তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৬১
জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়নের জন্য প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের পদ্ধতি গ্রহণ করেছে সরকার
---পরিবেশ মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামো তৈরি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার বাংলাদেশ জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়নের জন্য প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী আজ কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠানরত জাতিসংঘের পরিবেশ পরিষদের পঞ্চম অধিবেশনে (ইউএনইএ-৫) তাঁর ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগদান করে এসব কথা বলেছেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু, প্রকৃতি ও উন্নয়নকে অন্তর্ভুক্ত করে ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে উন্নয়ন কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সরকার এবং জনগণ একসাথে কাজ করার মাধ্যমে এ সকল সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, মহামারি-পরবর্তী সবুজ প্রকৃতি পুনরুদ্ধারের জন্য কোথায় সম্পদের যোগান দিতে হবে তা নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবার জন্য পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটি দ্রুত এবং সহজ করে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবশ্যই একসাথে কাজ করতে হবে।
#
দীপংকর/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২০২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৬০
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ হাজার ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৫৬ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫৯ জন।
#
হাবিবুর/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫৯
আগামী ২৪ মে থেকে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সেই সিদ্ধান্তগুলো হলো সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ২৪ মে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর শুরু হবে। আর আগামী ১৭ মে থেকে সকল হল খুলে দেওয়া হবে। ২৪ মে পর্যন্ত কোনো ধরনের পরীক্ষা হবে না। আগামী ২৪ মে’র পর পরীক্ষাগুলো গ্রহণ করা হবে। আর অনলাইন ক্লাসগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলমান থাকবে।
মন্ত্রী আজ উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল এ প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ যুক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, হলগুলো খুলে দেওয়ার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলকে করোনার টিকা দানের ব্যবস্থা করা হবে। ১৭ মে হল খুলে দেওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে এবং যে সকল আবাসিক হলগুলোর সংস্কার ও মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে সেগুলো সম্পন্ন করবে। বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার তারিখের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন তারিখ ঘোষণা করা এবং করোনার কারণে বিসিএস এর আবেদনের বয়সসীমা অতিক্রান্ত হয়ে যেনো কোনও শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আশা করছি শিক্ষার্থীরাও তাদের প্রস্তুতি নেবেন এবং যার যার হলে ফেরার প্রস্তুতি নেবেন। ইতোমধ্যেই যদি কোনও শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করেন, যেটি করার কথা নয়, তাদের অবিলম্বে হল ত্যাগ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যদি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে ব্যক্তিগত বা দলগতভাবে যেকোনোভাবেই, শিক্ষার সঙ্গে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন কোন ধরনের অনৈতিক, অপরাধমূলক ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, তাহলে সেই কর্মকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষা কর্মকর্তাদেরকেও ১৭ মে’র মধ্যে টিকা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
#
খায়ের/রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫৮
মাতৃভাষাই হতে হবে জ্ঞানার্জনের বাহন
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যে জাতি মাতৃভাষাকে জ্ঞানার্জনের বাহন হিসেবে বেছে নিয়েছে সে জাতি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে। তিনি বলেন, আমাদের ভাষা আন্দোলন চলমান। এই আন্দোলন চলমান রাখতে না পারলে এর অন্তর্নিহিত বিষয় হারিয়ে যাবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মাতৃভাষাই হতে হবে জ্ঞানার্জনের বাহন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় অনলাইনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, বাংলাভাষাকে আমরা রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছি কিন্তু এর উন্নয়ন ও সংরক্ষণে দৈন্যদশা বিদ্যমান। অতীতে এর উন্নয়নে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার উন্নয়নে যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার উন্নয়নে ১৬টি টুলস উন্নয়নে একশত ৫৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। সরকারি অফিসে নথিপত্রে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করা হলেও বেসরকারি অফিসসমূহে বাংলা ব্যবহারে অনাগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার উন্নয়নে ভাষা নীতি অপরিহার্য।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অরোমা দত্ত, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, ড. মুনতাসীর মামুন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, কথা শিল্পী সেলিমা হোসেন, শহিদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন। বক্তারা বাংলাভাষার উন্নয়নে ভাষা নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
#
শেফায়েত/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২১০২ ঘণ্টা
Handout Number : 857
State Minister Shahriar Alam held bilateral meeting with his UAE counterpart
Dhaka, 22 February :
State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam held a bilateral meeting with UAE State Minister for Foreign Affairs and International Cooperation Ahmed Ali Al Sayegh at latter’s office in Abu Dhabi today. Shahriar Alam is now visiting the UAE to attend IDEX and NAVDEX-2021 as the representative of Prime Minister Sheikh Hasina. UAE State Minister highly commended the wise and visionary leadership of Prime Minister Sheikh Hasina for achieving spectacular economic and social progress in the country as well as for managing the challenges of the Covid-19.
The whole gamut of bilateral relations that includes inter-alia, issues related to participation of UAE leaders in the Mujib Year celebration, joint celebration of 50th anniversary of both the countries, continued support for Rohingya repatriation, holding of next Foreign Office Consultations, cooperation in the field of trade and investment, food security, employment opportunities for Bangladeshi nationals in the UAE etc were discussed. They also discussed regional and international issues of mutual interests and cooperation in multilateral forums.
During the meeting, Bangladesh Ambassador to the United Arab Emirates Md. Abu Zafor and Director General (West Asia) F M Borhan Uddin were present. Earlier, the State Minister attended the commemoration of International Mother Language and Shahid Dibash at the Chancery of Bangladesh Embassy in Abu Dhabi and paid respect to martyrs of the language movement by placing floral wreath at the makeshift Shaheed Minar setup in the Chancery. He also visited the facilities of the new Chancery and exchanged views with the officials of the Embassy in a separate meeting.
#
Tohidul/Roksana/Sahela/ Rejuan/Mosaraf/Abbas/2021/1840 Hours
তথ্যববিরণী নম্বর : ৮৫৬
উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে নতুন শহিদ মিনার
স্থাপন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
তাসখন্দ, ৯ ফাল্গুন (২২ ফব্রেুয়ার)ি :
বাংলাদেশ দূতাবাস, তাসখন্দে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্্যাপন করা হয়। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং নতুন স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। অতঃপর রাষ্ট্রদূত শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং পরে বক্তব্য প্রদান করেন। দূতাবাসের মিনিস্টার ও উপমিশন প্রধান নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত মনীষ প্রভাত, ইউএনওডিসি-এর সমন্বয়কারী মিজ আশিতা মিত্তাল, উজবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশি, ওয়ার্ল্ড ইকোনমি এন্ড ডিপ্লোমেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস রেক্টরসহ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতবৃন্দ, ভাষাবিদসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট উজবেক ভাষা গবেষক ড. গুলাম ইসমাইলভ মিরজয়ভিচ তাঁর মা, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ দূতাবাসের সকলে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণকারীগণ বিভিন্ন ভাষায় ১২ টি কবিতা আবৃত্তি করেন।
#
নৃপেন্দ্র/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৯১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৫৫
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ-কোরিয়ান ইপিজেড ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
চট্টগ্রাম, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):
বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এবং কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) এর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কেইপিজেড মিলনায়তনে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা জেবিন, কোরিয়ান ইপিজেড এর পক্ষে চেয়ারম্যান ও সিইও কিহাক সাং উক্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি জেন কিউন, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
সমঝোতার আওতায়, কোরিয়ান ইপিজেডের প্রায় ১০০ একর জায়গায় প্রস্তাবিত হাই-টেক পার্ককে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বেসরকারি হাই-টেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়াও বিনিয়োগে নীতিগত সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি যৌথভাবে কাজ করবে। কোরিয়ান ইপিজেড-এ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ স্পেশালাইজড ল্যাব স্থাপনে সহায়তা করবে । একই সাথে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কোরিয়ান ইপিজেড এর আইটি জোনকে বেসরকারি হাই-টেক পার্ক ঘোষণা করে বলেন এর মাধ্যমে দেশের আইটি সেক্টরে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন এ হাইটেক পার্ক দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি ও ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন আমরা চাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম চাকুরি খোঁজার পরিবর্তে চাকুরি সৃষ্টির প্রতি অধিক মনযোগী হোক। এছাড়া স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে উদ্যোক্তা এবং স্টার্ট-আপদের জন্য স্কেল-আপ প্রোগ্রাম, ট্রেনিং, কোচিং ও মেন্টরিং করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবোটিক্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ উচ্চপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে চুয়েটে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বন্দর নগরী ও দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম আইটি নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে চট্রগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২৫০০ হাজার একর জমি বরাদ্দ প্রদান করেন। বর্তমানে কেইপিজেড এ ২৫০০০ এর বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। কোরিয়ান ইপিজেড-কে বেসরকারি হাই-টেক পার্ক ঘোষণা করায় এখানে বিনিয়োগ ও ২০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী কেইপিজেড এর বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেন।
#
শহিদুল/অনসূয়া/জসীম/খোরশেদ/২০২১/১৫২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫৪
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতা গতকালের বিজয়ীদের তালিকা
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত গতকালের অনলাইনভিত্তিক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতার স্মার্টফোন বিজয়ী পাঁচজন হলেন : দিনাজপুরের শ্রাবণী রাণী রায়, রাজশাহীর মো. আরিফুল হক, ঢাকার শাহানা আফরিন দীনা, রংপুরের জাহিন শাহরিয়ার ও চুয়াডাঙ্গার মো. এনামুল হোসেন।
গতকালের কুইজে ৭১ হাজার ৩৫৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন।
স্মার্টফোন বিজয়ী পাঁচজনসহ ১০০ জিবি মোবাইল ডাটা বিজয়ী ১০০ জনের ছবিযুক্ত নামের তালিকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ওয়েবসাইট https://mujib100.gov.bd অথবা https://quiz.priyo.com থেকে জানা যাবে।
#
মোহসিন/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০২১/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫৩
৫৭ লাখ কৃষকের মাঝে ৩৭২ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি) :
চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৭ লাখ কৃষকের মাঝে ৩৭২ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মোট জমির পরিমাণ ২৩ লক্ষ ৬৪ হাজার বিঘা।
মহামারি করোনা মোকাবিলা ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। প্রণোদনার আওতায় রয়েছে বীজ, চারা, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনবার্সন সহায়তা খাতের বরাদ্দ হতে এ প্রণোদনা বিতরণ করা হয়।
৩৭২ কোটি টাকার মধ্যে করোনা ও বন্যায় ক্ষতি পোষাতে দেয়া হয়েছে ১১২ কোটি টাকার প্রণোদনা। রবি মৌসুমে মাসকলাই, মুগ, সূর্যমুখী, সরিষা, ভুট্টা প্রভৃতি উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেয়া হয়েছে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনা। এছাড়া, বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিনামূল্যে বীজ সহায়তা বাবদ ১৩৬ কোটি টাকা, পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ২৫ কোটি টাকা ও ৬১ জেলায় হাইব্রিড বোরো ধান চাষের জন্য ৯ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে।
#
কামরুল/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০২১/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫২
অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন
অটোয়া (কানাডা) ২২ ফেব্রুয়ারি :
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপিত হয়। দিবসের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হাইকমিশনারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ হাউজে সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং একই সাথে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরিশেষে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সকল ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। একই সাথে, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রমহানি মা বোনদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। করোনা মহামারির কারণে ভার্চুয়ালি আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি আসাদ চৌধুরী ও ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ের অন্যতম সদস্য ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত আবদুস সালাম বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ ও টেরিটোরির প্রবাসী বাংলাদেশি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
সভাপতির ভাষণে হাইকমিশনার বলেন, এ বছরের শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষভাবে তাৎপর্যপুর্ণ। এ বছরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা উদ্যাপন করছি। বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষায় তথা বাঙালি জাতিকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছিলেন। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে তা ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ বাঙালির গৌরবময় ঐতিহাসিক দলিলে ভাষা আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলো কালে কালে আমাদের জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। এতদঞ্চলের শান্তিপ্রিয় জনসাধারণের স্বার্থসুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিটি অর্জনের পিছনে রয়েছে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ইতিহাস। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বার বার কারাবরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু রাজবন্দী হিসেবে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় থাকাকালে রাতের অন্ধকারে সর্বদলীয় ভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারা তাঁর সাথে দেখা করেন এবং এ সময় বঙ্গবন্ধু একুশে ফেব্রুয়ারিকে ভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত দেন।
তিনি সকলকে অবহিত করেন যে, হাইকমিশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বাংলাভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির পাশাপাশি অন্যান্য সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে কাজ করবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি কানাডায় অবস্থিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা ও শিল্পীবৃন্দের এ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
পরে একটি ভার্চুয়াল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, কানাডা, চীন, ভারত, শ্রীলংকা ও ফ্রান্সের শিল্পীগণ নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষায় গান, নাচ ও কবিতা পাঠ করেন। বিভিন্ন দেশের ও ভাষার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার যে মূল লক্ষ্য অর্থাৎ সকল ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান ও লালন করার বিষয়টি উঠে আসে।
#
দেওয়ান/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০২১/১৩৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫১
বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিস ও ইউনেস্কোতে মহান শহিদ দিবস ও
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস -২০২১ উদ্যাপন
প্যারিস, ২২ ফেব্রুয়ারি :
প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দূতাবাসের অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অস্থায়ী শহিদ মিনারের পাদদেশে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও অন্যান্য পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে ভাষা শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ইউনেস্কো-এর মহাপরিচালক Audrey Azoulay প্রদত্ত ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়।
ইউনেস্কো-এর মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক অবদানের কথা উল্লেখ করেন এবং একইসাথে মাতৃভাষা ও বহুভাষার প্রসারে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম ও নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ‘Independence Hero’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলা ও বাঙালি জাতিসত্তার স্বীকৃতি অর্জনে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।
চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দূতাবাসের সকল সদস্য এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। প্রবাসীদের অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দূতাবাস অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজন করে। ফলে ফ্রান্সে বসবাসরত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গুণীজন অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার হতে অনুপ্রাণিত করেছেন, উজ্জীবিত করেছেন, দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি ইউনেস্কো কর্তৃক এই দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণাকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিকীকরণ বলে অভিহিত করেন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চা নিশ্চিতকরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানের শেষার্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল