Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১০ জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর :  ১২৫

 

বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের সূচনা হয়

                                                           -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা হিসেবে যা যা করণীয় ছিল বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে তিনি তা করে দিয়ে গেছেন। তিনি আমাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন। যত বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে সেগুলোর সদস্য পদ দিয়ে গেছেন এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদও দিয়ে গেছেন।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। এই ধরনের ক্ষণজন্মা পুরুষ আমাদের সমাজে এসেছিলেন বলেই আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আর সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে, সোনার বাংলা অর্থাৎ একটা উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে।’

ড. মোমেন বলেন, ‘অনেকগুলো ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মধ্যে সাদৃশ্য আছে যেমন; (তাঁরা দুজনেই) সাহসী ও দৃঢ়চেতা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আর এটা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব রয়েছে। এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে ইতিমধ্যে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি তবে এতে আত্মতৃপ্ত হলে চলবে না। আমরা সেই বাংলাদেশকে দেখতে চাই, যখন কোনো বাঙালি তার পাসপোর্ট নিয়ে কোনো বিদেশি মিশনে যাবে- বিদেশিরা তখন তাকে ভিসা দিতে দ্বিধা করবে না। এমনকি বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে অন্যদেশে ভিসামুক্ত যাতায়াত করা যাবে- সে পর্যায়ে দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন, ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারিতে, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা ছিল যা থেকে এ প্রজন্মের কূটনীতিকরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন।’ এক্ষেত্রে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরীসহ তৎকালীন কূটনীতিকদের প্রশংসা করে শাহরিয়ার আলম বলেন, তাঁরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেখানে গণহত্যা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের কথা বলেছিলেন যে কাজটি এখনো আমরা শেষ করে আনতে পারিনি।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এবারের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এমন এক সময়ে আমাদের সামনে এসেছে যখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে রয়েছে। নমিনাল জিডিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বে ৩৫তম। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শকে ধারণ করেই আমরা দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হবো- বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

আলোচনা সভার পূর্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। আলোচনা সভার শুরুতে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি (বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে) তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণ শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

মোহসিন/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১৫৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১২৪ 

 

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়

                                          -- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

 

ময়মনসিংহ, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :

 

ময়মনসিংহে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে আজ ময়মনসিংহের টাউন হল ময়দানে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

 

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাধীনতার পূর্ণতাপ্রাপ্তির সাথে তুলনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পূর্ণতা ঘটেছে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে। ইতিহাসে আওয়ামী লীগের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী এসময় বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের ইতিহাসের প্রতিটি তাৎপর্যপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়েছে। যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির অধিকার আদায় করেছে।

 

প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করেন। তাঁর সফল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, করোনা মোকাবিলায় দেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, এমনটা উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

 

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত এবং ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন। আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

#

 

রেজাউল/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ১২৩

 

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ছাত্র নিহত হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক মানবাধিকার লঙ্ঘন

                                                                               --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :

            যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে এমআইটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সালের মৃত্যুকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত, দুঃখজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রেও যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই হত্যাকাণ্ড।’

            আজ রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

            সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আমি পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি ছাত্রের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে, তদন্ত চলছে। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যারা এই ঘটনার জন্য দোষী, তাদের বিচার হবে।’

            হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র এবং মানবাধিকার যাতে রক্ষিত হয়, সেটিই আমরা চাই। আমাদের দেশে মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, কেউ লঙ্ঘন না করে, সেদিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। বিশ্বময় কোথাও যেন মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় সেটিও আমরা চাই।’

            মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশ সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল লাউবেখার বলেছেন, বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী এবং যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।

আদালত স্বাধীন বলেই মুক্তি পেলেন ফখরুল-আব্বাস

            বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার জামিনে মুক্তি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব এবং মির্জা আব্বাস সাহেব যে মুক্তি পেয়েছেন এতেই প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের আইন আদালত স্বাধীন। কারণ সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারা আইনি লড়ায়ের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি লাভ করেছেন। দেশের আইন আদালত অত্যন্ত স্বাধীনভাবে কাজ করে, সেই কারণেই তারা মুক্তি লাভ করেছেন। আমি তাদের দু'জনের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ আয়ু কামনা করি।  তারা যাতে সুস্বাস্থ্য বজায় রেখে সরকারের বিরোধিতা করতে পারে, সেটিই আমি কামনা করি।’

