তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৯
জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে এগিয়ে নিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতায় বেসরকারি খাত এগিয়ে এসেছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে এগিয়ে নিতে আরো পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আজ ঢাকার রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-তে ‘ট্রান্সফরমিং টু এ শিপবিল্ডিং এন্ড এক্সপোর্টিং কান্ট্রি : চ্যালেঞ্জেস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত আয়ের দেশে উন্নীত করার রূপকল্প স্থির করে নৌপরিবহনসহ ব্যাপক ভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সরকার বদ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, দেশের ৯০ ভাগ পরিবহন হয় নৌপথে।
আইইবি’র যন্ত্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সরাসরি/অনলাইনে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফজলুল হক এবং শিপবিল্ডিং এক্সপার্ট ও থ্রি এঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েট ও চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ার, নেভাল আর্কিটেক্ট এন্ড ট্রান্সপোর্ট প্লানার অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার খবিরুল হক চৌধুরী।
#
জাহাঙ্গীর/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া শিশুর হার প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে গেছে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিকীকরণ, উপবৃত্তি প্রদান ও বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ করার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এনরোলমেন্ট বা অন্তর্ভুক্তি প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে যথাসময়ে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়াতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে গেছে। এমনকি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিকট পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের এনরোলমেন্ট হার বেশি। মেয়েদের ক্ষেত্রে শতকরা ১০০ ভাগ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ৯৯ দশমিক ৭ ভাগ। আর এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ, বলিষ্ঠ, দূরদর্শী ও সময়োপযোগী নেতৃত্বের কারণে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে আরটিভি আয়োজিত 'আরটিভি এসএমসি মনিমিক্স প্রেরণা পদক ২০২০' সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আগামী প্রজন্মের পুষ্টির চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সঠিকভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মনিমিক্স কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তারা কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে সবকিছুর সমাধান সম্ভব নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে বেসরকারি উদ্যোক্তা ও সংগঠনের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, দেশ যত উন্নত হবে, সেখানে বেসরকারি উদ্যোক্তা ও সুশীল সমাজের ভূমিকা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন ও সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) এর চিফ অভ্ প্রোগ্রাম (অপারেশন) তসলিম উদ্দিন খান।
উল্লেখ্য, এবার পাঁচজন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে আরটিভি এসএমসি মনিমিক্স প্রেরণা পদক- ২০২০ প্রদান করা হয়েছে। যাদের পদক প্রদান করা হয়েছে তারা হচ্ছেন শিক্ষা বিস্তারে এক টাকার মাস্টার/শিক্ষক খ্যাত 'লুৎফর রহমান', শিশুদের নোবেল খ্যাত 'আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার' প্রাপ্ত দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র 'সাদাত রহমান', বিরসা মুন্ডা প্রভাতী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা 'আশিকুজ্জামান আশিক', নড়াইলে অ্যাথলেট তৈরির কারিগর 'দিলীপ চক্রবর্তী', অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তিদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় নিবেদিত প্রাণ 'সৈয়দা মুনিরা ইসলাম', এবং 'বুলবুল ললিতকলা একাডেমী' (বাফা)।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে 'Anjelica presents Wedding Festival Title Sponsored by Hotel Le Meridien' এর উদ্বোধন করেন।
#
ফয়সল/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৭
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড-২ এর উদ্বোধন
সিলেট, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
ক্রিকেট উন্মাদনাকে ছড়িয়ে দিতে দেশে আরো একটি দৃষ্টিনন্দন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হয়েছে চায়ের শহর সিলেটে।
আজ সিলেট বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল সিলেটের নতুন এ স্টেডিয়ামটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিন একর জমিতে নির্মিত এ স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে ‘সিলেট আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ডস-২’। এ সময় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় নির্মিত নতুন একটি ভবনেরও উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার পরেই পর্যটন নগরী নয়নাভিরাম সিলেটকে আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ডস-২’ এর উদ্বোধন করা হলো। এছাড়াও প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি আরা বলেন, অচিরেই এখানে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি টেনিস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। একই সাথে বৃহত্তর সিলেটের ১২টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেটের লাক্কাতুরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে নির্মিত হয়েছে ‘সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ডস-২’।
অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্হানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব-সহ স্হানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৬
বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত
যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ১৯তম সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
আজ ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ১৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদ্যুৎ সচিব সঞ্জীব নন্দন সাহাই (Sanjiv Nandan Sahai)। সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়।
সভায় ভেড়ামারা ও বহররমপুর ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনার পাশাপাশি এর ২য় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এ সময় প্রস্তাবিত কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা হয়।
সভায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানিসহ ভারতের বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত গাইডলাইন ও রেগুলেশনের বর্তমান অবস্থা, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে সকল ধরনের সিডি, ট্যাক্স ও ভ্যাট থেকে অব্যাহতি প্রদান, রাজনৈতিক কারণে বা ভারতীয় আইন পরিবর্তনজনিত আর্থিক সংশ্লেষের উদ্ভব হলে তা থেকে অব্যাহতি প্রদানের বিষয় পর্যালোচনা হয়।
স্টিয়ারিং কমিটির সভায় জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানির অগ্রগতি এবং ভুটানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া সভায় রামপালে বাস্তবায়নাধীন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়। এ সময় বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি সত্ত্বেও মৈত্রী সুপার থারমাল প্রকল্পের অর্জিত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৯ তম সভা ২১ জানুয়ারি একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৮তম সভা গত বছর মার্চ মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির পরবর্তী সভা আগামী জুলাই মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
#
আসলাম/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৫
চিলমারীতে দুস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র
বিতরণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
চিলমারী (কুড়িগ্রাম), ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন আজ তাঁর নির্বাচনী এলাকা চিলমারী উপজেলায় দুস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। চারিদিকে ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেরা নটারকান্দি চর ও ঢাডিয়ার চরের শীতার্ত মানুষের মাঝে তিনি শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। শীতার্ত মানুষের হাতে তিনি একটি করে কম্বল তুলে দেন।
চিলমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শীতের সময় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে পারেন না। তাই তারা এসময় না খেয়ে অনাহারে দিনাতিপাত করেন। এ সব অসহায় দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করতে শীতবস্ত্র বিতরণের এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে কোনো গরিব মানুষ শীতে কষ্ট না পায় এবং না খেয়ে থাকে।
পরে প্রতিমন্ত্রী চিলমারী উপজেলার ভাটিয়ারচর ও অষ্টমীর চর এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
#
রবীন্দ্রনাথ/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না
-- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। কাজেই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সে লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে আজ প্রথমবারের মতো একযোগে সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯শত ৪টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ নতুন ঘর নির্মাণ করে উপহার হিসেবে দেয়া হচ্ছে। এরই আলোকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে প্রথম ধাপে গোয়াইনঘাটে আজ ২৭০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলাদেশ দিয়েছে, এই দেশ ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাই দেশের উন্নয়নে এবং সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে সকলের সহযোগিতা দরকার।
আজ গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া হেলাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লেবু প্রমুখ।
এছাড়াও মন্ত্রী সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, ফলক উন্মোচন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
#
রাশেদুজ্জামান/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৩৫৩
চামড়া শিল্পের উন্নয়নে কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স করতে হবে
----শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী চামড়া শিল্পের স্থায়ী কাজে শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ শিল্পের উন্নয়নে কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স করতে হবে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার পুরোপুরি চালু এবং পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে আরো আন্তরিক হওয়ার জন্য তিনি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বিজয়নগরে পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ এর সম্মেলন কক্ষে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের ওপর করোনার প্রভাব শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানিমুখী ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের উন্নয়নে সরকার মালিকদের পাশে আছে। শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি চামড়া শিল্প নগরীতে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরকে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু ট্যানারি শিল্পই নয় সকল খাতের বিশাল এই শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে বাঁচাতে, দেশের অর্থনীতি এবং দেশকে রক্ষায় মহামারির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী এবং দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে সরকার শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে গার্মেন্টসসহ সকল কল-কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী করোনা মহামারির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্মেন্টস শ্রমিকসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব হ্রাস করার জন্য ৩১-দফা নির্দেশনা জারি এবং পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফেডারেল জার্মান সরকার অর্থায়নে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রপ্তানিমুখী তৈরিপোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নগদ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছি। গতমাসে এ কর্মসূচির আওতায় গার্মেন্টস এবং ট্যানারি শিল্পের মোট ৩ হাজার ২৬৬ জন শ্রমিক প্রত্যেককে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের জন্য ৬ হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ট্যানারি শিল্পের মোট ২২০ জন শ্রমিককে এ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী উন্নত কর্মপরিবেশে চামড়া শিল্পের দক্ষ শ্রমিকদের দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করলে চামড়ার আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে মত প্রকাশ করেন।
#
আকতারুল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫২
ঢাকা শুধু বাসযোগ্য নয়, বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হবে
---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
রাজধানীর খালসমূহ দখলমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে হাতিরঝিলের আদলে নির্মাণ করলে ঢাকা শুধু বাসযোগ্য নয়, দৃষ্টিনন্দন এবং বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ওয়াসার সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার প্রণীতব্য ‘মেঘনা নদীর মাস্টার প্ল্যান’ শীর্ষক এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
মেঘনা নদীকে দখল, দূষণ এবং নাব্যতা সংকট থেকে রক্ষা করতে একটি মহাপরিকল্পনা নিতে এই মাস্টার প্ল্যান, যা বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১১ কোটি চার লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ১৮ মাস।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এবং খালের দায়িত্ব দেওয়ার পরই দুই মেয়র অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে দিয়েছেন এবং কার্যক্রম চলমান আছে। খালসমূহ এবং নদীর দুই ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পরিকল্পিতভাবে ঢাকাকে শুধু বাসযোগ্যই নয়, আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন এবং বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে।
ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান পদ্মা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, বালু ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজ চলছে। এছাড়া সরকার তুরাগসহ ঢাকার অদূরে বেশ কিছু নতুন শহর গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগ বেড়েছে আর এ কারণেই ময়লা আবর্জনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নদ-নদী, খালসমূহে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য নিষ্কাশন হওয়ার ফলে পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে যা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। তিনি আরো বলেন, মেঘনা নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের জন্য আজকের এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।
মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, সকলের সমন্বিত উদ্যোগে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ওয়াসা এবং ইন্সটিটিউট অভ্ ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫১
বিত্ত কখনো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না
-- তথ্যমন্ত্রী
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম), ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘অর্থ-বিত্ত রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে এটি হতে পারে না, বিত্ত কখনো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।’
আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মন্ত্রী একথা বলেন। ইছাখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় রাঙ্গুনিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভা মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার আবুল কাশেম চিশতিসহ স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীবৃন্দ সভায় অংশ নেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘যখন বিত্ত রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে তখন রাজনীতি বিক্রি হয়ে যায়। রাজনীতিটা বিত্তের কাছে বিক্রি করতে পারি না। রাজনীতি থাকবে রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে। এটি সবাইকে মনে রাখতে হবে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘সবাই দলের কর্মী, আমাদের মূল ঠিকানা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একজন কর্মী হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে কেউ সংসদ সদস্য হয়েছি, কেউ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কেউ মেয়র কিংবা কাউন্সিলর ও মেম্বার হয়েছি। কিন্তু আমাদের মূল ঠিকানা হচ্ছে দল। তাই দলের সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আওয়ামী লীগ চার বার ও একাদিক্রমে পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার পেছনে মূল কারিগর হিসেবে আওয়ামী লীগের সভাপতির কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা, সংকট মোকাববিলায় তাঁর সাহস এবং ধৈর্য্য ও একইসাথে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি এবং বিস্তৃতির কারণেই আমরা পর পর তিন বার রাষ্ট্র ক্ষমতায়।
পর পর তিন বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেকের মাঝে যে আলস্য এসেছে, তা ঝেড়ে ফেলতে হবে এবং একই সাথে দলের মধ্যে কিছু সুবিধাভোগী, সুযোগসন্ধানী নানাভাবে অনুপ্রবেশ করেছে ও করার চেষ্টা করছে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন ড. হাছান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া আওয়ামী লীগ একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠন। আমাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেক গভীরে পতিত। যে কারণে গত কয়েক বছরে প্রতিটি নির্বাচনে অত্যন্ত ভালো ফল করতে সক্ষম হয়েছি।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দলই আমাদের মূল ঠিকানা, দলের কারণে আজকে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। সুতরাং সবার উপরে দলীয় কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং একইসাথে দলের নেতা মনোনয়ন করার সময় তাকেই গুরুত্ব দিতে হবে যিনি দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, দলের জন্য নিষ্ঠাবান।
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের প্রার্থীর ক্ষেত্রে কে আমাদের দলীয় সভাপতির প্রতি আস্থাশীল এবং দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছেন এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তার অর্থ-বিত্ত থাক আর না থাক তাকেই দলে আনতে হবে।’
#
আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫০
দরিদ্রদের মাঝে ভূমি ও গৃহ প্রদান উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি বড় মাইলফলক
---গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ফুলপুর (ময়মনসিংহ), ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের মাঝে ভূমি ও গৃহ প্রদান দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি বড় মাইলফলক।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দরিদ্রদের মাঝে অনলাইনে আয়োজিত ভূমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদ প্রান্তে যুক্ত হয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। উন্নয়নের সকল সূচকে দেশ অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, এলএনজি টার্মিনাল, মেট্রোরেল ইত্যাদি মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে।
উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৪১ সালের পূর্বেই দেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হবে। অনুষ্ঠানে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা কর্মচারীগণ, ফুলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, গৃহ-ভূমি গ্রহিতাগণ-সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯
প্রকাশনা শিল্পকে টিকিয়ে রাখার উপায় খুঁজে বের করতে হবে
&nbs