তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৭
বন্যা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে আকস্মিক বন্যায় দুই বিভাগে ৪০টি উপজেলার ২৬০টি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়। এসকল এলাকায় ১ হাজার ১৯৬টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে।
আক্রান্ত এলাকায় পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং হাসপাতালগুলোতে জরুরি মেডিকেল টিম-সহ পর্যাপ্ত ওরস্যালাইন, কলেরা স্যালাইন এবং এ্যান্টি-ভ্যানাম-সহ অন্যান্য জরুরি ঔষধ মজুত আছে। এসকল এলাকার সকল স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাগণকে অন্যান্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারির মাধ্যমে পরিস্থিতি অবনতির ক্ষেত্রে অগ্রিম প্রস্তুতি গ্রহণ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বন্যা বিষয়ক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে (মোবাইল নং ০১৭৫৯১১৪৪৮৮) যার মাধ্যমে দেশের সকল স্বাস্থ্য স্থাপনা সার্বক্ষণিক সংযুক্ত আছে। এছাড়াও সিভিল সার্জন কার্যালয় ও বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)-এর কার্যালয়েও সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু আছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সার্বক্ষণিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক কর্মকাণ্ড তদারকি এবং সমন্বয় করছে।
#
শাহাদাত/আকরাম/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২১৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৬
টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল-সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা:
‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য বিভিন্ন জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা, ১৯ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন চাল ও ১৫ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ।’
#
এনায়েত/আকরাম/খায়ের/রানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৫
বন্যাকবলিত জেলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল, কৃষকদের জন্য পরামর্শ
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
দেশের বন্যাকবলিত জেলাসমূহে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে অবস্থান করা ও কৃষকদের সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুসারে আকস্মিক এ বন্যায় আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ: মুন্সিগঞ্জে ২৩০ দশমিক ৭ হেক্টর, সিলেট ৩ হাজার ৩৮৯ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ৪৩ হাজার ২৭১ হেক্টর, হবিগঞ্জ ৬ হাজার ৮৯৪ হেক্টর, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ৮৯ হেক্টর, কক্সবাজারে ৪ হাজার ২৮৯ হেক্টর, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৭৪৫ হেক্টর, ফেনীতে ৩১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর, লক্ষ্মীপুরে ৯ হাজার ৪৭৮ হেক্টর, কুমিল্লায় ৬৫ হাজার ১৩৫ হেক্টর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ হাজার ৪১৪ হেক্টর এবং চাঁদপুরে ১০ হাজার ৯২২ হেক্টর ।
আক্রান্ত ১২ টি জেলার মোট ফসলের ক্ষতির পরিমাণ আউশ ৬৮ হাজার ২০৯ হেক্টর, আমন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ হেক্টর, বোনা আমন ৫৭০ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১২ হাজার ৯১০ হেক্টর, শাক-সবজি ৯ হাজার ৫১৯ হেক্টর, আখ ৩৮৪ হেক্টর, এবং পান ১৯১হেক্টর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে কৃষকদের জন্য বন্যা পরবর্তী সময়ে উঁচু এলাকায় আপৎকালীন নাবি জাতের রোপা আমন বীজতলা তৈরি, ভাসমান বীজতলা তৈরি, স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উফশী জাত আবাদ, স্বল্পমেয়াদি রোপা আমন ধানের (ব্রি ধান-৫৬, ৫৭, ৭৫, ৮৭) আবাদ, বন্যা সহনশীল জাত ব্রিধান-৫১, ৫২, ৭৯ জাতের আবাদ বৃদ্ধি, ভাসমান বেডে শাক সবজি আবাদের ব্যবস্থা করা, বস্তায় লতা জাতীয় ও মশলা (মরিচ, আদা) আবাদ, নাবি জাতের রোপা আমন, বিআর-২২, ২৩ এবং স্থানীয় গাইঞ্জা, আবছায়া চাষ, ডাবল ট্রান্সপ্লান্টিং পদ্ধতিতে রোপা আমন চাষ বৃদ্ধি ও ধানের অঙ্কুরিত বীজ সরাসরি বপন করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় হতে কৃষকদের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
#
জাকির/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২১৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৪
আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের জরুরি ব্যবস্থা
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক বন্যার্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশের থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, এবং ইউনিয়ন পরিষদের পৃথক কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্মস্থলে অবস্থান করবে। তারা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে নিবিড় যোগাযোগ এবং সমন্বয়পূর্বক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা ও সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ত্বরিত মেরামত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ও আশ্রয় কেন্দ্রসহ বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সকল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজ নিজ এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে দুর্গত জনসাধারণকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুর ও মৌলভীবাজারসহ বন্যাকবলিত জেলাসমূহে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপপরিচালক, স্থানীয় সরকাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি ২ সদস্য হলো সংশ্লিষ্ট জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ। গঠিত মনিটরিং কমিটিকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট জেলার রাস্তাঘাটের অবস্থা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ভবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য ইমেইলে (lgadmin1@lgd.gov.bd) প্রেরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা মোকাবিলায় বন্যাদুর্গত ১১ টি জেলায় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ১১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন বিকাল ০৫.