তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬৪
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়ন করেছে সরকার
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
খুলনা, ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট):
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী, ডিজিটাল এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার পরিবেশ প্রয়োজন। এজন্য সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়ন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনা মহানগরীর গোয়ালখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা অনুরাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মানকে উন্নত বিশ্বের শিক্ষার স্তরে উন্নিত করার প্রতি জোর দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম প্রতিবছর জানুয়ারির এক তারিখেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বই উৎসব করছে। গরীব শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে লেখাপড়া করতে পারে এজন্য উপবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সকল নাগরিকের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবার মান উন্নত করেছে। বিনামূল্যে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিলসহ গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। অসহায় মানুষের সহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। প্রতিমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যার যার অবস্থান থেকে সমাজের সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একতলা ভবনটি নির্মাণ করেছে। পর্যায়ক্রমে এই ভবনটি ছয়তলা পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
গোয়ালখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এসএম খসরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গৌতম সরকার এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ হাসিনা পারভীন বক্তৃতা করেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী দৌলতপুর নতুন রাস্তার মোড়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে যোগদান করেন।
#
আকতারুল/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬৩
ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য পরিবেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য (ই-বর্জ্য) পরিবেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ই-বর্জ্যের ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে মূল্যবান সম্পদ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। ই-বর্জ্য নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অনেক অভাব। এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ ঢাকার বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিস মিলনায়তনে ওয়ালটন আয়োজিত ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সেশন-৩ ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ স্মাগলিং অথবা মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ডিজিটাল ডিভাইস বা যে কোনো ধরণের পণ্যের অবৈধ প্রবেশ ঠেকানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, আমরা অন্য দেশের ইলেকট্রনিক পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন হতে পারি না। মন্ত্রী বলেন, ই-বর্জ্য ব্যস্থাপনা একটি কঠিন কাজ। সফলভাবে ই-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সমস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য তা হবে অত্যন্ত কল্যাণকর।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বে যোগ্যতা অর্জন করেছে। মন্ত্রী উদ্ভাবনের জন্য গবেষণায় যথাযথ বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, গবেষণায় বিপুল বিনিয়োগের ধারাবাহিকতায় চীনের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গোটা ইউরোপ ও আমেরিকাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী উদ্বাবনের জন্য গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ওয়ালটন বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি করছে। তিনি বলেন ‘ওয়ালটন ডানা ঝাপটাচ্ছে।’ একটু সহযোগিতা পেলে একদিন তারা আকাশে উড়বেই। কোরিয়া, চীন, জাপানের ব্র্যান্ডিং প্রতিষ্ঠান আছে। বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন বিশ্বে পরিচিতি অর্জন করবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ও পরিবেশ রক্ষায় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ওয়াল্টনের উদ্যোগকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ওয়ালটনের মত দেশের সকল ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিজসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে।
ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম শামিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়খুজ্জামান, ডিএমডি ইভা রেজুয়ানা এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬২
বিএনপি-জামাত জোটসহ নাম সর্বস্ব কয়েকটি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে
-- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট):
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বাঙালি জাতির শোকের মাসেও বিএনপি-জামাত জোটসহ নাম সর্বস্ব কয়েকটি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি এসব ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, শেখ হাসিনার সাহসী ও সময়োপযোগী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সদা সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি দেশের উন্নয়ন, শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও প্রগতির ধারাকে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে। এদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামকে নগর সুবিধার আওতায় আনতে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন বরিশাল জেলার প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন কাজ সফলভাবে চলছে। তিনি এসব কর্মসূচির সুফল বরিশালবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সমন্বিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সংগঠনের কার্যক্রম আরো গণমুখী ও বরিশালবাসীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
#
আহসান/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬১
কৃষিতে সুশাসন ও বেশি বরাদ্দের ফলেই উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য
--- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট):
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বরাদ্দ বেশি দেওয়ার ফলেই উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার সার, সেচ, বীজসহ কৃষি উপকরণের যেমন দাম কমিয়েছে, তেমনি বিতরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। এর ফলে গত ১৫ বছরে কৃষি উপকরণের দাম বাড়েনি, কোন রকম সংকটও হয় নি। অন্যদিকে বিএনপির আমলে কৃষি উপকরণের চরম সংকট ছিল। অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে চার- পাঁচ হাজার টাকা দিয়েও এক বস্তা সার পাওয়া যেতো না, সারের জন্য কৃষককে জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছে।
আজ রাজধানীর দিলকুশায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) মিলনায়তনে সংস্থাটি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএডিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত হলে কোরকম ছাড় দেওয়া হবে না। যারা প্রকল্প দেখলেই প্রকল্প পরিচালক বা পিডি হওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন, তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে ; তারা খুব একটা সম্মানের জায়গায় নেই।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৫ জন খুনী এখনো বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। যেসব দেশে এরা আশ্রয় নিয়েছে, সেসব দেশ তাদের প্রচলিত আইনের অজুহাতে ফেরত দিচ্ছে না। কিন্তু এটি হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা স্বঘোষিত ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত খুনী। এরকম ঘৃণ্য খুনীদেরকে কোন দেশই কোনরকম আইনের অজুহাতে আশ্রয় দিতে পারে না।
অনুষ্ঠানে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আব্দুল আউয়াল, বিএডিসির সচিব মোঃ আশরাফুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬০
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিটি,
কাতার এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট):
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিটি, কাতার এর মধ্যে আজ ঢাকায় সোনারগাঁ হোটেলে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স¦াক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
কমিশনের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মোঃ সেলিম রেজা। কাতারের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে ড. মোহাম্মদ সাইফ আল কুয়ারি, ডেপুটি চেয়ারপারসন, জাতীয় মানবাধিকার কমিটি, কাতার স¦াক্ষর করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মইনুল কবির, সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিটি, কাতার এর মহাসচিব সুলতান আল জামালি, বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতার দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স সাঈদ জারাল্লা আল- সামিখ, এবং উক্ত দুতাবাস ও কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তির আওতায় দুই দেশের মানবাধিকার কমিশন/কমিটি আন্তর্জাতিক কনভেনশনের আলোকে নিজ নিজ জাতীয় আইনি কাঠামো শক্তিশালীকরণ, মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ এবং যৌথ গবেষণা সম্পাদন, যৌথভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি ও মিডিয়া কার্যক্রম গ্রহণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম যৌথভাবে সম্পাদন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষত প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় কাতার ও বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একযোগে কাজ করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাসমূহ নিজ নিজ দেশের মানবাধিকার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আমি আশা করব, এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতারের মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর দুই কমিশনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় কাতারের মানবাধিকার কমিটির সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও, আন্তর্জাতিকভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন-কে এ স্ট্যাটাস প্রাপ্তির বিষয়ে কাতারের মানবাধিকার কমিশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করে। কমিশন চেয়ারম্যান ড কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কাতারের জাতীয় মানবাধিকার কমিটির চেয়ারপারসন গ্লোবাল এলায়েন্স অফ ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইন্সটিটিউশনস এর চেয়ারপারসন। কাজেই বাংলাদেশের কমিশনকে এ স্ট্যাটাস প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কাতারের মানবাধিকার কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। ফলে, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
#
রেজাউল/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫৯
মাসুদা ভাট্টি এবং শহীদুল আলম ঝিনুক নতুন তথ্য কমিশনার
ঢাকা, ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট):
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি এবং অবসরপ্রাপ্ত মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) শহীদুল আলম ঝিনুক নতুন দুই তথ্য কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ১৫(১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ মর্মে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে ।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সাবেক তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগমের স্থলাভিষিক্ত হলেন। পূর্বতন তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক গত ২১ মার্চ ২০২৩ তারিখে প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় তথ্য কমিশনারের শূন্য পদে নিযুক্ত হয়েছেন শহীদুল আলম ঝিনুক। বিধি অনুযায়ী তথ্য কমিশনার পদে নিযুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর অথবা নিযুক্তের বয়স ৬৭টি বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যেটি আগে হয়।
নতুন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক দশম বিসিএস কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১ সালে বিচার বিভাগে যোগ দেন এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন পদ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অবসরোত্তর ছুটিতে যান। আর বিবিসি ও মস্কো টাইমসে সাংবাদিকতা করে আসা রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গ্রন্থকার মাসুদা ভাট্টি দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
#
আকরাম/এনায়েত/শামীম/২০২৩/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫৮
বিএনপি কি শুধু তারেকের লাঠিয়াল বাহিনী হবে না কি রাজনৈতিক দল
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি কি শুধু তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবে না কি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে, সেটি নিয়ে আজকে বিএনপির ভাবা উচিত।’
আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তারেক রহমান চান তিনি নিজে যতোদিন নির্বাচন করতে পারবেন না, ততোদিন বিএনপির কেউ নির্বাচন করতে পারবে না। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বা জাতীয় সংসদ নির্বাচন, কোনোটিই না। এমনকি এমপি নির্বাচিত হলেও শপথ নিতে দেয় না। মির্জা ফখরুল সাহেব এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন, শপথ নিতে দেয় নাই। আবার দলের অন্যরা সংসদ সদস্য হওয়ার ক’দিন পরে বলে যে সংসদে থাকা যাবে না। বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে আমার প্রশ্ন, যে দল আপনাদের কোনো নির্বাচন করতে দেয় না, সেই দল কেন করেন। আপনারা কি শুধু তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না কি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবেন, সেটি নিয়ে ভাবা উচিত।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অদ্যম গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের এই উন্নয়ন-অগ্রগতি আরো বেশি হতে পারতো যদি বিএনপি এবং তার মিত্ররা দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতি না করতো। বিএনপি-জামাত, তাদের মিত্ররা আর টেলিভিশনের পর্দা গরম করা কেউ কেউ কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না। ফখরুল সাহেব পদ্মা সেতু দিয়ে পার হয়েও ওপারে গিয়ে বলেন দেশে কোনো উন্নয়ন হয় নাই। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলেন দেশে কোনো উন্নয়ন হয় নাই, কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।’
বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য উল্লেখ করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ৫শ’ ৬০টি নতুন মসজিদ বানান আর বিএনপি ৫শ’ জায়গায় একযোগে বোমা ফাটায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেন, আর বিএনপি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দেয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে বই দেন, আর বিএনপি পাঁচশ স্কুল ঘর একসাথে পুড়িয়ে দেয়, সাথে বইও পুড়িয়ে দেয়। আমরা যখন জঙ্গি ধরি তখন তারা বলে যে দেশে কোনো জঙ্গি নাই। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকতো দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতো। জঙ্গি পোষণ-জঙ্গি পালন, সন্ত্রাসী তোষণ এবং সন্ত্রাসী পালন এই রাজনীতিই বিএনপি করে।’
বিএনপির কর্মপন্থার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বিএনপি মানুষের কাছে যায় না, তারা প্রতিদিন কোনো না কোনো দূতাবাসে ঘুরে বেড়ায়। এখন তারা চুপসে গেছে। চেহারা সব মলিন। কারণ বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দেখতে পেলো যে তারা পরীক্ষায় পাস করে নাই, ফেল করেছে। আপনারা জঙ্গিদের নিয়ে রাজনীতি করবেন, জোটের মধ্যে তালেবানদের রাখবেন, জঙ্গি ধরলে বলবেন নাটক, দেশকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভক্ত করবেন এবং মানুষের গাড়ি-ঘোড়া পোড়াবেন, মানুষকে অবরূদ্ধ করে রাখবেন, পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করবেন, আপনার সাথে জনগণও থাকতে পারে না বিদেশিরাও থাকতে পারে না। যারা অপরাজনীতি করে তাদের সাথে কেউ থাকতে পারে না, সেই কারণে আজকে বিএনপির এই দশা।’
আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে অবদান রেখেছে, স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেছে, স্বাধীনতার পর দেশ গঠনেও অবদান রেখেছে বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিনেমা নির্মাণের সাথে যারা যুক্ত তারা জানেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দেশ গঠনের লক্ষ্যে সিনেমা নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তখন ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘ওরা এগারো জন’ এমন সিনেমা নির্মিত হয়েছে, যেগুলো দেশ গঠনে অবদান রেখেছে।
বঙ্গবন্ধু ও রাজনীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান বলেন, রাজনীতিবিদ যদি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে হয়তো ক্ষমতায় যায়, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় স্থান পায় না। বঙ্গবন্ধু কখনো ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি। সবসময় মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। সে কারণে বঙ্গবন্ধু যেমন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, তেমনি দেশমাতৃকার তরে যারা রাজনীতি করে বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে তাদের অনেক কিছু শেখার আছে। রাজনীতি একটি ব্রত, দেশসেবা, মানবসেবা, সমাজসেবার ব্রত। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ সেটা মনে করেন না, মনে রাখেন না। এটিই আজকের দিনের বাস্তবতা। চট্টগ্রাম থেকে অনেকেই মন্ত্রী হয়েছেন, কারো কথা কেউ মনে রাখেনি। কিন্তু দেশপ্রেমী সূর্যসেন ইতিহাসের পাতায় আছেন এবং ইতিহাস যতোদিন থাকবে সূর্যসেনও ততোদিন থাকবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র লীগের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি এবং চলচ্চিত্র লীগের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং চলচ্চিত্র লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সহসভাপতি দিলারা ইয়াসমিন, পরিচালক এস এ হক অলীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা দেবু প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন। বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন ও চলচ্চিত্র শিল্পী-কলাকুশলী, পরিচালক, প্রযোজক, পরিবেশকবৃন্দ সভায় যোগ দেন।
#
আকরাম/এনায়েত/শামীম/২০২৩/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ সময় ৭২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১২ হাজার ৬৬২ জন।
#
সুলতানা/এনায়েত/আব্বাস/২০২৩/১৮৪০ ঘণ্টা
Handout Number: 656
Algerian Finance Minister's meeting with Foreign Minister Dr. Momen in Johannesburg
Dhaka, 24 August:
Minister of Finance and Head of Algerian delegation to BRICS Outreach Forum Laaziz FAID paid a courtesy call on with the Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen yesterday in the place of residence in Johannesburg, South Africa.
Foreign Minister and the Algerian Finance Minister exchanged views on various bilateral issues of mutual interests. Foreign Minister informed the long historical relations between both countries, which was pioneered by our Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and expressed satisfaction at the state of excellent bilateral relations between Bangladesh and Algeria, which is growing in various fields including political, economic, business, trade, and investment. He also informed him about Bangladesh’s earnest interest in joining BRICS. The Algerian Finance Minister reiterated the NAM Summit of 1973 and defined BRICS as a fruit of NAM.
Both parties agreed that despite excellent relations there are still huge untapped prospects between the countries. Dr. Momen requested Algerian Finance Minister to exhilarate the process of completing the Agreement on ‘Reciprocal bilateral promotion and protection of investment’ and ‘Avoidance of double taxation’. He also informed the Algerian Finance Minister about the socio-economic development and economic prospects. Highlighting that Bangladeshi pharmaceuticals exports to more than 100 countries, Foreign Minister suggested that Algeria can import the best quality pharmaceutical products from Bangladesh at a reasonably low price. Both countries may also start a joint venture on pharmaceuticals. He also proposed cooperation in IT and ICT sectors, defence, construction sectors, edible oil, and agriculture.
Both countries also agreed to hold high-level visits in the next year. While reflecting on the current energy/oil crisis, given the growing demand in Bangladesh due to the expansion of the economy, the Foreign Minister stated that Bangladesh needed brotherly support from Algeria to meet its energy needs. He expressed our keen interest in buying LNG from Algeria.
During the meeting, the Algerian Finance Minister said he would take up the issue with the concerned stakeholders. Algerian Finance Minister also underlined the need to engage more efforts to scale up bilateral collaboration beyond the traditional one. Foreign Minister invited him to Bangladesh. He stressed the need for expanding cooperation in the new and emerging areas through a time-bound and target-oriented roadmap and expediting pending agreements, MOUs, and new areas of collaboration. The Algerian Foreign Minister agreed to conclude those agreements as soon as possible.
Bangladesh Ambassador to Algeria and Foreign Ministry officials were also present during the call on.
#
Mohsin/Enayet/Abbas/2023/1838 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫৫
‘৭১ এর পরাজিত শক্তি ও ৭৫ এর খুনীরাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে’
শহিদ আইভি রহমানের স্মরণ সভায় প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
ঢাকা, ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকারীরাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে। খুনীদের মূল লক্ষ্য ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা।
তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও নির্দেশে ২১ আগস্টের হামলা হয়। তারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে পূনরায় পাকিস্তানে পরিনত করতে চেয়েছিল। খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট হামলা নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা করতে দেয়নি।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির অডিটোরিয়ামে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় শহিদ আইভি রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
২১ আগস্টের স্মৃতি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি তখন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সেদিন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে র্যালিতে ট্রাকের সিড়ির সামনে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। আইভি আপাও ছিলো। কর্মীদের যখন বললাম, এখনই নেত্রীর বক্তব্য শেষ হবে, তোমরা ব্যানারের কাছে যাও। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর পিচঢালা রাজপথ।
তিনি বলেন, আইভি রহমান ছিলেন কর্মীবান্ধব ও রাজপথের সাহসী নেত্রী। রাজনীতিতে তার অবদান চিরস্মরণীয়। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত খুনিদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়বের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার পরিচালনা পরিষদের সদস্য ফরিদা রেজা ও পারভীন জামান কল্পনা ও জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার বক্তৃতা করেন।
সভায় জাতির পিতা, ১৫ আগস্টের শহিদ ও ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
#
আলমগীর/এনায়েত/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী &nb