তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯০৪
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপই ডিজিটাল বাংলাদেশ
----ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০০৯ সালে। বঙ্গবন্ধুই ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ রোপন করেন এবং তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা সেই বীজকে চারাগাছে রূপান্তর করেন। পরবর্তীতে ২০০৯-২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর উন্নয়ন দর্শনে প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও বিকাশ, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল অর্থনীতি ও ক্যাশলেস সোসাইটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস” এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে ডাক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তিই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট আবিষ্কারের ফলে শুরু হয় ডিজিটাল বিপ্লব। ইন্টারনেটের সাথে ডিজিটাল ডিভাইসের সংযুক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবন, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর ব্যাপক গতি নিয়ে আসে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর গুরুত্ব গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সোনার বাংলা বিনির্মাণে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ এমন কোনো খাত নেই, যেখানে পরিকল্পিত উদ্যোগ ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেননি। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই রচিত হয় একটি আধুনিক বিজ্ঞানমনষ্ক ও প্রযুক্তির নির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি, যা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বিপ্লবে অংশগ্রহণের পথ দেখায়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭৪ সালে বেতবুনিয়ার ভূ-উপগ্রহ উদ্বোধনের মাধ্যমেই ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি রচিত হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), মহাপরিপালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল মতিন ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব মোঃ হারুনুর রশীদ বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/এনায়েত/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২৩০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯০৩
রোজার ঈদে মুক্তি পাবে প্রথম সাইবার থ্রিলার চলচ্চিত্র অন্তর্জাল
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর) :
আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে বাংলাদেশের সাইবার জগতের সুরক্ষা নিয়ে নির্মিত প্রথম সাইবার থ্রিলার ‘চলচ্চিত্র অন্তর্জাল’।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অভ্ ফেমে অনুষ্ঠিত দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত ‘অন্তর্জাল চলচ্চিত্রের’ আগমনী আড্ডা ও মোশন পোস্টার উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ঘোষণা দেন।
এ সময় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক খাইরুল আমিন বক্তৃতা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, সিনেমাটির স্ক্রিপ্টিং এর সঙ্গে সাইবার বিশেষজ্ঞরা জড়িত থাকায় এটি ত্রুটি মুক্ত একটি ছবি। সাইবার নির্ভর থ্রিলার থেকে এটি পুরোপুরি ভিন্ন। প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাইবার ক্রিমিনালরা অপরাধ করে থাকে উল্লেখ করে বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে তরুণরা যেন সচেতন হয় সেজন্যই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এর আগে নিজের ফোনে আসা পাসওয়ার্ড দিয়ে চলচ্চিত্রটির টিজার উন্মুক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। সেসময় সবাইকে এই পাসওয়ার্ডের গুরুত্ব তুলে ধরে পলক বলেন, আগামীতে যুদ্ধ করতে গুলির প্রয়োজন হবে না। যুদ্ধ হবে সাইবার দুনিয়ায়। পাসওয়ার্ড দিয়েই যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করবে সাইবার সৈনিকেরা।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘উন্নয়নের ৫০ বছর’ শিরোনামে আরো একটি অ্যানিমেটেড মুভি নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও অন্তর্জাল প্রযোজক মোহাম্মাদ আলী হায়দার, সাদেকুল আরেফিন, সহ-প্রযোজক শাহ আমীর খসরু ছাড়াও অভিনেত্রী বিদ্যা সিংহা মীম, অভিনেতা সিয়াম আহমেদ, সুনেরা বিনতে কামাল, মাশরুর এনান, রওনক হাসান, অমিত সাহাসহ কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
#
শহিদুল/এনায়েত/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২২৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯০২
পৃথিবীকে প্রাণবায়ুপূর্ণ রাখতে অরণ্য সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণের আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর
চট্টগ্রাম, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে অক্সিজেনের মতো প্রাণবায়ুতে পৃথিবী ভরিয়ে দিতে পারে একমাত্র গাছ। তাই প্রত্যেক মাসে বা সব অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা এবং অরণ্য সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ চট্টগ্রামের র্যাডিসন ব্লু হোটেলের মেজবান হলে ইউনিভার্সিটি অভ্ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি চিটাগাংয়ে (ইউএসটিসি) ২০২৫ সালের মধ্যে জিরো কার্বন স্ট্যাটাস অর্জনের লক্ষ্য ঘোষণা এবং ইউএসটিসি’তে ‘নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইউএসটিসি বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১-এর সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘রেস টু জিরো কার্বন’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে চায় উল্লেখ করে পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, মেডিসিন, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি এবং লাইফ সায়েন্স, বিজনেস স্টাডিজ এবং হিউম্যানিটিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি শিক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ বছরেরও অধিক একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বসহ চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্দোলন জলবায়ু ও পরিবেশের উন্নতি ঘটাবে এবং এসডিজি লক্ষ্য পূরণে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতি ও জাতির উন্নয়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
