তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯৯
২৫ মার্চকে জাতীয় ও আনত্মর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
২৫ মার্চকে জাতীয় ও আনত্মর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে ‘আনত্মর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন’ নামক সংগঠনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল আজ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে সাড়্গাৎ করে তাঁর নিকট স্মারকলিপি হসত্মানত্মর করেন।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী ও সংগঠনের আহ্বায়ক শাজাহান খানের নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা হলেন সংসদ সদস্য শিরীন আক্তার, ইসমত কাদির গামা, বদরম্নদ্দোজা নিজাম, আলাউদ্দিন মিয়া, কামাল উদ্দিন, রোকেয়া প্রাচী, শাহাব উদ্দিন, রহমত আলী, মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম, মোকলেছুর রহমান, হাসনে খসরম্ন ও নজরম্নল ইসলাম।
স্মারকলিপিতে উলেস্নখ করা হয় ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকা-ই ছিল না, এটা ছিল বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক কলঙ্কজনক জঘন্যতম গণহত্যা। তারা ২৫ মার্চ দিনটিকে জাতীয় ও আনত্মর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আনত্মর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের এই দাবি স্পিকারের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের নিকট উত্থাপন করছেন বলে তাঁরা স্মারকলিপিতে উলেস্নখ করেন।
#
মোতাহের/মাহমুদ/সঞ্জীব/মাহফুজ/সেলিম/২০১৬/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯৮
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠক আজ সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন (রিমি)এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মমতাজ বেগম, পঙ্কজ নাথ এবং পিনু খান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বিগত সপ্তম হতে নবম বৈঠক পর্যন্ত গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয় উপজেলা পর্যায়ে সার্বিক সাংস্কৃতিক কর্মকা- পরিচালনার জন্য একজন করে কালচারাল অফিসার বা সহকারী পরিচালকসহ মোট ৫২১৩টি নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ছকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। দরিদ্র ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষ যাতে নিজস¦ সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারে সেজন্য তাদেরকে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
বৈঠকে জেলা পর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম সূচারুরূপে পরিচালনার জন্য একটি করে মাইক্রোবাস সরবরাহের প্রক্রিয়া ত্বরানি¦ত করার সুপারিশ করা হয়। সরকারি অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে সরকারি অনুদান প্রদানের পূর্বেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য একটি যুগোপযোগী প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করার কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মিজানুর/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯৭
স্পিকারের সাথে কানাডার হাইকমিশনারের সাড়্গাৎ
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে আজ তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার বেনয়েট পিয়েরে ল্যারামি (Benoit Pierre Laramee) সাড়্গাৎ করেন।
সাড়্গাৎকালে স্পিকার হাইকমিশনারকে আগামী ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের প্রস'তি ও বাংলাদেশ গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন জানিয়ে স্পিকার বলেন, সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস'তি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সম্মেলনের সফল আয়োজনের লড়্গ্যে ২২টি উপকমিটি কাজ করছে। সম্মেলনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৬৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। এজন্য তাদের আবাসন ব্যবস'াসহ যাবতীয় প্রস'তি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, আগত অতিথিদের জন্য বিভিন্ন পর্যটন স'ান পরিদর্শনের ব্যবস'া রাখা হয়েছে। তিনি নারী উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রেড়্গাপট তুলে ধরে বলেন, প্রশাসন থেকে শুরম্ন করে সামরিক ও বেসামরিক সকল পর্যায়ে নারীরা উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করছে।
এসময় হাইকমিশনার সম্মেলন উপলড়্গে অনুষ্ঠিতব্য ‘বাল্যবিবাহরোধ ও নারীর প্রতি সহিংসতারোধ’ বিষয়ক কর্মশালায় তাঁর দেশের পড়্গ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি সম্মেলন আয়োজনের প্রস'তিমূলক কাজে সনেত্মাষ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন ড়্গেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ আর্থসামাজিক ড়্গেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে ভবিষ্যতে সকল ড়্গেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
স্পিকার কানাডার হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে তাঁর অবস'ান দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
নূরম্নল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯৬
বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার আগ্রহ শ্রীলংকার
কলম্বো, ৪ মে:
বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদেরকে প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান করতে আগ্রহ জানিয়েছে শ্রীলংকার লংকা হাসপাতাল।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ কলম্বোতে লংকা হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
শীঘ্রই বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে চিকিৎসক ও নার্সদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার সুযোগ সৃষ্টি করার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক সহায়তা জোরদার করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শ্রীলংকার লংকা হাসপাতালকে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের একটি সফল উদাহরণ হিসেবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও পিপিপি’র আওতায় স্বাস্থ্য খাতের আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশে এখন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতাল নির্মাণে সরকারকে সহযোগিতা করতে চায় এমন আগ্রহী দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীকে সবধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
হাসপাতালের সিইও দেশান্থা সিলভা (উবংযধহঃযধ ঝরষাধ) এসময় মন্ত্রীকে হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ, আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার ও ওয়ার্ড ঘুরে দেখান এবং সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রীলংকার দেড়শো বছরের পুরানো ন্যাশনাল হসপিটাল পরিদর্শন করে সেখানকার চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে ধারণা নেন। হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট সার্ভিস ইউনিটে দুর্ঘটনাকবলিত রোগীদেরকে কীভাবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে চিকিৎসা প্রদান হয় সে সম্পর্কে তিনি খোঁজ খবর নেন।
এছাড়া মন্ত্রী পরে কলম্বোর অদূরে থালাপাথ পিটিয়ার নুগেগেডায় শ্রী জয়বর্ধনেপুয়া জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ, শ্রীলংকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯৫
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প
-- বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
পদ্মার দক্ষিণ প্রান্তে চর জানাযাতে অথবা বাঘিয়ার বিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বাস্তবায়ন কমিটি। বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সাথে কমিটির নেতৃবৃন্দ আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ জানান, ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশের উপর দিয়ে যতগুলো আন্তর্জাতিক রুট রয়েছে তার সবগুলো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপর দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। দূরত্বের বিবেচনায়ও আন্তর্জাতিক বিমানসমূহের অবতরণের জন্য পদ্মার দক্ষিণ প্রান্ত উপযুক্ত স্থান। এখানে বিমান বন্দর স্থাপিত হলে এর পার্শ্বে এক লাখ একর খাস জমিতে একটি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে এবং এর দক্ষিণ-পূর্ব পার্শ্বে নরিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক নৌ-কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপন করা যাবে। নেতৃবৃন্দ আরো জানান সম্প্রতি সমুদ্র বিজয়ের ফলে যে বিশাল এলাকা বাংলাদেশের আওতায় এসেছে সেটি বিবেচনায় এনেও পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে নতুন বিমান বন্দর নির্মাণ যুক্তিযুক্ত।
মন্ত্রী নেতৃবৃন্দের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। কারণ, ২০৩৫ সালের পর কোনক্রমেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যাত্রী সংকুলান হবে না। বিমান বন্দর নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বিমান বন্দর নির্মাণে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব শেখ ওয়াসিউজ্জামান লেনিন, কার্যকর সভাপতি খোকা সিকদার, মেজর ইয়াদ আলী ফকির, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, খন্দকার সাহাব উদ্দিন।
#
তুহিন/মাহমুদ/মাহফুজ/জয়নুল/২০১৬/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯৪
জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের পরাজিত করাই প্রধান কর্তব্য
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের পরাজিত করাই এখন প্রধান রাজনৈতিক কর্তব্য। জাতীয় ঐক্যের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে জঙ্গিবাদ ধ্বংস করার এ জাতীয় সংগ্রামে আমাদের সামনে থাকতে হবে।
আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শতাধিক নেতাকর্মীর বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলে (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
জঙ্গিবিরোধী সংগ্রামে ঐক্যের ওপর গুরম্নত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, আগুনযুদ্ধে পরাজিত হবার পর গুপ্তহত্যার নতুন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। গুপ্তহত্যা, জঙ্গি ষড়যন্ত্রের ঘটনা প্রমাণ করছে দেশের বিপদ এখনও কাটেনি। একটি বড় দল এখনো রাজাকার ও সন্ত্রাসী জামাতের সঙ্গে রাজনৈতিক চুক্তিতে আবদ্ধ। সেজন্যই গুপ্তহত্যা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসী ঘটনায় তারা সন্দেহের তালিকাভুক্ত। এই জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ-সামপ্রদায়িকতাকে পরাজিত করার সংগ্রামের মধ্যেই শ্রমিক-গরিব শ্রেণির সংগ্রাম এগিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়-য়ার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড লুৎফর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বাবুল বিশ্বাস, কমরেড মহিম উদ্দিন, কমরেড মাইনুল হক, নবযোগদানকৃত কমরেড ডা. দেলোয়ার, কমরেড সুলতান বিশ্বাস, অধ্যাপক কামরম্নল ইসলাম এবং অধ্যাপক মমিন উলস্নাহ বক্তব্য রাখেন ।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯৩
পরিকল্পনার সময়োচিত বাসত্মবায়ন জ্বালানি নিরাপত্তা বিধান করবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরম্নল হামিদ বলেছেন, পরিকল্পনার সময়োচিত বাসত্মবায়ন জ্বালানি নিরাপত্তা বিধান করবে। দ্রম্নত সিদ্ধানত্ম নিতে পারলেই সমাধান সহজ হবে। টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার নানাবিধ উৎস হতে জ্বালানি সংগ্রহ ও বিকল্প জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিদ্যুৎ ভবনে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর সহায়তায় ‘জ্বালানি নিরাপত্তা’-এর ওপর এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এলপিজি’র (তরলীকৃত পেট্রলিয়াম গ্যাস) বিশাল বাজার হতে যাচ্ছে। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ৭০ ভাগ বাসাবাড়িতে যাতে এলপিজি ব্যবহার করা হয় তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এদেশের উন্নতমানের কয়লার আরো সাশ্রয়ী ও বহুমুখী ব্যবহারে এডিবি’র সহযোগিতা কামনা করেন।
এডিবি’র সহায়তায় প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার (পিডবিস্নওসি) ইন্ডিয়া, ‘জ্বালানি নিরাপত্তা’-এর ওপর একটি প্রবন্ধ উপস'াপন করে। প্রবন্ধে জ্বালানি নিরাপত্তার বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে বিশেস্নষণ করা হয়। বাংলাদেশের জ্বালানির বিভিন্ন খাতসমূহ ও তার বিশেস্নষণ, এলএনজি, এলপিজি, কয়লা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি, জ্বালানি সংরড়্গণ ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহ এ প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, এডিবি’র দড়্গিণ এশিয়া সম্পর্কিত জ্বালানি বিভাগের পরিচালক এন'নি যোড (অহঃযড়হু ঔঁফব), পিডিবি’র চেয়ারম্যান শামসুল হাসান মিয়া এবং অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯২
শিশুশ্রম বন্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের সমন্বয় জরুরি
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, শিশুশ্রম বাংলাদেশের অন্যতম একটি সমস্যা। এর পেছনে রয়েছে নানাবিধ কারণ। কারণসমূহ যথাযথভাবে চিহ্নিত করে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে। সমন্বিতভাবে কাজ করলে অনেক অসম্ভব কাজকেও সম্ভব করা যায়। শিশুশ্রম বন্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সমন্বয় খুবই জরুরি।
তিনি রাজধানীর ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সাইভেক (সাউথ এশিয়া ইনিশিয়েটভ টু এন্ড ভায়োলেন্স এগেইনস্ট চিলড্রেন) কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি ক্যামপেইন টু এন্ড চাইল্ড লেবার শীর্ষক কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
সাইভেকের মহাপরিচালক ড. রিনচেন চপেলের (উৎ. জরহপযবহ ঈযড়ঢ়যবষ) সভাপতিত্বে এই সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, সাইভেকের গভর্ণিং বডির সদস্যবৃন্দ, সাইভেকের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. আমিনুল ইসলাম, আইএলও প্রতিনিধি মিজ শেরিন খাঁন, শিশুশ্রম নিয়ে কাজ করে এমন এনজিও প্রতিনিধি এবং শিশুশ্রম বিশেষজ্ঞবৃন্দ।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম বলেন, বাংলাদেশ শিশুশ্রম বন্ধে বদ্ধপরিকর। এই লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সব সময় শিশুশ্রম বন্ধে সাইভেক-কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সাইভেক সার্ক অঞ্চলে শিশু শ্রমের কারণ, তা প্রতিকারের উপায় প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করবে ও শিশুশ্রম নিরসনে সফলতাসমূহ পরস্পর বিনিময় করবে। এছাড়া শিশুশ্রমের সাথে জড়িত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে তার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে তা বন্ধে কাজ করবে এবং এ অঞ্চলে ব্যাপক সচেতনতা অভিযান পরিচালনা করবে।
#
খায়ের/মাহমুদ/মাহফুজ/জয়নুল/২০১৬/১৭৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯১
কোরবানির পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণে করণীয়
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
ধর্মীয় পবিত্রতা ও মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাই ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দিয়েই কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নগরবাসীকে এখন থেকে উদ্বুদ্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিটি কর্পোরেশন সমূহকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে কোরবানির পশু ও বর্জ্য অপসারণে করণীয় শীর্ষক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার সচিব আবদুল মালেক এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, এ বছর কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২০৪টি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৩২৪টি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৩৮৭টি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ১৫০টি, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ১৫৫টি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৪১৪টি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ১৯০টি, সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ২৭টি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনে ৪৩৩টি, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ১৪০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, সিলেট, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আরো জানানো হয়, পশু জবাই করার জন্য স্থান নির্ধারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জনবল প্রস্তুত রাখাসহ সার্বিক বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে হবে। কোরবানির পশু জবাই করার জন্য এমন স্থান নির্ধারণ করতে হবে যেখানে জনগণ পশু, মাংস ও চামড়া সহজে আনা-নেয়া করতে পারে। পশু কোরবানির পর পরিত্যক্ত বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় যান ও যন্ত্রাদি প্রস্তুত রাখা, ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পূর্বের ন্যায় ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।
বৈঠকে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই এর বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনের ও পৌরসভার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে এলাকা ভিত্তিক এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদ ভিত্তিক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এখন থেকেই ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
#
শহিদুল/মোবাস্বেরা/খাদীজা/মিজান/আলী/কামাল/২০১৬/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৯০
রংপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী নূরুল হুদার মৃত্যুতে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২১ বৈশাখ (৪ মে):
রংপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবী মো. নূরুল হুদার (১০৪) মৃত্যুতে স্থানীয় সরকার,পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, নূরুল হুদার মৃত্যুতে রংপুরবাসী একজন নিঃস্বার্থ সমাজকর্মী ও সাদামনের মানুষকে হারালো। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাঁর শোকার্ত পরিবারবর্গের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, মরহুম হুদা বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালকলীগ রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন রিপন এর পিতা। তিনি গত রাতে রংপুর মহানগরের নিউ আদর্শ পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি...................রাজিউন)।
#
আহসান/মোবাস্বেরা/খাদীজা/আলী/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৩০০ ঘণ্টা