভাতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সরকার নারীবান্ধব সরকার, এ সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দেশের নারীদের ভাগ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হয়। নারীর সুস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হলে নারী তার সন্তানকে সুন্দরভাবে মানুষ করতে পারবে, তার জীবনের সময়কাল বর্ধিত হবে, তবেই নারী একটি সুন্দর সুশিক্ষিত প্রজন্ম উপহার দিতে পারবে বলেন তিনি।
বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র সভাপতি অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ এবং বাংলাদেশ রোনাল এসোসিয়েশন মহাসচিব
ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
এর আগে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
#
এনায়েত/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪২
মতলবে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন হবে
---- মায়া চৌধুরী
মতলব উত্তর, (চাঁদপুর), ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, মতলবে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন হবে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ভবন হয়ে গেছে। শিগগিরই অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ হবে।
মন্ত্রী আজ মতলব উত্তর উপজেলার ঝিনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪র্থ তলা ফাউ-েশন বিশিষ্ট ভবনের প্রথমতলার নির্মাণ শেষ করে। পৌর চেয়ারম্যান রফিকুল আলম জজের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন মানিক, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ মঞ্জু বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ও এর মান উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রত্যেক সংসদীয় আসনে ১০টি নতুন একাডেমিক ভবন, ১০টি একাডেমিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে সকল কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ শেষ করেছে। তিনি আরো বলে, দেশের সকল উপজেলায় আইসিটি শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি ল্যাব স্থাপন করেছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার জন্য প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। মায়া চৌধুরী আরো বলেন, উন্নত ভবিষ্যত গড়তে হলে পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ আধুনিক যুগে চাকুরির মাধ্যমে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে ব্যাপক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। সন্তানের লেখাপড়ার জন্য শিক্ষকদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করে অভিভাবকদের ও যতœশীল হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাল্যবিবাহ, মাদক ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে শিক্ষক ও অভিভাবক সবাইকে সমভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী এর পূর্বে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নবনির্মিত মায়া বীরক্রিম সড়কের ফলক উন্মোচন করেন এবং তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। শিক্ষার উন্নয়নে তিনি শিক্ষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন ।
#
ওমর ফারুক/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪১
চলমান বিশ্বের উপযোগী করে কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ ) :
কারিগরি শিক্ষাই হবে দেশের টেকসই উন্নয়নের মূল হাতিয়ার। কারিগরি শিক্ষাই কেবল পারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। চলমান বিশ্বের উপযোগী করে এজন্য কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ ঢাকায় স্থানীয় এক হোটেলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ‘স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (ঝঞঊচ)’ আয়োজিত দেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী ‘ইঁরষফরহম ইৎধহফ ভড়ৎ ঝশরষষং ড়ভ ইধহমষধফবংয’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস্ অফিসার ড. মোঃ মোখলেসুর রহমান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ বি এম আজাদ, বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি ঝযরৎড় ঘধশধঃধ, সিঙ্গাপুরের নানইয়াং পলিটেকনিকের পরিচালক অহঃযড়হু ডড়ড়হ, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, বিশ্বব্যাংকের চীন প্রতিনিধি খরঢ়রহম ঢরধড়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড ট্রাস্টির চেয়ারম্যান সবুর খান, বিশ্বব্যাংক ভারতের প্রতিনিধি শবনম সিনহা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কিলস কাউন্সিল ফর আইসিটি’র চেয়ারম্যান শাফকাত হায়দার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী কারিগরি শিক্ষায় এ ধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত যে কোনো দেশে কারিগরি শিক্ষার হার ৬০ শতাংশের অধিক। বাংলাদেশ এখনো অনেক পেছনে পড়ে আছে। তবে ২০০৯ এর পূর্বে এ হার ১ শতাংশ ছিল। বর্তমানে তা ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তাই ২০২০ সালের মধ্যে এ হার ২০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রণয়ন করা হয়েছে বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষা হতে হবে দক্ষতানির্ভর। প্রত্যাশিত দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে উচ্চশিক্ষা নিয়ে অধিকাংশকেই বেকারত্বের জ্বালা ভোগ করতে হয়, সাথে সাথে পরিবার ও রাষ্ট্র বেকারত্বের বোঝা বহন করে। সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে আর এর মধ্যে কারিগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং কারিগরি শিক্ষাকে আধুনিকায়নের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশসহ চীন, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভারত ও স্কটল্যান্ডের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, অধ্যক্ষ, শিল্পকারখানার মালিক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
সুবোধ/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪০
হংকং-এ প্রাইম সোর্স ফোরামে বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান
ঢাকা, ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ):
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগকারীরা এখন শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন, প্রয়োজনে বিনিয়োগকৃত শতভাগ অর্থ এবং লাভ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে ডাবল ট্যাক্স ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১শ’টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে হংকং-এর বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