০০ ঘটিকার মধ্যে আবশ্যিকভাবে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হতে তথ্য সংগ্রহ করে নির্ধারিত ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাগণের নিকট তথ্য প্রদান করবেন।
#
পবন/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০৩
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও বন্যা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১২ সিদ্ধান্ত গৃহীত
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও বন্যা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় ১২ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ।
অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক, উপজেলা কৃষি অফিসার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারগণের সমন্বয়ে টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে; চলমান কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি জোরদার করতে হবে; বন্যায় ক্ষতি মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত জাতের আমন ধানের বীজের পর্যাপ্ত সংস্থান ও সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে; অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় আপদকালীন বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করতে হবে; নাবি জাতের রোপা আমন ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে; নাবি জাতের ধানের বীজ দেশের বন্যামুক্ত এলাকা হতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; বন্যাকবলিত ঝুঁকিপূর্ণ গুদামে রক্ষিত সার নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে; আগাম জাতের শীতকালীন সবজি উৎপাদনের বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে; বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণপূর্বক মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে; বন্যাদুর্গত এলাকার কৃষি অফিসসমূহে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়; বন্যাদুর্গত এলাকার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহের লক্ষ্যে উপজেলা, জেলা, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপনপূর্বক হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করতে হবে; এবং বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি অফিসসমূহের মালামাল নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে।
আজ কৃষি সচিব ড. এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনলাইনে এক সভায় এ সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় । কৃষি মন্ত্রণালয় আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার সমন্বয়ে এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে।
#
জাকির/আকরাম/খায়ের/ফেরদৌস/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০২
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সাথে এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টরের বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফের সাথে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের (ঊফরসড়হ এরহঃরহম) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সচিবালয়ে উপদেষ্টার নিজ কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ জানান, দীর্ঘদিন সিভিল সোসাইটির সাথে কাজ করার সুবাদে স্থানীয় সরকারের সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবগত আছি। এই সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য এডিবি-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা দরকার।
উপদেষ্টা বলেন, এডিবি'র সাথে বিদ্যমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে কাজ করছে তা টেকসই হতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশের একটি অন্যতম বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ২২৭টি প্রকল্পের মধ্যে এডিবি’র সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে ১৫টি প্রকল্পে, আরো ১১টি প্রকল্প পাইপলাইনে আছে। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন এবং প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোও বাস্তবায়নের দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে।
বৈঠকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং জানান, পূর্বের ন্যায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথেও এডিবি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠান দুটিকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। এছাড়া উপজেলা পৌরসভা-সহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিকেন্দ্রীকরণ করে গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে যেতে ইতিমধ্যে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি নিয়োগকৃত প্রশাসকগণ তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্বের চেয়ে অধিক শক্তিশালী এবং গতিশীল করতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আখতার হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, এডিবি’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিনাংবো নিন, এডিবি’র হেড কান্ট্রি অপারেশন না ওন কিম-সহ স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
