Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২৩ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৪৮২২

 

 

জননেত্রী শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম শহরের উন্নতি

                           -- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম শহরের উন্নতি। এ দর্শনকে ধারণ করে সরকার গ্রামীণ ও শহর অবকাঠামো ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি বিকাশে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক  নির্বাচনি ইশতেহারে দেশের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এ ঘোষণা অনুযায়ী ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার গ্রাম- আমার শহর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধাসহ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রতিটি গ্রামে সুপেয় পানি সরবরাহ ও উন্নতমানের পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সুস্থ ধারার বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, বরিশাল জেলার অসংখ্য কৃতিসন্তান দেশ-বিদেশে ক্রীড়া, শিক্ষা, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে গৌরবোজ্জল ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি সকলকে বিরোধী দলের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বরিশালবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের চলমান উন্নয়ন, অগ্রগতি ও প্রগতির ধারাকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।

 

#

 

আহসান/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর:  ৪৮২১

 

হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ আল-কুরআনের মোড়ক উন্মোচন

 

ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):

 

হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র আল-কুরআনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

 

আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই মোড়ক উন্মোচন করেন।

 

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে আমাদের ব্যতিক্রমী বেশকিছু পরিচয় রয়েছে। সারা বিশ্বে আমরাই একমাত্র জাতি যারা মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছি। আমরা দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য ৩০ লাখ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে উন্নয়ন ও উৎপাদনের বিভিন্ন সূচকে বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছি। হাতে লেখা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পবিত্র কুরআন শরীফ নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। প্রতিটি ইতিবাচক ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগই দেশ-জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনে। আজকের এই মহতী কাজটিও দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।

 

ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের দ্বার উন্মোচন করে গেছেন। তাঁর সেই পথ অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩০০টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেগুলোর উদ্বোধন করেছেন। এটিও মুসলিম বিশ্বে একটি ব্যতিক্রমী ও অনন্য নজির। তিনি আয়োজক সংস্থার দাবি যাচাই-বাছাই করে তাদের কাজে যথাযথ মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানান।

 

হাফেজ আবদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ক্বারী শায়েখ আহমদ বিন ইউসুফ আল আজহারী, হাতে লেখা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পবিত্র আল-কুরআন প্রদর্শন আয়োজক কমিটির সভাপতি স ম ইফতেখার মাহমুদ বক্তব্য প্রদান করেন।

 

উল্লেখ্য, হাতে লেখা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পবিত্র আল-কুরআন প্রদর্শন আয়োজক কমিটি রচিত এই আল-কুরআন দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ১৪ ফুট ও ১২ ফুট। এতে মোট ২০০টি পৃষ্ঠা রয়েছে। এর ওজন প্রায় ৮০০ কেজি। হাতে তৈরি বাঁশের কলম ও দোয়াত কালি দিয়ে এটি লেখা হয়েছে।

 

#

 

আবুবকর/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৪৮২০

 

উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট বিনিয়োগ সেবা গ্রহণ করতে হবে

                                             -- বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):

 

বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট বিনিয়োগ সেবা গ্রহণ করতে হবে।

 

আজ বাণিজ্যিক নগরী চট্রগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্মসূচি (বিআইসিআইপি) এবং বিডা ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) কার্যক্রম অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) একথা বলেন।

 

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের কাছে Single Point Entry হিসাবে এর বিডা ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) প্ল্যাটফরমাট এর ব্যবহার অগ্রগতি তুলে ধরার জন্য বিডা দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে।

 

কর্মশালায় বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশনারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষ পেয়েছে, যেখানে এক যুগ আগে আমাদের মাথাপিছু আয় ৭০০ ডলার থেকে আজ ২ হাজার ৭৮৪ ডলার উন্নীত হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী আমাদের সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন তুলে ধরেছেন। আমরা ২০৩১ সালে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ভিশন সামনে রেখে কাজ করে চলছি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ১২৩টি  বিনিয়োগ সেবা বিডা ওএসএস মাধ্যমে দিয়ে আসছি, অনলাইনভিত্তিক এই বিনিয়োগ সেবা যে কোন বিনিয়োগকারী  ঘরে বসেই গ্রহণ করতে পারেন, এর জন্য আলাদা করে ৩৯ প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কোন দরকার নাই, শুধুমাত্র একবার কাগজ পত্র সাবমিট করার পরে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা করে কাগজ পত্র জমা দেওয়ার দরকার পড়বে না। এ সময় তিনি আরো বলেন আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ৬ থেকে ১২ ঘন্টার ভিতর অন এরাইভাল ভিসা দিয়ে থাকি, বিনিয়গকারীদের স্বচ্ছ ও দ্রুত সেবা প্রদানে বিডা বদ্ধপরিকর। এ সময় তিনি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেহেতু আমরা স্মার্ট সেবা প্রদান করছি, সেহেতু উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট  বিনিয়োগ সেবা গ্রহণ করতে হবে।  এসময়ে তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের সমস্যা এবং তাদেরর পরামর্শ গ্রহণ করেন।

 

          কর্মশালায় বিডা’র পরিচালক মোসাম্মদ শামীমা আখতারের উপস্থাপনায় বিডার নির্বাহী সদস্য ও সচিব   ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, বিডার চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন, কর্মশালায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের শীর্ষ ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, বিভিন্ন চেম্বার অভ্‌ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দসহ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়ার সংবাদ প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।  

#

প্রশান্ত/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                           Number: 4819

 

EPA negotiation between Japan-Bangladesh ends

 

Dhaka, May 23: 

 

The first round of negotiations for the Japan-Bangladesh Economic Partnership Agreement (EPA) ends today. It was held in Dhaka from May 19 to 23. The opening session of the negotiation was attended by the State Minister of Commerce Ahasanul Islam Titu and the Japanese Ambassador in Bangladesh Iwama Kiminori.

 

In this round of negotiation, both sides exchanged their views on the method of negotiations and a broad range of negotiating areas such as Trade in Goods, Rules of Origin, Customs Procedures and Trade Facilitation, Investment, Electronic Commerce and Intellectual Property.

 

This meeting was attended by on the Japanese side, Ambassador in charge of Economic Diplomacy Taketani Atsushi, and representatives from other relevant ministries; and on the Bangladesh’s side, Chairman of Bangladesh Trade and Tariff Commission Dr. Ahmad Munirus Saleheen, and representatives from other relevant ministries.

 

Both sides decided to work on scheduling the dates of the second round of negotiations through diplomatic channels.

 

#

Asif/Rana/Sanjib/Salim/2024/21.20 Hrs.

 

 তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৪৮১৮

উত্তরাধিকার সম্পদে রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামার প্রতি গুরুত্বারোপ ভূমিমন্ত্রীর

ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):

উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত জমির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামার প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনে ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভূমিমন্ত্রী সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড) দের এই নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থা এবং মাঠ পর্যায় থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত ১০টি ইনোভেশন উদ্যোগ প্রদর্শিত হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, দেশে বেশিরভাগ পারিবারিক বিরোধের কারণ হচ্ছে ভাই-বোনদের মধ্যে রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা ছাড়াই মৌখিকভাবে বা সাধারণ কাগজে লিখে আপোষে সম্পত্তি বণ্টন করা। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কারণে আপস ভেঙে গিয়ে কলহ শুরু হয়। তিনি উল্লেখ করেন, খতিয়ানে ভিন্ন ভিন্ন মালিকানাভিত্তিক দাগ উল্লেখ থাকলে অনেকাংশে বিরোধ এড়ানো সম্ভব।

এসময় এসিল্যান্ডদের মাঠ পর্যায়ে ভূমি ব্যবস্থাপনার 'কি-পারসন' (key-person) উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের এ ব্যাপারে নিজ উদ্যোগে কাজ করতে হবে এবং প্রয়োজনে উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে।

ভূমিমন্ত্রী পারিবারিক সম্পদ বণ্টনে বোনদের অধিকার নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, সরকারি জমি রক্ষার পাশাপাশি নাগরিকদের ন্যায্য জমির মালিকানাও রক্ষা করতে হবে। ভূমি কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে যথাযথ কাজ করার আহ্বান জানান। মিথ্যা মামলার প্রতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আজকের স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বিগত দিনের উদ্ভাবনী উদ্যোগের ফলে। আগামীতে আরো অগ্রগতি আমরা লাভ করব বর্তমানের উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য। ভূমিসহ অন্যান্য সেক্টরে কার্যকরী উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিকল্পিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।

মূল্যায়নের ভিত্তিতে, শেরপুর ঝিনাইগাতীর এসিল্যান্ড মোঃ আশরাফুল কবীর কর্তৃক প্রস্তাবিত উদ্ভাবন 'সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ভূমিতে ভূমি উন্নয়ন করের রশিদ প্রদান বন্ধকরণ এবং নামজারি অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারি স্বার্থ যাচাই সহজীকরণ' ব্যবস্থা প্রথম স্থান লাভ করে। বরিশাল হিজলার এসিল্যান্ড মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র কর্তৃক প্রস্তাবিত উদ্ভাবন 'অর্পিত সম্পত্তি ও খাস জমির টপোগ্রাফিক্যাল (Topographical)ডেটাবেইজ' দ্বিতীয় স্থান এবং পাবনা সাথিয়ার এসিল্যান্ড মোঃ রিফাতুল হক কর্তৃক প্রস্তাবিত উদ্ভাবন ‘রিপোর্ট ট্র্যাকিং অ্যান্ড রিমাইন্ডার সিস্টেম (আরটিআরএস)' তৃতীয় স্থান লাভ করে। ভূমিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগণ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ, ল্যান্ড কনসালট্যান্টবৃন্দ এবং ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন ভেন্ডার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

#

 নাহিয়ান/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০৫৫ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৪৮১৭

 

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে

                                                                -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):

 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স কাউন্সিল আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তৃতা করেন।

 

সাংবাদিকতা পেশায় বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমাজের নানা প্রকার দুর্নীতি ও মিথ্যাচারের প্রকাশ দেখা যায়। একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে এসব প্রকাশে অবশ্যই সত্যনিষ্ঠ হতে হবে। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করতে হবে৷ তথ্যপ্রযুক্তির নতুন নতুন মাত্রা আসবে। এই তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। সাংবাদিকতায় যদি আমরা সত্যনিষ্ঠ মানুষ তৈরি করতে না পারি, তাহলে আমাদের কোনো কিছুই কাজে আসবে না।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হলো সত্য প্রকাশ করা। বর্তমানে সেটা করতে গিয়ে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকরা হামলা, মামলা, জীবনের ঝুঁকিসহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, সমাজে যে ক্রাইম হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ক্রাইম রিপোর্টারগণ সংবাদপত্রে ক্রাইমের যে চিত্র তুলে ধরেন, এতে সমাজে অনেক অপরাধ কমে যাচ্ছে এবং অপরাধীরাও অপরাধ করার সাহস পাচ্ছে না।

 

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স কাউন্সিলের সভাপতি আলী আশরাফ আখন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুলজামান ভূঁইয়া, সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল ইসলাম হারুন, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মহসীন আহমেদ স্বপন এবং অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।

 

#

 

এনায়েত/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৪৮১৬

 

স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে 'স্মার্ট আরজেএসসি’ কাজ করবে

                                         -- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):

 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে উদ্যোক্তা, কোম্পানিসহ ব্যক্তিকেও স্মার্ট হতে হবে। স্মার্ট আরজেএসসি’কে সফল করতে সেবাভোগীদের মধ্যস্বত্বভোগী এড়িয়ে চলতে হবে।  স্মার্ট আরজেএসসি’ ব্যবস্থাকে ৩ মাস ইউজার টেস্ট করলে আরো গণমুখী করা যাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের সকল পিলার এ ব্যবস্থায় আছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘স্মার্ট আরজেএসসি’ কাজ করে যাবে।

 

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) নতুন অনলাইন সিস্টেম ‘স্মার্ট আরজেএসসি’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং শুরু করেছি। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে, সেখানে এর কারণ ও কিভাবে দ্রব্যমূল্য সাধারনের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা যায় তা আলোচনা হবে।

 

প্রসঙ্গত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইউএসএআইডি’র সহায়তায় যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) নতুন অনলাইন সিস্টেম ‘স্মার্ট আরজেএসসি’ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে।  এ সিস্টেমে উদ্যোক্তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করবে, ‘ইজ অভ্‌ ডুয়িং বিজনেস’ সহায়তা করবে।

 

যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) নিবন্ধক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

 

#

 

আসিফ/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর :  ৪৮১৫

 

মেয়াদোত্তীর্ণ নৌযান ও নদী দখল-দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ুন

                                                           -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ নৌপরিবহন এবং অতি মুনাফালোভী মালিকদের অতিরিক্ত যাত্রী বহনই নৌ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।  ‘সেইসাথে বালু-খেকো, নদী-খেকোসহ যারা শিল্প-কারখানার বর্জ্য কেমিক্যাল পদার্থ নদীতে ঢেলে দেয় তারা দেশ ও সমাজের শত্রু, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’, বলেন পরিবেশবিদ ড. হাছান।

 

আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় ব্রতী সংগঠন নোঙর ট্রাস্ট আয়োজিত ‘দেশের নৌপথে নিহত সকল শহিদ স্মরণে ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার দাবি ও ঢাকা নদী সম্মেলন প্রস্তুতি সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের নদ-নদী দেশের প্রাণবাহী শিরা-উপশিরার ন্যায়, দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় নদীরক্ষার বিকল্প নেই। তাই নদীকে ভালোবাসুন, নদীরক্ষায় ব্রতী হোন। নদী দখলের তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রথম পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এক দশক দায়িত্বপালনকারী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বিত্তের ক্ষমতা অনেক সময় পদের ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। বিত্তবান আবার নিজেদের সুবিধার জন্য মিডিয়া লালন করে। ক্ষমতাবানরা নদী দখল করে। বুড়িগঙ্গা নদীর দু’পাশে পাড় বাঁধাই করা হয়েছে, ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তবুও বুড়িগঙ্গা দখল হচ্ছে।’

 

আঞ্চলিক নদী সহযোগিতা বিষয়েও আলোকপাত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, নদী রক্ষা এবং সুষম পানি বণ্টনে আরো সমন্বয়, প্রচেষ্টা ও আঞ্চলিক উদ্যোগ দরকার ছিল। সুষমভাবে পানি বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা দাঁড় করানো গেলে সবার উপকার হবে। আমাদের গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা বেসিন বা অববাহিকা নিয়ে একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার ফোরাম খুব প্রয়োজন।

 

নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোঃ আওলাদ হোসেন, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, রিভারাইন পিপল সংগঠনের মহাসচিব শেখ রোকন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

 

২০০৪ সালের ২৩ মে একই রাতে মেঘনা নদীতে এমভি লাইটিং সান, এমভি দিগন্ত ও এমভি মজলিশপুর তিন জাহাজডুবিতে ব্যাপক প্রাণহানি ও গত ৫৩ বছরে দেশে নৌ দুর্ঘটনায় সকল নিহতের স্মরণে নদী ও নদী নিরাপত্তার শপথে ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার জন্য ‘নোঙর’ উত্থাপিত দীর্ঘদিনের দাবির সাথে একাত্মতা জানান। নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামস জানান, ২০০৪ সালের ২৩ মে জাহাজডুবিতে তার মা আছিয়া খাতুন মেঘনার তলদেশে চিরনিদ্রায় শায়িত। এ দিনটিকে ‘নোঙর ট্রাস্ট’ জাতীয় নদী দিবস পালন অব্যাহত রাখবে।

চলমান পাতা/২

 

 

--০২--

 

এমপি আজিমের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে দুই দেশ একযোগে কাজ করছে

                                                             -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে দুই দেশ একসাথে কাজ করছে।

 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের মিশন পুরো বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। যেহেতু তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ নিয়ে বেশি কিছু বলা সমীচীন নয়।

 

#

 

আকরাম/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৪৮১৪

সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার আমি পক্ষপাতী নই

                                - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সাংবাদিকেরা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাধ্যমে সেটা বিতরণ করেন৷ তাতে করে আমরা যারা দায়িত্বে আছি, তারা সতর্ক হওয়ার একটা সুযোগ পাই। ভুল ত্রুটি নিরূপণ করার একটা সুযোগ পাই। কখনো কখনো হয়তো বিভিন্ন খবরাখবর এমনভাবে উপস্থাপন হয়, যা অতিরঞ্জিত। যেখানে হয়তো সত্য তথ্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে৷ এরকম বিষয়কে আমরা নিরুৎসাহিত করি। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও এরকম বিষয়গুলোতে একটা ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত। কিন্তু সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার আমি পক্ষপাতী নই।

মন্ত্রী আজ রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টাস’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনার প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্র পরিচালনায় সাংবাদিকদের অপরিহার্যতা সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় যেমন রাজনীতিবিদদের প্রয়োজন আছে, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আমলার প্রয়োজন আছে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদেরও প্রয়োজন আছে৷ ভুল, ত্রুটি এবং বিচ্যুতি পরিহার করে, আমি সাংবাদিকতার উন্মুক্ত ব্যবহারকে স্বাগত জানাই।

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ক প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১৯ সাল থেকে মূলত ডেঙ্গুর তীব্রতা এবং এর প্রভাব প্রত্যক্ষ করছি৷ শুধু আমরা নই, সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতও অনেক আগে থেকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে৷ আমরা যেহেতু পরে আক্রান্ত হয়েছি, কাজেই আমরা সুযোগ পেয়েছি এসব দেশের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা যা করেছে সব পদ্ধতি আমলে নিয়ে আমরা কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি৷ এছাড়া, ইতোমধ্যে আমি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকেও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যেমন সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি, মিয়ামি ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটির সাথে ভার্চুয়ালি সভাও করেছি। মোটকথা, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিস্তৃত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য রিপোর্টাস’ সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন।

#

পবন/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর:  ৪৮১৩

 

পেশাদার সাংবাদিকতা চর্চার সুস্থ পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে সরকার

-- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):

 

পেশাদার সাংবাদিকতা চর্চার সুস্থ পরিবেশ তৈরিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

 

আজ সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)-এর প্রকাশনা ‘বিএসআরএফ বার্তা’-এর মোড়ক উন্মোচন ও বিএসআরএফ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

 

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাইলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই জরুরি, এর কোনো বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক উন্নয়নমুখী বাংলাদেশ, জনগণের বাংলাদেশ গড়তে গেলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চার কোনো বিকল্প নেই। গণমাধ্যম যত স্বাধীনভাবে চলবে, গণমাধ্যম যত পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করবে, এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তত বিস্তৃত হবে। এ চেতনার পক্ষে সরকার কাজ করতে চায়। তবে একইসাথে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যখন অপসংবাদিকতা হয় তখন শুধু দেশ, জাতি বা গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, পেশাদার সাংবাদিকতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেশাদার সাংবাদিকরা সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হন। কাজেই সকলের স্বার্থে সাংবাদিকতা চর্চার সুস্থ পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সমাজ ও দেশ তৈরি করতে গেলে গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে এবং এটা এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে অনেক গণমাধ্যম আছে বরং স্বাধীনতার জায়গাটি এমন জায়গায় চলে গেছে যে মুক্ত থেকে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এখন অনেক ক্ষেত্রে পেশাদার সাংবাদিকরাই বলেন, গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনা দরকার। সে জায়গায় সরকার কাজ করছে এবং সাংবাদিকদের পরামর্শ নিয়ে প্রতিটি জায়গায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য অধিকার আইন সংসদে পাস হয়। এটা নিশ্চিত করে যে, সরকার এবং প্রশাসন জনগণের স্বার্থে যে তথ্য প্রয়োজন সেটা দিতে বাধ্য হয়। এই আইনের মাধ্যমে সরকার নিজেকেই জবাবদিহিতায় এনেছে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের আরো ক্ষমতায়ন হয়েছে। তবে এ আইন যে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন করেছে সেটি অনেক ক্ষেত্রে অনুধাবনের অভাব থাকে। আবার সরকারি জায়গা থেকে যাদের তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে তাদের দিক থেকেও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, তথ্য না দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। সেদিক থেকে দুই পক্ষের কিছু দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়নের প্রয়োজন আছে। এই আইন যে অধিকার দিয়েছে, সেটা জানা, বোঝা ও সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসাথে সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্যও কাজ করা হচ্ছে।

2024-05-23-16-11-51aae7be26d3254666e15d237a827e06.docx