তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৫৮
দক্ষ জনশিক্ত গড়ে তোলতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে
--শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের উন্নয়নের প্রয়োজনে দক্ষ জনশিক্ত গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষা ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোগত ও শিক্ষা কার্যক্রমে গুণগত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
আজ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাষ্টপ্রতি ও আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
সমাবর্তনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ উপস্থিত ছিলেন । সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ওমর ইশরাক। সমাবর্তনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক মণ্ডলি উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে আসছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশ এবং বিশ্বের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আপনাদের সবাইকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।
উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট শিক্ষায় স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এ প্রত্যয়কে সামনে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই দেশের সকল পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরের কথা বলছি। পরিবর্তনশীল বিশ্বের শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের তাদের নিজ জীবন গড়ে তোলার পাশাপাশি পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বের প্রতি তাদের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালনে সচেষ্ট হবেন।
#
খায়ের/এনায়েত/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/২১৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৫৭
ডিজিটাল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে
---নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাবান্ধব সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে চলেছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বারিধারায় সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্ছিনিয়ার এম এ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হামিদা আলী ও আয়োজক কমিটির পক্ষে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের মালিবাগ, বনানী, বারিধারা, মিরপুর, উত্তরা এবং শ্যামপুর শাখার শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
#
জাহাঙ্গীর/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/২১০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১১৫৬
রাষ্ট্রপতির নিকট দুদক’র বার্ষিক প্রতিবেদন -২০২২ পেশ
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে উন্নয়নের প্রতিটি খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বঙ্গভবনে আজ রাষ্ট্রপতির নিকট কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২ পেশ করলে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দেন।
দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান এবং মোঃ জহুরুল হক ও সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে দুর্নীতির সাথে জড়িত না হয় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৯৫৭ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৫৪
প্রতিটি ছবিরই একটি নিজস্ব ভাষা রয়েছে
---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, প্রতিটি চিত্রকর্ম বা ছবিরই একটি নিজস্ব ভাষা রয়েছে। শিল্পী যখন তাঁর তুলির আঁচড়ে সেটিকে দর্শকদের সামনে সহজে বোধগম্য করে তুলতে পারেন, সেটিই একজন শিল্পীর সার্থকতা। ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন সে ধরনের একজন চিত্রশিল্পী যার প্রতিটি ছবি যেন কথা বলছে, জ্বলজ্বল করছে। প্রতিটি ছবিই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। তাঁর রঙের ব্যবহার ও থিম দেখে আমি বিস্মিত ও অভিভূত হয়েছি। বিমূর্ত ছবির ধারণা থেকে তিনি ছবিগুলো আঁকলেও এগুলোর কিন্তু বাস্তবতা রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের ৫নং গ্যালারিতে এসএটিভি আয়োজিত এসএটিভি'র চেয়ারম্যান ও প্রবাসী শিল্পী ফরিদা ইয়াসমিন পারভীনের সপ্তাহব্যাপী (২০-২৬ মার্চ) 'Colours of Life' শীর্ষক ১ম একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শখের বশে শিল্পী ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন ছবি আঁকা শুরু করলেও তাঁর এ প্রদর্শনীটি দর্শকনন্দিত হবে বলে আমি আশা করি। শিল্পীর সন্তানেরা যেভাবে তাদের মাকে উৎসাহ দিয়েছে সেটি প্রশংসার যোগ্য। প্রতিমন্ত্রী এসময় তরুণ প্রজন্মকে এ ধরনের প্রদর্শনী থেকে নান্দনিকতা ও সৃজনশীলতার শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এসএ টিভির পরিচালক শামসুল আলম পান্থ এবং এসএ টিভির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর এ আলম রুবেল।
উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে চিত্রশিল্পী ফরিদা ইয়াসমিন পারভীনের শতাধিক চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
#
ফয়সল/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/২০২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৫৫
জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
--- পরিবেশমন্ত্রী
কোপেনহেগেন (ডেনমার্ক), ২০ মার্চ :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আগামী ২৭ বছরের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা নতুন ও অতিরিক্ত অর্থ হিসেবে প্রতি বছর প্রায় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের এনডিসি লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য শর্তসাপেক্ষ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা থেকে প্রয়োজন ১৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের জলবায়ু অর্থায়নে সহজ এবং দ্রুত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