১১ জানুয়ারি : বিশৃঙ্খলা প্রতিহতে জনগণের সাথে থাকবে আওয়ামী লীগ

            বুধবার ১১ জানুয়ারি বিএনপির দেশব্যাপী গণ-অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি বা কোনো বিরোধী দল যদি শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচি পালন করে সেক্ষেত্রে সরকার সবসময় সহযোগিতা করেছে এবং করবে। কিন্তু আমরা সবসময় দেখেছি তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বলে সেখানে অশান্তি তৈরি করে এবং জনগণের সম্পত্তি বিনষ্ট করে।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঘিরেও তারা দেশে অশান্তি তৈরি করেছিল। তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে, গাড়ি ভাংচুর করেছে এবং জনগণের শান্তি নিরাপত্তা স্থিতি বিনষ্ট করেছে। ১১ তারিখেও আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখবো, সতর্ক পাহারায় থাকবো আমাদের দল সতর্ক পাহারায় থাকবে যাতে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। যদি করার চেষ্টা করা হয় জনগণ প্রতিহত করবে, আমাদের দল জনগণের সাথে থাকবে।’

#

আকরাম/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২১১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর :  ১২২

 

বিজয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন না হলে বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো

                                                -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :

 

বিজয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন না হলে বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

আজ রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

 

এ সময় মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিজয়ের মহানায়ক। বিজয় অসম্পূর্ণ থেকে যেতো শেখ মুজিবহীন বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে না আসলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায় সম্ভব হতো না। সে সময় পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে স্বাধীনতাবিরোধীরা নতুন করে আবার পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন সম্ভব হতো না। তিনি ফিরে না এলে তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে প্রায় তিনশত আইন প্রণয়ন সম্ভব হতো না।

 

মন্ত্রী  আরো যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধ কোনো কল্পকাহিনী ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে নেমে আসা স্বাধীন সত্ত্বা না। বাঙালি জাতির ইতিহাস দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষাভাষীদের বাঙালি জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করে একটা প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছিলেন। ’৬২-এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ-এসব কিছুর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু মুক্তির সংগ্রামে ও স্বাধীনতার সংগ্রামে মানুষকে প্রস্তুত করেছেন।

 

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীরা দেশ এবং দেশের বাইরে এখনো বিরাজমান। সে মানুষদের প্রেতাত্মা এখনও এদেশে আছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিরা এদেশে এখনও বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত আছে। এখন আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। তিনি আরো যোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবর্তমানে নতুন প্রজন্মকে দেশের হাল ধরতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রকৃত ইতিহাস বারবার বলতে হবে। মনে রাখতে হবে বিজয়ের পর বিজয়ের মহানায়ক ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু আমরা তাঁকে রক্ষা করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতা আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।

 

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, ভাস্কর রাশা এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য রীনা মোশাররফ।

#

 

ইফতেখার/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/সেলিম/২০২৩/১৯২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১২১

 

 

রূপকল্প ২০২১ এর সফল বাস্তবায়ন শেষে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়িত হচ্ছে

                                                 -- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি):

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ এর সফল বাস্তবায়ন শেষে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মহাসড়কে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ এক সম্ভাবনাময় স্বাধীন তথা সার্বভৌম রাষ্ট্র এক বিস্ময়ের নাম। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমাজসেবা বিভাগের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য প্রতিটি বাজেটে ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগীর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করছে। এতে দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকৃত বিপুল জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন ঘটছে এবং দারিদ্র্য শূন্যের দিকে যাচ্ছে। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বরিশালের প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বনায়ন, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যাতে তৃণমূলের মানুষ উপভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরকে  সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।  

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ স্থানীয় সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সংগঠনগুলোর কর্মীদের বরিশালবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

 

#

 

আহসান/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২০২১ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১২০

একাত্তরে ভারতের মানুষ নিজে কম খেয়ে এ দেশের শরণার্থীদের খাইয়েছে, বাংলাদেশ তা মনে রাখবে

                                                                                                                   --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে ভারত শুধু তাদের সীমান্ত খুলে দেয়নি, ঘরের দুয়ারই খুলে দেয়নি, মনের দুয়ারও খুলে দিয়েছিল। নিজে না খেয়ে বা কম খেয়ে এ দেশ থেকে যাওয়া শরণার্থীদের তারা খাইয়েছে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন সেটি আমাদের দেশের মানুষ মনে রাখবে।

          আজ রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সফররত ৩৪ ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

          সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দুই দেশের মৈত্রী রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। আমরা বাংলাদেশিরা, এদেশের সমস্ত নাগরিক, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমরা ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব তাদের ভূমিকার জন্য।’

          কলকাতার ২৫ জন ও আসামের ৯ জন সাংবাদিকের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা বাংলাদেশের কিছু অংশ ঘুরে দেখেছেন এবং নিশ্চয়ই বাংলাদেশে যারা ১২-১৪ বছর আগে এসেছিলেন, তারা পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছেন। এমনকি দু’বছর আগেও যিনি এসেছিলেন, দু’বছর পরেও অনেক পার্থক্য দৃশ্যমান। আমাদের দেশের মানুষ এই পার্থক্যটা খুব একটা বুঝতে পারে না। কারণ সবাই উন্নয়নের ভেতর দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু যে ছেলে ১৪ বছর আগে বিদেশ গেছেন, সে এসে তার শহর চিনতে পারে না, তার গ্রামও চিনতে পারে না -এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

          বাংলাদেশকে সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমাদের দেশে যে সামাজিক সম্প্রীতি, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে সম্প্রীতি, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সম্প্রীতি -এটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আমরা সেটিই লালন করি, বুকে ধারণ করি। সে কারণে আমাদের দেশে প্রতি বছর উৎসবের মাত্রা বাড়ে। গত বছর দুর্গাপূজা মণ্ডপের সংখ্যা তার আগের বছরের চেয়ে কয়েকশ’ বেশি ছিল। সরকার সে ক্ষেত্রে সহায়তা করে নানাভাবে।’

          পরিতাপের সুরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আমাদের দেশে আছে, অন্যান্য দেশেও আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে সেই অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। আপনারা দেখুন, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প যখন যেখানেই ছড়ানো হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটিকে বিস্তৃত করেছে বিএনপি ঘরানার লোকজন, তাদের সমর্থক, তাদের নেতারা, তাদের কর্মীরা। সমস্ত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি জোটের সদস্য।

          ‘এটি আমাদের জন্য দুঃখজনক কারণ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে বাঙালিদের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র করার জন্য  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয়, এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান থাকতে পারে না’ দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন হাছান মাহ্‌মুদ ।

চলমান পাতা - ২    

--- ২ ---

          এসবয় কোনো গুজব যেন সাম্প্রদায়িক বা সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে সে জন্য সকল সাংবাদিকের সহযোগিতা কামনা করেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ । তিনি বলেন, ‘দেখা গেল ভারতের কোনো একটি অনলাইন মিডিয়া ভিত্তিহীন একটি সংবাদ করে দিল, সেটি নিয়ে ভারতেও মাতামাতি শুরু হলো আবার সেটা কপি করে আমাদের এখানে কিছু অনলাইন, কিছু পোর্টাল গুজব ছড়াল। এগুলোর কারণে সমাজে মাঝে মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়। এ ব্যাপারে আমাদের উভয় দেশের সাংবাদিকদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’

          তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ এ সময় ভারতীয় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ প্রত্যাবাসনে তিনি ভারতের সহায়তা কামনা করেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রয়েছে জানান এবং অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বলে দেয় এ দেশ থেকে অর্থনৈতিক কারণে কোনো প্রতিবেশী দেশে অনুপ্রবেশ ঘটার কোনো কারণ নেই।

          ভারতীয় সাংবাদিকদের পক্ষে কলকাতা প্রেস ক্লাব সভাপতি স্নেহাশিস সুর বলেন, ‘আজকের ১০ জানুয়ারি দিনটা শুধু মাত্র বাংলাদেশের কাছে বিশেষ দিন নয়, এটা ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের কাছে একটা বিশেষ দিন। কারামুক্তির পর এই দিনেই স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের জাতির পিতা এবং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের মাটিতেও প্রথম পা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মাটিতেও প্রথম পা দিয়েছিলেন। আর এই দিনে বাংলাদেশের মাটিতে থাকতে পেরেছি সে জন্য আমরা অত্যন্ত গৌরবান্বিত।’ এবং এ দিনের ইতিহাসটা আবার মনে করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সে সময় বঙ্গবন্ধু জীবিত আছেন কি না দীর্ঘদিন ধরে এটাও একটা সংশয় ছিল। আমরা আমাদের বাবা-মা’র কাছে সেটাই জিজ্ঞেস করতাম।’

          আসামের আঞ্চলিক সংবাদ টিভি চ্যানেল প্রাগ নিউজে’র প্রধান সম্পাদক প্রশান্ত রাজগুরু তার বক্তব্যে তাদের আমন্ত্রণ করে একটি বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দেখাবার জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার ভ্রমণ আমাদের নয়ন খুলে দিয়েছে।’

          মতবিনিময় শেষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ ভারতীয় সাংবাদিকদের জন্য ‘সচিত্র বঙ্গবন্ধু’, ‘সংবাদ শিরোনামে বঙ্গবন্ধু’, ‘হিউমেইন বাংলাদেশ’ (Humane Bangladesh), ‘টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশের পর্যটন’ -এই পাঁচটি গ্রন্থের একটি করে সেট কলকাতা প্রেস ক্লাব সভাপতি স্নেহাশিস সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক এবং দৈনিক আমার আসাম পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মনোজ কুমার গোস্বামীর হাতে তুলে দেন মন্ত্রী।

          কলকাতা প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সম্পাদক এসময় তাদের প্রেস ক্লাব থেকে প্রকাশিত ‘অখন্ড ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পূর্ববঙ্গের মহিয়সীরা’ গ্রন্থটি তথ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এরপর কলকাতার সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য সম্পাদিত   ‘শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী ও সচিব।

#

আকরাম/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/২০১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১১৯

বিভিন্ন দিক থেকে বাংলাদেশ ‘ট্রু গ্লোবাল’ চ্যাম্পিয়ন

ঢাকা, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :

          বিশ্বব্যাংকের নবনিযুক্ত বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক আজ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

          অর্থমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় সভায় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য কমিয়ে আনা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু অভিযোজনসহ বিভিন্ন দিক থেকে বাংলাদেশ ট্রু গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন। পুরো এশিয়ার মধ্যে যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনেক ভালো। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।

          অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশে কাজ করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাত রয়েছে। তারা আমাদের নদীপথ এবং নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর কাজ করতে পারে। আমাদের অর্থনীতির অন্যতম হাতিয়ার আমাদের যুবশক্তি, এই যুবশক্তির জন্য বিশ্বব্যাংক বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির কঠিন চ্যালেঞ্জের বছরেও বাংলাদেশের জিডিপি’র আকার অনেক বেড়েছে। অতি সম্প্রতি কানাডার অনলাইন প্রকাশনা সংস্থা ‘ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট’ -এ প্রকাশিত আইএমএফ’র পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বিশ্বের ৩৫তম বড় অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। তিনি উল্লেখ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ‘একটি অসাধারণ গল্প’। তিনি কান্ট্রি ডিরেক্টরকে বাংলাদেশে কিছু আইকনিক প্রকল্প গ্রহণের অনুরোধ করেন।

          সভায় পরিবেশগত পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত এবং ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ‘ইবধঁঃরভরপধঃরড়হ ড়ভ উযধশধ’র অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশের ঝুঁকি ও পদক্ষেপ সম্পর্কেও আলোচনা হয়।

#

তৌহিদুল/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :১১৮

১২-১৫ জানুয়ারি ঢাকায় চার দিনব্যাপী পার্বত্য মেলা শুরু

ঢাকা, ২৬ পৌষ (১০ জানুয়ারি):

 

পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবন-কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ক তথ্যাদি সমতলের মানুষের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর  উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর প্রচার ও বিপণনের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১২-১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ চার দিনব্যাপী পার্বত্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ প্রধান অতিথি হিসেবে ১২ জানুয়ারি বিকাল ৪ টায় মেলার উদ্বোধন করবেন। ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় পার্বত্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

 

পার্বত্য জেলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে মেলায় প্রতিদিন বিকাল ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। চার দিনব্যাপী পার্বত্য মেলায় ১০৩টি স্টল থাকবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ, প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদেরকে স্টলসমূহ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। মেলার স্টলে তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য স

2023-01-10-16-53-5493a876efb74f2049a39f062c23dc60.docx