পবন/আকরাম/খায়ের/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০১
কূটনৈতিক পাসপোটর্ প্রত্যাহার ও সমর্পণের ভিত্তিতে
সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা জারি
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার ও সমর্পণের ভিত্তিতে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার ও সমর্পণের ভিত্তিতে নতুন পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে জারিকৃত নির্দেশনা নিম্নরূপ:
(ক) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রাক্তন মন্ত্রিসভার সদস্য, সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় সংসদের সকল সদস্যসহ যে সকল ব্যক্তিবর্গ কোন পদে অধিষ্ঠিত থাকার কারণে কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাবার যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ায় কূটনৈতিক পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন, উক্ত পদে তাঁদের নিয়োগ বা কর্মকালের অবসান ঘটলে তাঁদের এবং তাঁদের স্ত্রীদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে;
(খ) উল্লিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন, অন্তত দু'টি তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের অনুকূলে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা যেতে পারে।
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক বরাবর আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের বহিরাগমন-৪ শাখা কর্তৃক জারিকৃত পত্র হতে এ তথ্য জানা যায়।
#
ফয়সল/আকরাম/খায়ের/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫০০
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ
চুক্তি অনুসমর্থন ও বন্যা মোকাবিলায় তিন সিদ্ধান্ত
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
গত ২৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ সরকার ও কাতার সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক পুঁজি-বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ (Reciprocal Promotion and Protection of Investments) বিষয়ে চুক্তিটি আজ উপদেষ্টা পরিষদের-বৈঠকে অনুসমর্থনের (Ratification) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে দেশে চলমান বন্যা মোকাবিলায় তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যথা, মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহ বন্যা ব্যবস্থাপনা ও বন্যার্তদের সর্বাত্মক সহায়তাকল্পে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করবে; উপদেষ্টাগণ বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং বন্যার্তদের সহায়তা প্রদানের বিষয়টি তদারক করবেন; এবং বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
#
সুমন মেহেদী/আকরাম/খায়ের/ফেরদৌস/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৯
আইসিটি বিভাগের ছয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার নির্দেশ
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা এবং কোম্পানির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় এবং অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন হতে বিরত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মোঃ জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা যায়।
যে সকল কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালন হতে বিরত রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডেটা সেন্টার ইনচার্জ ও ম্যানেজার (টেস্টিং) মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান, অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (ফায়ারওয়াল ও আইপিএস) রাজন দাস, বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (জেনারেশন সিস্টেম) এ কে এম লতিফুল কবির, ব্যবস্থাপক (লজিসটিকস) মোঃ. ইকরামুল হক, ব্যবস্থাপক (ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং) রনজিত কুমার এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা রুস্তম আলী।
স্বাক্ষরিত পত্রে দপ্তর ও সংস্থা দু’টির প্রধানকে উল্লিখিত কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন হতে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
#
জসীম/আকরাম/খায়ের/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৮
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এবং শেখ হাসিনা জাতীয়
যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
আজ উপদেষ্টা পরিষদের তৃতীয় বৈঠকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদন, গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ব্যবস্থাপনা, ট্যারিফ নির্ধারণ, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন (২০০৩ সালের ১৩ নং আইন) প্রণীত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৫, ২০১০, ২০২০ এবং ২০২৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। ইতিপূর্বে আইনটি সংশোধন করে এর ৩৪ ধারার সঙ্গে নিম্নরুপে ৩৪ক ধারা সংযোজন করা হয়েছিল।
৩৪ক ধারায় বলা হয়, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহণ ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুদকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গ্যাস সম্পদ ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ট্যারিফ বা মূল্য নির্ধারণে গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের অধিক সম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন, জনপ্রত্যাশা এবং ভোক্তার স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর উপরোক্ত ৩৪ক ধারা বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর নাম পরিবর্তন করে জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট করার বিষয়ে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশের সম্ভাবনাময় যুবদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও গঠনমূলক কর্মকান্ডে যুবদের নিয়োজিতকরণের নিমিত্ত গবেষণা, উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান এবং এতদ্সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে একটি কেন্দ্রীয় ও আধুনিক মানসম্পন্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাকল্পে “শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮” প্রণীত হয়। প্রতিষ্ঠানটির নামের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম বিলুপ্ত করা হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতা এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট' করার জন্য অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে। সরকারি অর্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনার নামকরণের ক্ষেত্রে আইনি কাঠামো প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উক্ত কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
#
সুমন মেহেদী/আকরাম/খায়ের/ফেরদৌস/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৭
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিসিএস ’৮২ ব্যাচের সাবেক এ কর্মকর্তাকে তিন বছরের জন্য নিয়োগের আদেশ জারি হয়। চাকরির অন্য শর্তাবলির মধ্যে এটিও বলা হয় যে, তাঁর চাকরি কমিশনের সার্বক্ষণিক চাকরি হিসাবে বিবেচিত হবে এবং কমিশনে নিযুক্ত থাকা অবস্থায় তিনি লাভজনক অন্য কোনো চাকরিতে নিয়োজিত হতে পারবেন না।
#
শফি/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৬
বন্যার্ত এলাকার উদ্ধার কাজে মানুষের জীবন বাঁচানোকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে
--- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বন্যার বিষয়ে অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম কথা হচ্ছে মানুষের জীবন বাঁচানো। বন্যার্ত এলাকার উদ্ধার কাজে মানুষের জীবন বাঁচানোকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সেখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে, তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররাও এতে যুক্ত হয়েছেন, যাতে মানুষের জীবন ও জানমাল রক্ষা করা যায়। সব বিষয়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যতটুকু সম্ভব সবটুকু করা হবে। পানি নামার সাথে সাথে পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় এসব কথা বলেন।
ফারুক ই আজম বলেন, এটা আকস্মিক বন্যা, যেটাকে ফ্লাশ ফ্লাড বলা হয়। কেউ কেউ বলছেন, উজান থেকে পানি নেমে এসেছে। ভারতীয় অঞ্চল থেকেও পানি নেমে এসেছে। যেভাবে প্রাকৃতিকভাবে বন্যা হয়, এটা সেভাবেই হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে বন্যার পানি এত বেড়েছে যে অনেক উপদ্রুত এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না।
এর পূর্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা দেশে চলমান বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের আট জেলা চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্যাকবলিত হয়েছে।
বন্যায় ৮টি জেলার ৫০টি উপজেলায় ৩৫৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ায় ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে ১ হাজার ৫৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা হয়েছে। এসকল আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন লোক ও ৭ হাজার ৪৫৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ৪৪৪টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
ইতিমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ কাজের জন্য নগদ ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ১৩ হাজার ৬৫০ মে. টন চাল ও ১১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা উপকূলীয় এলাকায় ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী টিম উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ফেনী জেলায় সেনাবাহিনীর ১৬০ জন সদস্য ও ৪০টি উদ্ধারকারী যান এবং নৌবাহিনীর ৭১ জন সদস্য ও ৮টি উদ্ধারকারী যান কাজ করছে। এছাড়াও ১টি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি ও এই মুহূর্তে বাড়ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী, হালদা নদীর পানি ৭টি স্টেশনে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বন্যাকবলিত জেলার জেলা প্রশাসক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
#
এনায়েত/আকরাম/খায়ের/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৫
টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল-সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা:
‘আকস্মিক বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল। সকলকে কর্মস্থলে অবস্থান করে কৃষকদের সেবা প্রদানের নির্দেশ-কৃষি মন্ত্রণালয়।’
#
জাকির/আকরাম/রানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী