Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ জুন ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১৮ জুন ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২১৯১      

                                                                                                                                                

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্ভেয়ার নিয়োগ পরীক্ষায় ৮৩জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ

 

ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):

 

 ভূমি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগে ২৮১ জন সার্ভেয়ার (গ্রেড ১৪) পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে ৮৩ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। আজ সার্ভেয়ার নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ ভূমি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগে ২৮১ জন সার্ভেয়ার (গ্রেড ১৪) পদের জন্য (শূন্য পদে) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। ২ জুন ২০২৩ অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ১৪১৪ জন চাকরি প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং ২২০ জন উত্তীর্ণ হন। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের গত ৮ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত - ৪দিন ব্যাপী মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট গ্রেডের পদে জেলা কোটা তথা জেলাওয়ারী পদ বিতরণের শতকরা হারের বাধ্যবাধকতা থাকায় ৫০টি জেলার পদে এক জেলার জন্য প্রযোজ্য পদে অন্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব না হওয়ায় বাকি ৭০টি পদ ফাঁকা থাকে।

উল্লেখ্য, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদ পূরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু প্রশাসনিক জটিলতা নিষ্পত্তি করে এই সার্ভেয়ার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শীঘ্রই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (প্রাক্তন তহশিলদার) পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পদোন্নতির শর্ত পূরণ করে এবং শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সার্ভেয়ার পদ থেকে ১০ম গ্রেডের কানুনগো পদে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। কানুনগো পদে নিয়োগের ব্যাপারে মামলার নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে উক্ত পদে সরাসরি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া এখনই সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়া, আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) দপ্তরের নিয়োগের জন্য মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এতে নিরীক্ষক (রাজস্ব) পদে ১৪১ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ৭৭ জন এবং অফিস সহায়ক পদে ৬১জন চাকরী প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের পরবর্তীতে মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।

 

                                               #

নাহিয়ান/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮৫৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ২১৯০      

                                                                                                                                                

বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩এর জন্য মনোনয়ন আহ্বান

ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):  

নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে  নারী জাগরণ, পল্লী উন্নয়ন এবং সরকার নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষেত্রে অবদানের সর্বোচ্চ স্বীকৃতিস্বরূপ সর্বোচ্চ পাঁচ জন বাংলাদেশি নারীকে ‘বেগম রোকেয়া পদক, ২০২৩ প্রদান করা হবে। উল্লিখিত  যে কোন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এমন বাংলাদেশি নারীদের  নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।

 

আবেদনপত্রের ‘ছক’ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট www.mowca.gov.bd এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dwa. gov.bd থেকে সংগ্রহ করা যাবে। ওয়েব-সাইটে প্রকাশিত ‘ছক’ ব্যতিত অন্য কোন ‘ছক’-এ আবেদন/মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে না।

 

আগ্রহী প্রার্থীদের পদক প্রাপ্তির ক্ষেত্র উল্লেখপূর্বক আগামী ৩১ জুলাই ২০২৩ তারিখের মধ্যে নির্ধারিত ‘ছক’ অনুযায়ী আবেদনের সফট কপি ই-মেইলে (sasadmn2@gmail.com) Nikosh ফন্টে MS Word File-এ এবং ডাকযোগে/সরাসরি দুই সেট কপি সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

                                                              #

আলমগীর/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮৪৩ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ২১৮৯

ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার

                                                       --- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):

            আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির দেশ গঠনের মৌলিক ভিত্তি হলো শান্তি, স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন, যেগুলোর প্রতিটির সাথে ‘ন্যায়বিচার’ শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার।

            আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৫১তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

            ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, লুকাস-এর মতে ন্যায়বিচার অনুগ্রহ, উদারতা, কৃতজ্ঞতা, বন্ধুত্ব এবং সহমর্মিতা থেকে পৃথক। গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মতে ন্যায়বিচার চারটি নাগরিক গুণাবলির একটি; অন্যগুলো হলো প্রজ্ঞা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সাহস। তিনি বলেন, প্রত্যেক বিচারকের এসব গুণাবলি থাকা দরকার। কারণ তাদের কলম দিয়ে নিত্যদিন ন্যায়বিচারের হাজারো বাণী ঝড়ে।

            দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা প্রসঙ্গে  আইনমন্ত্রী বলেন, এর আগে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিচারকদের প্রথম পদায়ন করার পর ম্যাজিস্ট্রেসি ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষ কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। এবারই প্রথম বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য এ ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে, যা চলমান থাকবে। ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানোর ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান। এ সময় জনাব হক এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কোর্সটি আয়োজন করার জন্য ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান। অক্টোবর ২০১৭ থেকে এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ৭২৫ জন বিচারককে ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমিতে সশরীরে প্রশিক্ষণ প্রদান করার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশেও একটি আন্তজার্তিক মানের জুডিসিয়াল একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ একাডেমিতে বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, ডাক্তারসহ বিচারসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট নানাবিধ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। একাডেমি স্থাপনের জন্য  প্রকল্প এলাকায় ৩৭ দশমিক ৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। চিহ্নিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের বাজেটে ১৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

            অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিচারক নিয়োগে জোর দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি হিসেবে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতে মোট ১৩২৯ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০৩ জন এবং ১৬তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

            বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন। 

#

রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ২১৮৮    

                                                                                                                                                

মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করে বিএনপির

নেতারা বিদেশে বাংলাদেশের নামে কুৎসা রটাচ্ছে

                                             ---গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

 

ময়মনসিংহ, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):   

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে বিএনপি নেতারা লবিস্ট নিয়োগ করে বিদেশে বাংলাদেশের নামে কুৎসা রটাচ্ছে।

 

আজ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (বালক অনূর্ধ্ব ১৭) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ক্রীড়াঙ্গনসহ সকল সেক্টরে যখন অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নে ঈর্ষাণ্বিত হয়ে তারেক রহমানসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা দেশের মানুষের প্রতি আস্থা হারিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছে বিভিন্ন নালিশ উপস্থাপন করছে। তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বদনাম রটাচ্ছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তাদের এই দেশবিরোধী চক্রান্ত ও অপপ্রচার এদেশের সাধারণ মানুষ কখনোই সফল হতে দেবে না। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকেই নির্বাচিত করবে।

 

তারাকান্দা উপজেলা ক্রীড়া পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মোঃ ফজলুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমত, বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদ আহমেদসহ উপজেলার ক্রীড়ামোদী বিপুলসংখ্যক জনতা উপস্থিত ছিলেন।

 

                                                         #

রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮২৫ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ২১৮৭

উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে ৫৫ হাজার দরিদ্র পরিবার উপকৃত হয়েছে

                   --মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :  

উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৫ হাজার দরিদ্র পরিবার উপকৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষের পুষ্টি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। দরিদ্র পরিবারের পুষ্টি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে এ প্রকল্প সফলতা দেখিয়েছে। নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করা এ প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য ছিল। নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে সফল করে তুলতে পারলে নারী-পুরুষে যে বৈষম্য সমাজ ব্যবস্থায় রয়েছে তা থেকে উত্তরণ হয়। এক্ষেত্রে প্রকল্পটি সফল নারী উদ্যোক্তা তৈরি করেছে। অপরদিকে মুরগি, হাঁস ও ভেড়ার ক্ষুদ্র খামার স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রকল্প ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ নামক ব-দ্বীপের উপকূলীয় ৮ জেলা কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর জেলার ২০টি উপজেলার ১০৯টি ইউনিয়নে এ প্রকল্পের কাজ হয়েছে। যারা সচ্ছল, সক্ষম, যাদের জীবনমান উন্নত, যাদের পুষ্টির অভাব নেই তাদের নিয়ে নয় বরং যাদের জীবনমান নিম্ন, যারা দরিদ্র, যারা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে সে মানুষগুলোকে সামনে নিয়ে আসা সরকারের লক্ষ্য।

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় প্রকল্পের কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। যাদের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তাদের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে, নিজের উন্নয়নকে নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে, কাউকে অহেতুক হয়রানি করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, প্রকল্প সমাপ্ত হবার পর প্রকল্পের যাবতীয় সরঞ্জামাদি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বুঝিয়ে দিতে হবে, যাতে পরবর্তীতে এসব সরঞ্জাম অন্য প্রকল্পে কাজে লাগানো যায়। এতে রাষ্ট্রের সাশ্রয় হবে। রাষ্ট্রের প্রতি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ববান হতে হবে। প্রকল্পের কেনাকাটায় যথাযথ মূল্য নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের যত্ববান হতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ এবং এ টি এম মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন। প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক রাহাত।

উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৩ মেয়াদে ১৫৪ কোটি ৪২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

#

ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                     নম্বর : ২১৮৬    

                                                                                                                                                 

প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে এ বক্তব্য তাদের

                                                                                   ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন):   

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, সিরাজগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে এটা তাদেরই বক্তব্য। 

 

আজ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন এর পর সিরাজগঞ্জে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হাসান রঞ্জন জননেত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। আসলে বিএনপি ভেতরে ভেতরে যে ষড়যন্ত্রটা করছে, সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তাদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের এই সমস্ত বক্তব্য।’ 

 

মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বাধীনতাবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক অপশক্তি মিলে বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। আজকেও বিএনপিসহ যে রাজনৈতিক অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, পর পর তিনবার জনগণের রায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল আজকে বিএনপি  যে সেই একই পথে হাঁটছে, একই পরিকল্পনা করছে, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাদের এ সমস্ত বক্তব্য তারই বহিঃপ্রকাশ।’

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দু’টি ষড়যন্ত্র নিয়ে এগুচ্ছে। একটি হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এলিমিনেট’ করা, আরেকটি হচ্ছে দেশে একটি অস্বাভাবিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে দেশটাকে অপশক্তির হাতে তুলে দেওয়া। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটি হতে দেবে না। আমি সিরাজগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপিরই উচিত ছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সেটি না করে বরং তার পক্ষ অবলম্বন করে বিএনপি স্বীকার করে নিয়েছে এটি তাদেরই বক্তব্য।’ 

 

বিএনপি মহাসচিবের ক্রমাগতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে ‘তত্ত্বাবধায়ক রোগে’ পেয়ে বসেছে। এটি মির্জা ফখরুল সাহেবের গতানুগতিক প্রতিদিনের বক্তব্য। সংবিধান অনুযায়ী চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও তাই হবে। সংবিধানের কোনো ব্যত্যয় হবে না।’

 

মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই দাবিটা আন্তর্জাতিকভাবে কারো সমর্থন পায়নি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের এই দাবিকে সমর্থন করেনি। এটা শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবের মুখের মধ্যেই আছে। আশা করি তিনি তত্ত্বাবধায়ক  সরকার রোগ থেকে মুক্তি লাভ করবেন।’ 

 

মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে চীনের মন্তব্য বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের দ্বিমুখী অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে আমরা বিভিন্ন সময় দেখি। এই ক্ষেত্রেও চীন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে মন্তব্য করেছে, আমরা সেটা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের সাথে দু’দেশেরই অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, গত ৫১ বছরে আমাদের পথচলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তাদের সাথে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। একইসাথে চীনও আমাদের উন্নয়ন সহযোগী এবং এ দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। সুতরাং সব দেশের সাথেই আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক।’

 

যাদের হাতে ইতিহাস-ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ হতে পারে না : তথ্যমন্ত্রী

 

এর আগে সকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জামালখান মোড়ে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরদের প্রতিকৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

 

এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাদের হাতে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারে না। সেই বিএনপি না কি আবার দেশ পরিচালনা করার কথা স্বপ্ন দেখে!’ 

 

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে এদিক দিয়ে যাবার সময় বঙ্গবন্ধুর সমস্ত ছবি এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া অন্যদের ছবিও ভাঙচুর করেছে। এই দায় দলটির নেতারা কোনভাবেই এড়াতে পারে না। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। জড়িতদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে যারা তাদের নেতা, যারা তরুণদেরকে এ ধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে এবং এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা দায় এড়াতে পারে না। তাদেরকেও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। অনন্য এই প্রতিকৃতি ও ছবিগুলো আবার আগের মতো দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি ও পুনঃস্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানিয়েছেন।’

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশসহ দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

 

                                                         #

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৭৩৬ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২১৮৫

                                                                                                                                                                                                    

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

 

ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৩০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৯৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।                 

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৫৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৬ জন।

 

#

 

সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭২৬ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ২১৮৪

পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে

আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা

ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :  

       ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে আগামীকাল ১৯ জুন সোমবার সন্ধ্যা ৭.১৫ টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

        আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে।

      বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ এবং ফ্যাক্স নম্বর : ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য এই বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

#

শারমীন/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রাসেল/মাহমুদা/শামীম/২০২৩/১৪৪৫ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ২১৮৩

বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৪ আষাঢ় (১৮ জুন) :  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  

“বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তন’-এ বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন এর ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। 

বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে জাপান একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ জাপান ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে জাপান সফর করেন। সেই সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শক্তিশালী ভিত্তি রচিত হয়। তখন থেকেই জাপান বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাছাড়া নিয়মিত সংস্কৃতি ও বিভিন্ন পর্যায়ে সফর বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক দিনে দিনে নতুন মাত্রা লাভ করছে। আমাদের সরকারের প্রচেষ্টায় জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন সহযোগী দেশ হতে একটি কৌশলগত অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

ইকেবানা অত্যন্ত নান্দনিক ও সৃজনশীল উপায়ে ফুল সাজানোর প্রাচীন জাপানি পদ্ধতি হিসেবে সারা বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। আমাদেরও রয়েছে হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ইকেবানা সংস্কৃতিকে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে প্রচার করার লক্ষ্যে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে স্থাপিত জাপান দূতাবাসের সহযোগিতায়

2023-06-18-13-05-842885c94ed0b6915aaa9b1a134023c6.docx