তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২০৩
যে কোনো দুর্যোগে অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও জরুরি
যোগাযোগের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা এবং জরুরি যোগাযোগের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ (তৃতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতি সংগ্রহের নিমিত্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আতিকুল হকের উপস্থিতিতে আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোসাইদুল মাওলা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে মোট দুই হাজার দুইশত পঁচাত্তর কোটি নিরানব্বই লাখ দশ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২০ সালের নভেম্বর হতে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে । দুর্যোগকালীন সময়ে দেশের যেকোন স্থানে স্থাপনযোগ্য ও স্থানান্তর উপযোগী উচ্চমানসম্পন্ন সেলুলার কমিউনিকেশনের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগ স্থাপন, দুর্যোগকালীন সময়ে এবং দুর্যোগের পরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিকে যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ, প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি কাজে অর্থায়ন করা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
#
সেলিম/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২০২
স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে সরকার
-- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী সমমর্যাদায়) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, জাতীয় রূপকল্প-২০৪১ এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয় দেশগুলোতে বিদ্যমান স্বাস্থ্য সেবা মানের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ রেখে মানব উন্নয়নের অংশীদার হবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকলের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিটিউট ও ন্যাশনাল আই কেয়ার কর্তৃক দু’দিনব্যাপী বিনামূল্যে এক চক্ষু চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধাপক ডা. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে তা ৭২ দশমিক ৮ বছরে উন্নীত হয়েছে। ২০১৯ সালে মাতৃজনিত মৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৬৫, যা ২০২০ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ছিল প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৬৩। বর্তমানে দেশের ৩ হাজার ২৭৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আয়োজিত চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে জেলার আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার দুঃস্থ রোগীর চক্ষু চিকিৎসা সেবা ও ছানি অপারেশন প্রদান করা হবে। এজন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি তাদের এ সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন।
#
আহসান/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২০১
রাষ্ট্রপতির সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
মহান স্বাধীনতা দিবস এবং জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাপানের সম্রাট নারুহিতো বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ITO NAOKI আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে জাপানের সম্রাটের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা হস্তান্তর করেন। সম্রাট নারুহিতো অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের যে ভিত রচিত হয়েছিল তা আজ বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত। জাপান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের পুনর্গঠনে জাপানের অবদান এবং বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার ভূমিকা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে জাপানের বিনিয়োগ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আশা করেন, ভবিষ্যতেও দুই দেশের এ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে।
সাক্ষাৎকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আগামীতেও জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/পাশা/নাইচ/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০৫৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২০০
একনেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৪ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ গণভবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: রেলপথ মন্ত্রণালয়ের “বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি ব্রডগেজ (বিজি) প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ” প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্প যথাক্রমে “Local Government COVID-19 Response and Recovery Project (LGCRRP)” প্রকল্প; “উপকূলীয় জেলাসমূহে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ” প্রকল্প; “সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ (জিএসআইডিপি-২)”প্রকল্প; “পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)” প্রকল্প; এবং “বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ” প্রকল্প; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের “বিএএফ ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্টগ্রামে বিমানসেনা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের “দ্য প্রজেক্ট ফর ইমপ্রুভমেন্ট অভ্ গভর্নেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস” প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের “নওগাঁ সড়ক বিভাগাধীন ৩টি আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ৩টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ” প্রকল্প; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের “রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন” প্রকল্প; কৃষি মন্ত্রণালয়ের দু’টি প্রকল্প যথাক্রমে “বাংলাদেশের দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলে বীজ বর্ধন খামার স্থাপন” প্রকল্প; এবং “ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরীক্ষামূলকভাবে ড্রিপ সেচ পদ্ধতির প্রচলন” প্রকল্প।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ; স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহেদুর/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৯৯
পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
দেশে পানির অপচয় রোধে গৃহস্থালি এবং সকল শিল্প-কলকারখানায় ব্যবহৃত পানি রিসাইক্লিং করে ব্যবহার উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। এছাড়া, অব্যবহারযোগ্য পানি ব্যবহারযোগ্য করার জন্য বড় বড় সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের কথাও জানান তিনি।
আজ রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু তে ‘বিশ্ব পানি দিবস’-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। এবছর বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য - ÔGroudwater: Making the Invisible VisibleÕ.
মন্ত্রী বলেন, অনেকেই রিসাইক্লিং কাজকে কঠিন মনে করেন। কিন্তু এটি অসম্ভব নয়। পৃথিবীর বহু দেশ রিসাইক্লিং করে পানির ব্যবহার করছে। আমাদের দেশেও এই ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য দরকার সার্বিক একটি ব্যবস্থাপনা। যে সকল প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কলকারখানার ব্যবহৃত পানি রিসাইক্লিং করার সক্ষমতা রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই করতে হবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহর যেভাবে গড়ে উঠেছে এতে করে প্রত্যেক বাসায় পাইপলাইন দেয়া অথবা রাস্তা খুঁড়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই দরকার সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। এজন্য প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপ্টিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে হবে। এরপর সেখান থেকে সংগ্রহ করে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নিয়ে পানি শোধন করে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য মাস্টার প্ল্যান গ্রহণের জন্য ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম আরো জানান, যেসব এলাকায় পানির সংকট রয়েছে সেসব অঞ্চলে পানি সরবরাহ করার জন্য ন্যাশনাল গ্রিড লাইন স্থাপনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সারা দেশে অনেক ইকোনমিক জোন করা হচ্ছে। এসব জোনে প্রতিষ্ঠিত শিল্প-কলকারখানায় প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হবে। সে লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করছে সরকার।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএইচও এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
#
আহসান/পাশা/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৯৮
বিএনপি নির্বাচন নয়, চায় ক্ষমতার নিশ্চয়তা
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
‘বিএনপি নির্বাচন নয়, ক্ষমতার নিশ্চয়তা চায়’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় সংসদ সদস্যদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ফোরাম ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং’ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ হাবিবে মিল্লাতের সভাপতিত্বে আয়োজিত ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ এবং অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ’ জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার আ ফ ম রুহুল হক এবং সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বিএনপি’র কাছে একমাত্র সমাধান হচ্ছে এমন একটি কমিশন, এমন একটি ব্যবস্থা, যেটি আগে থেকেই বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর নিশ্চয়তা দেবে। বিএনপিকে আসলে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। এজন্য নির্বাচন নিয়ে সবসময় নেতিবাচক কথা বলে আসছে। তারা চান, কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বলবে যে তাদেরকেই ক্ষমতায় বসাবে, অন্যথায় তারা মানবে বলে মনে হয় না।’
সুশীল সমাজসহ সবার সাথে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং সেখানে কে যেতে পারে বা না পারে সেটা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা কিন্তু কমিশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই, সাধুবাদ জানাই, বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই দেশে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অত্যন্ত সুন্দর নির্বাচন হোক, বিএনপিও সেখানে অংশগ্রহণ করুক এবং সমস্ত দল অংশ নিক। কিন্তু কেউ অংশ নেবে কি নেবে না সেটি তাদের নিজস্ব দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিএনপি’র নেতৃত্বে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপির নেতারা যেখানে হুকুমের আসামি, সেটি এখনো বিচারাধীন। এগুলোর বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হওয়া প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এভাবে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সমসাময়িক বিশ্বে কোথাও ঘটে নাই। কোনো কোনো দেশে জাতিগত সংঘাত হচ্ছে কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, ঘুমন্ত ট্রাক ড্রাইভারকে হত্যা, স্কুলগামী শিশুর ওপর বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা -এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীর কোথাও গত দশ-বিশ বছরে ঘটে নাই, যেটি বিএনপি ঘটিয়েছে। তাদের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হওয়া উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’
এর আগে বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করা। ২০৪০ সাল বেশি দূরে নয়, ১৮ বছরের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করা সহজ কাজ নয়। জনসম্মুখে ধুমপানের বিরুদ্ধে আইন করা হয়েছে, দ্বিতীয়ত সামাজিক প্রচারণা আছে। এ সমস্ত কারণে ধুমপায়ীর সংখ্যা কমছে। এরপরও লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন অব্যাহত ক্যাম্পেইন, সকল গণমাধ্যমে প্রচার একইসাথে কড়াকড়িভাবে আইনের প্রয়োগ।
চলমান পাতা/২
--০২--
‘দেশে আড়াই কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ৫ হাজার ডলারের বেশি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে, ৫ কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় গিয়ে দাঁড়াবে ৫ হাজার ডলারের বেশি’ উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ বহু দূর এগিয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় ১৩ বছর আগে ছিলো ৬শ’ ডলার আর এখন ২ হাজার ৬শ’ ডলার অর্থাৎ সাড়ে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে বস্তুগত উন্নতির পাশাপাশি জাতির আত্মিক উন্নতি অর্জনে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।'
আয়োজক ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি জানান, পার্লামেন্টারি ফোরামের পক্ষ থেকে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য মিলে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ই-সিগারেটসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের অনুরোধপত্র, আইন সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর ১৫২ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত চিঠি এবং তামাকপণ্যের কর ও মূল্যবৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠানে তামাক আইন সংশোধনের নানা দিক উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতি ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, আর তামাকখাতের রাজস্ব আয় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৯৭
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সাথে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সাথে মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনের উরিয়া সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট এ অবস্থান করছে। এ সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দেশের যুব সমাজকে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অধিক সংখ্যক দক্ষ, আধা-দক্ষ, স্বল্প দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সেক্টরে কর্মী যোগান দিচ্ছে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
সাক্ষাৎকালে কসোভোর রাষ্ট্রদূত সেদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর মহাপরিচালক মোঃ শহিদুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল কাদের এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব ইউরোপ) সিকদার বদিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
#
রাশেদুজ্জামান/পাশা/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৯৬
আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থন করল বাংলাদেশ
জেনেভা, ২২ মার্চ :
কাজে যোগদানের ন্যূনতম বয়স সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থন করল বাংলাদেশ। এ কনভেনশন অনুসমর্থনের মাধ্যমে সবকটি মৌলিক কনভেনশন অনুসমর্থনের মাইলফলক স্পর্শ করল বাংলাদেশ।
আজ জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর সদর দপ্তরে বাংলাদেশের পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান স্বাক্ষরকৃত অনুসমর্থনপত্র আইএলও এর মহাপরিচালক গাই রাইডারের হাতে তুলে দেন।
অনুসমর্থন পত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে জবরদস্তিমূলক শ্রম সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন, ১৯৩০ এর প্রটোকল-২০১৪ অনুসমর্থন করেছে এবং আজ কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থনের মাধ্যমে সকল মৌলিক কনভেনশন এবং এ সংক্রান্ত প্রটোকল অনুসমর্থন করল। সরকার আইএলও শ্রমমান বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আইএলও’র ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ ২৯টি দলিলে অনুসমর্থন করেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধুর মতোই কর্মস্পৃহা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৭ অনুযায়ী সকল সেক্টর থেকে শিশুশ্রম নিরসন করা হবে। সকল খাত থেকে শিশুশ্রম নিরসনে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি সরকার আগের ৩৮টির সাথে আরো পাঁচটি খাতকে শিশুশ্রমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন শিশু শ্রমে ছিল তার মধ্যে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। সরকার আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থনের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধ করবে বলে তিনি নিশ্চিয়তা দেন।
এ সময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা করিমসহ মন্ত্রণালয় এবং স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আকতারুল/পাশা/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৯৫
কবি কামাল চৌধুরী তাঁর নিজ গুণেই এগিয়ে যাবেন
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
কুমিল্লা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, কবি কামাল চৌধুরী সমকালীন বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিবাদী, দ্রোহী ও তারুণ্যদীপ্ত কবিতা নিয়ে বাংলা কাব্যজগতে তাঁর আবির্ভাব ঘটে। কাব্যচর্চার শুরু থেকেই তাঁর কবিতার একটি কেন্দ্রীয় স্থান জুড়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিসংগ্রাম, জাতির পিতা, মানুষ আর প্রকৃতি। বাংলা কবিতায় আজ তিনি স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট এক কণ্ঠস্বর। এছাড়া একজন নৃতাত্ত্বিক ও সমাজবিজ্ঞানী হিসাবে সমৃদ্ধ গবেষণাকর্ম রয়েছে। পেশাগত জীবনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ জনপ্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। কবি কামাল চৌধুরী তাঁর নিজ গুণেই এগিয়ে যাবেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয়করা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ও বরেণ্য কবি কামাল চৌধুরীর গৌরবজনক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘একুশে পদক ২০২২’ এ ভূষিত হওয়া উপলক্ষ্যে চৌদ্দগ্রাম উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ আয়োজিত সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ড পরবর্তী দুঃসময়ে কামাল চৌধুরীর সাহসী কবিতা প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে কবিতায় প্রথম প্রতিবাদীদের একজন তিনি। তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘জয়ধ্বনি’ পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে কামাল চৌধুরীর প্রথম কবিতা 'জাতীয়তাময় জন্মমৃত্যু' প্রকাশিত হয়। সেজন্য তিনি পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলা কবিতায় প্রতিবাদী ও সাহসী উচ্চারণের ‘ভোরের পাখি’ বলে আখ্যায়িত হন। কে এম খালিদ বলেন, কামাল চৌধুরীর কবিতা বাঙালির জীবনচর্চা ও সংগ্রামের বলিষ্ঠরূপ। একইসঙ্গে আঙ্গিক ও প্রকরণে পরিশ্রুত এবং নান্দনিক কবিতার উজ্জ্বল প্রকাশ। প্রতিমন্ত্রী এসময় বিজয়করা স্কুল এন্ড কলেজকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সংগীত সরঞ্জাম প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সোবাহান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
#
ফয়সল/পাশা/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১৯৪
চাকুরি দেওয়ার কথা বলে কেউ অর্থ দাবি করলে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ ভূমি মন্ত্রণালয়ের
ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) :
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ভুয়া নিয়োগপত্র’ দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগপ্রার্থীদের থেকে অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ হতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রতারক চক্র ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে প্রতীয়মান। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নিয়োগপ্রার্থীগণ যাতে প্রতারিত না হন সেজন্য সকলকে ভূমি মন্ত্রণালয় কিংবা এর দপ্তর/সংস্থায় নিয়োগের যেকোনো তথ্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার ওয়েবসাইটে যাচাই করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ উপায়ে আবেদন বা অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে ইতিপূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয় অনেকবার সতর্ক করেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর/সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটের ঠিকানা হচ্ছে: দাপ্তরিক ওয়েব পোর্টাল-ভূমি মন্ত্রণালয়: www.minland.gov.bd, ভূমি আপিল বোর্ড: www.lab.gov.bd, ভূমি সংস্কার বোর্ড: www.lrb.gov.bd, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর: www.dlrs.gov.bd, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: www.latc.gov.bd। ভূমি মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: www.facebook.com/minland.gov.bd।
এছাড়া, ভূমিসেবা পোর্টাল: www.land.gov.bd এবং ভূমিসেবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: www.facebook.com/land.gov.bd এর মাধ্যমে সরাসরি ভূমিসেবা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক চব্বিশ ঘণ্টার যেকোনো সময় ১৬১২২ নম্বরে কল করে যেকোনো ভূমি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন এবং পাবেন ভূমিসেবা, এছাড়া বিদেশ থেকে ৮৮০ ৯৬১২-৩১৬১২২ নম্বরে কল করে একই সেবা পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ভূমি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থাসমূহের সকল প্রকার নিয়োগ কার্যক্রম প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পাদন করা হয়। দুর্নীতির মাধ্যমে কিংবা অর্থের বিনিময়ে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থা হতে কোনো পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়োগের কোনো সুযোগ ন