কার্বন ফুটপ্রিন্টের পাশাপাশি ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট সম্পর্কে সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, হাইপার-কানেক্টেড ডিজিটাল লাইফ একটা সমান্তরাল জগৎ তৈরি করেছে। নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে, সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে পরিবেশবান্ধব জীবনের কোনো বিকল্প নেই।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, টেকনোলজির ব্যবহারে আমরা যত দ্রুত এগোচ্ছি তত দ্রুত সমাপ্তি রেখার দিকে পৌঁছে যাচ্ছি। সে কারণে, কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে যে পদচিহ্ন আলোর দিকে দিকনির্দেশ করে, সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করাই এখন একমাত্র উপায়।
ইউএসটিসির বোর্ড অভ্ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আহমেদ ইফতেখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক ডা. শেখ মাহসিদ নুর, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র ট্রিপল-ই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জাক, সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুছ ছালাম ও অধ্যাপক এ এম এম এহতেশামুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে ‘রেস টু জিরো কার্বন’ অভ্ ইউএসটিসি-২০২৫ প্রোগ্রামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারী বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানটি ইউএসটিসিকে ২০২৫ সালের মধ্যে ‘জিরো কার্বন’ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে।
#
আকরাম/এনায়েত/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২১১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯০১
সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর) :
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলায়তনে এর উদ্বোধন করেন ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও টেলিটক- উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির অনলাইনভিত্তিক ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশের জন্য একটি ডায়নামিক সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়। এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রী নির্বাচন করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া চাহিদা মোতাবেক ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন করা হয়েছে। ওই প্রক্রিয়ায় সর্বমোট ৩ হাজার ৩৯২ প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪০টি সরকারি এবং দুই হাজার ৮৫২টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ডিজিটাল লটারির এই প্রক্রিয়ায় ৯ লাখ ১২ হাজার ৬৪৪টি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।
দুইটি পদ্ধতিতে ভর্তি সংক্রান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে। প্রথম পদ্ধতি : যেকোনো টেলিটক মোবাইল নাম্বার থেকে GSA<space> RESULT <space> USERID এসএমএস করতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি ম্যাসেজে উত্তর পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি : অনলাইনে ফলাফল পেতে ওয়েবসাইটে https://gsa.teletalk.com.bd) ব্রাউজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, মেধার সমন্বয় করতেই লটারিতে ভর্তি ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ফলাফলের ভিত্তিতে শ্রেণি রোল নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, অশুভ প্রতিযোগিতার হাত থেকে শিক্ষার্থীর মানসিক চাপমুক্ত রাখা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মেধার সমন্বয় করতে লটারিতে ভর্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘লটারিতে ভর্তির ব্যবস্থা নেওয়ায় অনেকে ভালোভাবে নিয়েছেন, অনেকে সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি একজন রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগে সে মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে। তার কারণ আদালতকে আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এই পদ্ধতিটি ভালো। এতে ইতিবাচক দিক রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধার সমন্বয় হবে। লটারিতে ভর্তি-অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করা, শিশুদের প্রতি মানসিক চাপ প্রশমন, অর্থ সাশ্রয়, পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অশুভ প্রতিযোগিতা বন্ধ করে। শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রতিষ্ঠানে পড়ার অধিকার তৈরি হওয়ার কারণে এটি ভালো ব্যবস্থা। সে কারণে আদালতে রিট খারিজ হয়েছে। ’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিশুদের চাপের মধ্যে থাকতে হতো। আনন্দের সঙ্গে স্কুলে গিয়ে লেখাপড়ার অবস্থা থাকতো না। যে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতো সেই বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে শিক্ষার্থী হতাশায় ভোগে।’
ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় কোটা কমানোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় কোটা বাড়ানো উচিত। সারা দুনিয়াতে শিক্ষার্থীরা ক্যাচমেন্ট এরিয়া থেকেই আসে। স্কুলের আশপাশ থেকে যদি আসে তাহলে শিক্ষার্থীর জন্য যেমন ভালো, তেমনি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ভালো।’
ফলাফলের ভিত্তিতে রোল নম্বর নির্ধারণ নয় ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষা বিষয়ে একটি শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা। গবেষণা করে দেখতে হবে কোনদিকে আমাদের বেশি নজর দেওয়া দরকার। তাহলে আরো উন্নত করা সম্ভব হবে।
#
খায়ের/এনায়েত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/২০২৩ ঘণ্টা
Handout Number: 4900
Saudi Ambassador calls on State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam
Dhaka, 12 December 2022:
Ambassador of the Kingdom of Saudi Arabia to Bangladesh Essa Yousef Essa Al Duhailan paid a courtesy call on with the State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam at the Ministry of Foreign Affairs today. The State Minister and the Saudi Envoy exchanged views on various bilateral issues of mutual interests.