আজ ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের ঊরমঃাবফং চধশযঁং-এ অনুষ্ঠিত ‘ড্রাইভিং ক্লাইমেট অ্যাকশন, ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড প্রোগ্রেস’ থিম নিয়ে প্রথম কোপেনহেগেন মন্ত্রী পর্যায়ের জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে সমান ভারসাম্য রেখে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করার জন্য উন্নত দেশগুলোকে এই বছর থেকে বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবী দাতা সহায়তার বাইরে অভিযোজনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জরুরিভাবে নতুন, অনুমানযোগ্য এবং পর্যাপ্ত অনুদানভিত্তিক পাবলিক অর্থায়ন প্রয়োজন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ন্যাপ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক ব্যবস্থার সমাধান করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর প্রতি দ্বিগুণ অভিযোজন অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে। এলডিসি গ্রুপের অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে অনুদানভিত্তিক অভিযোজন সহায়তার জন্য জলবায়ু অর্থায়নের উচ্চাভিলাষী অবদান নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে আরো সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ভাগ নাগালের মধ্যে রাখার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন ৪৩ শতাংশ কমাতে 'মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম' সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশগুলিকে ঐকমত্য পোষণ করতে হবে। প্রশমন কর্মসূচিকে পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রশমন কর্মকাণ্ডের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সক্ষম করার শর্ত তৈরি করা উচিত।
এর আগে মন্ত্রী ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত একেএম শহীদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
#
দীপংকর/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/২০২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৫২
নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তার অবস্থা জানে বলেই তাদেরকে নির্বাচনি ভীতি পেয়ে বসেছে। এ কারণে তারা নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।’
আজ ঢাকায় কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবের ‘নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে আসলে নির্বাচনি ভীতি পেয়ে বসেছে। ভয় পাওয়া স্বাভাবিক, কারণ ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মহিলা আসনসহ মাত্র ৭টি আসন পেয়েছিল। তারা তাদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটি জানে, সে জন্য তাদেরকে নির্বাচনি ভীতি পেয়ে বসেছে। ফলে ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে তারা।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে অংশ নিক। অন্য সমস্ত গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে এখানেও নির্বাচনকালীন সরকার হবে চলতি সরকার এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কথা শুনলে একাত্তরের শান্তি কমিটির কথা মনে হয়’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘মির্জা সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। স্বাধীনতার পরে মির্জা ফখরুল সাহেবও অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন, এ জন্য উনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে, এছাড়া অন্য কিছু নয়। তারা যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি করে, হয় নিজেরা মারামারি করে অথবা পুলিশের সাথে মারামারি করে। দেশে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতি বজায় থাকে সে জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।’
এর আগে সেমিনারের বিষয় সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘একটা সড়ক দুর্ঘটনা শুধু একজন মানুষকে পঙ্গু বা হত্যা করে তা নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা করে, পঙ্গু করে দেয়। এটিকে বন্ধ করার জন্য যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইন রক্ষাকারীসহ আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একইসাথে টেলিভিশনগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। রাজনীতি নিয়ে এত টক শো হয়, সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও টক শো হওয়া প্রয়োজন, ভালো রিপোর্টিং হওয়া প্রয়োজন।’
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আল মাহবুব উদ্দীন আহমেদ, বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার, বার্তা সংস্থা ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বিআরটিএ পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রাব্বানী, এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাবিল তিরমাযি, এনআইএমসি পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ ও সেমিনার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদিক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এআইবিডি’র সহায়তায় আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০জন সাংবাদিক অংশ নেন।
#
আকরাম/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৫৩
শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে
--- শিল্পমন্ত্রী
মনোহরদী (নরসিংদী), ৬ চৈত্র (২০ মার্চ) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পাঠ্যবই পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
গতকাল নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে দেশে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। আজ প্রত্যেকের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট। পৃথিবীটা আজ আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। দেশের এই সুযোগ শিক্ষার্থীদের কাজে লাগাতে হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে।
একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি লুৎফুর কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খাইরুল মজিদ মাহমুদ চন্দন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ রায়।
এর আগে মন্ত্রী মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের শুকুর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয় ও পাঁচকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
#
মাহমুদুল/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১১৫১
বিশ্বে বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম, উন্নয়ন ও প্রগতির পথনির্দেশক
-- এনামুল হক শামীম
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। এই তিন সত্ত্বাকে ভাগ করা যায় না। বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে তিলে তিলে গড়ে তুলে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর রাষ্ট্রদর্শনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শোষণমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং বৈষম্যহীন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। তাঁর জীবনদর্শন ও রাজনৈতিক দর্শনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে উন্নয়ন দর্শন। তিনি সর্বদা প্রগতির জন্য কাজ করে গেছেন। তাই বিশ্বে বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম, উন্নয়ন ও প্রগতির পথনির্দেশক।
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: একুশ শতকের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন বা ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।’ সংবিধানের শীর্ষে সংযুক্ত প্রস্তাবনার এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনের মৌলিক উপাদানগুলো পাওয়া যায়।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত বিভিন্ন ভাষণ, আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি, ১৯৭০’র নির্বাচনি ইশতেহার, ১৯৭২’র মূল সংবিধান, ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনায় তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ, তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থসহ বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পত্রিকা ও নানা কর্মকাণ্ডে তাঁর উন্নয়ন দর্শন সম্পর্কিত চিন্তা-চেতনা, পরিকল্পনা ও প্রায়োগিক দিকসমূহ ফুটে ওঠে।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার স্বাধীনতা এবং গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। ঘাতকরা তাঁকে হত্যা করেও বাঙালি ও বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। ৫০ বছর আগের বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়ে এখন বিশ্বে গবেষণা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপ নিচ্ছে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন কবি কামাল চৌধুরী। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার সভায় বক্তব্য রাখেন ।
#
গিয়াস/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৯৫৭ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১১৫০
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৭৩০ জন।
#
সুলতানা/রাহাত/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৬৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১১৪৯
আগামীকাল বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
আগামীকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এর ফাইনাল খেলা ঢাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল খেলা উপভোগ এবং খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন।
‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে’র ফাইনালে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের নলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হবে। ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে’র ফাইনালে রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার বিনোদপুর কলেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোকাবিলা করবে নীলফামারী সদর উপজেলার পূর্ব পঞ্চপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে।
করোনাকালীন সাময়িক বিরতির পর আবারো শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্ট দুটির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ বিকাশ এবং শিশুদের মাঝে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলাবোধ, উদারতা, কর্তব্যপরায়নতা, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সৃষ্টির জন্য ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এবং ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছর ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ২২ লক্ষাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থী এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এর শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ ফুটবল দলের পাঁচ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টে’র মাধ্যমে। এটি বর্তমান সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনার ফসল।
#
তুহিন/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৬২৯ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৪৮
২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয়ের লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগোচ্ছে
- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ চৈত্র (২০ মার্চ):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তরুণদের দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করতে দেশে ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার, প্রাথমিক স্তরে ১০ লাখ কোডার, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ লক্ষ প্রোগ্রামার এবং এসএসসি এইচএসসি পাশ করা ১০ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা সরকারের লক্ষ্য।
প্রতিমন্ত্রী আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস” উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে সফল করেছেন এবং প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। তিনি বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দেশের আইসিটি খাতে সঠিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। তিনি তারুণ্যের মেধা আর প্রয