তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৪
রাজধানীর মিরপুরে তিনদিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
রাজধানীর মিরপুরে পীরেরবাগ, আমতলা মোড় এবং উত্তর মনিপুর হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক ভবন পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তার উভয়পাশে ফুটপাতের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনাসমূহ আগামী তিনদিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আজ মিরপুরের উক্ত এলাকাসমূহ পরিদর্শনকালে এ নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, আগারগাঁওয়ের পশ্চিমপ্রান্তে আমতলা মোড় হতে গ্রামীণ ব্যাংক ভবন পর্যন্ত অবৈধস্থাপনা এবং রাস্তার উভয়পাশের ফুটপাতের উপর নির্মিত বিভিন্ন ভবনের অবৈধ বর্ধিত অংশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালিকগণ স্বউদ্যোগে সরিয়ে না নিলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে।
স্থাপনাসমূহের মালিকগণের নিকট হতে সিটি কর্পোরেশনের বিধি অনুযায়ী এ উচ্ছেদ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়ভার আদায় করা হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আগারগাঁও হতে মিরপুর-২ এর গ্রামীণ ব্যাংক ভবন পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ৬০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ কাজে উদ্ভূত জটিলতা নিরসনের জন্য উক্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জ্যোতির্ময় দত্ত, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উল ইসলাম এবং প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শহিদুল/আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৩
ভূমি মন্ত্রীর ছেলের মৃত্যুতে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সচিবগণের শোক
ঈশ্বরদী, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের মেঝ ছেলে হীরক হাসানুর রহমান শরীফ রানার মৃত্যুতে স্থানীয় সরকার, পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম হীরা এবং সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, মকবুল হোসেন, শামসুল হক টুকু ও আজিজুর রহমান আরজু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ এক শোক বার্তায় তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এছাড়া, রানার মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব শফিউল আলম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উল আলম ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ভূমিমন্ত্রীর মেঝ ছেলে হীরক হাসানুর রহমান শরীফ রানা আজ টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন (ইন্নালিল্লাহি.... রাজিউন)। রানা স্ত্রী ও দুজন আত্মীয়কে সাথে নিয়ে তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর আগের রাতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কুয়াশায় তাদের গাড়ী আটকে যায়। সেই মুহূর্তে পিছন থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। পরে রানাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের ৫ ছেলে ৫ মেয়ের মধ্যে রানা চতুর্থ।
#
রেজুয়ান/আফরাজ/জসীম/রেজাউল/২০১৬/১৮২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এদিন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা জনগণের এ রায়কে উপেক্ষা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। শুরু হয় প্রহসন। বাঙালির উপর নেমে আসে ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা। বাঙালি জাতির চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা দেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। জাতির পিতা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এ নিভৃত কারাগারে তিনি অসহনীয় নির্যাতনের শিকার হন। প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে তিনি মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে। জাতির পিতা ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি বাংলার মাটিতে প্রত্যাবর্তন করে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন। বাঙালি জাতি ফিরে পায় জাতির পিতাকে। বাঙালির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্ধু দেশসমূহ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্য হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে অতি অল্পদিনের মধ্যেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান তৈরি হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেয়। বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখলকারীরা গণতন্ত্র হত্যা করে। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। রুদ্ধ করে দেয় প্রগতি ও উন্নয়নের ধারা।
অনেক সংগ্রাম আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছি। আমাদের সরকার জনগণের জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ১৩১৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প, ব্যবসাবাণিজ্যসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে রোল মডেল। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছি। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছি।
আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠা করি। যেখানে ধনী-দরিদ্র ভেদাভেদ থাকবে না। সকলের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার থাকবে অবারিত।
কোনো অপশক্তি যাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার এ ধারাকে ব্যাহত করতে না পারে, জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৯
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে এদেশ স্বাধীন হলেও প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতার দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়েই বাঙালির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধু নিজেই এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বাঙালি জাতির অবিস্মরণীয় এদিনে আমি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহার কারণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণহত্যা চালায়। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন। এরপরই পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে আটকে রাখে। সেখানে বঙ্গবন্ধু ৯ মাস ১৪ দিন কঠিন কারাভোগ করেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাঁর নামেই মুক্তিযুদ্ধ চলতে থাকে। তিনিই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রেরণার উৎস।
বঙ্গবন্ধু বিজয়ের বেশে দেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙালি জাতির এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করে যাব।’ কথা রেখেছেন জাতির পিতা। পাক হানাদাররা যাঁর গায়ে আঁচড় দেওয়ার সাহস পায়নি, স্বাধীন দেশের এক শ্রেণির বিশ্বাসঘাতক ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের হাতে তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর কথা রেখে গেছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তাঁর আদর্শ মুছে দিতে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু বাঙালি বীরের জাতি। যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।
বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তিও চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনের কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে অগ্রগতির সে যাত্রাকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হচ্ছে।
আমি আশা করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেই- এটাই হোক এবারের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৬৫০ ঘণ্টা