The Ambassador expressed satisfaction at the state of excellent bilateral relations between Bangladesh and Saudi Arabia which is growing rapidly in various fields including political, economic, defence, manpower, business, trade and investment. The Ambassador apprised the State Minister about the follow-up of the visit by the Saudi Deputy Interior Minister to Dhaka in last November 2022. He also updated him about the increasing engagement of Saudi investors in various fields including potential Saudi investment in the EEZ earmarked for Saudi Arabia.
The State Minister stated that his office was ready to push forward any issues/proposals from the Saudi side in making headways. While reflecting on the current energy/oil crisis in view of the Russia- Ukraine war, the State Minister stated that Bangladesh needed brotherly support from Saudi Arabia in meeting its energy needs. The Saudi Envoy stated that he would take up the issue with the concerned Saudi stakeholders. The Saudi Envoy also apprised the Minister about the recent terrorist activities conducted by the Houthis in Arab peninsula despite ceasefire. He appreciated the role of Bangladesh in supporting Saudi Arabia and in denouncing terrorism against the Houthis.
During the meeting, the State Minister underlined the need to engage more efforts to scale up bilateral collaboration beyond the traditional labour market and Hajj and Umrah. He stated that Saudi Arabia was playing a more visible role in multilateral fora which is encouraging for the Muslim Ummah. He stressed the need for expanding collaboration in the new and emerging areas through time-bound and target-oriented roadmap and expedite pending investment agenda and new areas of collaboration.
The Saudi Ambassador expressed his gratitude to the State Minister for his continuous support to take forward the bilateral engagements to new heights including Bangladesh’s valuable support to Saudi Arabia in the multilateral fora.
#
Reza/Pasha/Mosharaf/Rafiqul/Mahmud/Likhon/2022/hour/1930
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৯৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনীতির আঙ্গিনায় অসীম সাহসী ও দূরদর্শিতার প্রতীক
--- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান ও অগ্রযাত্রা এখন সারা বিশ্বে স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় অর্থনীতির আঙ্গিনায় অসীম সাহসী ও দূরদর্শিতার প্রতীক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় দেশকে এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ দেশপ্রেমিক সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আজ বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশালের সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোঃ ইউনুছ ও শাহ আলম এম পি।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি অর্জন করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নতুন প্রজন্মসহ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, দেশের অব্যাহত উন্নয়ন, শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও প্রগতির ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে
দেশবিরোধী চক্র দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি এসব ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা-মামলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ চাঞ্চল্যকর অন্যান্য মামলার রায় প্রদানের মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ৪র্থ শিল্পবিপ্লব কাজে লাগাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দ্রুত পরিবর্তশীল বিশ্বের সাথে খাপ খাওয়াতে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তিনি সংগঠনের কার্যক্রম আরো গণমুখী ও বরিশালবাসীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন। তিনি বরিশালে আসন্ন শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় বরিশাল জেলা, মহানগর, উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগণ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দসহ জেলা ও মহানগরের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আহসান/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৯৮
অভিবাসীদের প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগিতা করবে ইতালি সরকার
--- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর) :
ইতালি সরকার নিরাপদ অভিবাসনের প্রসার এবং অভিবাসনের প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বিশেষ মনোযোগ দিয়ে অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে একটি সহযোগিতা প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসনকারীদের তাদের সামাজিকতায় পুনরায় একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। যা বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (IOM) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে।
ইতালি সরকারের এই সহযোগিতাকে স্বীকৃতি দিতে আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইতালি দূতাবাস এবং IOM-এর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে অভিবাসী, প্রত্যাবর্তনকারীদের পুনর্মিলন কল্যাণ পরিষেবাসহ নিরাপদ, সুশৃঙ্খল, নিয়মিত এবং দায়িত্বশীল অভিবাসনের সুবিধার্থে সহায়তা করতে আগ্রহী সমস্ত অংশীদারদের স্বাগত জানায়। মন্ত্রী নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করতে জোর দেন এবং সকল অংশীজনদের এ ব্যাপারে সমবেত উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনিজাতা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী ও IOM এর বাংলাদেশের মিশন প্রধান আবদুসাত্তর এসয়েভ বক্তব্য প্রদান করেছেন।
#
রাশেদ/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮৯৭
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরুর ঘোষণা
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর):
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য এবং উন্নয়ন সহযোগী। বিগত ৫০ বছর জাপান বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। জাপান এখন বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার। দু’দেশের বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। অতিসম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা আরম্ভকরণ বিষয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে। বিভিন্ন দেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। জাপানের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমন্ট (এফটিএ) অথবা ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) এর মতো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে সহযোগিতা গ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেজন্য বাংলাদেশ জাপানের সাথে এ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, জাপানের বাজারে এখন এক বিলিয়নের বেশি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে আগামীতে এ রপ্তানি আরো বাড়বে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ জাপানকে পাশে চায়।
জাপানের বিদায়ি রাষ্টদূত ইতো নাওকি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘ ৫০ বছরের। বাংলাদেশের সাথে আরো বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। জাপান বাংলাদেশের সাথে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করতে চায় বলে তিনি জানান।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্টদূত ইতো নাওকি বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে বিদায়ি সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও অতিরিক্ত সচিব মো. রহিম উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২২ ১৭৪৮ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৯৬
সরকারের পতন ঘটাতে এসে বিএনপি নিজেদের পতন ঘটিয়েছে
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, 'বিএনপি বলেছিল সরকারের পতন ঘটাবে, ১০ তারিখের পর থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। তারা সরকারের পতন ঘটাতে এসে নিজেদের পতন ঘটিয়ে দিয়েছেন। সরকারের পদত্যাগ চাইতে এসে নিজেরা পদত্যাগ করে বসলেন সংসদ থেকে।'
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি মনে করেছে সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের ভিত নড়ে যাবে। সরকারের কিছুই হয়নি। তারা যেদিন পদত্যাগ করেছে সেদিনই সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদের আসন শূন্য ঘোষণা করেছে। সামনে উপনির্বাচন হবে, এখন তারা বুঝবেন কি ভুলটি তারা করেছেন।'
আজ চট্টগ্রাম মহানগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এমন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে যে কেউ ধাক্কা দিলে সে-ই নিচে পড়ে যায়। কঠিন দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেলে, দেওয়ালের যেমন কিছু হয় না, উল্টো যে ধাক্কা দেয় সেই মাথায় ব্যথা পায়। তেমনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ধাক্কা খেতে এলে আওয়ামী লীগের কিছুই হবে না। উল্টো বিএনপি ভেঙে পড়ে যাবে।'
তিনি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, 'বিএনপি বলেছিল, ১০ ডিসেম্বর তাদের ১ দফা দাবি। আর সমাবেশে তারা দিল ১০ দফা দাবি। তাদের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। নতুন কোনো কিছু সেখানে নাই। এক দফা থেকে এখন দশ দফায় গেছে। গাধা জল ঘোলা করে খাওয়ার মতোই বিএনপি নয়াপল্টনের রাস্তায় দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করার কথা বলে গোলাপবাগ মাঠে পঞ্চাশ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে।'
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মাহ্মুদ হাছান বলেন, '১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। অনেক হিসাব-নিকাশ করেই বিএনপি ঢাকায় সমাবেশের আয়োজন করেছিল। তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন- দশ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। শেষমেশ বিএনপি অফিসের ভেতরে পাওয়া গেল পনেরটি তাজা বোমা, ১৬০ বস্তা চাল, আড়াই লাখ পানির বোতল আর লাঠিসোটা। তার মানে হচ্ছে তারা আসলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল।'
চট্টগ্রামের মানুষ বারবার আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকেছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি হাছান মাহমুদ বলেন, 'আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। চট্টগ্রামের ৩২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী সেদিন জীবন দিয়েছিল।'
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, ড. আবু রেজা মোঃ নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
#
আকরাম/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/রেজাউল/২০২২/১৬৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৯৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯ জনের শর