তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৪১
দেশের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়োগ করতে হবে
-- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। এজন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ লাভসহ ভবিষ্যতের যেকোনো প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিজেদের যোগ্য করে তুলতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে, পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে কাজ করতে হবে।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে মৌলভীবাজার ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘নবীন বরণ, ইফতার ও কৃতি সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজারের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এর অংশ হিসেবে হাকালুকি হাওড়, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, রাস্তা ও রেললাইনের উন্নয়নের কাজ চলমান আছে। তিনি বলেন, মৌলভীবাজারে একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার ছাত্রকল্যাণ সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ আসাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শামস-উল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আশফাক হোসেন এবং জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসীম উদ্দিন আহমেদ।
#
দীপংকর/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৪০
ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কোনো ষড়যন্ত্রই পরাজিত করতে পারবে না
-- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সাথে তুলনা করে, তারা এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। তারা পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, অন্তরে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। তার কারণেই বিশ্বে বাংলাদেশ অনন্য মর্যাদায় আসীন। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা কখনো আপস করে না।
আজ শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুরে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মতো দুর্নীতিবাজ দলের নেতাদের মুখে দুর্নীতি বিরোধী কথা শোভা পায় না, আর তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ এর দ্বায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত। তার পলাতক ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে দেশবিদেশে পরিচিত। তাদের মুখে দুর্নীতি বিরোধী কথায় সারা দেশে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি। তারা অভিমানী হয় কিন্তু বেঈমান হয় না। দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে, তবে কোনো প্রতিহিংসা থাকবে না। এ দলে সুযোগ সন্ধানীদের কোনো স্থান নেই। যারা দলের জন্য নিবেদিত তারাই পদ পদবিতে স্থান পাবেন। কোনো মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ীর স্থান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনে হবে না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা হবে। আগামী নির্বাচনে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগকে আরো সুশৃঙ্খল, আধুনিক ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।
ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনামুল হক টগর কাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালাম মৃধার সঞ্চালনায় সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন নড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন আকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি সিরাজুল ইসলাম চুন্নু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ভিপি শেখ আব্দুস সালাম।
#
গিয়াস/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৯
পরিবেশ সুরক্ষায় হবিগঞ্জের ‘এরাবরাক নদী (বদ্ধ)’ জলমহালটি জলমহালের তালিকা থেকে বাদ
ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত প্রায় ৮৬ একর আয়তনের ‘এরাবরাক নদী (বদ্ধ)’ জলমহালটি নদী রক্ষা কমিশনের সুপারিশে জলমহালের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এই জলমহাল ইজারা দেওয়া হবে না। ‘এরাবরাক নদী (বদ্ধ)’ জলমহালটির নাব্যতা রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের জলবায়ু ও পরিবেশগত নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি বাস্তবায়নে যেকোনো জলাধারের নাব্যতা রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
আজ সচিবালয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভূমি মন্ত্রণালয়ের সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমটির ৬৯তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সায়রাত মহাল শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ। ইজারার জন্য প্রস্তাবকৃত জলমহাল সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকবৃন্দ এ সময় সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৪২৯-১৪৩৪ বঙ্গাব্দ মেয়াদে বিভিন্ন জেলার জলমহাল উন্নয়ন প্রকল্পে ইজারার জন্য ৪৬৮টি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড অনলাইনে আবেদন দাখিল করে। জেলা পর্যায় থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত ৬৭ ও ৬৮তম সভায় মোট ১৯২টি জলমহাল ইজারার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। আজকের ৬৯তম সভায় ৬৯টি সাধারণ প্রস্তাব ও ১টি বিবিধ ইজারার প্রস্তাব অনুমোদন কিংবা নিষ্পত্তি হয়।
উল্লেখ্য, মৎস্যজীবীদের সুবিধার্থে এবং সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জলমহাল ইজারার জন্য অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময়সীমা আগামীকাল ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, jm.lams.gov.bd ভূমিসেবা কাঠামো থেকে অথবা সরাসরি jm.lams.gov.bd ওয়েব পোর্টালে গিয়ে জলমহাল ইজারার জন্য আবেদন দাখিল করা যায়। এছাড়া, জলমহাল ইজারার আবেদন অনলাইনে দাখিল এবং ইজারা প্রক্রিয়ার বিস্তারিত উপর্যুক্ত ওয়েবপোর্টাল থেকেই জানা যাবে।
‘উন্নয়ন প্রকল্পে’ ৬ বছরের জন্য ২০ একরের ঊর্ধ্বে সরকারি জলমহাল এবং বিশেষ ধরণের বিবিধ জলমহাল ইজারা আবেদন মন্ত্রণালয় পর্যায়ে ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে 'সরকারি জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত কমিটি’র সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন হয়। ‘সাধারণ আবেদনে’ ৩ বছরের জন্য ২০ একরের ঊর্ধ্বে বদ্ধ সরকারি জলমহালের ইজারা আবেদন ‘জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন হয়। ‘সাধারণ আবেদনে’ ৩ বছরের জন্য ২০ একর পর্যন্ত বদ্ধ জলমহালের ইজারা আবেদন ‘উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন হয়।
এক হিসাবমতে ছোট-বড় মিলিয়ে দেশের জলমহালের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। এসব ইজারা দিয়ে বছরে প্রায় শতকোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। বেশ কয়েকটি জলমহাল ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে ইজারাবিহীন রাখা হয়েছে যেমন দিনাজপুরের রামসাগর, সিরাজগঞ্জের হুরাসাগর ইত্যাদি। মাছ সংগ্রহের অভয়াশ্রম ঘোষিত জলমহালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওড়, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওড় ইত্যাদি।
#
নাহিয়ান/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৮
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি ও মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা এবং এ মৈত্রী অবিচ্ছেদ্য। যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে ততোদিন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের সাথে ভারতের অবদানের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।’
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও ভারতের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মোঃ ফজলে আলীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মমতাজ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সাবেক রাষ্ট্রদূত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নীম চন্দ্র ভৌমিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সালাউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক তালুকদার সভায় বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারতের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া কখনো আমাদের পক্ষে নয় মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভবপর হতো না। একাত্তর সালে এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলো। ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলো। ভারত পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণার পর ভারতের সেনাবাহিনী আমাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে একযোগে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ভারতের সেনাবাহিনীর শতশত সদস্য আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য শহিদ হয়েছে। তাই ভারতের সাথে আমাদের যে মৈত্রী, আমাদের যে সম্পর্ক, সেটি রক্তের অক্ষরে লেখা।’
‘শুধু তাই নয় যখন পাকিস্তানের কারাগারে থাকা বঙ্গবন্ধুর ফাঁসির রায় ঘোষণা হয়, তখন তৎকালীন ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত সংগঠিত করার জন্য পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন, সেজন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতাভরে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর অবদানকে স্মরণ করি’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
১৯৭১ সালে ভারতের মানুষ বাংলাদেশিদের জন্য তাদের আঙ্গিনার দুয়ার যেভাবে খুলে দিয়েছিলো তেমনি তাদের হৃদয়ের দুয়ারও খুলে দিয়েছিলো উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এককোটি মানুষ ভারতের যে বিভিন্ন পরিবারের সাথে আশ্রিত ছিলো, তারা তাদেরকে বোঝা মনে করেনি, পরম আপন ভেবে আশ্রয় দিয়েছিলো। ভারতের শিল্পী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড় সবাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। কোলকাতা, আগরতলা, দিল্লীসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় রাস্তায় তারা আমাদের শরণার্থীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছে। তাই ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী চিরঅম্লান এবং এই মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা।
চলমান পাতা/২
--০২--
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং ভারতের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের দুর্যোগ, দুর্বিপাকে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরাও সামর্থ্য অনুযায়ী ভারতের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি -এভাবেই বন্ধুত্ব সুদৃঢ় হয়। উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করার মধ্যেই এ অঞ্চলের উন্নয়ন নিহিত উল্লেখ করে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ দু’দেশের মধ্যে আরো বেশি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ও দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাছান মাহ্মুদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দেশে বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ভারতের এই অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টা করে, ভারতবিরোধী বক্তৃতা দেয়। তাদের রাজনীতির অন্যতম মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ভারতবিরোধিতা এবং নির্বাচন এলে তাদের ভারতবিরোধী বক্তৃতা বেড়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো আমরা দেখেছি, একদিকে দেশে বসে ভারতবিরোধিতা করে আবার ভারতে গিয়ে একেবারে নতজানু নীতি অবলম্বন করে। তাদের নেত্রী ভারত থেকে দামি শাড়ি পরে এসে ভারতের বিরুদ্ধে কড়া বক্তৃতা দেয়। বিএনপিসহ যেসমস্ত রাজনৈতিক দল ভারতবিরোধী রাজনীতি বক্তব্য দিয়ে প্রেসক্লাব-নয়াপল্টন-টেলিভিশনের পর্দা গরম করে, তারা আবার ভারতীয় হাইকমিশনে ইফতার করতে যায়। আশা করবো তাদের এই অপরাজনীতি বন্ধ হবে।’
#
আকরাম/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৭
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস (Peter D. Hass) এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইউএসএইড বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন ডাইরেক্টর রান্ডি আলী (Randi Ali) এবং ইউএসএইড এর এডুকেশন ডেভেলপম্যান্ট অফিসার সানজয় রেনলডস কোপার (Sanjai Reynolds- Cooper)।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষার ওপর খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ৩০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ১৭ শতাংশ। সরকার টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষাকে মেইনস্টিম করতে বদ্ধপরিকর।
এই সময় রাষ্ট্রদূত শিক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে কারিগরি ও টেকনিক্যাল এডুকেশনের সাম্প্রতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
#
খায়ের/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৬
যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২২ উদ্যাপনে সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণকল্পে আজ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।
সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ঈদের প্রথম জামাত ৮.৩০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯ ঘটিকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুসলিম দেশের কূটনীতিকদের দাওয়াত প্রদান করা হবে। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া ঈদুল ফিতর দিবাগত রাত্রিতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারা দেশে বিভাগ/জেলা/উপজেলা/সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ/বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রধানগণ জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়নপূর্বক পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ যথাযোগ্য গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দেশের সকল হাসপাতাল/কারাগার/সরকারি শিশু সদন/বৃদ্ধ নিবাস/ ছোটমনি নিবাস/ সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র/ আশ্রয় কেন্দ্র/ সেইফ হোমস/ ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র/দুস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবে। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় নীতির সাথে সংগতিশীল ডকুমেন্টারি ফিল্ম/চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য মুসলিম দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, রীতি ও রেওয়াজকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আঙ্গিকে নতুন ধারার অনুষ্ঠানমালা তৈরির অগ্রাধিকার দেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকেটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সকল শিশু পার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনাটিকেটে ঢাকা যাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ অনলাইনে ও সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
#
আনোয়ার/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ সময় ৫ হাজার ৮৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১২৪ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৬০৫ জন।
#
কবীর/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৬৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৪
প্রযুক্তিবান্ধব দক্ষ জনশক্তি গঠনে হাইটেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে
--বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরæল হামিদ বলেছেন, প্রযুক্তিবান্ধব দক্ষ জনশক্তি গঠনে হাইটেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। আইসিটি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃজন ও বিকাশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারলে আগামীর চ্যালেঞ্জ দ্রুত মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ কেরাণীগঞ্জ ঝিলমিল প্রকল্পে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কেরাণীগঞ্জ খুবই ঐতিহ্যবাহী একটি জনপদ। মেড ইন জিনজিরার হাত ধরে হালকা প্রকৌশল ও শিল্পখাত মেড ইন বাংলাদেশের বৈশ্বিক স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এখানে ছোট ছোট শিল্প কলকারখানা সারা বাংলাদেশের মধ্যে কেরাণীগঞ্জকে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে কেরাণীগঞ্জ হবে অন্যতম চালিকাশক্তি। আর এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর হিসেবে নেপথ্যে ভূমিকার রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ। তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে এবং বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলার স্বপ্ন দেখছে।
কেরাণীগঞ্জে হাইটেক পার্ক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭টি খাল উদ্ধারের মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ, শুভাঢ্যা খাল খনন, ৫টি প্রশস্ত রাস্তা, অধ্যাপক হামিদুর রহমান স্পোর্টস কমপ্লেক্সসহ BPMI (বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট), ভোকেশনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ আগামীতে কেরাণীগঞ্জকে পরিণত করবে দেশের শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো সমৃদ্ধ একটি আধুনিক নগরীতে। ৭তলাবিশিষ্ট ১৫ হাজার বর্গফুটের বিশালায়তনের হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজে ব্যয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এখান থেকে প্রতিবছর প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে ১ হাজার জন এবং এখানে স্থায়ীভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে ৩ হাজার মানুষের।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মদ পলক ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে উল্লেখ করে বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা সাহসিকতা দূরদর্শিতা দিয়ে একটি স্বল্পোন্নত দরিদ্র প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত করেছেন। যিনি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন এবং ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, দেশের তরুণরা যেন উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ-এর ব্রেন চাইল্ড আইটি /হাইটেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অভ্ ফিউচার, ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টারসহ দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী (Vikram K Doraiswami) ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠান শেষে আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত কেরাণীগঞ্জস্থ লাল মসজিদ (দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ) এর শৈল্পিক সৌন্দর্য্য পরিদর্শন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও ভারতের হাইকমিশনার।
#
আসলাম/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৩
সরকার উপকূলীয় এলাকার নারীদের জীবিকায়ন ও সুপেয় পানি নিশ্চিত করেছে
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
দাকোপ (খুলনা), ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার উপকূলীয় এলাকার তেতাল্লিশ হাজার পরিবারের জীবিকায়নে সহায়তা প্রদান করছে। এসব পরিবারের জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু, নিরাপদ এবং সারা বছর পানযোগ্য পানীয় জলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে। গ্রিণ ক্লাইমেট এডাপটেশন (জিসিএ) প্রকল্পের আওতায় খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ৫টি উপজেলায় তেরো হাজার পরিবারে জন্য খানাভিত্তিক রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্প থেকে ২২৮ টি কমিউনিটি, ১৯টি প্রতিষ্ঠান ও ৪১ টি পুকুরভিত্তিক আল্ট্রা-ফিল্ট্রেশন রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ত্রিশ হাজার পরিবার সুপেয় পানিয়জলের সুবিধা পাবে'।
প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনার দাকোপ উপজেলায় গড়খালি পল্লীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় বাস্তবায়িত “উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতাবৃদ্ধিকরণ” প্রকল্পের আওতায় রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেমের হস্তান্তর ও অপারেশন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। গড়খালি পল্লীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং স্থাপনাটি পঁচিশ জন উপকারভোগীর নিকট প্রতিমন্ত্রী হস্তান্তর করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর একটি বাংলাদেশ অথচ জলবায়ুর পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো দায় নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তীব্র ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে স্বাদুপানির এলাকাসমূহে লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যার ফলে উপকূলীয় বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর পানীয় জলের সহজলভ্যতা, স্বাদুপানি নির্ভর কৃষিকাজ ও জীবিকার ওপর ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এর ফলে নারী ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঘরে খাওয়ার পানি না থাকলে তা সংগ্রহের জন্য নারীদের অনেক কষ্ট করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, ইউএনডিপি সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সরদার এম আসাদুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন, দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান ও দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস।
উল্লেখ্য "উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিশেষত নারীদের, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতাবৃদ্ধিকরণ” প্রকল্পটি ২৭৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে (সরকারি ৬৭ কোটি ১৬ লাখ এবং&n