Handout Number : 71
New British High Commissioner calls on Foreign Minister Dr. Momen
Dhaka, 10 July:
Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen congratulated Sarah Cooke on her appointment as the new British High Commissioner to Bangladesh during her maiden courtesy call on him today.
The Foreign Minister fondly recalled his personal interactions with both her majesty the late Queen Elizabeth II and Prince Charles on different occasions. He also mentioned the recent visits of Prime Minister Sheikh Hasina to London to attend the funeral of Her Majesty the late Queen Elizabeth II and the Royal Coronation of Their Majesties King Charles III and Queen Camilla.
The Foreign Minister recalled that the historic relationship between Bangladesh and the UK started it’s journey on 8 January 1972 when the then British Prime Minister Sir Edward Heath warmly received Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman in London on the way of his return to independent Bangladesh from the captivity in Pakistan.
Highlighting the spectacular socio-economic development of Bangladesh under the visionary leadership of Prime Minister Sheikh Hasina, he termed the bilateral relations between Bangladesh and the UK as rock-solid, appreciated UK’s development assistance in our developmental journey and noted the sharing of the same values of democracy and human rights. He invited more investments from the UK Specially in our agro-processing, renewable and clean energy, and aviation sectors and sought further cooperation from the UK in tackling climate change, and support to the Bangladesh’s candidature to IMO Secretary-General and Council member elections.
The British High Commissioner highlighted that Bangladesh and UK share historic bonding; deep people-to-people contact and uphold common values of the Commonwealth. Referring to the frequent exchange of high-level visits, stronger cooperation in defence, aviation and climate sectors, she commented that the relations between the two countries have shifted from development assistance centric to a strategic one following Bangladesh’s rapid economic development in the recent years. The High Commissioner acknowledged the immense contribution of large Bangladeshi diaspora in the economy and society of the UK, role of Bangladesh-origin British Parliamentarians and informed that British investors are looking forward to suitable projects for investment in Bangladesh. She assured of continued humanitarian and political support of the UK government to the Rohingya crisis and expedited visa issuance particularly for the students.
The British High Commissioner expressed that the upcoming general elections in Bangladesh would be free, fair, peaceful and participatory. Foreign Minister welcomed foreign observers during the upcoming general elections and underlined the need of all political parties’ commitment for free, fair and peaceful general elections.
#
Mohsin Reza/Rafiqul/Abbas/2023/2305 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০
কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে হবে
---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
বাংলাদেশ এবং এ অঞ্চলের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশে সিজিআইএআর-সম্পর্কিত কৃষি উদ্ভাবন গ্রহণ ও প্রভাব পরিমাপ বিষয়ক পরামর্শ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা সংক্রান্ত কনসালটেটিভ গ্রুপ, সিজিআইএআর-এর স্ট্যান্ডিং প্যানেল অন ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট, এসপিআইএ উক্ত সভা আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সিজিআইএআর এসপিআইএ-এর চেয়ার ড. কারেন ম্যাকোরস, সিজিআইএআর-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক তেমিনা লালানি-শরিফ, সিজিআইএআর এসপিআইএ-এর সিনিয়র রিসার্চার ড. জেমস স্টিভেনসন সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ। এ দেশের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আরো বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ খাতের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হলেও এর ভুক্তভোগী। এই চ্যালেঞ্জসহ কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকার কাজ করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহকেও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। একে অপরের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। এক্ষেত্রে সিজিআইএআর এর সহযোগিতা ও নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আরো গবেষণা ও উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করবে। সিজিআইএআর আয়োজিত সভায় আসা সুপারিশ এবং সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রাসঙ্গিক এবং উপযুক্ত নতুন সব উদ্যোগে সহযোগিতা করবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন এমন একটি বিশ্বে বাস করছি যা গ্লোবাল ভিলেজ হিসেবে পরিচিত। তাই কাউকে পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে সিজিআইএআর-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগ, সহযোগিতা, কারিগরি সহায়তা কৃষি খাতে অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশ কারিগরি সহযোগিতা, গবেষণা ও যৌথভাবে কাজ করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এখানে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তাঁর আন্তরিক অবদান, উপযুক্ত পরিকল্পনা, দেশপ্রেম, আত্মবিশ্বাস ও সবধরনের সহযোগিতা সহজ করার ফলে সবক্ষেত্রে বিশেষ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসহ কৃষিখাতে বাংলাদেশ উন্নতি করছে।
মন্ত্রী যোগ করেন, বাংলাদেশ সরকার কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ এদেশের জনসাধারণ তাদের খাদ্য ও পুষ্টির জন্য এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার পূরণে বর্তমান সরকার কাজ করছে।
বাংলাদেশ এখন মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অচিরেই দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় আরো বলেন, এখন বিশ্বের ৫২টি দেশে বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ ও সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
#
ইফতেখার/পাশা/মোশারফ/আব্বাস/২০২৩/১৯৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ সময় ১৫৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৬২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১০ হাজার ৬৯ জন।
#
রাশেদা/পাশা/রাহাত/মোশারফ/লিখন২০২৩/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৮
গণতন্ত্র ও সুখী সূচকে অগ্রগতি দেশে সুশাসন ও গণতন্ত্র সংহত হওয়ার প্রমাণ
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এবং সুখী দেশের সূচকে আমাদের সাত ধাপ অগ্রগতি প্রমাণ করে যে দেশে গণতন্ত্র সংহত হয়েছে, সুশাসন রয়েছে।
আজ দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ও নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের ৬৫ জনের মাঝে ৬৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ধারণাটি জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। তিনিই প্রথম জাতীয় প্রেসক্লাবে ঘোষণা দেন যে মাঝে মধ্যে সহায়তা দেওয়ার চেয়ে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো উত্তম। তাঁর সেই চিন্তা থেকেই প্রথমে কল্যাণ তহবিল গঠন ও তারপর সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজকে সত্যিকার অর্থে দেশে যে সমস্ত সাংবাদিক কষ্টে থাকেন, দুর্ঘটনায় পতিত হন কিংবা নিহত হন, তাদের ও পরিবারের জন্য একটি ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও’র যাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই শুরু হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘২০০৮ সালে ছিল ১০টি টেলিভিশন, এখন ৩৫টি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে আরো ৭-৮টি সম্প্রচারের অপেক্ষায়। ৪শ’ দৈনিক পত্রিকা ছিল ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি এখন সাড়ে ১২শ’ দৈনিক পত্রিকা। সম্প্রচার হচ্ছে বেসরকারি এফএম ও কমিউনিটি রেডিও, প্রকাশিত হয় হাজার হাজার অনলাইন পত্রিকা। গণমাধ্যমের এই যুগান্তকারী বিকাশ জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গণমাধ্যমবান্ধব নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে।’
গণমাধ্যমের এই বিকাশের সাথে সাথে গণতন্ত্রের বিকাশও ঘটেছে বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, প্রতিনিয়ত সকাল-বিকাল-সন্ধ্যাবেলায় বিরোধী দল বিশেষ করে মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের নেতারা বলেন- আমাদের কথা বলার অধিকার নাই। তারা তিনবেলা কথা বলেন আর বলেন- আমাদের কথা বলার অধিকার নাই। তাদের এই হাঁকডাক এবং ‘‘গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন’’ মন্তব্যের মধ্যেই বাংলাদেশ গত বছর গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে ৭৫তম থেকে ৭৩তম স্থানে উন্নীত হয়েছে।’
আর সুখী দেশ সূচকে আমরা ৭ ধাপ এগিয়েছি উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, সুখী সূচকে ভারত, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে আমাদের অবস্থান এখন ৯৪তম। ভারতের অবস্থান ১৩৬তম, পাকিস্তানের ১২১তম, শ্রীলংকার অবস্থান ১২৭তম। এটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুশাসনের প্রমাণ, গণতন্ত্রের অভিযাত্রার প্রমাণ।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে গণমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে, প্রয়োজন দায়িত্বশীলতার। আধুনিক গণতন্ত্রের সূতিকাগার যুক্তরাজ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন আছে, গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতাও আছে। সেখানে একটি অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে ১৩০ বছর চলার পর বিশ্বখ্যাত পত্রিকা ‘নিউজ অভ দ্য ওয়ার্ল্ড’ বন্ধ হয়ে যায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের একজন এমপির বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে বিবিসির পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ক’দিন আগে বিবিসির মহাপরিচালককে পদত্যাগ করতে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে টেলিভিশন এবং পত্রিকায় অসত্য বা ভুল সংবাদ বা কারো ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশের কারণে সেই গণমাধ্যমকে মোটা অংকের জরিমানা দিতে হয়। আমাদের দেশে ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে কোনো পত্রিকা বন্ধ হয়নি, কোনো টেলিভিশনের পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়নি।’
‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও আমাদের সরকারের নীতি যে, গণমাধ্যম অবাধ এবং স্বাধীনভাবে কাজ করবে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘গণমাধ্যমের কাছে আমার একটি বিনীত নিবেদন- স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতার দিকেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তাহলেই গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র সংহত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশ পৌঁছাবে।’
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭৪২ জন সাংবাদিকের অনুকূলে ট্রাস্ট থেকে ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ২ হাজার ২৯৮ জনকে প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন বিশেষ সহায়তা হিসেবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/মোশারফ/লিখন২০২৩/১৬৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৭
বর্তমান প্রজন্মই স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে
-খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
শিক্ষার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত, আধুনিক ও মানবিক পৃথিবী গড়ে তুলতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। বর্তমান প্রজন্মই ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ নওগাঁর নিয়ামতপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের ট্যাবলেটসমূহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসমৃহের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ‘ট্যাবলেট বিতরণ’অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ট্যাবলেট শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি দেশ ও বিশ্ব মানবতার প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। মোবাইল বা ট্যাবে অনেক ভালো দিক যেমন আছে খারাপ দিকও আছে। শিক্ষার্থীদের ভালো দিক গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন টেকসই করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে সরকারেরর ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সব জায়গায় উন্নয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বার্তাগুলো প্রচার করতে হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস শিক্ষার্থীদের জানাতে আপনাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে শিক্ষার্থী স্বাধীনতা কিভাবে অর্জন হলো জানে না, সে শিক্ষার্থী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে না। দেশের উন্নয়নে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারবে না।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদের সভাপতিত্বে নিয়ামতপুর উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
উপজেলা প্রশাসন নিয়ামতপুর ও উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলার ৪১টি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৪টি মাদ্রাসার ৩৯০ জন শিক্ষার্থীর হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ট্যাবলেট তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী।
#
কামাল/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/কামাল/২০২৩/১৪৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬
জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর
২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সফল স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কূটনীতিবিদ, জতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সফল স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তিনি জীবনের মায়া তুচ্ছ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাঙালির পক্ষে কূটনৈতিক যুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দিল্লীতে পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন। এ সময় দূতাবাসে কর্মরত বাঙালিদের জীবন রক্ষায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিদেশি গণমাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং আমাদের মহান নেতা কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য জোরালো আহ্বান জানান এবং বিশ্ব জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। তাঁর কূটনৈতিক পারদর্শিতায় ৩৪টি দেশ স্বল্প সময়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ মেয়াদে জার্মানিতে (তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি) রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে জাতির পিতার নির্দেশে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে প্রভূত অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আমাকে এবং আমার বোন শেখ রেহানাকে বেলজিয়াম থেকে জার্মানিতে আনার ব্যবস্থা করেন। আমাদের চরম দুঃসময়ে তিনি এবং তাঁর সহধর্মিনী বেগম মেহজাবিন চৌধুরী পরম মমতায় আমাদের দুই বোনকে আগলে রাখেন। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে যোগাযোগ করে তিনি দিল্লীতে আমাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন।
দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর সিলেট-১ নির্বাচনি আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে স্পিকারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। জাতীয় সংসদকে গতিশীল, ডিজিটাল এবং জাবাবদিহিতার আওতায় আনতে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদের প্রচলিত রীতিনীতির আধুনিকায়ন এবং সংস্কারে তাঁর অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালে মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকালে দেশ ও জাতির কল্যাণে তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। দেশের যে কোন সাফল্যে তিনি মনে-প্রাণে খুশি হতেন। তিনি জীবিত থাকলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সার্বিক সাফল্যে আনন্দিত ও গর্ব বোধ করতেন।
স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের নেতৃবৃন্দ মরহুমের অবদান জাতির সামনে উপস্থাপন করার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে দুস্থ জনসাধারণের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছেন জেনে আমি তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমি এই পরিষদের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
আমি হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী- এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
শাহানা/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সাঈদা/কামাল/২০২৩/১২৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৩’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘Unleashing the power of gender equality: Uplifting the voices of women and girls to unlock our world's infinite possibilities’ ভাবানুবাদ ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি: নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’; যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
পরিবার পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী জীবনের মৌলিক অংশ হিসেবে স্বীকৃত। টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহীতার হার বৃদ্ধি পেলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমে, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ হয়। সন্তান কম থাকলে স্বল্প আয়েও আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকা যায়। তাই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে পরিবার পরিকল্পনার বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগ সরকার বিগত সাড়ে চৌদ্দ বছরে জনসংখ্যা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বিভিন্নমূখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা, পরিকল্পিত পরিবার গঠন, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, স্বাভাবিক প্রসব সংক্রান্ত সবধরনের সেবা, বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা এবং আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহীতার হার বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়সমূহকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ মাতৃত্ব, কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য, নারী শিক্ষা ও নারী কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছি। এর ফলে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীগণ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিক ছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতি পরিদর্শন করছে। এসকল পরিদর্শনের মাধ্যমে তারা দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক পরামর্শ ছাড়াও মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। এর ফলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে। এই সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা এমডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ অর্জন করেছি।
আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারীদের বাদ দিয়ে এদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র এবং জনজীবনের সব ক্ষেত্রে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জেন্ডার সমতা অর্থাৎ নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারী উন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সরকার নারী ও কন্যাশিশুর অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিতে বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ সনদ, বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনসহ সব আন্তর্জাতিক সনদ ও পদক্ষেপ অনুসরণ করে সরকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সমাজের সকল পর্যায়ে নারী ও কন্যাশিশুর গঠনমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সুস্থ-সবল জাতি গঠনের জন্য মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কর্মসূচির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে নারী ও কন্যাশিশুর অপার সম্ভাবনাসমূহ কাজে লাগানো এখন সময়ের দাবি। আমি এ কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম, সচেতন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানাই। আসুন সকলে মিলে বাংলাদেশকে প্রতিটি সেক্টরে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করি।
আমি বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
শাহানা/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সাঈদা/রাসেল/আসমা/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৪
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'Unleashing the power of gender equality: Uplifting the voices of women and girls to unlock our world's infinite possibilities' অর্থাৎ ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি: নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’ যা দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার নিরিখে যুগোপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সভ্যতা ও অগ্রগতির ধারক-বাহক জনসংখ্যা, রাষ্ট্রের একটি মূল উপাদান। পরিকল্পিত ও পরিমিত জনসংখ্যা যেকোনো দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, আর্থসামাজিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই। প্রেক্ষিতে জনসংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেখে বিদ্যমান সম্পদের পরিবেশবান্ধব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জনসংখ্যাকে পরিণত করতে হবে জনসম্পদে। টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও পুরুষের সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। জাতীয় উন্নয়নে নারীদের অধিক হারে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া জেন্ডার সমতা অর্থাৎ নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। গর্ভবতী নারীর নিরাপদ প্রসবসহ প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে দারিদ্র্য বিমোচনসহ শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে মনোযোগী হতে হবে। তাই পরিকল্পিত পরিবার গঠনে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে সক্ষম দম্পতিদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং তাদের নিকট পরিবার পরিকল্পনা সেবা সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে হবে। নারী-পুরুষ সমতা এবং নারী ও কন্যাশিশুর অসীম সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে নারীর ক্ষমতায়ন ত্বরান্বিত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারলে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরসহ বিভিন্ন জনমিতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো বলে আমি মনে করি। কাঙ্ক্ষিত এই লক্ষ্যার্জনে আমি সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরো সক্রিয় ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রাসেল/মাহমুদা/শামীম/২০২৩/১০৪৯ ঘণ্টা