মন্ত্রী আজ হংকং-এর হোটেল শেরাটন এইচকে-তে প্রাইম সোর্স ফোরাম আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘১৩তম প্রাইম সোর্স ফোরাম’এ ‘দ্য গ্লোবাল ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রি এন্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কী নোট উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিশে^র মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরিপোশাক রপ্তানিকারক দেশ। দেশের রপ্তানির প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরিপোশাক রপ্তানি থেকে। জিডিপিতে এ সেক্টরের অবদান প্রায় ১৩ ভাগ। এ শিল্পে জনবল প্রায় ৫০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই নারী। দেশের তৈরিপোশাক কারখানাগুলোকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হয়েছে। ইউএসগ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল স্বীকৃত ৬৭টি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। নিবন্ধিত রয়েছে আরো ২২০টি। এবার ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল যে ১০টি তৈরিপোশাক ফ্যাক্টরিকে এনার্জি এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেট দিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের ৭টি রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখলকারী প্রতিষ্ঠান তিনটিও বাংলাদেশের। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক খাত এখন শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ শুধু ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশই হবে না, এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এতে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি বা দরিদ্র দেশের রোল মডেল নয়। বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় দেশ। দেশের ৮৯ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে, শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে না।
ফোরামে যোগ দিতে বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল রাতে হংকং-এর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। আগামী ৯ মার্চ মন্ত্রী দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
#
বকসী/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৭৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩৯
সেতুমন্ত্রীর স্বাক্ষর নকল করে আধাসরকারি পত্র প্রেরণ বিষয়ে জ্ঞাতব্য
ঢাকা, ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ):
একটি অসাধুচক্র সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর স্বাক্ষর নকল করে বিভিন্ন স্থানে আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) প্রেরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রকৃতপক্ষে, চাকুরি প্রাপ্তি, বদলি, পদোন্নতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রী কোনরূপ ডিওপত্র দেন না। এ সকল বিষয়ে কোনো ডিওপত্র পেলে তা মন্ত্রীর দপ্তর থেকে (টেলিফোন নম্বর:
০২-৯৫১৫৫৩৩) নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
এছাড়া এ অসাধুচক্রের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ইতিমধ্যে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
#
নাছের/অনসূয়া/শহিদ/শামীম/২০১৮/১৫২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩৮
কেয়ার গিভার ট্রেড প্রশিক্ষণ প্রদানে বিএমইটি ও ইউএমটিটিআই এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
ঢাকা, ২৪ ফাল্গুন (৮ মার্চ):
আজ ঢাকার ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘কেয়ার গিভার ট্রেডে’ প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং ইউনিভার্সেল মেডিকেল এন্ড টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ইউএমটিটিআই) এর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বিএমইটি’র মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা এবং ইউএমটিটিআই এর চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রেরণ বাংলাদেশের শ্রম বাজারের জন্য একটি মাইল ফলক। জাপান একটি উন্নত দেশ। সেখানে টেকনিক্যাল ইন্টার্নদের কর্মপরিবেশ ভাল এবং বেতনও বেশি। তিনি আরো বলেন, জাতিকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রেরণে আমরা ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সমানভাবে ভাষা প্রশিক্ষণকেও গুরুত্ব প্রদান করছি।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিদেশ গমনেচ্ছু প্রশিক্ষণার্থীদের কেয়ার গিভার ট্রেডে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গন্তব্য দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, রীতিনীতি, খাদ্যাভ্যাস, আইনকানুন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/শহিদ/শামীম/২০১৮/১৫১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩৭
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন
লন্ডন, ৮ মার্চ :
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। এ উপলক্ষে হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. নাজমুল কাওনাইন সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট, সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। গাফ্ফার চৌধুরী তার বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ইতিহাসের প্রধান কয়েকটি ভাষণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ সর্বকালের সেরা ভাষণের মধ্যে একটি এবং এ কালজয়ী ভাষণ বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত ও মুক্তিকামী মানুষকে সবসময় অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাবে।
সভাপতির বক্তৃতায় হাই কমিশনার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের মহান শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বাংলা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং হাই কমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
অনসূয়া/শহিদ/শামীম/২০১৮/১২২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩৬
মিলানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্যাপন
মিলান, ৮ মার্চ:
যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলানে গতকাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে কমিউনিটি নের্তৃবৃন্দ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে এ ভাষণের গভীর সার্বজনীন আবেদনের কথা তুলে ধরেন। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে ভাষণটি প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার ঘোষণা হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের দীর্ঘ নয়মাসব্যাপী সংগ্রামে নিরন্তর অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে; যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ গঠন ও রাষ্ট্রদর্শনের ক্ষেত্রে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আলোক বর্তিকা হয়ে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
#
হাসান/অনসূয়া/শহিদ/সুবর্ণা/শামীম/২০১৮/১২২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩৪
নিউইয়র্কে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর আলোচনাসভা
নিউইয়র্ক, ৮ মার্চ :
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল -এর যৌথ উদ্যোগে কনস্যুলেট জেনারেলের মিলনায়তনে ৭ মার্চ ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান একটি বিরল সম্মান উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, এই ভাষণ আর বাংলাদেশের ভূখ-ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি এখন স