তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯৪
দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ত্রাণ কার্যক্রমের আওতায় ৭ কোটির বেশি মানুষ
বিএনপি’র ক্রমাগত জঘন্য মিথ্যাচার ফৌজদারি অপরাধের শামিল -তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে) :
‘বিএনপি’র ক্রমাগত জঘন্য মিথ্যাচার ফৌজদারি অপরাধের শামিল’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি’র সাম্প্রতিক নানা মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘করোনা দুর্যোগে মানুষের জীবনরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। করোনার মধ্যে একজন মানুষও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেনি। ৬ কোটির বেশি মানুষ আজ সরকারের ত্রাণ ও সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায়। পাশপাশি আরো ১ কোটির বেশি মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ত্রাণ কার্যক্রমে মানুষ খুশি। আর বিএনপি মাঝেমধ্যে ঢাকা ও আশেপাশে কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে ফটোসেশন করে দুই-তিনশ’ মানুষেকে ত্রাণ দিতে গিয়ে বিষোদগার করছে। যারা জেগেও ঘুমায়, তাদের ঘুম ভাঙ্গানো যায় না। প্রকৃতপক্ষে সরকার যেভাবে এই পরিস্থিতিকে সামাল দিচ্ছে এতে বিএনপি প্রচন্ড হতাশ এবং সেই হতাশা থেকেই তারা এই বক্তব্যগুলো রাখছে।’
‘বিএনপি, বিশেষ করে তাদের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যেভাবে মিথ্যাচার করছেন, তার এই মিথ্যাচার ফৌজদারি অপরাধের শামিল’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘তার এই মিথ্যাচার নেশা না করেও নেশাগ্রস্ত মানুষ যেভাবে নেশায় বুঁদ হয়ে বকবক করে তার এই বক্তব্যগুলো ঠিক সেই রকম। আমি আশা করবো, ক্রমাগতভাবে এই মিথ্যাচারের রাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসবেন এবং এই রমজান মাসে দয়া করে এই মিথ্যাচারটা পরিহার করবেন।’
করোনায় বাংলাদেশ ও বিদেশের তুলনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, করোনা ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাব যখন শুরু হয়, ইউরোপ-আমেরিকার সুপার মার্কেটগুলোতে তখন পণ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা সুপার মার্কেটের সামনে পণ্য কেনার জন্য লাইন ধরে দাঁড়াতে হয়েছে। বহু সুপার মার্কেটে গিয়েও কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যায়নি।’
ইউরোপ-আমেরিকায় শুরুতে মাস্কের সংকট ছিল, হোয়াইট হাউজের সামনে পিপিই’র জন্য বিক্ষোভ হয়েছে, আমেরিকার অন্যান্য জায়গাও পিপিই’র জন্য বিক্ষোভ হয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশে নিত্যপণ্যের বাজারে সেই পরিস্থিতি হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নিত্যপণ্য এবং মাস্কের কোনো ঘাটতি আমাদের দেশে হয়নি, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে লক্ষ লক্ষ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে এবং কয়েক লক্ষ পিপিই মজুদ আছে, জানান ড. হাছান।
ত্রাণ বিতরণ অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে হচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ত্রাণ বিতরণে সব দলের মানুষকে আনা হয়েছে। যারা অন্য দল করে তারাও আছে, যারা আওয়ামী লীগকে গালি দেয় এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিষোদগার করে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তারাও এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের আওতায় এসেছে। ৬৪ হাজারের বেশি স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির মধ্যে দুর্নীতিতে ৫৫ জন অভিযুক্ত যা শূন্য দশমিক শূন্য আট শতাংশ অর্থাৎ এক হাজারে এক জনও নয়। ত্রাণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির ফলেই এরা শনাক্ত হয়েছে। অন্য কেউ নয়, সরকারি প্রশাসনই তাদের শনাক্ত করেছে, সরকারের পুলিশ এবং মন্ত্রণালয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
৫০ লাখ পরিবারকে এককালীন দুই হাজার ৫০০ টাকা নগদ পৌঁছার কার্যক্রম সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরির অবকাশ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তিন স্তরের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে এটি সরাসরি গ্রহীতার কাছে যাচ্ছে, কোনো মাধ্যমে না। জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ভোটার আইডি নম্বর, নাম, ঠিকানা, পিতার নাম ও মোবাইল নাম্বার না মিললে যাচ্ছে না। কেউ তালিকা দিলেই পাবেন, তা নয়, পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই করেই দেয়া হচ্ছে।’
#
আকরাম/আসলাম/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২০/১৫৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯৩
মুজিববর্ষেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ
- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন সংক্রান্ত প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করে মুজিববর্ষেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ তাঁর বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ও পাওয়ার সেলের সাথে চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আসন্ন ঘুর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকতে হবে। রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কার্যক্রম দ্রুততার সাথে করে তাৎক্ষণিকভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি ‘আম্পান’ পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আঠার জন করোনায় আক্রান্ত উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অফিসসমূহ সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাতে হবে। সতর্কতার কোন ঘাটতি থাকা যাবে না। কোভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত গাইড লাইন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
আলোচনাকালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ও পাওয়ার সেল তাদের কার্যক্রম ও চলমান প্রকল্পের অবস্থা তুলে ধরেন।
ভার্চুয়াল সভায় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব ডঃ সুলতান আহমেদ, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া অংশগ্রহণ করেন।
#
আসলাম/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২০/১৫৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯২
সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য ২৩ হাজার মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে) :
মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। সমুদ্র উপকূলীয় ১২টি জেলার ৪৪টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর চার লক্ষ ১৯ হাজার পাঁচ শত ৮৯টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত কার্ডধারী প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে ২০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৫৬ কেজি চাল প্রথম কিস্তিতে প্রদান করা হবে।
গতকাল সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ভিজিএফ চাল ১৫ জুন তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কার্ডধারী এবং সমুদ্রগামী জেলে ব্যতীত এ ভিজিএফ প্রদান করা যাবে না বলে বরাদ্দ আদেশে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুন্ড ও চট্টগ্রাম মহানগরী, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।
উল্লেখ্য, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫দিন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস জাতীয় মৎস্যসহ সকল প্রজাতির মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
#
ইফতেখার/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২০/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯১
অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নেবার আহবান শিল্প প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে) :
অসহায় মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে গরীব অসহায়দের সহযোগিতা করার জন্য পবিত্র কোরআন ও হাদিসে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুঃস্থ মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ালে ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পায়।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর মিরপুরে হাজী আলী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দুস্থ ও গরীবদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণকালে এই আহ্বান জানান। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সবসময় জনগণের পাশে আছে। করোনার চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারণের পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য দেশজুড়ে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মহীন দরিদ্র মানুষের হাতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সাহায্যে সরাসরি নগদ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। এই সংকটকালে ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারের প্রত্যেক পরিবার নগদ আড়াই হাজার টাকা হাতে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনায় কর্মহীন মানুষদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখা এবং ঈদে নিজেদের জন্য কেনাকাটা না করে গরীব অসহায়দের কল্যাণে খরচ করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। যতদিন করোনা পরিস্থিতি থাকবে ততদিন তার নির্বাচনী এলাকার কর্মহীন মানুষদের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী।
করোনা সংকটকালে আজ তিনি তার ব্যক্তিগত পক্ষ হতে মিরপুরের দুঃস্থ-গরীব-অসহায় আড়াই হাজার পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। উপহার হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে চাল, ডাল, আটা, আলু, সেমাই, চিনি, শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ঢাকার মিরপুরে তার নির্বাচনী এলাকায় করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া ১০ হাজার পরিবারের মাঝে ৪ দফায় ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১টি সাবান ও ১টি হ্যান্ড স্যনিটাইজার বিতরণ করেন। ঈদ পূব পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
পরে, তিনি মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় জীবাণুনাশক পানি ছিটানো কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
#
মাসুম/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২০/১৩৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৯০
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কারিগরি নির্দেশনা
করোনা মোকাবিলায় নিরপত্তা কর্মীদের করণীয়
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে) :
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বিত কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র 'কোভিড-১৯ এর সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে। এই নির্দেশনায় বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নিরপত্তা কর্মীদের জন্য পালনীয় কারিগরি নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপ :
পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২০/১৪০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৮৯
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কারিগরি নির্দেশনা
করোনা মোকাবিলায় গাড়ি চালকদের করণীয়
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে) :
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বিত কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র 'কোভিড-১৯ এর সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে। এই নির্দেশনায় বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গাড়ি চালকদের জন্য পালনীয় কারিগরি নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপ :
পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২০/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৮৮
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’
সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে) :
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বতর্মানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগস্রর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষরাত হতে ২০ মে বিকাল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২১০ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
#
তাসমীন/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২০/১৪৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৮৭
করোনা সংকটে সরকারি সহায়তা
চাল পেয়েছেন পাঁচ কোটি, নগদ অর্থ তিন কোটি মানুষ
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে) :
করোনা ভাইরাসের মতো দুর্যোগে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এ পর্যন্ত সারা দেশে এক কোটিরও বেশি পরিবারের পাঁচ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সরকার। নগদ টাকা সাহায্য পেয়েছেন তিন কোটি তিন লাখ ৩৮ হাজার ব্যক্তি।
৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত সারা দেশে জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার এক মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা এক কোটি ১৪ লাখ। উপকারভোগী লোকসংখ্যা পাঁচ কোটি এক লাখ ৪৩ হাজার।
নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯১ কোটির বেশি টাকা। বিতরণ করা হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ৬৮ লাখ ৬৯ হাজার পরিবারের কাছে এ টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ ১৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে
১৪ কোটি ৬৯ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা চার লাখ ৬২ হাজার ২৩৮ এবং লোক সংখ্যা ১০ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪।
#
সেলিম/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২০/১১০০ ঘণ্টা